বেলাল হোসাইন, রামগড় (খাগড়াছড়ি)
সকালের রোদে জমিতে দাঁড়িয়ে খাগড়াছড়ির রামগড়ের কৃষক আফসার উদ্দীন; সামনে পানিতে ডুবে আছে সবুজ ধানের চারা, কিন্তু মুখে নেই কোনো আনন্দ। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। ক্লান্ত কণ্ঠে তিনি আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদককে বললেন, ‘সামান্য বৃষ্টি হলেই জমি তলিয়ে যায়। বছরে তিনবার চারা রোপণ করেছি, কিন্তু একবারও ঘরে তুলতে পারিনি ধান। এভাবে চলতে থাকলে আমরা না খেয়ে মরব।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ধান চাষ করব নাকি পানিতে মাছ ধরব, সেটাই এখন বুঝতে পারছি না।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রামগড় পৌরসভার চৌধুরীপাড়া, পাইন্দাপাড়া, শম্প্রুপাড়া, মহামুনি, দারোগাপাড়া, পৌরসভা এলাকা ও সোনাইপুলে এক হাজার কানির (১ হাজার ২০০ বিঘা) বেশি ধানিজমি রয়েছে। এখানেই উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ধান চাষ হয়। কিন্তু বছরের পর বছর সেই ধানখেত পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। কৃষকেরা পরিশ্রম করেও পাচ্ছেন না প্রাপ্য ফসল। এই দুর্ভোগের মূল কারণ তৈছালা খাল।
জানা যায়, একসময় এলাকাবাসীর জীবন রক্ষাকারী খাল বলে পরিচিত ছিল এটি। কিন্তু এখন তা মৃতপ্রায়।
সরেজমিন দেখা গেছে, সরু হয়ে যাওয়া তৈছালা খালের দুই পাড়ে বাঁশঝাড়, ব্যক্তিগত স্থাপনা আর আবর্জনার স্তূপ। ফলে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অল্প বৃষ্টিতেই খালের পানি জমিতে ঢুকে ধানখেত তলিয়ে দিচ্ছে।
কৃষকেরা জানান, খালটি অবরুদ্ধ হয়ে ধানের চারা ডুবে যাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে ফসল। বাঁশঝাড় আর স্থাপনার কারণে পানি সরতে পারে না। সামান্য বৃষ্টি হলেই ফসল ডুবে যায়।
এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে আছেন ক্ষুদ্র কৃষকেরা। কেউ কেউ এনজিও বা ব্যাংক থেকে কিস্তিতে ঋণ নিয়ে জমি চাষ করেন। কিন্তু ফসল না হওয়ায় সেই ঋণই হয়ে দাঁড়াচ্ছে নতুন বোঝা।
একজন কৃষক দিশেহারা কণ্ঠে বলেন, ‘কিস্তি তুলে ধান চাষ করেছি। কিন্তু এ পর্যন্ত তিনবার বৃষ্টির পানিতে ফসল নষ্ট হয়েছে। এখন বুঝতে পারছি না, কিস্তির টাকা কীভাবে শোধ করব আর সংসারই কীভাবে চালাব।’
স্থানীয় কৃষক রাপ্রু মারমা বলেন, পুরো উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ধান হয় এই এলাকায়। কিন্তু একটি মাত্র খাল তৈছালা। সেটিও অবরুদ্ধ। বাঁশঝাড় আর স্থাপনার কারণে পানি যেতে পারে না। তাই সামান্য বৃষ্টিতেই ফসল ডুবে যায়।
জানা যায়, তৈছালা খালের সর্বশেষ সংস্কার হয়েছিল ১৯৮১ সালে। স্থানীয়রা বলেন, রামগড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রহুল আমিনের তত্ত্বাবধানে সর্বশেষ সংস্কার হয়েছে খালটি। তারপর চার দশকের বেশি সময় কেটে গেছে। আর কোনো সংস্কার হয়নি। আজ সেই অবহেলার মাশুল দিচ্ছেন হাজারো কৃষক।
এ বিষয়ে উপজেলায় সদ্য যোগদান করা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সুমন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি সরেজমিন জমিগুলো পরিদর্শন করেছি।’ তিনি বলেন, কৃষকেরা সত্যিই অনেক কষ্টে আছেন। এখনো শত কানির বেশি জমি পানির নিচে।
এ কর্মকর্তা বলেন, ‘মূলত খাল সংস্কার না করায় এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে। তৈছালা খাল সংস্কার করা গেলে এর অনেকটা সমাধান হবে। কৃষকদের আবেদন করতে বলা হয়েছে। তাঁরা আবেদন করলে এ বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা করব।’
রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী শামীম বলেন, বিষয়টি যাচাই করে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সকালের রোদে জমিতে দাঁড়িয়ে খাগড়াছড়ির রামগড়ের কৃষক আফসার উদ্দীন; সামনে পানিতে ডুবে আছে সবুজ ধানের চারা, কিন্তু মুখে নেই কোনো আনন্দ। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। ক্লান্ত কণ্ঠে তিনি আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদককে বললেন, ‘সামান্য বৃষ্টি হলেই জমি তলিয়ে যায়। বছরে তিনবার চারা রোপণ করেছি, কিন্তু একবারও ঘরে তুলতে পারিনি ধান। এভাবে চলতে থাকলে আমরা না খেয়ে মরব।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ধান চাষ করব নাকি পানিতে মাছ ধরব, সেটাই এখন বুঝতে পারছি না।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রামগড় পৌরসভার চৌধুরীপাড়া, পাইন্দাপাড়া, শম্প্রুপাড়া, মহামুনি, দারোগাপাড়া, পৌরসভা এলাকা ও সোনাইপুলে এক হাজার কানির (১ হাজার ২০০ বিঘা) বেশি ধানিজমি রয়েছে। এখানেই উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ধান চাষ হয়। কিন্তু বছরের পর বছর সেই ধানখেত পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। কৃষকেরা পরিশ্রম করেও পাচ্ছেন না প্রাপ্য ফসল। এই দুর্ভোগের মূল কারণ তৈছালা খাল।
জানা যায়, একসময় এলাকাবাসীর জীবন রক্ষাকারী খাল বলে পরিচিত ছিল এটি। কিন্তু এখন তা মৃতপ্রায়।
সরেজমিন দেখা গেছে, সরু হয়ে যাওয়া তৈছালা খালের দুই পাড়ে বাঁশঝাড়, ব্যক্তিগত স্থাপনা আর আবর্জনার স্তূপ। ফলে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অল্প বৃষ্টিতেই খালের পানি জমিতে ঢুকে ধানখেত তলিয়ে দিচ্ছে।
কৃষকেরা জানান, খালটি অবরুদ্ধ হয়ে ধানের চারা ডুবে যাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে ফসল। বাঁশঝাড় আর স্থাপনার কারণে পানি সরতে পারে না। সামান্য বৃষ্টি হলেই ফসল ডুবে যায়।
এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে আছেন ক্ষুদ্র কৃষকেরা। কেউ কেউ এনজিও বা ব্যাংক থেকে কিস্তিতে ঋণ নিয়ে জমি চাষ করেন। কিন্তু ফসল না হওয়ায় সেই ঋণই হয়ে দাঁড়াচ্ছে নতুন বোঝা।
একজন কৃষক দিশেহারা কণ্ঠে বলেন, ‘কিস্তি তুলে ধান চাষ করেছি। কিন্তু এ পর্যন্ত তিনবার বৃষ্টির পানিতে ফসল নষ্ট হয়েছে। এখন বুঝতে পারছি না, কিস্তির টাকা কীভাবে শোধ করব আর সংসারই কীভাবে চালাব।’
স্থানীয় কৃষক রাপ্রু মারমা বলেন, পুরো উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ধান হয় এই এলাকায়। কিন্তু একটি মাত্র খাল তৈছালা। সেটিও অবরুদ্ধ। বাঁশঝাড় আর স্থাপনার কারণে পানি যেতে পারে না। তাই সামান্য বৃষ্টিতেই ফসল ডুবে যায়।
জানা যায়, তৈছালা খালের সর্বশেষ সংস্কার হয়েছিল ১৯৮১ সালে। স্থানীয়রা বলেন, রামগড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রহুল আমিনের তত্ত্বাবধানে সর্বশেষ সংস্কার হয়েছে খালটি। তারপর চার দশকের বেশি সময় কেটে গেছে। আর কোনো সংস্কার হয়নি। আজ সেই অবহেলার মাশুল দিচ্ছেন হাজারো কৃষক।
এ বিষয়ে উপজেলায় সদ্য যোগদান করা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সুমন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি সরেজমিন জমিগুলো পরিদর্শন করেছি।’ তিনি বলেন, কৃষকেরা সত্যিই অনেক কষ্টে আছেন। এখনো শত কানির বেশি জমি পানির নিচে।
এ কর্মকর্তা বলেন, ‘মূলত খাল সংস্কার না করায় এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে। তৈছালা খাল সংস্কার করা গেলে এর অনেকটা সমাধান হবে। কৃষকদের আবেদন করতে বলা হয়েছে। তাঁরা আবেদন করলে এ বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা করব।’
রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী শামীম বলেন, বিষয়টি যাচাই করে দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলে সিরামিকের কাঁচামাল নিয়ে লাইটারেজ জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা উপকূল ও কর্ণফুলী নদীর মোহনায় (নেভাল একাডেমির সামনে) ‘এমভি জায়া’ নামে ওই লাইটারেজ জাহাজটি ডুবে গেছে।
৪ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র বিএনপি ও যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ছয়জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের খালিয়ারচর পশ্চিমপাড়া গ্রামে আজ শনিবার সকাল ১০
১০ মিনিট আগেখুলনায় কারাগারে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই মাদক কারবারির অনুসারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন কারাবন্দী আহত হয়েছেন। তবে তাঁদের নাম প্রকাশ করেনি কারা কর্তৃপক্ষ।
১৮ মিনিট আগেপ্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘অতীতের মতো কোনো নির্বাচন আর হবে না। সরকারি কোনো সংস্থা ও রাজনৈতিক দল নির্বাচনকে প্রভাবিত করার সুযোগ পাবে না। আমরা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণের নির্দেশনা দিয়েছি।’ আজ শনিবার বরিশাল সার্কিট হাউসে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়
২১ মিনিট আগে