খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) টানা পাঁচ কর্মদিবসেও শিক্ষকেরা ক্লাসে ফেরেননি। এতে একাডেমিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে এবং দীর্ঘ সেশনজটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর ক্যাম্পাস খুললেও শিক্ষকেরা ক্লাসে যোগ না দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। অভিভাবকদের মধ্যেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক সমিতি সাত কর্মদিবসের আলটিমেটাম দিয়ে ক্লাস ও প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ১৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনাসহ শিক্ষকদের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে তারা। আজ সোমবার ছিল আলটিমেটামের পঞ্চম দিন। দাবি পূরণ না হলে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সব ধরনের প্রশাসনিক কাজ থেকেও বিরত থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকেরা।
শিক্ষার্থীরা ক্লাস শুরুর আশায় ৪ মে হলে ফিরলেও এখনো ক্লাস শুরু হয়নি। শিক্ষার্থীদের পক্ষে থেকে খোলাচিঠিতে ক্ষমা চাওয়া হলেও শিক্ষকেরা এখনও নিজেদের অবস্থানে অনড়।
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘৫ মে শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্ত কুয়েট প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকেও আমরা সরে যাব।’
সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমাদের দাবির ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না এলে আমরা ক্লাসে ফিরছি না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিসুর রহমান ভুঞা ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, উপাচার্যের নেতৃত্বে সংকট নিরসনে প্রশাসন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী বলেন, ‘শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি।’
১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটের এক সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যায়। এরপর রমজান ও ঈদের ছুটি পার হয়ে গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। ১৫ এপ্রিল কিছু শিক্ষার্থী হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন। ২৫ এপ্রিল রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় উপাচার্য ও প্রো-ভিসিকে অব্যাহতি দেয়। ১ মে নিয়োগ পান অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী। ৩ মে তিনি দায়িত্ব নেন। তখনই শিক্ষকদের নতুন আন্দোলন শুরু হয়।
চলমান অচলাবস্থায় কুয়েটের ৭ হাজার ৫৬৫ জন শিক্ষার্থী সেশনজটে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন।
চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘২০২০ সালের জানুয়ারিতে ভর্তি হয়েছি। এর মধ্যে প্রায় দেড় বছরের সেশনজট পোহাতে হয়েছে। এখন আবার একই শঙ্কা।’
অভিভাবক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এই সংকট না হলে আমার ছেলে এত দিনে পাস করে বেরিয়ে যেত। আমরা চরম দুশ্চিন্তায় আছি।’
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) টানা পাঁচ কর্মদিবসেও শিক্ষকেরা ক্লাসে ফেরেননি। এতে একাডেমিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে এবং দীর্ঘ সেশনজটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর ক্যাম্পাস খুললেও শিক্ষকেরা ক্লাসে যোগ না দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। অভিভাবকদের মধ্যেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক সমিতি সাত কর্মদিবসের আলটিমেটাম দিয়ে ক্লাস ও প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ১৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনাসহ শিক্ষকদের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে তারা। আজ সোমবার ছিল আলটিমেটামের পঞ্চম দিন। দাবি পূরণ না হলে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সব ধরনের প্রশাসনিক কাজ থেকেও বিরত থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকেরা।
শিক্ষার্থীরা ক্লাস শুরুর আশায় ৪ মে হলে ফিরলেও এখনো ক্লাস শুরু হয়নি। শিক্ষার্থীদের পক্ষে থেকে খোলাচিঠিতে ক্ষমা চাওয়া হলেও শিক্ষকেরা এখনও নিজেদের অবস্থানে অনড়।
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘৫ মে শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্ত কুয়েট প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকেও আমরা সরে যাব।’
সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমাদের দাবির ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না এলে আমরা ক্লাসে ফিরছি না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিসুর রহমান ভুঞা ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, উপাচার্যের নেতৃত্বে সংকট নিরসনে প্রশাসন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী বলেন, ‘শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি।’
১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটের এক সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যায়। এরপর রমজান ও ঈদের ছুটি পার হয়ে গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। ১৫ এপ্রিল কিছু শিক্ষার্থী হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন। ২৫ এপ্রিল রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় উপাচার্য ও প্রো-ভিসিকে অব্যাহতি দেয়। ১ মে নিয়োগ পান অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী। ৩ মে তিনি দায়িত্ব নেন। তখনই শিক্ষকদের নতুন আন্দোলন শুরু হয়।
চলমান অচলাবস্থায় কুয়েটের ৭ হাজার ৫৬৫ জন শিক্ষার্থী সেশনজটে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন।
চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘২০২০ সালের জানুয়ারিতে ভর্তি হয়েছি। এর মধ্যে প্রায় দেড় বছরের সেশনজট পোহাতে হয়েছে। এখন আবার একই শঙ্কা।’
অভিভাবক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এই সংকট না হলে আমার ছেলে এত দিনে পাস করে বেরিয়ে যেত। আমরা চরম দুশ্চিন্তায় আছি।’
বিস্ফোরক মামলায় ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের ২১ জন নেতা–কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ফরিদপুর জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক এই আদেশ দেন। এ সময় অসুস্থ বিবেচনায় একজনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
২১ মিনিট আগেফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ‘ভুতুড়ে বিল’ ও অন্যান্য অনিয়মের বিরুদ্ধে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন। সোমবার (১২ মে) বিকেলে ছাগলনাইয়া পৌর শহরের জিরো পয়েন্টে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হয়।
২৯ মিনিট আগেময়মনসিংহে টনসিল অপারেশনে গিয়ে তাইয়্যিবা তাবাসসুম তন্দ্রা (১২) নামের এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার রাতে ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়া এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। চিকিৎসক টনসিল অপারেশন করতে গিয়ে তন্দ্রার শ্বাসনালি কেটে ফেলেছেন বলে অভিযোগ স্কুলছাত্রীর স্বজনদের।
৩৪ মিনিট আগেরাজধানীর মতিঝিলে নটর ডেম কলেজের ভবন থেকে পড়ে ধ্রুবব্রত দাস (১৮) নামের এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন। আজ সোমবার (১২ মে) বেলা সোয়া ৩টার দিকে নটর ডেম কলেজের ‘ফাদার টিম’ ভবন থেকে নিচে পড়ে যান ওই শিক্ষার্থী।
৪০ মিনিট আগে