আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রোয়াড় আবাসন প্রকল্পের দশ বিঘার একটি পুকুরের ইজারা নিয়ে আবাসনের বাসিন্দারা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। পুকুরের ইজারা নিয়ে বিভক্ত দুটি পক্ষের এক পক্ষের অভিযোগ, বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা তাদের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) গভীর রাতে আবাসন প্রকল্পের সভাপতি ইদ্রিস আলীকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় রোয়াড় আবাসন প্রকল্পের একটি পরিত্যক্ত ঘরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তোলেন আবাসনের বাসিন্দারা। সংবাদ সম্মেলনে রোয়াড় আবাসন প্রকল্প সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় ভুক্তভোগী ইদ্রিস আলী, সাইদুর রহমান, সাবিনাসহ অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রহিম বলেন, ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত রোয়াড় আবাসন প্রকল্পের পুকুরটি ৬০টি বরাদ্দ করা ঘরের মধ্যে বর্তমানে ৩২টি ঘরের বাসিন্দা ভোগদখল করছেন। পুকুরটি ছয় বছর মেয়াদে ১১ লাখ টাকায় ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হক জিয়া। চলতি বছরের ৫ আগস্টের পর তিনি পুকুর ছেড়ে দেন। এরপর পুকুরের ইজারা নিয়ে ৩২টি ঘরের বাসিন্দারা দুই দলে বিভক্ত হন।
আব্দুর রহিম বলেন, ‘৩২ ঘরের মধ্যে আমরা সভাপতি-সম্পাদকসহ ২৫ ঘর নিজেরাই ইজারা নিয়ে পুকুরে মাছ চাষ করার সিদ্ধান্ত নিই। আব্দুর হান্নানসহ সাত ঘরের লোকজন তাতে বাধ সাধেন। তাঁরাও পুকুরের ইজারা নিতে চান। এ নিয়ে আমাদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। বিএনপির নেতারা ৯ লাখ টাকায় আমাদের পুকুরের ইজারা দেওয়ার পক্ষে মত দেন। তবে অপর পক্ষ তা মানছিল না। ইউএনও স্যার পুকুরের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্ব নিরসনে আমাদের দুই পক্ষকে উপজেলায় ডাকেন। সেখানে ইউএনওর উপস্থিতিতে তিন বছর মেয়াদি ৯ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এরপর আমরা পুকুরের ইজারার টাকা নিজেরা ভাগাভাগি করে নিয়েছি। শুধু আব্দুল হান্নান তাঁর ভাগের টাকা নেননি।
‘এদিকে রুকিন্দীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুর রহমান ওরফে ছোয়াত ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মুন্না আমাদের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। গত ১ জুলাই আমরা পুকুরে মাছ ছেড়েছি। ওই দিন গভীর রাতে রুকিন্দীপুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হারুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মুন্নাসহ আরও ২০ জন রোয়াড় আবাসনে এসে ইদ্রিস আলীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বেধড়ক লাঠিপেটা করেন। এতে ইদ্রিস আলী গুরুতর আহত হন। আমরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। এ ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি।’
তবে রুকিন্দীর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুর রহমান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান ওরফে মুন্না চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মাহমুদুল হাসান মুন্না বলেন, ‘আমি কোনো চাঁদা চাইনি। বরং ইজারার টাকা থেকে পুকুরের পাড় বাঁধার জন্য দুই লাখ টাকা ইউএনও স্যারের কাছে জমা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আবাসনের বাসিন্দারা সেটি দেননি। উল্টো ইদ্রিস আলী আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। এ কারণে আমরা রাতে এসে ইদ্রিস আলীকে একটু চড়-থাপ্পড় মেরেছি। এখন তিলকে তাল বানিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।’
আবাসনের অপর পক্ষের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান বলেন, ‘আমরা সাত ঘর পুকুরের ইজারা নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ২৫ ঘরের বাসিন্দারা এককভাবে ৯ লাখ টাকায় পুকুরের ইজারা নিয়ে ভাগ-বাঁটোয়ারা করেছেন। পুকুরের পাড় বাঁধার দুই লাখ টাকা ইউএনও স্যারের কাছে জমা দেওয়ার শর্ত থাকলেও সেটি তাঁরা দেননি।’
এ বিষয়ে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম বলেন, ‘পুকুরের ইজারা নিয়ে আবাসনের বাসিন্দাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা সমঝোতার চেষ্টা করলেও পরে আবার বিরোধ দেখা দেয়। ইজারার টাকা থেকে পুকুরের পাড় সংস্কারের জন্য দুই লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তাঁরা জমা দেননি। শুনেছি, যিনি পুকুর ইজারা নিয়েছিলেন, তিনি মাছ না ছেড়ে অন্যকে দিয়ে মাছ ছাড়িয়েছেন।’
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রোয়াড় আবাসন প্রকল্পের দশ বিঘার একটি পুকুরের ইজারা নিয়ে আবাসনের বাসিন্দারা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। পুকুরের ইজারা নিয়ে বিভক্ত দুটি পক্ষের এক পক্ষের অভিযোগ, বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা তাদের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) গভীর রাতে আবাসন প্রকল্পের সভাপতি ইদ্রিস আলীকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় রোয়াড় আবাসন প্রকল্পের একটি পরিত্যক্ত ঘরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তোলেন আবাসনের বাসিন্দারা। সংবাদ সম্মেলনে রোয়াড় আবাসন প্রকল্প সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় ভুক্তভোগী ইদ্রিস আলী, সাইদুর রহমান, সাবিনাসহ অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রহিম বলেন, ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত রোয়াড় আবাসন প্রকল্পের পুকুরটি ৬০টি বরাদ্দ করা ঘরের মধ্যে বর্তমানে ৩২টি ঘরের বাসিন্দা ভোগদখল করছেন। পুকুরটি ছয় বছর মেয়াদে ১১ লাখ টাকায় ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হক জিয়া। চলতি বছরের ৫ আগস্টের পর তিনি পুকুর ছেড়ে দেন। এরপর পুকুরের ইজারা নিয়ে ৩২টি ঘরের বাসিন্দারা দুই দলে বিভক্ত হন।
আব্দুর রহিম বলেন, ‘৩২ ঘরের মধ্যে আমরা সভাপতি-সম্পাদকসহ ২৫ ঘর নিজেরাই ইজারা নিয়ে পুকুরে মাছ চাষ করার সিদ্ধান্ত নিই। আব্দুর হান্নানসহ সাত ঘরের লোকজন তাতে বাধ সাধেন। তাঁরাও পুকুরের ইজারা নিতে চান। এ নিয়ে আমাদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। বিএনপির নেতারা ৯ লাখ টাকায় আমাদের পুকুরের ইজারা দেওয়ার পক্ষে মত দেন। তবে অপর পক্ষ তা মানছিল না। ইউএনও স্যার পুকুরের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্ব নিরসনে আমাদের দুই পক্ষকে উপজেলায় ডাকেন। সেখানে ইউএনওর উপস্থিতিতে তিন বছর মেয়াদি ৯ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এরপর আমরা পুকুরের ইজারার টাকা নিজেরা ভাগাভাগি করে নিয়েছি। শুধু আব্দুল হান্নান তাঁর ভাগের টাকা নেননি।
‘এদিকে রুকিন্দীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুর রহমান ওরফে ছোয়াত ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মুন্না আমাদের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। গত ১ জুলাই আমরা পুকুরে মাছ ছেড়েছি। ওই দিন গভীর রাতে রুকিন্দীপুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হারুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মুন্নাসহ আরও ২০ জন রোয়াড় আবাসনে এসে ইদ্রিস আলীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বেধড়ক লাঠিপেটা করেন। এতে ইদ্রিস আলী গুরুতর আহত হন। আমরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। এ ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি।’
তবে রুকিন্দীর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুর রহমান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান ওরফে মুন্না চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মাহমুদুল হাসান মুন্না বলেন, ‘আমি কোনো চাঁদা চাইনি। বরং ইজারার টাকা থেকে পুকুরের পাড় বাঁধার জন্য দুই লাখ টাকা ইউএনও স্যারের কাছে জমা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আবাসনের বাসিন্দারা সেটি দেননি। উল্টো ইদ্রিস আলী আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। এ কারণে আমরা রাতে এসে ইদ্রিস আলীকে একটু চড়-থাপ্পড় মেরেছি। এখন তিলকে তাল বানিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।’
আবাসনের অপর পক্ষের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান বলেন, ‘আমরা সাত ঘর পুকুরের ইজারা নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ২৫ ঘরের বাসিন্দারা এককভাবে ৯ লাখ টাকায় পুকুরের ইজারা নিয়ে ভাগ-বাঁটোয়ারা করেছেন। পুকুরের পাড় বাঁধার দুই লাখ টাকা ইউএনও স্যারের কাছে জমা দেওয়ার শর্ত থাকলেও সেটি তাঁরা দেননি।’
এ বিষয়ে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম বলেন, ‘পুকুরের ইজারা নিয়ে আবাসনের বাসিন্দাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা সমঝোতার চেষ্টা করলেও পরে আবার বিরোধ দেখা দেয়। ইজারার টাকা থেকে পুকুরের পাড় সংস্কারের জন্য দুই লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তাঁরা জমা দেননি। শুনেছি, যিনি পুকুর ইজারা নিয়েছিলেন, তিনি মাছ না ছেড়ে অন্যকে দিয়ে মাছ ছাড়িয়েছেন।’
অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকেরা যখন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই করছেন, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হলো। ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার কনটেইনার পরিবহন বন্ধ করে বন্দরের কার্যক্রম থমকে দিয়েছেন...
৪ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একের পর এক পদ শূন্য থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। ৫০ শয্যার জনবল ও ১০০ শয্যার খাবার-ওষুধ নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি; বিশেষ করে ১০ মাস ধরে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট না...
৪ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বসানো বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কোনো কাজেই আসেনি। দিনের পর দিন ব্যবহার না হওয়ায় এসব যন্ত্র এখন নষ্টের পথে। এতে অপচয় হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা।
৫ ঘণ্টা আগেবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) অন্তত ২৩ শিক্ষককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে সাতজন জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী রয়েছেন। পদোন্নতির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক আলম।
৫ ঘণ্টা আগে