রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
নিজেদের নামে বন্দোবস্ত দেখিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ করে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে খাগড়াছড়ির রামগড়ে ৩৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভূমি জালিয়াতির মামলা করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে পৌরসভার বর্তমান ও সাবেক মেয়র, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, উপজেলা বিএনপির সভাপতির মতো ব্যক্তিরা রয়েছেন। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ছয়টি ভুয়া হোল্ডিং দেখিয়ে পৌর এলাকায় সরকারি খাস খতিয়ানের প্রায় ২৬ একর ভূমি অধিগ্রহণের অভিযোগে ছয়টি মামলা করা হয়।
জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নির্দেশে রামগড় উপজেলা ভূমি অফিসের অফিস সহকারী কবির আহাম্মদ বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে এসব মামলা করেন।
এর আগে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা পায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারই ভিত্তিতে ছয়টি ভুয়া হোল্ডিং ও বন্দোবস্ত মামলা বাতিল করা হয়। এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকায় ভূমি বিভাগের তিনজন কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়। তা ছাড়া অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
ছয়টি মামলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির এক ডজন নেতা, সরকারি দলিল লেখক, সাবেক জেলা পরিষদের সদস্যসহ ৩৬ জনকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হলেন রামগড় পৌরসভার রোলারচালক নুরুল ইসলাম, সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য ও সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ভুবন মোহন ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাফেজ আহমেদ ভূঁইয়া, তাঁর ভাই আহাম্মদ করিম, ভাতিজা দলিল লেখক মোস্তফা ভূঁইয়া, রামগড় পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান কাজী রিপন, তাঁর ছয় ভাই ও এক বোন কাজী রফিকুল ইসলাম মিন্টু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাজী জিয়াউল হক শিপন, কাজী হারুন অর রশিদ, কাজী ফাতেমা বেগম, কাজী সেলিম, কাজী সাইফুল ইসলাম, কাজী শাহরিয়ার ইসলাম।
এ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন রফিকুল আলম, শফিকুল আলম, মমিনুল আলম, মনিরুল আলম, বিএনপি নেতা নুরনবী চৌধুরী, কামিনী রঞ্জন ত্রিপুরা, ছবুরা খাতুন, মোহাম্মদ আব্দুল জলিল, ফেরদৌস ইসলাম, পারভীন আক্তার, সাজেদা খাতুন, দিলীপ চন্দর রক্ষিত, স্নেহ কান্তি চাকমা, অবনী লাল ত্রিপুরা, হাসিনা আক্তার, নুরজাহান বেগম, রোকেয়া বেগম, মো. নুরুন্নবী, জাহানার বেগম, নাজমা বেগম, রাশেদা বেগম, আছমা বেগম, মামুন হোসেন ও জোবেদা আক্তার মুন্নী। তাঁদের মধ্যে নুরুল ইসলাম, মোস্তফা ভূঁইয়া ও ছবুরা খাতুন তিনটি এবং ফেরদৌস ইসলাম ও নুরনবী চৌধুরী দুটি মামলার আসামি।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত বুধবার মধ্যরাতে থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রামগড়ে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু নির্মাণপরবর্তী স্থলবন্দরের জন্য বারইয়ারহাট-হেয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের শতকোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করা হয়। এ নিয়ে কয়েক মাস ধরে তদন্ত চালায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন। এই প্রকল্পে খাগড়াছড়ির সোনাইপুল থেকে রামগড় বাজার পর্যন্ত অধিগ্রহণ করা ১৭ একরের মধ্যে ১৩ একর জমিই জাল দলিল করে আত্মসাতের চেষ্টার প্রমাণ পায় প্রশাসন। সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জনসাধারণের এসব অধিগ্রহণ করা ভূমি আত্মসাতের চেষ্টা চালায় সেভেন স্টার নামের একটি চক্র।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, স্থলবন্দরের জন্য সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প বারইয়ারহাট-হেয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পে অধিগ্রহণের সরকারি কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের লক্ষ্যে বিবাদীরা রামগড় ভূমি কার্যালয়ের অসাধু কর্মচারী, জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের মহাফেজখানা শাখার অসাধু কর্মচারীদের এবং ২২৯ নম্বর মৌজার হেডম্যানের যোগসাজশে ২২৯ নম্বর রামগড় মৌজায় সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গায় দুর্নীতি ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া হোল্ডিং নম্বর-৮৮৭ সৃজন করে। চক্রটি ২০২১ সালের জুন থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এই জালিয়াতি করে। এলাকায় জনসাধারণের অভিযোগ এবং সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশের পর জেলা প্রশাসনের নজরে এলে তদন্তে এই জালিয়াতির প্রমাণ মেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারুকুর রহমানের বেশ কিছু জমি তাঁরা জালিয়াতির মাধ্যমে নেওয়ার চেষ্টা করে। তিনি বলেন, জালিয়াত চক্রের অনেকে ১৯৮০ সালের পর শরণার্থী হিসেবে বিভিন্ন এলাকা থেকে রামগড়ে আসেন। তাঁদের কারও কোনো দলিলপত্র রেকর্ডে নেই। এমনকি তাঁদের পূর্বপুরুষেরও ওই এলাকা বা আশপাশে জমির মালিকানা নেই। সর্বশেষ ২০২১ সাল পর্যন্ত কোনো দলিলে এসব ভূমির মালিকানার কোনো অস্তিত্ব নেই। তবু ভূমি অধিগ্রহণের টাকা লোপাট করতে ভূমি অফিসের কানুনগো দেলোয়ার, সার্ভেয়ার জাহাঙ্গীর ও দলিল লেখক মোস্তফা, পৌরসভার রোলার চালক নুরুল ইসলামের সহায়তায় ভুয়া দাগ ও পর্চায় অন্তর্ভুক্ত করে দলিল বানিয়ে সরকারি সিএনবি জায়গা ও ভুয়া জমির মালিকানা সেজে অর্থ লোপাটের চেষ্টা করে। তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ভূমিদস্যু চক্র তাদের হীন চরিত্র জায়েজ করতে উচ্চ আদালতে রিট করেছে। তিনি জেলা প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান অবিলম্বে পুরো চক্রকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে ভূমির মালিকদের তাদের প্রকৃত জায়গা বুঝিয়ে দিতে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ডেপুটি রেভিনিউ কালেক্টর ও ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এবং তদন্ত কমিটির প্রধান মনজুরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, রামগড় মৌজার ১ নম্বর সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত ভূমিতে অসংখ্য ভুয়া হোল্ডিং সৃষ্টি এবং অধিগ্রহণভুক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটি মাসব্যাপী তদন্ত শেষে ছয়টি ভুয়া হোল্ডিং বাতিল করার সুপারিশ করে। এর ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ছয়টি ভুয়া হোল্ডিং এবং সংশ্লিষ্ট রেকর্ড জরুরি ভিত্তিতে বাতিল করার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সহিদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রামগড় ভূমি অফিস, রেকর্ড শাখা ও জেলা কানুনগোর ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে জেলা প্রশাসকের আওতাধীন তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অপর তিনজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিভাগীয় কমিশনার ও ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মৌজাপ্রধানকে অপসারণ ও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পার্বত্য শাসনবিধি অনুযায়ী মং সার্কেল চিফকে (রাজা) চিঠি দেওয়া হয়েছে।
নিজেদের নামে বন্দোবস্ত দেখিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ করে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে খাগড়াছড়ির রামগড়ে ৩৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভূমি জালিয়াতির মামলা করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে পৌরসভার বর্তমান ও সাবেক মেয়র, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, উপজেলা বিএনপির সভাপতির মতো ব্যক্তিরা রয়েছেন। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ছয়টি ভুয়া হোল্ডিং দেখিয়ে পৌর এলাকায় সরকারি খাস খতিয়ানের প্রায় ২৬ একর ভূমি অধিগ্রহণের অভিযোগে ছয়টি মামলা করা হয়।
জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নির্দেশে রামগড় উপজেলা ভূমি অফিসের অফিস সহকারী কবির আহাম্মদ বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে এসব মামলা করেন।
এর আগে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা পায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারই ভিত্তিতে ছয়টি ভুয়া হোল্ডিং ও বন্দোবস্ত মামলা বাতিল করা হয়। এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকায় ভূমি বিভাগের তিনজন কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়। তা ছাড়া অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
ছয়টি মামলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির এক ডজন নেতা, সরকারি দলিল লেখক, সাবেক জেলা পরিষদের সদস্যসহ ৩৬ জনকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হলেন রামগড় পৌরসভার রোলারচালক নুরুল ইসলাম, সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য ও সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ভুবন মোহন ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাফেজ আহমেদ ভূঁইয়া, তাঁর ভাই আহাম্মদ করিম, ভাতিজা দলিল লেখক মোস্তফা ভূঁইয়া, রামগড় পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান কাজী রিপন, তাঁর ছয় ভাই ও এক বোন কাজী রফিকুল ইসলাম মিন্টু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাজী জিয়াউল হক শিপন, কাজী হারুন অর রশিদ, কাজী ফাতেমা বেগম, কাজী সেলিম, কাজী সাইফুল ইসলাম, কাজী শাহরিয়ার ইসলাম।
এ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন রফিকুল আলম, শফিকুল আলম, মমিনুল আলম, মনিরুল আলম, বিএনপি নেতা নুরনবী চৌধুরী, কামিনী রঞ্জন ত্রিপুরা, ছবুরা খাতুন, মোহাম্মদ আব্দুল জলিল, ফেরদৌস ইসলাম, পারভীন আক্তার, সাজেদা খাতুন, দিলীপ চন্দর রক্ষিত, স্নেহ কান্তি চাকমা, অবনী লাল ত্রিপুরা, হাসিনা আক্তার, নুরজাহান বেগম, রোকেয়া বেগম, মো. নুরুন্নবী, জাহানার বেগম, নাজমা বেগম, রাশেদা বেগম, আছমা বেগম, মামুন হোসেন ও জোবেদা আক্তার মুন্নী। তাঁদের মধ্যে নুরুল ইসলাম, মোস্তফা ভূঁইয়া ও ছবুরা খাতুন তিনটি এবং ফেরদৌস ইসলাম ও নুরনবী চৌধুরী দুটি মামলার আসামি।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত বুধবার মধ্যরাতে থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রামগড়ে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু নির্মাণপরবর্তী স্থলবন্দরের জন্য বারইয়ারহাট-হেয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের শতকোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করা হয়। এ নিয়ে কয়েক মাস ধরে তদন্ত চালায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন। এই প্রকল্পে খাগড়াছড়ির সোনাইপুল থেকে রামগড় বাজার পর্যন্ত অধিগ্রহণ করা ১৭ একরের মধ্যে ১৩ একর জমিই জাল দলিল করে আত্মসাতের চেষ্টার প্রমাণ পায় প্রশাসন। সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জনসাধারণের এসব অধিগ্রহণ করা ভূমি আত্মসাতের চেষ্টা চালায় সেভেন স্টার নামের একটি চক্র।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, স্থলবন্দরের জন্য সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প বারইয়ারহাট-হেয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পে অধিগ্রহণের সরকারি কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের লক্ষ্যে বিবাদীরা রামগড় ভূমি কার্যালয়ের অসাধু কর্মচারী, জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের মহাফেজখানা শাখার অসাধু কর্মচারীদের এবং ২২৯ নম্বর মৌজার হেডম্যানের যোগসাজশে ২২৯ নম্বর রামগড় মৌজায় সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গায় দুর্নীতি ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া হোল্ডিং নম্বর-৮৮৭ সৃজন করে। চক্রটি ২০২১ সালের জুন থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এই জালিয়াতি করে। এলাকায় জনসাধারণের অভিযোগ এবং সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশের পর জেলা প্রশাসনের নজরে এলে তদন্তে এই জালিয়াতির প্রমাণ মেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারুকুর রহমানের বেশ কিছু জমি তাঁরা জালিয়াতির মাধ্যমে নেওয়ার চেষ্টা করে। তিনি বলেন, জালিয়াত চক্রের অনেকে ১৯৮০ সালের পর শরণার্থী হিসেবে বিভিন্ন এলাকা থেকে রামগড়ে আসেন। তাঁদের কারও কোনো দলিলপত্র রেকর্ডে নেই। এমনকি তাঁদের পূর্বপুরুষেরও ওই এলাকা বা আশপাশে জমির মালিকানা নেই। সর্বশেষ ২০২১ সাল পর্যন্ত কোনো দলিলে এসব ভূমির মালিকানার কোনো অস্তিত্ব নেই। তবু ভূমি অধিগ্রহণের টাকা লোপাট করতে ভূমি অফিসের কানুনগো দেলোয়ার, সার্ভেয়ার জাহাঙ্গীর ও দলিল লেখক মোস্তফা, পৌরসভার রোলার চালক নুরুল ইসলামের সহায়তায় ভুয়া দাগ ও পর্চায় অন্তর্ভুক্ত করে দলিল বানিয়ে সরকারি সিএনবি জায়গা ও ভুয়া জমির মালিকানা সেজে অর্থ লোপাটের চেষ্টা করে। তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ভূমিদস্যু চক্র তাদের হীন চরিত্র জায়েজ করতে উচ্চ আদালতে রিট করেছে। তিনি জেলা প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান অবিলম্বে পুরো চক্রকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে ভূমির মালিকদের তাদের প্রকৃত জায়গা বুঝিয়ে দিতে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ডেপুটি রেভিনিউ কালেক্টর ও ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এবং তদন্ত কমিটির প্রধান মনজুরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, রামগড় মৌজার ১ নম্বর সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত ভূমিতে অসংখ্য ভুয়া হোল্ডিং সৃষ্টি এবং অধিগ্রহণভুক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটি মাসব্যাপী তদন্ত শেষে ছয়টি ভুয়া হোল্ডিং বাতিল করার সুপারিশ করে। এর ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ছয়টি ভুয়া হোল্ডিং এবং সংশ্লিষ্ট রেকর্ড জরুরি ভিত্তিতে বাতিল করার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সহিদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রামগড় ভূমি অফিস, রেকর্ড শাখা ও জেলা কানুনগোর ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে জেলা প্রশাসকের আওতাধীন তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অপর তিনজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিভাগীয় কমিশনার ও ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মৌজাপ্রধানকে অপসারণ ও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পার্বত্য শাসনবিধি অনুযায়ী মং সার্কেল চিফকে (রাজা) চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ শহরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে হোসেনপুর ও লালসাবাড়ি এলাকার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সিরাজগঞ্জ সদরের পৌর এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়। পরে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করে সদর থানার পুলিশের
১৮ মিনিট আগেচট্টগ্রামে একটি বালু বিক্রয় কেন্দ্রে চাঁদা না পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির এক্সকাভেটরসহ মালপত্র লুটের অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ জেলা বিএনপির এক নেতাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। গত সোমবার নগর পুলিশের সহকারী কমিশনারের কাছে এক ব্যবসায়ী অভিযোগটি করেন।
৭ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে ওয়াসার পাম্পঘর থেকে বৈদ্যুতিক তার চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। এতে পানি সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। চুরি ঠেকাতে পুলিশের টহল বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে গত সোমবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনারকে চিঠি দেয় ওয়াসা। তারপর ওই রাতেই কাজলা ও খোজাপুর গোরস্তানসংলগ্ন...
৭ ঘণ্টা আগেনওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি ভুয়া প্রকল্পের নামে বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল (এডিবি) থেকে ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদের বিরুদ্ধে। প্রকল্পের কাগজপত্রে কাজ সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে এসব প্রকল্পের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
৭ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জ শহরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে হোসেনপুর ও লালসাবাড়ি এলাকার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সিরাজগঞ্জ সদরের পৌর এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়।
পরে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করে সদর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার একটি ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের তরুণদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে মঙ্গলবার রাতে দুই পক্ষের প্রায় ২ হাজার মানুষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ, লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন বুধবার সকালে বলেন, মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনী সাতজনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তবে তিনি আটক ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি।
সিরাজগঞ্জ শহরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে হোসেনপুর ও লালসাবাড়ি এলাকার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সিরাজগঞ্জ সদরের পৌর এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়।
পরে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করে সদর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার একটি ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের তরুণদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে মঙ্গলবার রাতে দুই পক্ষের প্রায় ২ হাজার মানুষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ, লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন বুধবার সকালে বলেন, মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনী সাতজনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তবে তিনি আটক ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি।
নিজেদের নামে বন্দোবস্ত দেখিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ করে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে খাগড়াছড়ির রামগড়ে ৩৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভূমি জালিয়াতির মামলা করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে পৌরসভার বর্তমান ও সাবেক মেয়র, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, উপজেলা বিএনপির সভাপতির মতো ব্যক্তিরা রয়েছেন।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩চট্টগ্রামে একটি বালু বিক্রয় কেন্দ্রে চাঁদা না পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির এক্সকাভেটরসহ মালপত্র লুটের অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ জেলা বিএনপির এক নেতাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। গত সোমবার নগর পুলিশের সহকারী কমিশনারের কাছে এক ব্যবসায়ী অভিযোগটি করেন।
৭ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে ওয়াসার পাম্পঘর থেকে বৈদ্যুতিক তার চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। এতে পানি সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। চুরি ঠেকাতে পুলিশের টহল বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে গত সোমবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনারকে চিঠি দেয় ওয়াসা। তারপর ওই রাতেই কাজলা ও খোজাপুর গোরস্তানসংলগ্ন...
৭ ঘণ্টা আগেনওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি ভুয়া প্রকল্পের নামে বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল (এডিবি) থেকে ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদের বিরুদ্ধে। প্রকল্পের কাগজপত্রে কাজ সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে এসব প্রকল্পের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে একটি বালু বিক্রয় কেন্দ্রে চাঁদা না পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির এক্সকাভেটরসহ মালপত্র লুটের অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ জেলা বিএনপির এক নেতাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। গত সোমবার নগর পুলিশের সহকারী কমিশনারের কাছে এক ব্যবসায়ী অভিযোগটি করেন।
মোজাহের হোসেন মিঞা নামের ওই ব্যবসায়ী নিজেকে মেসার্স কর্ণফুলী এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান দাবি করেস। অভিযোগে তিনি নিজের নিরাপত্তা চেয়ে ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেন। অভিযোগে সুনির্দিষ্টভাবে চারজনের নাম উল্লেখ করেন। তাঁরা হলেন এস এম ফারুক, শাখাওয়াত হোসেন মিশু, গাজী ফোরকান ও মো. জাহাঙ্গীর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাদের মধ্যে এস এম ফারুকের প্রকৃত নাম হচ্ছে মোহাম্মদ ফারুক হোসেন। যিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদ্য গঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। এ ছাড়া শাখাওয়াত হোসেন মিশু কর্ণফুলী উপজেলা ছাত্রদলের একজন আহ্বায়ক পদপ্রার্থী। বাকি দুজন আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির লোক।
জানতে চাইলে নগর পুলিশের কর্ণফুলী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) জামাল উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকালই (সোমবার) মাত্র অভিযোগটা হাতে পেয়েছি। আমরা তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অভিযোগে ওই ব্যবসায়ী উল্লেখ করেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর কয়েকজন ব্যক্তি কর্ণফুলী থানার কৈয়গ্রাম সেতু রোডে মেসার্স কর্ণফুলী এন্টারপ্রাইজের বালু বিক্রয় কেন্দ্রে এসে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় তাঁকে ভয়ভীতি ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে তাঁদের কথামতো সময়মতো চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বালু বিক্রয় কেন্দ্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ ও সিসি ক্যামেরার লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন চাঁদা দাবিকারীরা। ২০ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় একটি অভিযোগ করা হয়। এ কথা জানতে পেরে ওই ব্যক্তিরা ২৬ সেপ্টেম্বর আবার বালু বিক্রয় কেন্দ্রে এসে কর্ণফুলী এন্টারপ্রাইজের ২৫ লাখ টাকার মূল্যের ১টি এক্সকাভেটর ও ড্রেজার মেশিনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশসহ ৩৫ লাখ টাকার মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
মোজাহের হোসেন অভিযোগ করেন, গত শনিবার রাতে আবার ৫০-৬০ জন লোক এসে কর্ণফুলী কৈয়গ্রামের খালে রাখা খননযন্ত্রে স্টাফদের মারধর করে, পরে সেখানে থাকা খননযন্ত্রটি লুট করে নিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করলে থানার সহায়তায় খননযন্ত্র পাশের উপজেলা আনোয়ারার উপকূলে পাওয়া যায়। সেখানে পুলিশ পরে স্থানীয় ও নগর পুলিশের সিটিজেন ফোরামের সদস্য আলমগীর নামের একজনের জিম্মায় যন্ত্রটি রাখা হয়। কিন্তু এখনো প্রতিষ্ঠান খননযন্ত্র বুঝে পায়নি।
ব্যবসায়ী মোজাহের হোসেন মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খননযন্ত্র আনোয়ারা উপকূলে উদ্ধারের খবরে রোববার তা নিতে গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বাধা দেন। এ সময় তাঁরা হত্যার হুমকি দেন। পরে ভয়ে খননযন্ত্র না নিয়ে আমরা চলে আসি। ঘটনার বিষয় থানা-পুলিশের পাশাপাশি নৌ পুলিশকে অবহিত করি, তাঁরা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করলেও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা বা প্রতিষ্ঠানের লুট হওয়া মালপত্র আমরা ফেরত পাইনি।’
অভিযোগের বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, ‘যেদিন খননযন্ত্র নিয়ে যাওয়া হয়, সেদিন আমি নিজেই পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেছিলাম। আমি কেন খননযন্ত্র লুটের সঙ্গে জড়াব।’ এমন অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এখানে মূলত মালিকানা নিয়ে সমস্যা। সেখানে আমি একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে থেকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে আসছি। উল্টো আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করা হচ্ছে। আর যিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁকে আমি চিনি না।’
বিএনপির নেতার এ বক্তব্য প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী মোজাহের হোসেন মিঞা বলেন, ‘ওনারা যখন ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। আমরা চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করি। পরে তাঁরা চাঁদা না পেয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিকানা দেওয়ার দাবি করেন। এভাবে কারও প্রতিষ্ঠানের কি মালিকানা দাবি করা যায়। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্ব সব নথিপত্র তো আমার কাছেই আছে।’
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, এ বিষয়টি বর্তমানে সহকারী কমিশনার কার্যালয় তদন্ত করছে। তাঁদের নির্দেশনা পেলে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিজেন ফোরামের সদস্য মো. আলমগীর বলেন, ‘খননযন্ত্র এখন আমার জিম্মায় আছে। যখন মালিকের জিম্মায় দিতে যাই, তখন সেখানে কয়েকজন আমাদের বাধা দেওয়ায় চলে আসি।’
চট্টগ্রামে একটি বালু বিক্রয় কেন্দ্রে চাঁদা না পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির এক্সকাভেটরসহ মালপত্র লুটের অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ জেলা বিএনপির এক নেতাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। গত সোমবার নগর পুলিশের সহকারী কমিশনারের কাছে এক ব্যবসায়ী অভিযোগটি করেন।
মোজাহের হোসেন মিঞা নামের ওই ব্যবসায়ী নিজেকে মেসার্স কর্ণফুলী এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান দাবি করেস। অভিযোগে তিনি নিজের নিরাপত্তা চেয়ে ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেন। অভিযোগে সুনির্দিষ্টভাবে চারজনের নাম উল্লেখ করেন। তাঁরা হলেন এস এম ফারুক, শাখাওয়াত হোসেন মিশু, গাজী ফোরকান ও মো. জাহাঙ্গীর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাদের মধ্যে এস এম ফারুকের প্রকৃত নাম হচ্ছে মোহাম্মদ ফারুক হোসেন। যিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদ্য গঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। এ ছাড়া শাখাওয়াত হোসেন মিশু কর্ণফুলী উপজেলা ছাত্রদলের একজন আহ্বায়ক পদপ্রার্থী। বাকি দুজন আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির লোক।
জানতে চাইলে নগর পুলিশের কর্ণফুলী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) জামাল উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকালই (সোমবার) মাত্র অভিযোগটা হাতে পেয়েছি। আমরা তদন্ত করে দেখছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অভিযোগে ওই ব্যবসায়ী উল্লেখ করেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর কয়েকজন ব্যক্তি কর্ণফুলী থানার কৈয়গ্রাম সেতু রোডে মেসার্স কর্ণফুলী এন্টারপ্রাইজের বালু বিক্রয় কেন্দ্রে এসে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় তাঁকে ভয়ভীতি ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে তাঁদের কথামতো সময়মতো চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বালু বিক্রয় কেন্দ্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ ও সিসি ক্যামেরার লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন চাঁদা দাবিকারীরা। ২০ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় একটি অভিযোগ করা হয়। এ কথা জানতে পেরে ওই ব্যক্তিরা ২৬ সেপ্টেম্বর আবার বালু বিক্রয় কেন্দ্রে এসে কর্ণফুলী এন্টারপ্রাইজের ২৫ লাখ টাকার মূল্যের ১টি এক্সকাভেটর ও ড্রেজার মেশিনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশসহ ৩৫ লাখ টাকার মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
মোজাহের হোসেন অভিযোগ করেন, গত শনিবার রাতে আবার ৫০-৬০ জন লোক এসে কর্ণফুলী কৈয়গ্রামের খালে রাখা খননযন্ত্রে স্টাফদের মারধর করে, পরে সেখানে থাকা খননযন্ত্রটি লুট করে নিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করলে থানার সহায়তায় খননযন্ত্র পাশের উপজেলা আনোয়ারার উপকূলে পাওয়া যায়। সেখানে পুলিশ পরে স্থানীয় ও নগর পুলিশের সিটিজেন ফোরামের সদস্য আলমগীর নামের একজনের জিম্মায় যন্ত্রটি রাখা হয়। কিন্তু এখনো প্রতিষ্ঠান খননযন্ত্র বুঝে পায়নি।
ব্যবসায়ী মোজাহের হোসেন মিঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খননযন্ত্র আনোয়ারা উপকূলে উদ্ধারের খবরে রোববার তা নিতে গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বাধা দেন। এ সময় তাঁরা হত্যার হুমকি দেন। পরে ভয়ে খননযন্ত্র না নিয়ে আমরা চলে আসি। ঘটনার বিষয় থানা-পুলিশের পাশাপাশি নৌ পুলিশকে অবহিত করি, তাঁরা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করলেও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা বা প্রতিষ্ঠানের লুট হওয়া মালপত্র আমরা ফেরত পাইনি।’
অভিযোগের বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, ‘যেদিন খননযন্ত্র নিয়ে যাওয়া হয়, সেদিন আমি নিজেই পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেছিলাম। আমি কেন খননযন্ত্র লুটের সঙ্গে জড়াব।’ এমন অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এখানে মূলত মালিকানা নিয়ে সমস্যা। সেখানে আমি একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে থেকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে আসছি। উল্টো আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করা হচ্ছে। আর যিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁকে আমি চিনি না।’
বিএনপির নেতার এ বক্তব্য প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী মোজাহের হোসেন মিঞা বলেন, ‘ওনারা যখন ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। আমরা চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করি। পরে তাঁরা চাঁদা না পেয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিকানা দেওয়ার দাবি করেন। এভাবে কারও প্রতিষ্ঠানের কি মালিকানা দাবি করা যায়। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্ব সব নথিপত্র তো আমার কাছেই আছে।’
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, এ বিষয়টি বর্তমানে সহকারী কমিশনার কার্যালয় তদন্ত করছে। তাঁদের নির্দেশনা পেলে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিজেন ফোরামের সদস্য মো. আলমগীর বলেন, ‘খননযন্ত্র এখন আমার জিম্মায় আছে। যখন মালিকের জিম্মায় দিতে যাই, তখন সেখানে কয়েকজন আমাদের বাধা দেওয়ায় চলে আসি।’
নিজেদের নামে বন্দোবস্ত দেখিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ করে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে খাগড়াছড়ির রামগড়ে ৩৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভূমি জালিয়াতির মামলা করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে পৌরসভার বর্তমান ও সাবেক মেয়র, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, উপজেলা বিএনপির সভাপতির মতো ব্যক্তিরা রয়েছেন।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩সিরাজগঞ্জ শহরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে হোসেনপুর ও লালসাবাড়ি এলাকার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সিরাজগঞ্জ সদরের পৌর এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়। পরে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করে সদর থানার পুলিশের
১৮ মিনিট আগেরাজশাহীতে ওয়াসার পাম্পঘর থেকে বৈদ্যুতিক তার চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। এতে পানি সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। চুরি ঠেকাতে পুলিশের টহল বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে গত সোমবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনারকে চিঠি দেয় ওয়াসা। তারপর ওই রাতেই কাজলা ও খোজাপুর গোরস্তানসংলগ্ন...
৭ ঘণ্টা আগেনওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি ভুয়া প্রকল্পের নামে বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল (এডিবি) থেকে ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদের বিরুদ্ধে। প্রকল্পের কাগজপত্রে কাজ সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে এসব প্রকল্পের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
৭ ঘণ্টা আগেরিমন রহমান, রাজশাহী
রাজশাহীতে ওয়াসার পাম্পঘর থেকে বৈদ্যুতিক তার চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। এতে পানি সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। চুরি ঠেকাতে পুলিশের টহল বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে গত সোমবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনারকে চিঠি দেয় ওয়াসা। তারপর ওই রাতেই কাজলা ও খোজাপুর গোরস্তানসংলগ্ন পাম্পঘরে চুরির ঘটনা ঘটে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডে ওয়াসার ১২৩টি পাম্পঘর রয়েছে। কিন্তু বৈদ্যুতিক তার চুরি যাওয়ায় পাম্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়ছেন এলাকাবাসী। গত কয়েক মাসে শারীরিক শিক্ষা কলেজ, বিসিক, বুধপাড়া বাইপাস, দায়রাপাক মোড় ও খলিল সরকারের মোড়ের পাম্পঘরে তার চুরি হয়েছে।
রাজশাহী ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘রাতে পাম্প চলে না। এ জন্য অপারেটররা সেখানে থাকেন না। আর আমাদের কোনো নৈশপ্রহরীও নেই। ফলে রাতে চুরির ঘটনা ঘটছে। আমরা সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দিচ্ছি।’
গতকাল মঙ্গলবার ওয়াসা কার্যালয়ে এসেছিলেন খলিল সরকারের মোড়ের পাম্পঘরের চালক মো. চাঁদ। তিনি জানান, গত রোববার রাতে তাঁর পাম্পঘর থেকে তার চুরি হয়। নতুন তার না লাগানো পর্যন্ত পাম্প বন্ধ ছিল।
ওয়াসার কর্মকর্তারা বলছেন, এমনিতেই তাদের জনবল সংকট। ফলে রাতে পাম্পঘরে চালক থাকেন না। এ সুযোগে চুরি হচ্ছে। গতকাল দুপুরে খোজাপুর এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রাতে তার চুরির পর থেকেই পাম্প বন্ধ। পাম্পও চালু হয়নি। এলাকায় পানি সরবরাহ নেই। এটা পুরো এলাকার মানুষের জন্য দুর্ভোগ।’
আরএমপির মুখপত্র গাজিউর রহমান বলেন, ‘পাম্পগুলো অরক্ষিত থাকে। এই সম্পদ ওয়াসার। তাই এটি রক্ষার পরিকল্পনাও তাদের থাকা দরকার। তবে আমরা চুরির যেসব অভিযোগ পেয়েছি, সেগুলোর তদন্ত চলছে। চোর চক্রকে ধরার চেষ্টা চলছে। ওয়াসা যে ঠিকানাসহ তালিকা দিয়েছে, সেসব এলাকায় ইতিমধ্যে পুলিশের রাত্রীকালীন টহল বাড়ানো হয়েছে।’
রাজশাহীতে ওয়াসার পাম্পঘর থেকে বৈদ্যুতিক তার চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। এতে পানি সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। চুরি ঠেকাতে পুলিশের টহল বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে গত সোমবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনারকে চিঠি দেয় ওয়াসা। তারপর ওই রাতেই কাজলা ও খোজাপুর গোরস্তানসংলগ্ন পাম্পঘরে চুরির ঘটনা ঘটে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডে ওয়াসার ১২৩টি পাম্পঘর রয়েছে। কিন্তু বৈদ্যুতিক তার চুরি যাওয়ায় পাম্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়ছেন এলাকাবাসী। গত কয়েক মাসে শারীরিক শিক্ষা কলেজ, বিসিক, বুধপাড়া বাইপাস, দায়রাপাক মোড় ও খলিল সরকারের মোড়ের পাম্পঘরে তার চুরি হয়েছে।
রাজশাহী ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘রাতে পাম্প চলে না। এ জন্য অপারেটররা সেখানে থাকেন না। আর আমাদের কোনো নৈশপ্রহরীও নেই। ফলে রাতে চুরির ঘটনা ঘটছে। আমরা সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দিচ্ছি।’
গতকাল মঙ্গলবার ওয়াসা কার্যালয়ে এসেছিলেন খলিল সরকারের মোড়ের পাম্পঘরের চালক মো. চাঁদ। তিনি জানান, গত রোববার রাতে তাঁর পাম্পঘর থেকে তার চুরি হয়। নতুন তার না লাগানো পর্যন্ত পাম্প বন্ধ ছিল।
ওয়াসার কর্মকর্তারা বলছেন, এমনিতেই তাদের জনবল সংকট। ফলে রাতে পাম্পঘরে চালক থাকেন না। এ সুযোগে চুরি হচ্ছে। গতকাল দুপুরে খোজাপুর এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রাতে তার চুরির পর থেকেই পাম্প বন্ধ। পাম্পও চালু হয়নি। এলাকায় পানি সরবরাহ নেই। এটা পুরো এলাকার মানুষের জন্য দুর্ভোগ।’
আরএমপির মুখপত্র গাজিউর রহমান বলেন, ‘পাম্পগুলো অরক্ষিত থাকে। এই সম্পদ ওয়াসার। তাই এটি রক্ষার পরিকল্পনাও তাদের থাকা দরকার। তবে আমরা চুরির যেসব অভিযোগ পেয়েছি, সেগুলোর তদন্ত চলছে। চোর চক্রকে ধরার চেষ্টা চলছে। ওয়াসা যে ঠিকানাসহ তালিকা দিয়েছে, সেসব এলাকায় ইতিমধ্যে পুলিশের রাত্রীকালীন টহল বাড়ানো হয়েছে।’
নিজেদের নামে বন্দোবস্ত দেখিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ করে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে খাগড়াছড়ির রামগড়ে ৩৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভূমি জালিয়াতির মামলা করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে পৌরসভার বর্তমান ও সাবেক মেয়র, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, উপজেলা বিএনপির সভাপতির মতো ব্যক্তিরা রয়েছেন।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩সিরাজগঞ্জ শহরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে হোসেনপুর ও লালসাবাড়ি এলাকার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সিরাজগঞ্জ সদরের পৌর এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়। পরে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করে সদর থানার পুলিশের
১৮ মিনিট আগেচট্টগ্রামে একটি বালু বিক্রয় কেন্দ্রে চাঁদা না পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির এক্সকাভেটরসহ মালপত্র লুটের অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ জেলা বিএনপির এক নেতাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। গত সোমবার নগর পুলিশের সহকারী কমিশনারের কাছে এক ব্যবসায়ী অভিযোগটি করেন।
৭ ঘণ্টা আগেনওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি ভুয়া প্রকল্পের নামে বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল (এডিবি) থেকে ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদের বিরুদ্ধে। প্রকল্পের কাগজপত্রে কাজ সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে এসব প্রকল্পের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
৭ ঘণ্টা আগেমো. জিল্লুর রহমান, মান্দা (নওগাঁ)
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি ভুয়া প্রকল্পের নামে বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল (এডিবি) থেকে ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদের বিরুদ্ধে। প্রকল্পের কাগজপত্রে কাজ সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে এসব প্রকল্পের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিবির আওতায় প্রসাদপুর বাজারের গোলচত্বর সংস্কারের জন্য ৫ লাখ এবং পাঁজরভাঙা বাজারে নতুন গোলচত্বর নির্মাণের জন্য ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেখানো হয়েছে। উপজেলা এলজিইডি অফিসের তালিকায় প্রকল্প দুটি যথাক্রমে ৩৪ ও ১৪৫ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, সংশ্লিষ্ট দুই স্থানে কোনো ধরনের উন্নয়নকাজ হয়নি। জানতে চাইলে পাঁজরভাঙা বাজারের বাসিন্দা আল আমিন বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘এখানে কোনো গোলচত্বরই নেই। নির্মাণ তো দূরের কথা, কাজের কোনো চিহ্নই নেই।’
উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, প্রসাদপুর গোলচত্বরের কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে এবং পাঁজরভাঙা গোলচত্বর নির্মাণ আরএফকিউ পদ্ধতিতে দেখানো হয়েছে। তবে প্রকল্পটি কে বাস্তবায়ন করেছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো জবাব দিতে পারেননি এলজিইডি কর্মকর্তারা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদ বলেন, ‘টেন্ডারের পর রেজল্যুশনের মাধ্যমে কাজ পরিবর্তন করা হয়েছে। বর্তমানে আমি ঢাকায় প্রশিক্ষণে আছি। সাক্ষাতে বিস্তারিত জানানো হবে বলে ফোনের সংযোগবিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী বলেন, ‘প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকলে কাজটি বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় দুটি ভুয়া প্রকল্পের নামে বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল (এডিবি) থেকে ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদের বিরুদ্ধে। প্রকল্পের কাগজপত্রে কাজ সম্পন্ন দেখানো হলেও বাস্তবে এসব প্রকল্পের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিবির আওতায় প্রসাদপুর বাজারের গোলচত্বর সংস্কারের জন্য ৫ লাখ এবং পাঁজরভাঙা বাজারে নতুন গোলচত্বর নির্মাণের জন্য ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেখানো হয়েছে। উপজেলা এলজিইডি অফিসের তালিকায় প্রকল্প দুটি যথাক্রমে ৩৪ ও ১৪৫ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, সংশ্লিষ্ট দুই স্থানে কোনো ধরনের উন্নয়নকাজ হয়নি। জানতে চাইলে পাঁজরভাঙা বাজারের বাসিন্দা আল আমিন বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘এখানে কোনো গোলচত্বরই নেই। নির্মাণ তো দূরের কথা, কাজের কোনো চিহ্নই নেই।’
উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, প্রসাদপুর গোলচত্বরের কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে এবং পাঁজরভাঙা গোলচত্বর নির্মাণ আরএফকিউ পদ্ধতিতে দেখানো হয়েছে। তবে প্রকল্পটি কে বাস্তবায়ন করেছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো জবাব দিতে পারেননি এলজিইডি কর্মকর্তারা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদ বলেন, ‘টেন্ডারের পর রেজল্যুশনের মাধ্যমে কাজ পরিবর্তন করা হয়েছে। বর্তমানে আমি ঢাকায় প্রশিক্ষণে আছি। সাক্ষাতে বিস্তারিত জানানো হবে বলে ফোনের সংযোগবিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী বলেন, ‘প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকলে কাজটি বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নিজেদের নামে বন্দোবস্ত দেখিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ করে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে খাগড়াছড়ির রামগড়ে ৩৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভূমি জালিয়াতির মামলা করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে পৌরসভার বর্তমান ও সাবেক মেয়র, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, উপজেলা বিএনপির সভাপতির মতো ব্যক্তিরা রয়েছেন।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩সিরাজগঞ্জ শহরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে হোসেনপুর ও লালসাবাড়ি এলাকার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সিরাজগঞ্জ সদরের পৌর এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়। পরে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করে সদর থানার পুলিশের
১৮ মিনিট আগেচট্টগ্রামে একটি বালু বিক্রয় কেন্দ্রে চাঁদা না পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির এক্সকাভেটরসহ মালপত্র লুটের অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ জেলা বিএনপির এক নেতাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। গত সোমবার নগর পুলিশের সহকারী কমিশনারের কাছে এক ব্যবসায়ী অভিযোগটি করেন।
৭ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে ওয়াসার পাম্পঘর থেকে বৈদ্যুতিক তার চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। এতে পানি সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। চুরি ঠেকাতে পুলিশের টহল বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে গত সোমবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনারকে চিঠি দেয় ওয়াসা। তারপর ওই রাতেই কাজলা ও খোজাপুর গোরস্তানসংলগ্ন...
৭ ঘণ্টা আগে