Ajker Patrika

মানিকছড়িতে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ধসে গেল সেতু, সবজিতে ব্যাপক ক্ষতি

মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি 
মানিকছড়ি উপজেলার বড়বিল এলাকায় ধসে যাওয়া সেতু। ছবি: আজকের পত্রিকা।
মানিকছড়ি উপজেলার বড়বিল এলাকায় ধসে যাওয়া সেতু। ছবি: আজকের পত্রিকা।

খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে একাধিক কালভার্ট-সেতু ধসে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়া ফসলের গাছ ভেঙে ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি খেতে পানি জমে শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চার-পাঁচ দিনের টানা ভারী বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি ছড়া ও নদী পানিতে থইথই করছে। স্রোতের তোড়ে গতকাল রোববার রাতে বড়বিল এলাকায় একটি সেতু ধসে গেছে। সেতুর নিচ ও পাশের মাটি সরে যাওয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অস্থায়ীভাবে মেরামত করেও সেটি রক্ষা করতে পারেনি। সেই সঙ্গে সেতুর পাশের জমি ভেঙে খালে চলে গেছে।

জমির মালিক আপাইশে মারমা, মংশে মারমা ও সাথোয়াইঅং মারমা জানান, এক থেকে দেড় কানি জমি খালে মিশে গেছে। যদি দ্রুত সেতুটি নির্মাণসহ সড়ক রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তাহলে আরও তিন ও পাঁচ কানি জমি বিলীন হয়ে যাবে।

এ ছাড়া তিনটহরী-যোগ্যাছোলা, তিনটহরী বাজার-পূর্ব তিনটহরী সড়ক এবং যোগ্যাছোলা-আছারতলী-ছদুরখীল সড়কেও সড়ক, সেতু ও কালভার্টের ক্ষতি হয়েছে।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. মহব্বত আলী বলেন, বড়বিল-ছদুরখীল সড়কে অতিরিক্ত বালুভর্তি ট্রাক চলাচলের কারণে সেতুর দুই পাশের মাটি ধসে যায়। এ ছাড়া পাশের জমির মালিক জমির ভাঙন রোধে সেতুর নিচে ইট গেঁথে পানি চলাচল বন্ধ করে দেন। এমন অবস্থায় চলমান ভারী বৃষ্টির পানির তোড়ে সেতুটি সম্পূর্ণ ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেতুটি স্থায়ীভাবে বড় আকারে নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যান্য স্থানে সড়ক, কালভার্ট, সেতুর ক্ষতি নিরূপণে মাঠপর্যায়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।

এদিকে ভারী বর্ষণের ছোবলে শাকসবজিতে ভরপুর জমিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে কাঁকরোল খেতের ক্ষতি হয়েছে। মহামুনির খালপাড়, নামার তিনটহরী, এয়াতলংপাড়া, মরাডলু, গচ্ছাবিল, ডাইনছড়ি, শেম্প্রপাড়া, বড়বিল, ছদুরখীল, আছারতলী, যোগ্যাছোলা, কালাপানি ও ধর্মঘর এলাকায় ঢ্যাঁড়স, ঝিঙে, কাঁকরোল, পুঁইশাক খেত ডুবে এবং জমির ভাঙনে অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

মরাডলু এলাকার কৃষক মো. বেলাল হোসেন ৪০ শতক জমিতে কাঁকরোল চাষ করেছিলেন। কয়েক কেজি ৫০ টাকা ধরে বিক্রিও করেছিলেন। এখন কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও ঢলে পুরো খেত ভেসে গেছে। বর্গা জমিতে লাখ টাকা খরচ করে চাষ করা ফসল হারিয়ে বেলাল এখন বাকরুদ্ধ। তিনি বলেন, ‘আমার সব কেড়ে নিল খালে, আমি নিঃস্ব।’

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবারের ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি খরস্রোতে কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতির সংবাদ পাওয়া গেছে। তবে এখনো ক্ষতি নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। বৃষ্টি বন্ধ হলে এবং নির্দেশনা পেলে সরেজমিনে তথ্য নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চন্দ্রগ্রহণের সময় মুমিনের করণীয় আমল

শেখ হাসিনার শত্রু ছিলাম, তাঁকে বের করেছি, তাঁর ভাগনির চাকরি খেয়েছি: ববি হাজ্জাজ

তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং: বিমানের সঙ্গে থাকবে বিদেশি কোম্পানি

চন্দ্রগ্রহণ চলছে, ব্লাড মুন দেখা যাবে রাত সাড়ে ১১টায়

বেতন চাইলে গৃহকর্মীদের পিস্তল দেখান সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহা, ৯৯৯-এ কল পেয়ে গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত