রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির রামগড় সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. সরওয়ার হোসেনের (৫০) ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম আসামি মো. সাব্বিরকে বৃহস্পতিবার সকালে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আহত ব্যক্তির স্ত্রী রোকেয়া আক্তার বাদী হয়ে বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে রামগড় থানায় এই মামলা করেন। মামলায় গ্যাং লিডার মো. সাইফউদ্দিন ওরফে শাহাবুদ্দিন, আলমগীর হোসেন ইরাক, মো. সাব্বির, সাগর, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা আরও দু-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে বিদ্যালয় চত্বরে গ্যাং লিডার শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে একদল কিশোর সরওয়ার হোসেনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত সরওয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি রাতে স্কুল কোয়ার্টারে থাকি এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে আছি। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বাজার থেকে ফিরছিলাম। দেখি শাহাবুদ্দিন স্কুলের মাঠে ঘুরছে। তাকে জিজ্ঞেস করলে সে আমাকে গালাগালি করে কিলঘুষি মারতে শুরু করে। আমি মাটিতে পড়ে যাই।’
স্কুলের নির্মাণাধীন ভবনের শ্রমিক মো. আমির হোসেন জানান, চিৎকার শুনে তিনি বের হলে কিশোরেরা পালিয়ে যায়।
সরওয়ার হোসেন জানান, এটিই প্রথম হামলা নয়। এর আগেও ২৬ আগস্ট গেট বন্ধ করতে গিয়ে শাহাবুদ্দিন, সাব্বিরসহ তাদের সঙ্গীরা তাঁকে মারধর করে। সেই হামলায় তাঁর দুটি দাঁত ভেঙে যায়।
সরওয়ার হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ করেও কোনো বিচার পাইনি। তারা রাতের বেলা স্কুলে ঢুকে মদ-গাঁজা খায়, চুরি করে। বাধা দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এখন স্কুলে নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই।’
রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, সরওয়ার হোসেনের মাথা, বুক ও মুখের চোয়ালে গুরুতর আঘাত লেগেছে। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, রামগড় সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ও আশপাশ এলাকায় এই কিশোর গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে ত্রাস সৃষ্টি করছে। রাতে তাদের আড্ডা, মাদক সেবন ও চুরির ঘটনা নিয়মিত। প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করে। মামলা হয়েছে এবং এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’
খাগড়াছড়ির রামগড় সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. সরওয়ার হোসেনের (৫০) ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম আসামি মো. সাব্বিরকে বৃহস্পতিবার সকালে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আহত ব্যক্তির স্ত্রী রোকেয়া আক্তার বাদী হয়ে বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে রামগড় থানায় এই মামলা করেন। মামলায় গ্যাং লিডার মো. সাইফউদ্দিন ওরফে শাহাবুদ্দিন, আলমগীর হোসেন ইরাক, মো. সাব্বির, সাগর, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা আরও দু-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে বিদ্যালয় চত্বরে গ্যাং লিডার শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে একদল কিশোর সরওয়ার হোসেনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত সরওয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি রাতে স্কুল কোয়ার্টারে থাকি এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে আছি। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বাজার থেকে ফিরছিলাম। দেখি শাহাবুদ্দিন স্কুলের মাঠে ঘুরছে। তাকে জিজ্ঞেস করলে সে আমাকে গালাগালি করে কিলঘুষি মারতে শুরু করে। আমি মাটিতে পড়ে যাই।’
স্কুলের নির্মাণাধীন ভবনের শ্রমিক মো. আমির হোসেন জানান, চিৎকার শুনে তিনি বের হলে কিশোরেরা পালিয়ে যায়।
সরওয়ার হোসেন জানান, এটিই প্রথম হামলা নয়। এর আগেও ২৬ আগস্ট গেট বন্ধ করতে গিয়ে শাহাবুদ্দিন, সাব্বিরসহ তাদের সঙ্গীরা তাঁকে মারধর করে। সেই হামলায় তাঁর দুটি দাঁত ভেঙে যায়।
সরওয়ার হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ করেও কোনো বিচার পাইনি। তারা রাতের বেলা স্কুলে ঢুকে মদ-গাঁজা খায়, চুরি করে। বাধা দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এখন স্কুলে নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই।’
রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, সরওয়ার হোসেনের মাথা, বুক ও মুখের চোয়ালে গুরুতর আঘাত লেগেছে। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, রামগড় সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ও আশপাশ এলাকায় এই কিশোর গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে ত্রাস সৃষ্টি করছে। রাতে তাদের আড্ডা, মাদক সেবন ও চুরির ঘটনা নিয়মিত। প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করে। মামলা হয়েছে এবং এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’
অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকেরা যখন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই করছেন, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হলো। ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার কনটেইনার পরিবহন বন্ধ করে বন্দরের কার্যক্রম থমকে দিয়েছেন...
২ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একের পর এক পদ শূন্য থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। ৫০ শয্যার জনবল ও ১০০ শয্যার খাবার-ওষুধ নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি; বিশেষ করে ১০ মাস ধরে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট না...
৩ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বসানো বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কোনো কাজেই আসেনি। দিনের পর দিন ব্যবহার না হওয়ায় এসব যন্ত্র এখন নষ্টের পথে। এতে অপচয় হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা।
৪ ঘণ্টা আগেবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) অন্তত ২৩ শিক্ষককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে সাতজন জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী রয়েছেন। পদোন্নতির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক আলম।
৪ ঘণ্টা আগে