জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের কালাইয়ে সরকারি পুকুর নিয়ে সংঘর্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৩ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আঁওড়া গুচ্ছগ্রামের হাটপুকুরিয়া উক্তিয়া জামে মসজিদের পাশে থাকা একটি পুকুর ঘিরে এ ঘটনা ঘটে। মসজিদ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মসজিদটির পাশে থাকা একটি সরকারি পুকুর (স্থানীয়ভাবে চান্ডাল পুকুর নামে পরিচিত) ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানপূর্ববর্তী সময়ে ইজারা নেন কালাই উপজেলা যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি সানোয়ার হোসেন ছানা। গত বছরের ৫ আগস্টের পরে দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তিত হলে সানোয়ার হোসেন ছানা পুকুরটি ওই মসজিদ কমিটিকে রক্ষণাবেক্ষণ ও মাছ চাষের জন্য দেন। এর পর থেকেই পুকুরটি মসজিদ কমিটির তত্ত্বাবধানে রক্ষণাবেক্ষণ ও মাছ চাষে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
মসজিদ কমিটির দাবি, ওই পুকুর চাষাবাদের জন্য ডিসিআরসহ যাবতীয় আইনগত কাগজপত্র তাদের কাছে রয়েছে। তাই পুকুরটি তারা নিয়মিত সংস্কার ও চাষাবাদ করে আসছিল। তবে সম্প্রতি একই এলাকার ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকারিয়া হোসেন ওই পুকুর নিজেদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। আজ বেলা ১১টার দিকে জাকারিয়া ও তাঁর অনুসারীরা পুকুরে জোরপূর্বক মাছ ছাড়তে গেলে গ্রামবাসী ও মসজিদ কমিটির সদস্যরা বাধা দেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ১১ জন। এর মধ্যে ১০ জন গুরুতর আহত। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত ১০ জন হলেন মো. সাইদুল (৬২), মোছা. ববি আক্তার (৩০), মোছা. শিরিনা আক্তার (৩৫), মো. তাহেরুল ইসলাম (৩৫), মো. বিজয় (১৫), মোছা. জাহানারা (৩৫), শুকুর আলী (৫২), শিমু (১৭), রেজাউল করিম (৬০) ও শাহারুল ইসলাম (২৬)। এ ছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন রিনা খাতুন (২১) নামের একজন নারী।
আহত ববি আক্তার বলেন, ‘আমার পেটে দুটি অপারেশন হয়েছে। ওরা আমাকে পেটে লাথি মেরেছে। প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে, মাথায়ও আঘাত করেছে।’
মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ওই পুকুরটির ডিসিআরসহ চাষাবাদের জন্য যাবতীয় আইনগত কাগজপত্র আমাদের কাছে আছে। এটি মসজিদের পবিত্র সম্পদ। গ্রামের মানুষের সহায়তায় আমরা এত দিন যত্ন করে পুকুরটি চাষ করেছি। হঠাৎ করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পুকুর দখলের চেষ্টা চলছে। আমাদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাকারিয়া হোসেনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোছা. নাইমা আক্তার বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ কথাও বলতে পারছেন না। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বোঝা যাবে অভ্যন্তরীণ ক্ষতির পরিমাণ কতটা।
এ বিষয়ে কালাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তোফায়েল হাসান আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা জানতে পেরেছি। আর বর্তমানে পরিস্থিতিও শান্ত রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কালাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফতেকার রহমান বলেন, ‘ভূমি অফিসের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ওই পুকুরটি একটি ভিপি পুকুর। যা (পুকুরটি) বাংলা ১৪৩১ থেকে ১৪৩৩ সাল পর্যন্ত সানোয়ার হোসেনের নামে লিজ দেওয়া আছে।’
জয়পুরহাটের কালাইয়ে সরকারি পুকুর নিয়ে সংঘর্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার (২৩ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আঁওড়া গুচ্ছগ্রামের হাটপুকুরিয়া উক্তিয়া জামে মসজিদের পাশে থাকা একটি পুকুর ঘিরে এ ঘটনা ঘটে। মসজিদ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মসজিদটির পাশে থাকা একটি সরকারি পুকুর (স্থানীয়ভাবে চান্ডাল পুকুর নামে পরিচিত) ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানপূর্ববর্তী সময়ে ইজারা নেন কালাই উপজেলা যুবলীগের তৎকালীন সভাপতি সানোয়ার হোসেন ছানা। গত বছরের ৫ আগস্টের পরে দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তিত হলে সানোয়ার হোসেন ছানা পুকুরটি ওই মসজিদ কমিটিকে রক্ষণাবেক্ষণ ও মাছ চাষের জন্য দেন। এর পর থেকেই পুকুরটি মসজিদ কমিটির তত্ত্বাবধানে রক্ষণাবেক্ষণ ও মাছ চাষে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
মসজিদ কমিটির দাবি, ওই পুকুর চাষাবাদের জন্য ডিসিআরসহ যাবতীয় আইনগত কাগজপত্র তাদের কাছে রয়েছে। তাই পুকুরটি তারা নিয়মিত সংস্কার ও চাষাবাদ করে আসছিল। তবে সম্প্রতি একই এলাকার ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকারিয়া হোসেন ওই পুকুর নিজেদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। আজ বেলা ১১টার দিকে জাকারিয়া ও তাঁর অনুসারীরা পুকুরে জোরপূর্বক মাছ ছাড়তে গেলে গ্রামবাসী ও মসজিদ কমিটির সদস্যরা বাধা দেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ১১ জন। এর মধ্যে ১০ জন গুরুতর আহত। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত ১০ জন হলেন মো. সাইদুল (৬২), মোছা. ববি আক্তার (৩০), মোছা. শিরিনা আক্তার (৩৫), মো. তাহেরুল ইসলাম (৩৫), মো. বিজয় (১৫), মোছা. জাহানারা (৩৫), শুকুর আলী (৫২), শিমু (১৭), রেজাউল করিম (৬০) ও শাহারুল ইসলাম (২৬)। এ ছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন রিনা খাতুন (২১) নামের একজন নারী।
আহত ববি আক্তার বলেন, ‘আমার পেটে দুটি অপারেশন হয়েছে। ওরা আমাকে পেটে লাথি মেরেছে। প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে, মাথায়ও আঘাত করেছে।’
মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ওই পুকুরটির ডিসিআরসহ চাষাবাদের জন্য যাবতীয় আইনগত কাগজপত্র আমাদের কাছে আছে। এটি মসজিদের পবিত্র সম্পদ। গ্রামের মানুষের সহায়তায় আমরা এত দিন যত্ন করে পুকুরটি চাষ করেছি। হঠাৎ করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পুকুর দখলের চেষ্টা চলছে। আমাদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাকারিয়া হোসেনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোছা. নাইমা আক্তার বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ কথাও বলতে পারছেন না। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বোঝা যাবে অভ্যন্তরীণ ক্ষতির পরিমাণ কতটা।
এ বিষয়ে কালাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তোফায়েল হাসান আজ বিকেলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা জানতে পেরেছি। আর বর্তমানে পরিস্থিতিও শান্ত রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কালাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফতেকার রহমান বলেন, ‘ভূমি অফিসের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ওই পুকুরটি একটি ভিপি পুকুর। যা (পুকুরটি) বাংলা ১৪৩১ থেকে ১৪৩৩ সাল পর্যন্ত সানোয়ার হোসেনের নামে লিজ দেওয়া আছে।’
অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকেরা যখন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই করছেন, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হলো। ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার কনটেইনার পরিবহন বন্ধ করে বন্দরের কার্যক্রম থমকে দিয়েছেন...
৪ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একের পর এক পদ শূন্য থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। ৫০ শয্যার জনবল ও ১০০ শয্যার খাবার-ওষুধ নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি; বিশেষ করে ১০ মাস ধরে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট না...
৪ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বসানো বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কোনো কাজেই আসেনি। দিনের পর দিন ব্যবহার না হওয়ায় এসব যন্ত্র এখন নষ্টের পথে। এতে অপচয় হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা।
৫ ঘণ্টা আগেবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) অন্তত ২৩ শিক্ষককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে সাতজন জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী রয়েছেন। পদোন্নতির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক আলম।
৫ ঘণ্টা আগে