ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
হাপিরুন নেছার বয়স ১০৪ বছর। চলতে-ফিরতে না পারায় সব সময় বিছানায় শুয়ে থাকতে হয় তাঁকে। ১৫ দিন করে ছেলেদের বাসায় থাকেন তিনি। গত বুধবার দুপুরে খাবার খেয়ে উঠে মায়ের খোঁজ না নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন ছেলেরা। এ সময় হাপিরুন তাঁদের বলেন, ‘তোরা খেয়ে নিলি, আমি কি এখন ছাই খাব?’ এ কথা বলতেই হাপিরুনকে মারধর করে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছেলের বিরুদ্ধে।
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামে হাপিরুন নেছাকে মারধরের ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের মৃত মঙ্গল মণ্ডলের স্ত্রী। তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাপিরুনের বড় ছেলে।
আজ শুক্রবার সকালে হরিশপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, হাপিরুন বর্তমানে ছোট ছেলের বাড়িতে রয়েছেন। ঘরের এক কোণে একটি খাটের ওপর ঘুমিয়ে আছেন তিনি। বাড়ির অন্য সদস্যরা বাইরে বিভিন্ন কাজ করছেন। কথা বলতে চাইলে বাড়ির সদস্যরা বলেন, ‘এখন তাঁর সঙ্গে কথা বলা যাবে না। তিনি অসুস্থ। ঘুমাচ্ছেন।’ কিছুক্ষণ পর হাপিরুন যন্ত্রণায় কাতরে উঠে অপলক তাকিয়ে থাকেন। তাঁর চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ।
স্থানীয় লোকজন জানান, বিধবা হাপিরুন নেছার তিন ছেলে। ছোট ছেলে ছানোয়ার হোসেন (সেন্টু মন্ডল) ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে এক বছর আগে মারা গেছেন। বড় ছেলে ফজলুর রহমান (ঠান্ডু মন্ডল) অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক। মেজ ছেলে মানোয়ার হোসেন কৃষিকাজ করেন। ছেলেদের সংসারে পালাক্রমে ১৫ দিন করে থাকেন হাপিরুন।
বছরখানেক আগে বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে ডান পা ভেঙে যায় হাপিরুনের। হাঁটুর নিচের হাড় ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে ঝুলে আছে তাঁর। শরীরে বাসা বেঁধেছে বিভিন্ন রোগ। চলতে-ফিরতেও পারেন না শতবর্ষী এই নারী। স্বামী মারা গেছেন প্রায় ২৩ বছর আগে। সেই থেকেই হাপিরুন অসহায় জীবনযাপন করছেন বলে জানান স্থানীয় লোকজন।
হাপিরুন নেছা বলেন, ‘বুধবার দুপুরে আমার বড় ছেলের বাড়িতে মেজ ছেলেসহ পরিবারের সবাই ভাত খাচ্ছে। তাঁরা খেয়ে সবাই চলে যাচ্ছে। আমি খাইনি তখন, আমি বলি, তোরা খেয়ে নিলি। আমি কি এখন ছাই খাব? এ কথা বলায় গালিগালাজ করে তারা। এরপর বড় ছেলে মেজ ছেলেকে বলে, মারিশ না ক্যা মার, তখন তারা ও তাদের বউয়েরা আমাকে আখ দিয়ে মারতে থাকে। এতে আমার হাত-পা কেটে গেছে।’
হাপিরুন নেছার বয়স বেশি হওয়ায় চলাফেরা করতে পারেন না বলে জানান প্রতিবেশী জাহানারা। তিনি বলেন, ‘সন্তান হয়ে মাকে মারা—এটা খুবই অপরাধ। মাকে মেরে তাঁরা রক্তাক্ত করেছেন। এটা ঠিক না।’
হাপিরুনের ছোট ছেলের বউ বুলবুলি বলেন, ‘ঘটনার দিন বাড়ির পাশে মেম্বারের স্ত্রী দেখেন, আমার শাশুড়ি হামাগুড়ি দিতে দিতে রাস্তা দিয়ে আসছেন, তাঁর শরীরে রক্ত। এ দেখে আমাকে ডাক দেন। আমার শাশুড়িকে কেউ মেরেছে নাকি সে পড়ে গেছে, এটা আমি বলতে পারছি না।’
মারধরের বিষয়ে বড় ছেলে ফজলুর রহমান (ঠান্ডু মন্ডল) বলেন, ‘আমার মাকে আমরা মারিনি। তিনি বিছানা থেকে নিচে পড়ে গিয়ে তাঁর হাত-পা কেটে গেছে। যাঁরা বলছেন, মাকে আমরা মেরেছি, তাঁরা মিথ্যা বলছেন। আর মায়ের বয়স হয়েছে, তাঁর মাথা ঠিক নেই।’
আরেক প্রতিবেশী নায়েব আলী বলেন, ‘হাপিরুনের বড় ছেলের বাড়িতে মেজ ছেলেসহ দুপুরের খাবার খাওয়া হচ্ছিল। তখন তিনি ছেলেদেরকে বলেন, “তোরা ভাত খাচ্ছিস, আমাকে একটু ভাত দে। তখন বড় ছেলে বলেছে, আমার ভাত খাওয়া দেখলেই তোর ভাত খাওয়া লাগে? ” এ কথা বলে মাকে বকাঝকা করতে করতে আখ দিয়ে মেরেছেন বড় ছেলে। এতে তাঁর নাক মুখ ও হাত দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। ছেলেরা হাপিরুনকে মাঝেমধ্যে বকাঝকা ও মারধর করেন।’
মেজ ছেলে মানোয়ার হোসেন বলেন, ‘সংসারে পাঁচজন থাকলে একটু হইচই হলে একজন ধাম করে চড় মারতেই পারে। সংসারে অনেক রকম ঝামেলা হতেই পারে।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বসির উদ্দিন বলেন, ‘রক্তাক্ত মাকে দেখতেও আসেননি ছেলেরা। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেননি তাঁরা। পরে আমি খবর দিয়ে পল্লিচিকিৎসক ডেকে এনে চিকিৎসা করাই।’ মারধরের বিষয়ে কথা বলতে গেলে হাপিরুনের দুই ছেলে দুর্ব্যবহার করেন বলে জানান ইউপি সদস্য।
জোড়াদহ ইউপির চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি সেখানে যাই। চিকিৎসক ডেকে ওই মায়ের চিকিৎসা করাই। অত্যন্ত অমানবিক ঘটনা। ভাত খেতে চাওয়ায় শতবর্ষী মাকে এভাবে মারধর করা খুবই খারাপ কাজ।’
এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুস্মিতা সাহা বলেন, ‘সন্তানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইলে বৃদ্ধা বলেন, “আমার সন্তানদের কিছু করবেন না।” এমনকি তাঁকে বৃদ্ধাশ্রমে দিতে চাইলেও তিনি থাকতে রাজি হননি।’ তিনি হাপিরুনের ছেলেদের ডেকে সতর্ক করে দেবেন বলেন জানান।
হাপিরুন নেছার বয়স ১০৪ বছর। চলতে-ফিরতে না পারায় সব সময় বিছানায় শুয়ে থাকতে হয় তাঁকে। ১৫ দিন করে ছেলেদের বাসায় থাকেন তিনি। গত বুধবার দুপুরে খাবার খেয়ে উঠে মায়ের খোঁজ না নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন ছেলেরা। এ সময় হাপিরুন তাঁদের বলেন, ‘তোরা খেয়ে নিলি, আমি কি এখন ছাই খাব?’ এ কথা বলতেই হাপিরুনকে মারধর করে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছেলের বিরুদ্ধে।
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামে হাপিরুন নেছাকে মারধরের ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের মৃত মঙ্গল মণ্ডলের স্ত্রী। তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাপিরুনের বড় ছেলে।
আজ শুক্রবার সকালে হরিশপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, হাপিরুন বর্তমানে ছোট ছেলের বাড়িতে রয়েছেন। ঘরের এক কোণে একটি খাটের ওপর ঘুমিয়ে আছেন তিনি। বাড়ির অন্য সদস্যরা বাইরে বিভিন্ন কাজ করছেন। কথা বলতে চাইলে বাড়ির সদস্যরা বলেন, ‘এখন তাঁর সঙ্গে কথা বলা যাবে না। তিনি অসুস্থ। ঘুমাচ্ছেন।’ কিছুক্ষণ পর হাপিরুন যন্ত্রণায় কাতরে উঠে অপলক তাকিয়ে থাকেন। তাঁর চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ।
স্থানীয় লোকজন জানান, বিধবা হাপিরুন নেছার তিন ছেলে। ছোট ছেলে ছানোয়ার হোসেন (সেন্টু মন্ডল) ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে এক বছর আগে মারা গেছেন। বড় ছেলে ফজলুর রহমান (ঠান্ডু মন্ডল) অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক। মেজ ছেলে মানোয়ার হোসেন কৃষিকাজ করেন। ছেলেদের সংসারে পালাক্রমে ১৫ দিন করে থাকেন হাপিরুন।
বছরখানেক আগে বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে ডান পা ভেঙে যায় হাপিরুনের। হাঁটুর নিচের হাড় ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে ঝুলে আছে তাঁর। শরীরে বাসা বেঁধেছে বিভিন্ন রোগ। চলতে-ফিরতেও পারেন না শতবর্ষী এই নারী। স্বামী মারা গেছেন প্রায় ২৩ বছর আগে। সেই থেকেই হাপিরুন অসহায় জীবনযাপন করছেন বলে জানান স্থানীয় লোকজন।
হাপিরুন নেছা বলেন, ‘বুধবার দুপুরে আমার বড় ছেলের বাড়িতে মেজ ছেলেসহ পরিবারের সবাই ভাত খাচ্ছে। তাঁরা খেয়ে সবাই চলে যাচ্ছে। আমি খাইনি তখন, আমি বলি, তোরা খেয়ে নিলি। আমি কি এখন ছাই খাব? এ কথা বলায় গালিগালাজ করে তারা। এরপর বড় ছেলে মেজ ছেলেকে বলে, মারিশ না ক্যা মার, তখন তারা ও তাদের বউয়েরা আমাকে আখ দিয়ে মারতে থাকে। এতে আমার হাত-পা কেটে গেছে।’
হাপিরুন নেছার বয়স বেশি হওয়ায় চলাফেরা করতে পারেন না বলে জানান প্রতিবেশী জাহানারা। তিনি বলেন, ‘সন্তান হয়ে মাকে মারা—এটা খুবই অপরাধ। মাকে মেরে তাঁরা রক্তাক্ত করেছেন। এটা ঠিক না।’
হাপিরুনের ছোট ছেলের বউ বুলবুলি বলেন, ‘ঘটনার দিন বাড়ির পাশে মেম্বারের স্ত্রী দেখেন, আমার শাশুড়ি হামাগুড়ি দিতে দিতে রাস্তা দিয়ে আসছেন, তাঁর শরীরে রক্ত। এ দেখে আমাকে ডাক দেন। আমার শাশুড়িকে কেউ মেরেছে নাকি সে পড়ে গেছে, এটা আমি বলতে পারছি না।’
মারধরের বিষয়ে বড় ছেলে ফজলুর রহমান (ঠান্ডু মন্ডল) বলেন, ‘আমার মাকে আমরা মারিনি। তিনি বিছানা থেকে নিচে পড়ে গিয়ে তাঁর হাত-পা কেটে গেছে। যাঁরা বলছেন, মাকে আমরা মেরেছি, তাঁরা মিথ্যা বলছেন। আর মায়ের বয়স হয়েছে, তাঁর মাথা ঠিক নেই।’
আরেক প্রতিবেশী নায়েব আলী বলেন, ‘হাপিরুনের বড় ছেলের বাড়িতে মেজ ছেলেসহ দুপুরের খাবার খাওয়া হচ্ছিল। তখন তিনি ছেলেদেরকে বলেন, “তোরা ভাত খাচ্ছিস, আমাকে একটু ভাত দে। তখন বড় ছেলে বলেছে, আমার ভাত খাওয়া দেখলেই তোর ভাত খাওয়া লাগে? ” এ কথা বলে মাকে বকাঝকা করতে করতে আখ দিয়ে মেরেছেন বড় ছেলে। এতে তাঁর নাক মুখ ও হাত দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। ছেলেরা হাপিরুনকে মাঝেমধ্যে বকাঝকা ও মারধর করেন।’
মেজ ছেলে মানোয়ার হোসেন বলেন, ‘সংসারে পাঁচজন থাকলে একটু হইচই হলে একজন ধাম করে চড় মারতেই পারে। সংসারে অনেক রকম ঝামেলা হতেই পারে।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বসির উদ্দিন বলেন, ‘রক্তাক্ত মাকে দেখতেও আসেননি ছেলেরা। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেননি তাঁরা। পরে আমি খবর দিয়ে পল্লিচিকিৎসক ডেকে এনে চিকিৎসা করাই।’ মারধরের বিষয়ে কথা বলতে গেলে হাপিরুনের দুই ছেলে দুর্ব্যবহার করেন বলে জানান ইউপি সদস্য।
জোড়াদহ ইউপির চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি সেখানে যাই। চিকিৎসক ডেকে ওই মায়ের চিকিৎসা করাই। অত্যন্ত অমানবিক ঘটনা। ভাত খেতে চাওয়ায় শতবর্ষী মাকে এভাবে মারধর করা খুবই খারাপ কাজ।’
এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুস্মিতা সাহা বলেন, ‘সন্তানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইলে বৃদ্ধা বলেন, “আমার সন্তানদের কিছু করবেন না।” এমনকি তাঁকে বৃদ্ধাশ্রমে দিতে চাইলেও তিনি থাকতে রাজি হননি।’ তিনি হাপিরুনের ছেলেদের ডেকে সতর্ক করে দেবেন বলেন জানান।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
হাপিরুন নেছার বয়স ১০৪ বছর। চলতে-ফিরতে না পারায় সব সময় বিছানায় শুয়ে থাকতে হয় তাঁকে। ১৫ দিন করে ছেলেদের বাসায় থাকেন তিনি। গত বুধবার দুপুরে খাবার খেয়ে উঠে মায়ের খোঁজ না নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন ছেলেরা। এ সময় হাপিরুন তাঁদের বলেন, ‘তোরা খেয়ে নিলি, আমি কি এখন ছাই খাব?’ এ কথা বলতেই হাপিরুনকে মারধর করে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছেলের বিরুদ্ধে।
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামে হাপিরুন নেছাকে মারধরের ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের মৃত মঙ্গল মণ্ডলের স্ত্রী। তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাপিরুনের বড় ছেলে।
আজ শুক্রবার সকালে হরিশপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, হাপিরুন বর্তমানে ছোট ছেলের বাড়িতে রয়েছেন। ঘরের এক কোণে একটি খাটের ওপর ঘুমিয়ে আছেন তিনি। বাড়ির অন্য সদস্যরা বাইরে বিভিন্ন কাজ করছেন। কথা বলতে চাইলে বাড়ির সদস্যরা বলেন, ‘এখন তাঁর সঙ্গে কথা বলা যাবে না। তিনি অসুস্থ। ঘুমাচ্ছেন।’ কিছুক্ষণ পর হাপিরুন যন্ত্রণায় কাতরে উঠে অপলক তাকিয়ে থাকেন। তাঁর চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ।
স্থানীয় লোকজন জানান, বিধবা হাপিরুন নেছার তিন ছেলে। ছোট ছেলে ছানোয়ার হোসেন (সেন্টু মন্ডল) ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে এক বছর আগে মারা গেছেন। বড় ছেলে ফজলুর রহমান (ঠান্ডু মন্ডল) অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক। মেজ ছেলে মানোয়ার হোসেন কৃষিকাজ করেন। ছেলেদের সংসারে পালাক্রমে ১৫ দিন করে থাকেন হাপিরুন।
বছরখানেক আগে বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে ডান পা ভেঙে যায় হাপিরুনের। হাঁটুর নিচের হাড় ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে ঝুলে আছে তাঁর। শরীরে বাসা বেঁধেছে বিভিন্ন রোগ। চলতে-ফিরতেও পারেন না শতবর্ষী এই নারী। স্বামী মারা গেছেন প্রায় ২৩ বছর আগে। সেই থেকেই হাপিরুন অসহায় জীবনযাপন করছেন বলে জানান স্থানীয় লোকজন।
হাপিরুন নেছা বলেন, ‘বুধবার দুপুরে আমার বড় ছেলের বাড়িতে মেজ ছেলেসহ পরিবারের সবাই ভাত খাচ্ছে। তাঁরা খেয়ে সবাই চলে যাচ্ছে। আমি খাইনি তখন, আমি বলি, তোরা খেয়ে নিলি। আমি কি এখন ছাই খাব? এ কথা বলায় গালিগালাজ করে তারা। এরপর বড় ছেলে মেজ ছেলেকে বলে, মারিশ না ক্যা মার, তখন তারা ও তাদের বউয়েরা আমাকে আখ দিয়ে মারতে থাকে। এতে আমার হাত-পা কেটে গেছে।’
হাপিরুন নেছার বয়স বেশি হওয়ায় চলাফেরা করতে পারেন না বলে জানান প্রতিবেশী জাহানারা। তিনি বলেন, ‘সন্তান হয়ে মাকে মারা—এটা খুবই অপরাধ। মাকে মেরে তাঁরা রক্তাক্ত করেছেন। এটা ঠিক না।’
হাপিরুনের ছোট ছেলের বউ বুলবুলি বলেন, ‘ঘটনার দিন বাড়ির পাশে মেম্বারের স্ত্রী দেখেন, আমার শাশুড়ি হামাগুড়ি দিতে দিতে রাস্তা দিয়ে আসছেন, তাঁর শরীরে রক্ত। এ দেখে আমাকে ডাক দেন। আমার শাশুড়িকে কেউ মেরেছে নাকি সে পড়ে গেছে, এটা আমি বলতে পারছি না।’
মারধরের বিষয়ে বড় ছেলে ফজলুর রহমান (ঠান্ডু মন্ডল) বলেন, ‘আমার মাকে আমরা মারিনি। তিনি বিছানা থেকে নিচে পড়ে গিয়ে তাঁর হাত-পা কেটে গেছে। যাঁরা বলছেন, মাকে আমরা মেরেছি, তাঁরা মিথ্যা বলছেন। আর মায়ের বয়স হয়েছে, তাঁর মাথা ঠিক নেই।’
আরেক প্রতিবেশী নায়েব আলী বলেন, ‘হাপিরুনের বড় ছেলের বাড়িতে মেজ ছেলেসহ দুপুরের খাবার খাওয়া হচ্ছিল। তখন তিনি ছেলেদেরকে বলেন, “তোরা ভাত খাচ্ছিস, আমাকে একটু ভাত দে। তখন বড় ছেলে বলেছে, আমার ভাত খাওয়া দেখলেই তোর ভাত খাওয়া লাগে? ” এ কথা বলে মাকে বকাঝকা করতে করতে আখ দিয়ে মেরেছেন বড় ছেলে। এতে তাঁর নাক মুখ ও হাত দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। ছেলেরা হাপিরুনকে মাঝেমধ্যে বকাঝকা ও মারধর করেন।’
মেজ ছেলে মানোয়ার হোসেন বলেন, ‘সংসারে পাঁচজন থাকলে একটু হইচই হলে একজন ধাম করে চড় মারতেই পারে। সংসারে অনেক রকম ঝামেলা হতেই পারে।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বসির উদ্দিন বলেন, ‘রক্তাক্ত মাকে দেখতেও আসেননি ছেলেরা। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেননি তাঁরা। পরে আমি খবর দিয়ে পল্লিচিকিৎসক ডেকে এনে চিকিৎসা করাই।’ মারধরের বিষয়ে কথা বলতে গেলে হাপিরুনের দুই ছেলে দুর্ব্যবহার করেন বলে জানান ইউপি সদস্য।
জোড়াদহ ইউপির চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি সেখানে যাই। চিকিৎসক ডেকে ওই মায়ের চিকিৎসা করাই। অত্যন্ত অমানবিক ঘটনা। ভাত খেতে চাওয়ায় শতবর্ষী মাকে এভাবে মারধর করা খুবই খারাপ কাজ।’
এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুস্মিতা সাহা বলেন, ‘সন্তানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইলে বৃদ্ধা বলেন, “আমার সন্তানদের কিছু করবেন না।” এমনকি তাঁকে বৃদ্ধাশ্রমে দিতে চাইলেও তিনি থাকতে রাজি হননি।’ তিনি হাপিরুনের ছেলেদের ডেকে সতর্ক করে দেবেন বলেন জানান।
হাপিরুন নেছার বয়স ১০৪ বছর। চলতে-ফিরতে না পারায় সব সময় বিছানায় শুয়ে থাকতে হয় তাঁকে। ১৫ দিন করে ছেলেদের বাসায় থাকেন তিনি। গত বুধবার দুপুরে খাবার খেয়ে উঠে মায়ের খোঁজ না নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন ছেলেরা। এ সময় হাপিরুন তাঁদের বলেন, ‘তোরা খেয়ে নিলি, আমি কি এখন ছাই খাব?’ এ কথা বলতেই হাপিরুনকে মারধর করে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছেলের বিরুদ্ধে।
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার হরিশপুর গ্রামে হাপিরুন নেছাকে মারধরের ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের মৃত মঙ্গল মণ্ডলের স্ত্রী। তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাপিরুনের বড় ছেলে।
আজ শুক্রবার সকালে হরিশপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, হাপিরুন বর্তমানে ছোট ছেলের বাড়িতে রয়েছেন। ঘরের এক কোণে একটি খাটের ওপর ঘুমিয়ে আছেন তিনি। বাড়ির অন্য সদস্যরা বাইরে বিভিন্ন কাজ করছেন। কথা বলতে চাইলে বাড়ির সদস্যরা বলেন, ‘এখন তাঁর সঙ্গে কথা বলা যাবে না। তিনি অসুস্থ। ঘুমাচ্ছেন।’ কিছুক্ষণ পর হাপিরুন যন্ত্রণায় কাতরে উঠে অপলক তাকিয়ে থাকেন। তাঁর চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ।
স্থানীয় লোকজন জানান, বিধবা হাপিরুন নেছার তিন ছেলে। ছোট ছেলে ছানোয়ার হোসেন (সেন্টু মন্ডল) ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে এক বছর আগে মারা গেছেন। বড় ছেলে ফজলুর রহমান (ঠান্ডু মন্ডল) অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক। মেজ ছেলে মানোয়ার হোসেন কৃষিকাজ করেন। ছেলেদের সংসারে পালাক্রমে ১৫ দিন করে থাকেন হাপিরুন।
বছরখানেক আগে বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে ডান পা ভেঙে যায় হাপিরুনের। হাঁটুর নিচের হাড় ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে ঝুলে আছে তাঁর। শরীরে বাসা বেঁধেছে বিভিন্ন রোগ। চলতে-ফিরতেও পারেন না শতবর্ষী এই নারী। স্বামী মারা গেছেন প্রায় ২৩ বছর আগে। সেই থেকেই হাপিরুন অসহায় জীবনযাপন করছেন বলে জানান স্থানীয় লোকজন।
হাপিরুন নেছা বলেন, ‘বুধবার দুপুরে আমার বড় ছেলের বাড়িতে মেজ ছেলেসহ পরিবারের সবাই ভাত খাচ্ছে। তাঁরা খেয়ে সবাই চলে যাচ্ছে। আমি খাইনি তখন, আমি বলি, তোরা খেয়ে নিলি। আমি কি এখন ছাই খাব? এ কথা বলায় গালিগালাজ করে তারা। এরপর বড় ছেলে মেজ ছেলেকে বলে, মারিশ না ক্যা মার, তখন তারা ও তাদের বউয়েরা আমাকে আখ দিয়ে মারতে থাকে। এতে আমার হাত-পা কেটে গেছে।’
হাপিরুন নেছার বয়স বেশি হওয়ায় চলাফেরা করতে পারেন না বলে জানান প্রতিবেশী জাহানারা। তিনি বলেন, ‘সন্তান হয়ে মাকে মারা—এটা খুবই অপরাধ। মাকে মেরে তাঁরা রক্তাক্ত করেছেন। এটা ঠিক না।’
হাপিরুনের ছোট ছেলের বউ বুলবুলি বলেন, ‘ঘটনার দিন বাড়ির পাশে মেম্বারের স্ত্রী দেখেন, আমার শাশুড়ি হামাগুড়ি দিতে দিতে রাস্তা দিয়ে আসছেন, তাঁর শরীরে রক্ত। এ দেখে আমাকে ডাক দেন। আমার শাশুড়িকে কেউ মেরেছে নাকি সে পড়ে গেছে, এটা আমি বলতে পারছি না।’
মারধরের বিষয়ে বড় ছেলে ফজলুর রহমান (ঠান্ডু মন্ডল) বলেন, ‘আমার মাকে আমরা মারিনি। তিনি বিছানা থেকে নিচে পড়ে গিয়ে তাঁর হাত-পা কেটে গেছে। যাঁরা বলছেন, মাকে আমরা মেরেছি, তাঁরা মিথ্যা বলছেন। আর মায়ের বয়স হয়েছে, তাঁর মাথা ঠিক নেই।’
আরেক প্রতিবেশী নায়েব আলী বলেন, ‘হাপিরুনের বড় ছেলের বাড়িতে মেজ ছেলেসহ দুপুরের খাবার খাওয়া হচ্ছিল। তখন তিনি ছেলেদেরকে বলেন, “তোরা ভাত খাচ্ছিস, আমাকে একটু ভাত দে। তখন বড় ছেলে বলেছে, আমার ভাত খাওয়া দেখলেই তোর ভাত খাওয়া লাগে? ” এ কথা বলে মাকে বকাঝকা করতে করতে আখ দিয়ে মেরেছেন বড় ছেলে। এতে তাঁর নাক মুখ ও হাত দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। ছেলেরা হাপিরুনকে মাঝেমধ্যে বকাঝকা ও মারধর করেন।’
মেজ ছেলে মানোয়ার হোসেন বলেন, ‘সংসারে পাঁচজন থাকলে একটু হইচই হলে একজন ধাম করে চড় মারতেই পারে। সংসারে অনেক রকম ঝামেলা হতেই পারে।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বসির উদ্দিন বলেন, ‘রক্তাক্ত মাকে দেখতেও আসেননি ছেলেরা। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেননি তাঁরা। পরে আমি খবর দিয়ে পল্লিচিকিৎসক ডেকে এনে চিকিৎসা করাই।’ মারধরের বিষয়ে কথা বলতে গেলে হাপিরুনের দুই ছেলে দুর্ব্যবহার করেন বলে জানান ইউপি সদস্য।
জোড়াদহ ইউপির চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি সেখানে যাই। চিকিৎসক ডেকে ওই মায়ের চিকিৎসা করাই। অত্যন্ত অমানবিক ঘটনা। ভাত খেতে চাওয়ায় শতবর্ষী মাকে এভাবে মারধর করা খুবই খারাপ কাজ।’
এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুস্মিতা সাহা বলেন, ‘সন্তানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইলে বৃদ্ধা বলেন, “আমার সন্তানদের কিছু করবেন না।” এমনকি তাঁকে বৃদ্ধাশ্রমে দিতে চাইলেও তিনি থাকতে রাজি হননি।’ তিনি হাপিরুনের ছেলেদের ডেকে সতর্ক করে দেবেন বলেন জানান।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ বলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সংবাদ সম্মেলন থেকে ত্রিভুজ...
৫ মিনিট আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মিজানুর রহমান ও শিহাব আলী নামের দুই যুবক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ইমন আলী নামের আরও এক যুবক। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের কেন্দুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে‘বঙ্গবন্ধু অবশ্যই স্বাধীনতার একজন অন্যতম স্থপতি। কিন্তু গত ১৬ বছরে শেখ মুজিবকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে মানুষের ক্ষোভ আছে। সেখানে ছাত্র-জনতা ম্যুরাল ভাঙচুর করে। আমরা সেখানে শুধু সেটআপটা নষ্ট করে দিয়েছি, দখল করিনি।’
৩৫ মিনিট আগেপুলিশ পরিচয়ে কিশোরগঞ্জের এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই সাংবাদিক। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ভুক্তভোগী সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
৩৯ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ বলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সংবাদ সম্মেলন থেকে ত্রিভুজ প্রেমের গল্পের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু জোবায়েদের সম্পর্কে তার শিক্ষক ও সহপাঠীরা যতটুকু জানে, তাতে এই ধরনের মন্তব্য তার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নয়। তা ছাড়া জোবায়েদ যদি প্রেমই করত, তাহলে তো তাকে আর মেয়ের পরিবার টিউশনিতেই রাখত না।’
বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আজকের পত্রিকাকে এসব কথা বলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন। এর আগে বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে ভাষাশহীদ রফিক ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির সংবাদ সম্মেলনের নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ছাত্রদল ও অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং জোবায়েদের আইনজীবী মো. ইশতিয়াক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার দ্বিতীয় দিনে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা হলেন বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৮), মাহির রহমান (১৯) ও ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০)। এরপর মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো নজরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বর্ষাকে পড়াতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে জোবায়েদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে বর্ষার সঙ্গে মাহিরের পূর্ববর্তী সম্পর্ক ছিল। এটা মূলত ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’। এর জেরে মাহির ও আয়লান মিলে বর্ষার সহযোগিতায় হত্যা করেন জোবায়েদকে।
পুলিশের এই বক্তব্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক রইছ উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের কিছু কিছু বিষয় নিয়ে সংশয় আছে, প্রশ্ন আছে। জোবায়েদকে হত্যার আগে তার ছাত্রী বর্ষা তাকে কল দিয়ে জিজ্ঞাসা করে, সে কখন আসতেছে, কতটুকু এসেছে এবং তার আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়, পরে তার লোকেশন চেক করে। বিষয়টা স্বীকারোক্তি দিয়েছিল ছাত্রী বর্ষা। সেটি এজাহারের প্রথম সূত্র হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটি কেন বাদ দেওয়া হলো? সেটা কি ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে, নাকি পরে বাদ দেওয়া হয়েছে, সেটা আমাদের প্রথম প্রশ্ন।’
ডিএমপির বক্তব্য অনুযায়ী, মাহিরকে বর্ষা বলেছিলেন, জোবায়েদকে না সরালে তিনি ‘মাহিরের হতে পারবেন না’। এরপর এক মাস আগে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
পুলিশের দেওয়া ঘটনার বর্ণনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রইছ উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘জোবায়েদকে আক্রোশে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা জানি, আক্রোশে হত্যা করলে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়। কিন্তু পুলিশ বলল, এক আঘাতেই হত্যা করা হয়েছে জোবায়েদকে। এটা তো পেশাদার হত্যাকারী ছাড়া কেউ করতে পারার কথা নয়। তাহলে আমাদের প্রশ্ন পেশাদার হত্যাকারী দিয়ে হত্যা করিয়ে অন্যদের ফাঁসানো হয়েছে কি? এ ছাড়া মাহিরের উচ্চতা ও জোবায়েদের উচ্চতায় অনেক তফাত। জোবায়েদ মাহিরের থেকে অনেক লম্বা, সে (মাহির) তার (জোবায়েদ) গলা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারার কথা নয়। সে জায়গা থেকে হত্যা করা সম্ভব কি?’
তিনি আরও বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে দুজন ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে। একজন কালো টি-শার্ট পরিহিত, আরেকজন লাল টি-শার্ট পরিধান করা ছিল। এই দুজনই কি গ্রেপ্তার হওয়া দুজন কি না, আমরা কীভাবে নিশ্চিত হব? সংশ্লিষ্ট প্রশাসন পর্যাপ্ত প্রমাণ জব্দ করেছে কি না, সেটা আমরা জানতে চাই।’
পুলিশের বিবরণের আরেকটি অংশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই অধ্যাপক বলেন, ‘অভিযুক্ত বার্জিস শাবনাম বর্ষার মা-বাবার জবানবন্দি নেওয়া প্রয়োজন ছিল, হত্যার সময় বাসায় তাঁরা উপস্থিত ছিলেন। যদি তাঁরা এ ঘটনায় সমর্থন দিয়ে থাকেন, তাঁদেরও তো এই মামলার আসামি হওয়ার কথা। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে জবানবন্দি নেওয়ার বিষয়েও পুলিশ স্পষ্ট কিছু জানায়নি।’
এদিকে জোবায়েদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সেখান থেকেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। সমাবেশে পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু সাইদ মো. রিপন রউফ বলেন, ‘গতকাল পুলিশের কর্মকর্তারা যেভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁরা যেভাবে হাসাহাসি করেছেন, তাতে মনে হয় না, তাঁরা একটি হত্যার বিবরণ দিচ্ছেন। তাঁরা কোনোভাবেই দায়িত্বশীল আচরণ করেননি।’
জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ বলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সংবাদ সম্মেলন থেকে ত্রিভুজ প্রেমের গল্পের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু জোবায়েদের সম্পর্কে তার শিক্ষক ও সহপাঠীরা যতটুকু জানে, তাতে এই ধরনের মন্তব্য তার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নয়। তা ছাড়া জোবায়েদ যদি প্রেমই করত, তাহলে তো তাকে আর মেয়ের পরিবার টিউশনিতেই রাখত না।’
বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আজকের পত্রিকাকে এসব কথা বলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন। এর আগে বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে ভাষাশহীদ রফিক ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির সংবাদ সম্মেলনের নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ছাত্রদল ও অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং জোবায়েদের আইনজীবী মো. ইশতিয়াক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার দ্বিতীয় দিনে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা হলেন বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৮), মাহির রহমান (১৯) ও ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০)। এরপর মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো নজরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বর্ষাকে পড়াতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে জোবায়েদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে বর্ষার সঙ্গে মাহিরের পূর্ববর্তী সম্পর্ক ছিল। এটা মূলত ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’। এর জেরে মাহির ও আয়লান মিলে বর্ষার সহযোগিতায় হত্যা করেন জোবায়েদকে।
পুলিশের এই বক্তব্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক রইছ উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের কিছু কিছু বিষয় নিয়ে সংশয় আছে, প্রশ্ন আছে। জোবায়েদকে হত্যার আগে তার ছাত্রী বর্ষা তাকে কল দিয়ে জিজ্ঞাসা করে, সে কখন আসতেছে, কতটুকু এসেছে এবং তার আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়, পরে তার লোকেশন চেক করে। বিষয়টা স্বীকারোক্তি দিয়েছিল ছাত্রী বর্ষা। সেটি এজাহারের প্রথম সূত্র হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটি কেন বাদ দেওয়া হলো? সেটা কি ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে, নাকি পরে বাদ দেওয়া হয়েছে, সেটা আমাদের প্রথম প্রশ্ন।’
ডিএমপির বক্তব্য অনুযায়ী, মাহিরকে বর্ষা বলেছিলেন, জোবায়েদকে না সরালে তিনি ‘মাহিরের হতে পারবেন না’। এরপর এক মাস আগে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
পুলিশের দেওয়া ঘটনার বর্ণনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রইছ উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘জোবায়েদকে আক্রোশে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা জানি, আক্রোশে হত্যা করলে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়। কিন্তু পুলিশ বলল, এক আঘাতেই হত্যা করা হয়েছে জোবায়েদকে। এটা তো পেশাদার হত্যাকারী ছাড়া কেউ করতে পারার কথা নয়। তাহলে আমাদের প্রশ্ন পেশাদার হত্যাকারী দিয়ে হত্যা করিয়ে অন্যদের ফাঁসানো হয়েছে কি? এ ছাড়া মাহিরের উচ্চতা ও জোবায়েদের উচ্চতায় অনেক তফাত। জোবায়েদ মাহিরের থেকে অনেক লম্বা, সে (মাহির) তার (জোবায়েদ) গলা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারার কথা নয়। সে জায়গা থেকে হত্যা করা সম্ভব কি?’
তিনি আরও বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে দুজন ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে। একজন কালো টি-শার্ট পরিহিত, আরেকজন লাল টি-শার্ট পরিধান করা ছিল। এই দুজনই কি গ্রেপ্তার হওয়া দুজন কি না, আমরা কীভাবে নিশ্চিত হব? সংশ্লিষ্ট প্রশাসন পর্যাপ্ত প্রমাণ জব্দ করেছে কি না, সেটা আমরা জানতে চাই।’
পুলিশের বিবরণের আরেকটি অংশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই অধ্যাপক বলেন, ‘অভিযুক্ত বার্জিস শাবনাম বর্ষার মা-বাবার জবানবন্দি নেওয়া প্রয়োজন ছিল, হত্যার সময় বাসায় তাঁরা উপস্থিত ছিলেন। যদি তাঁরা এ ঘটনায় সমর্থন দিয়ে থাকেন, তাঁদেরও তো এই মামলার আসামি হওয়ার কথা। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে জবানবন্দি নেওয়ার বিষয়েও পুলিশ স্পষ্ট কিছু জানায়নি।’
এদিকে জোবায়েদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সেখান থেকেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। সমাবেশে পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু সাইদ মো. রিপন রউফ বলেন, ‘গতকাল পুলিশের কর্মকর্তারা যেভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁরা যেভাবে হাসাহাসি করেছেন, তাতে মনে হয় না, তাঁরা একটি হত্যার বিবরণ দিচ্ছেন। তাঁরা কোনোভাবেই দায়িত্বশীল আচরণ করেননি।’
জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
হাপিরুন নেছার বয়স ১০৪ বছর। চলতে-ফিরতে না পারায় সব সময় বিছানায় শুয়ে থাকতে হয় তাঁকে। ১৫ দিন করে ছেলেদের বাসায় থাকেন তিনি। খাবার খেয়ে উঠে মায়ের খোঁজ না নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন ছেলেরা। এ সময় হাপিরুন তাঁদের বলেন, ‘তোরা খেয়ে নিলি, আমি কি এখন ছাই খাব?’ এ কথা বলতেই হাপিরুনকে মারধর করে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে
০৩ নভেম্বর ২০২৩চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মিজানুর রহমান ও শিহাব আলী নামের দুই যুবক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ইমন আলী নামের আরও এক যুবক। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের কেন্দুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে‘বঙ্গবন্ধু অবশ্যই স্বাধীনতার একজন অন্যতম স্থপতি। কিন্তু গত ১৬ বছরে শেখ মুজিবকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে মানুষের ক্ষোভ আছে। সেখানে ছাত্র-জনতা ম্যুরাল ভাঙচুর করে। আমরা সেখানে শুধু সেটআপটা নষ্ট করে দিয়েছি, দখল করিনি।’
৩৫ মিনিট আগেপুলিশ পরিচয়ে কিশোরগঞ্জের এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই সাংবাদিক। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ভুক্তভোগী সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
৩৯ মিনিট আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মিজানুর রহমান ও শিহাব আলী নামের দুই যুবক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ইমন আলী নামের আরও এক যুবক।
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের কেন্দুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত যুবকেরা হলেন সদর উপজেলার মাঝপাড়ার তাজেবুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান (২২) ও ধীনগর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে শিহাব আলী (২০)।
আহত যুবক হলেন আমনুরা কলোনির শফিকুল ইসলামের ছেলে ইমন আলী।
সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, আজ বেলা পৌনে ৩টার দিকে একই মোটরসাইকেলে তিন যুবক ঝিলিমবাজার থেকে গোদাগাড়ীর দিকে যাচ্ছিলেন। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি একটি কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মিজানুর। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিহাব।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মিজানুর রহমান ও শিহাব আলী নামের দুই যুবক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ইমন আলী নামের আরও এক যুবক।
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের কেন্দুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত যুবকেরা হলেন সদর উপজেলার মাঝপাড়ার তাজেবুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান (২২) ও ধীনগর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে শিহাব আলী (২০)।
আহত যুবক হলেন আমনুরা কলোনির শফিকুল ইসলামের ছেলে ইমন আলী।
সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, আজ বেলা পৌনে ৩টার দিকে একই মোটরসাইকেলে তিন যুবক ঝিলিমবাজার থেকে গোদাগাড়ীর দিকে যাচ্ছিলেন। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি একটি কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মিজানুর। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিহাব।
হাপিরুন নেছার বয়স ১০৪ বছর। চলতে-ফিরতে না পারায় সব সময় বিছানায় শুয়ে থাকতে হয় তাঁকে। ১৫ দিন করে ছেলেদের বাসায় থাকেন তিনি। খাবার খেয়ে উঠে মায়ের খোঁজ না নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন ছেলেরা। এ সময় হাপিরুন তাঁদের বলেন, ‘তোরা খেয়ে নিলি, আমি কি এখন ছাই খাব?’ এ কথা বলতেই হাপিরুনকে মারধর করে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে
০৩ নভেম্বর ২০২৩জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ বলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সংবাদ সম্মেলন থেকে ত্রিভুজ...
৫ মিনিট আগে‘বঙ্গবন্ধু অবশ্যই স্বাধীনতার একজন অন্যতম স্থপতি। কিন্তু গত ১৬ বছরে শেখ মুজিবকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে মানুষের ক্ষোভ আছে। সেখানে ছাত্র-জনতা ম্যুরাল ভাঙচুর করে। আমরা সেখানে শুধু সেটআপটা নষ্ট করে দিয়েছি, দখল করিনি।’
৩৫ মিনিট আগেপুলিশ পরিচয়ে কিশোরগঞ্জের এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই সাংবাদিক। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ভুক্তভোগী সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
৩৯ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও দখলের কথা অস্বীকার করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নগর যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অবশ্যই স্বাধীনতার একজন অন্যতম স্থপতি। কিন্তু গত ১৬ বছরে শেখ মুজিবকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে মানুষের ক্ষোভ আছে। সেখানে ছাত্র-জনতা ম্যুরাল ভাঙচুর করে। আমরা সেখানে শুধু সেটআপটা নষ্ট করে দিয়েছি, দখল করিনি।’
আজ বুধবার নগরীর বিপ্লব উদ্যানে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এনসিপি নেতারা।
আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের অফিসগুলো পরিত্যক্ত ছিল। কিন্তু দুই মাস ধরে খবর পাচ্ছি, অফিসগুলোতে কার্যক্রম চলছে, দরজা-জানালা লাগানো হচ্ছে, লোকজন আসা-যাওয়া করছে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম, কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি।’
ভাঙচুরের বিষয়ে যুগ্ম সমন্বয়কারী মোহাম্মদ এরফানুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড থেমে নেই। ওই ভবন আওয়ামী লীগ বিনা ভাড়ায় দখল করে ছিল। পাশাপাশি সেখানে বিভিন্ন অপকর্ম পরিচালনা করা হতো।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার নগরীর নিউমার্কেটের দোস্ত বিল্ডিংয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেন একদল তরুণ। এতে নেতৃত্ব দেন এনসিপি নেতা আরিফ মঈনুদ্দিন। তাঁর সঙ্গে সাবেক সমন্বয়কসহ এনসিপি নেতা-কর্মীদের ভাঙচুর চালানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. রাফসান জানি ও মো. জসিম উদ্দিন। এ ছাড়া কমিটির সদস্য, সংগঠক ও থানা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও দখলের কথা অস্বীকার করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নগর যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অবশ্যই স্বাধীনতার একজন অন্যতম স্থপতি। কিন্তু গত ১৬ বছরে শেখ মুজিবকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে মানুষের ক্ষোভ আছে। সেখানে ছাত্র-জনতা ম্যুরাল ভাঙচুর করে। আমরা সেখানে শুধু সেটআপটা নষ্ট করে দিয়েছি, দখল করিনি।’
আজ বুধবার নগরীর বিপ্লব উদ্যানে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এনসিপি নেতারা।
আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের অফিসগুলো পরিত্যক্ত ছিল। কিন্তু দুই মাস ধরে খবর পাচ্ছি, অফিসগুলোতে কার্যক্রম চলছে, দরজা-জানালা লাগানো হচ্ছে, লোকজন আসা-যাওয়া করছে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম, কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি।’
ভাঙচুরের বিষয়ে যুগ্ম সমন্বয়কারী মোহাম্মদ এরফানুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড থেমে নেই। ওই ভবন আওয়ামী লীগ বিনা ভাড়ায় দখল করে ছিল। পাশাপাশি সেখানে বিভিন্ন অপকর্ম পরিচালনা করা হতো।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার নগরীর নিউমার্কেটের দোস্ত বিল্ডিংয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেন একদল তরুণ। এতে নেতৃত্ব দেন এনসিপি নেতা আরিফ মঈনুদ্দিন। তাঁর সঙ্গে সাবেক সমন্বয়কসহ এনসিপি নেতা-কর্মীদের ভাঙচুর চালানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. রাফসান জানি ও মো. জসিম উদ্দিন। এ ছাড়া কমিটির সদস্য, সংগঠক ও থানা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
হাপিরুন নেছার বয়স ১০৪ বছর। চলতে-ফিরতে না পারায় সব সময় বিছানায় শুয়ে থাকতে হয় তাঁকে। ১৫ দিন করে ছেলেদের বাসায় থাকেন তিনি। খাবার খেয়ে উঠে মায়ের খোঁজ না নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন ছেলেরা। এ সময় হাপিরুন তাঁদের বলেন, ‘তোরা খেয়ে নিলি, আমি কি এখন ছাই খাব?’ এ কথা বলতেই হাপিরুনকে মারধর করে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে
০৩ নভেম্বর ২০২৩জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ বলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সংবাদ সম্মেলন থেকে ত্রিভুজ...
৫ মিনিট আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মিজানুর রহমান ও শিহাব আলী নামের দুই যুবক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ইমন আলী নামের আরও এক যুবক। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের কেন্দুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগেপুলিশ পরিচয়ে কিশোরগঞ্জের এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই সাংবাদিক। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ভুক্তভোগী সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
৩৯ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
পুলিশ পরিচয়ে কিশোরগঞ্জের এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই সাংবাদিক। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ভুক্তভোগী সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক খায়রুল ইসলাম মাসিক কালের নতুন সংবাদের সম্পাদক ও দৈনিক নওরোজের কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি। আর অভিযুক্ত জুয়েল ওরফে রুবেল ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার লংগাইর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে। হুমকি দেওয়ার সময় তিনি নিজেকে পুলিশ বলে দাবি করেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত ২৭ আগস্ট নিকলী থানার পুলিশ কনস্টেবল বিল্লালের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ এনে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এক তরুণী। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য অভিযুক্ত বিল্লালের বক্তব্য নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিল্লালের হয়ে জুয়েল ওরফে রুবেল পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন থানায় মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি জানতে এ প্রতিবেদক হুমকিদাতাকে ফোন করলে নাম না বলে উল্টা ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থাকেন।
পুলিশ পরিচয়ে কিশোরগঞ্জের এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই সাংবাদিক। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ভুক্তভোগী সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক খায়রুল ইসলাম মাসিক কালের নতুন সংবাদের সম্পাদক ও দৈনিক নওরোজের কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি। আর অভিযুক্ত জুয়েল ওরফে রুবেল ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার লংগাইর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে। হুমকি দেওয়ার সময় তিনি নিজেকে পুলিশ বলে দাবি করেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত ২৭ আগস্ট নিকলী থানার পুলিশ কনস্টেবল বিল্লালের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ এনে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এক তরুণী। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য অভিযুক্ত বিল্লালের বক্তব্য নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিল্লালের হয়ে জুয়েল ওরফে রুবেল পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন থানায় মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি জানতে এ প্রতিবেদক হুমকিদাতাকে ফোন করলে নাম না বলে উল্টা ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থাকেন।
হাপিরুন নেছার বয়স ১০৪ বছর। চলতে-ফিরতে না পারায় সব সময় বিছানায় শুয়ে থাকতে হয় তাঁকে। ১৫ দিন করে ছেলেদের বাসায় থাকেন তিনি। খাবার খেয়ে উঠে মায়ের খোঁজ না নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন ছেলেরা। এ সময় হাপিরুন তাঁদের বলেন, ‘তোরা খেয়ে নিলি, আমি কি এখন ছাই খাব?’ এ কথা বলতেই হাপিরুনকে মারধর করে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে
০৩ নভেম্বর ২০২৩জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ বলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সংবাদ সম্মেলন থেকে ত্রিভুজ...
৫ মিনিট আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মিজানুর রহমান ও শিহাব আলী নামের দুই যুবক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ইমন আলী নামের আরও এক যুবক। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের কেন্দুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২৩ মিনিট আগে‘বঙ্গবন্ধু অবশ্যই স্বাধীনতার একজন অন্যতম স্থপতি। কিন্তু গত ১৬ বছরে শেখ মুজিবকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে মানুষের ক্ষোভ আছে। সেখানে ছাত্র-জনতা ম্যুরাল ভাঙচুর করে। আমরা সেখানে শুধু সেটআপটা নষ্ট করে দিয়েছি, দখল করিনি।’
৩৫ মিনিট আগে