Ajker Patrika

খাগড়াছড়িতে ডাক্তারি পরীক্ষায় কিশোরীকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি 
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ০২
সহিংসতার সময় গুইমারা রামসু বাজার। ছবি: ফাইল ছবি
সহিংসতার সময় গুইমারা রামসু বাজার। ছবি: ফাইল ছবি

খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তবে ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদনে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকেরা।

ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা তিন চিকিৎসক হলেন—জয়া চাকমা, মোশারফ হোসেন ও নাহিদা আকতার।

দলের নেতৃত্ব দেওয়া খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ জয়া চাকমা বলেন, ‘আমরা মেডিকেলে রিপোর্ট জমা দিয়েছি। সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি, কিন্তু আসলে ধর্ষণের কোনো আলামত পাইনি। আলামত পরীক্ষার ১০টি সূচকের সব কটি স্বাভাবিক এসেছে।’

সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সূত্রে জানা যায়, সিভিল সার্জনের কাছে জমা দেওয়া ওই প্রতিবেদনে ধর্ষণের পরীক্ষার ১০টি সূচকের সব কটিতে স্বাভাবিক লেখা রয়েছে। এর অর্থ, ধর্ষণের কোনো আলামত নেই।

এদিকে মারমা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ ও উত্তেজনা চলছেই।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে ওই কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই দিন রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি খেত থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্বজনেরা। রাতেই তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন বুধবার সে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যায়। এ ঘটনায় শয়ন শীল নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে গত শনিবার খাগড়াছড়িতে অবরোধ ডাকা হয়। পরদিন থেকে তিন পার্বত্য জেলায় অবরোধের ডাক দেয় সংগঠনটি। অবরোধের মধ্যেই গত রোববার বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় খাগড়াছড়ির গুইমারার রামেসু বাজার। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে অবরোধকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ছিল স্থানীয় একটি পক্ষ। এ সময় গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। তাঁরা তিনজনই পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর। সেনাবাহিনীর মেজরসহ আহত হন অন্তত ২০ জন। রামেসু বাজার এলাকায় আগুন দেওয়া হয় প্রায় অর্ধশত বসতবাড়ি ও ৪০টির মতো দোকানে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত