Ajker Patrika

নৌকার বিপক্ষে ভোট করতে রাজি না হওয়ায় আ. লীগ নেতাকে প্রাণনাশের হুমকি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
নৌকার বিপক্ষে ভোট করতে রাজি না হওয়ায় আ. লীগ নেতাকে প্রাণনাশের হুমকি

নৌকার বিপক্ষে ভোট করতে অর্থের প্রলোভন ও এতে রাজি না হওয়ায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ-১ আসনের (শৈলকুপা) স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল ও তাঁর স্ত্রী অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মুনিয়া আফরিনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আজ সোমবার বিকেলে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান ইকু। 

অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম চৌধুরী। 

অভিযোগপত্রে ওয়াহিদুজ্জামান ইকু লিখেছেন, ‘ঝিনাইদহ-১ আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল ও ফুলকপির প্রার্থী (দুলালের স্ত্রী) মুনিয়া আফরিন আমাকে নৌকার বিপক্ষে ভোট করার জন্য প্রস্তাব দেন। আমি তাতে রাজি না হলে তাঁরা আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়াতে থাকেন। এমনকি তাঁরা বিভিন্ন লোক মারফত বলে বেড়ান যে কোটি কোটি টাকা দিয়ে ইকু শিকদারকে কিনে নেব।’ 

অভিযোগপত্রে ওয়াহিদুজ্জামান ইকু আরও লেখেন, ‘মুনিয়া আফরিন নিজে ও তাঁর অনুসারীদের দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। সম্প্রতি ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল আমার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কল করে তাঁর পক্ষে কাজ করার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা প্রস্তাব দেন। এতে আমি রাজি হয়নি। এরপর তাঁর স্ত্রী মুনিয়া আফরিন পরপর দুদিন আমার শৈলকুপার খালধার পাড়ার বাড়িতে এসে আমাকে না পেয়ে আমার স্ত্রীকে (মেহেরিন শিকদার) ঘুষের প্রস্তাব দেন। এরপর আমার স্ত্রীকে বলে তোমার স্বামীকে ট্রাকে ভোট করতে হবে। এ জন্য কত টাকা দেওয়া লাগবে। এরপর মুনিয়া আফরিন তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে আমার স্ত্রীর কাছে কল করে বলে শেষ বারের মতো সময় দিলাম, তোমার স্বামীকে ট্রাক প্রতীকের পক্ষে ভোট করার জন্য। তা না হলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে তোমার স্বামীর। 

ওয়াহিদুজ্জামান ইকু অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, ‘মুনিয়া আফরিন সরাসরি আমার বাসায় প্রবেশ করে স্ত্রী ও আমার অনুপস্থিতিতে ভাতিজা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাওন শিকদারকে বলে, “তুমি তোমার চাচাকে শেষবারের মতো বোঝাও। ট্রাক প্রতীকে ভোট করুক। যত টাকা লাগে আমি দেব। ” এরপর থেকেই তাঁরা দুজন বিভিন্ন জায়গা বলে বেড়াচ্ছেন “ও যখন আমার কথা শুনল না, তো ওই টাকা দিয়েই সন্ত্রাসী ভাড়া করে ওকে শেষ করে দেব। ” এরপর থেকেই আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’ 

এ বিষয়ে শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান ইকু বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করি, শেখ হাসিনার দলে কাজ করি। আমি নৌকার বিপক্ষে ভোট করতে পারব না। কিন্তু তাঁদের অর্থের প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।’ 

এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম চৌধূরী বলেন, ‘থানায় শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান ইকু একটি অভিযোগ দিয়েছেন। শঙ্কা থাকলে একজন জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে অভিযোগ দিতে পারেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে সত্যতার ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

অভিযোগের বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুনিয়া আফরিন বলেন, ‘আমি ইকুর বাসায় গিয়েছিলাম ১০ দিন আগে। তবে এটা কোনো অফার করতে না। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো, আর যে কারণে সেখানে যাওয়া। আমি বলেছি তাঁকে ট্রাকে ভোট দিতে, কিন্তু কোনো অফার করিনি। একটা জায়গা থেকে আমি সেখানে গিয়ে ভোট চাইতেই পারি।’ 

ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল বলেন, ‘আমি কোনো হুমকি দিইনি। আমাকে হেয় করার জন্য বলছে।’ 

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ-১ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল হাই বলেন, ‘নৌকার ভোট ব্যাংক হাকিমপুর ইউনিয়ন, অধিকাংশই আমার সমর্থক। এই ভোট নষ্ট করতে তাঁরা শিকদার ওয়াহিদুজ্জামন ইকুকে হুমকি–ধামকি দিচ্ছে। আমি অবশ্যই এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতায় দরকার সাংবিধানিকভাবে শক্তিশালী বিচার বিভাগ: প্রধান বিচারপতি

রাবি প্রতিনিধি  
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রতিষ্ঠার ৭২ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন উপলক্ষে সভায় অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রতিষ্ঠার ৭২ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন উপলক্ষে সভায় অতিথিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের প্রতিষ্ঠার ৭২ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয় দিনব্যাপী এই আয়োজন। উদ্বোধন করেন দেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

উদ্বোধনের পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে অংশ নেন দেশ-বিদেশ থেকে আসা বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

শোভাযাত্রা শেষে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘আইন কেবল নিয়মের সমষ্টি নয়; বরং এটি জাতির নৈতিক বিবেকের প্রতিফলন। ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হলে রাষ্ট্র দৃঢ় হয়, আর ন্যায় ব্যর্থ হলে সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রও ভেঙে পড়ে।’

জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার প্রসঙ্গ টেনে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘মানবতা যখন অবিচার ও অমানবিক রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভয়াবহ পরিণতি প্রত্যক্ষ করে, তখনই মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা মানবজাতিকে নতুন এক নৈতিক চেতনার দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘রাষ্ট্র যখন নাগরিকদের মর্যাদা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়, তাদের কণ্ঠরোধ করে, তখন ন্যায়ের জন্য লড়াই করা নৈতিকভাবে অপরিহার্য হয়ে পড়ে। জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী নতুন বাস্তবতার আমরা এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতাকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে প্রশাসনিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ, নৈতিকভাবে সাহসী ও সাংবিধানিকভাবে শক্তিশালী বিচার বিভাগ বিনির্মাণ করতে হবে।’

ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘২০২৫ সালের সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশকে মন্ত্রিসভা কর্তৃক যে “নীতিগত অনুমোদন” দেওয়া হয়েছে, তা একটি সুপরিকল্পিত বহুপাক্ষিক চেষ্টার ফল। গত ১৫ মাসে প্রধান বিচারপতির কার্যালয় ও সরকারের নির্বাহী শাখার মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতার ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে। এখন থেকে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন, বার কাউন্সিল, বিচারক ও আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের দায়িত্ব হলো, এই কাঠামোগত রূপান্তরের টেকসই বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। আমাদের সবার মধ্যে পারস্পরিক দায়বদ্ধতা, যুক্তিনিষ্ঠতা এবং সহযোগিতার মনোভাব থাকতে হবে—এগুলোই বিচার বিভাগের স্বায়ত্তশাসনকে টেকসই করবে।’

আয়োজকেরা জানান, সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের আইন শিক্ষায় অসামান্য অবদান রেখে চলেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ। গৌরবময় এ যাত্রাকে স্মরণীয় করে রাখতে আয়োজন করা হয়েছে বৃহৎ পুনর্মিলনী। এতে বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা একত্র হয়ে অতীতের স্মৃতিচারণা ও আনন্দ ভাগাভাগি করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। এ ছাড়া উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মাঈন উদ্দিন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্ট ডিভিশনের ২৯ জন বিচারপতি, বিভিন্ন জেলার জেলা ও দায়রা জজ, আইনজীবীসহ প্রায় তিন হাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কক্সবাজারে তুচ্ছ ঘটনায় বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর

কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারে তুচ্ছ ঘটনায় বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর

কক্সবাজারে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বিতণ্ডার জেরে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে কক্সবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিলংজা পশ্চিম বড়ুয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় মীমাংসা হয়েছে। হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কেউ আহত হননি।

স্থানীয়দের বরাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, সিএনজি অটোরিকশা দাঁড় করানো নিয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পশ্চিম বড়ুয়াপাড়ায় স্থানীয় যুবক কালু বড়ুয়া ও শিপন বড়ুয়ার সঙ্গে পাশের সিকদারপাড়ার মনিরুল হক সিকদারের ছেলে ছোটো এবং আবু তাহেরের ছেলে রাকিবের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে রাত সোয়া ১২টার দিকে ২০-২৫ যুবক জড়ো হয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে কালু বড়ুয়ার বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় শোরগোল শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

জেলা পুলিশের এ মুখপাত্র জানান, রাতে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি শোনার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তাঁরা উভয় পক্ষের লোকজনের সঙ্গে আলাপ করে স্থানীয়ভাবে আপস-মীমাংসা করেছেন। এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় বিদ্যুতায়িত হয়ে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি 
মো. রায়হানুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
মো. রায়হানুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার শেরপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে মো. রায়হানুল ইসলাম (৩২) ওরফে রানা নামের এক পুলিশ কনস্টেবল মারা গেছেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে শেরপুর উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের নগরআরা এলাকার নিজ বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রায়হানুল ইসলাম মৃত শাহ্ আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি সর্বশেষ জয়পুরহাটের কালাই থানায় কর্মরত ছিলেন। আজ শনিবারই তাঁর ঢাকায় নৌ পুলিশে যোগদানের কথা ছিল।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুপুরের দিকে তিনি নিজ বাড়িতে বিদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়ে কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ বিদ্যুতায়িত হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বোন সাম্মী আক্তার জানান, নতুন কর্মস্থলে যোগদানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাঁর ভাই। এমন সময়ে এ দুর্ঘটনায় পুরো পরিবার শোকাহত।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুদ্দিন জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা রুজু করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ৩৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

এক ব্যক্তিকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে, আর আটক বাবাকে জড়িয়ে ধরে তাঁর সাত থেকে আট বছর বয়সী মেয়ে কাঁদছে। এমন সময় ভিড়ের মধ্যে কেউ একজন চড় মারে, সেটি শিশুটির গালে পড়ে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওর এই দৃশ্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

পুলিশ বলছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে মাদক কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে রুস্তমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাদের কোনো সদস্য শিশুটিকে চড় মারেননি। ঘটনাটিকে গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে তারা।

গত বৃহস্পতিবার ভোরে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত দুই পক্ষের মারামারির সময় ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে মো. জাহিদ (২০) নামের এক তরুণ নিহত হন। সেদিন সন্ধ্যায়ই সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। তখন রুস্তমকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, রুস্তমকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর মেয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে। এ সময় ভিড়ের মধ্যে থাকা কেউ একজন শিশুটিকে চড় মারে। পরে শিশুটিকে বাবার কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিওর কমেন্টে অনেকে লেখেন, একজন মানুষ অপরাধ করলে তাঁকে পুলিশ ধরে নিয়ে যেতেই পারে। কিন্তু আসামিকে মারধর করা মানবাধিকার লঙ্ঘন। অথচ এ ঘটনায় পুলিশের সামনেই তাঁর বাচ্চা মেয়ে মারধরের শিকার হলো!

কেউ কেউ লেখেন, ছোট্ট বাচ্চার সঙ্গে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। কেউ কেউ আবার রুস্তমকে আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) কর্মী দাবি করে তাঁরও সমালোচনা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আজকের রাশিফল: মেজাজ সামলে রাখুন, ফেসবুকে দার্শনিকতা বন্ধ করুন

বাড়ি ফেরার পথে লালনশিল্পীকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত

সিনেমায় কাজ করতে চান সাফা, তবে ভয়ও পাচ্ছেন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত