আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঝিনাইদহ

শিক্ষাবর্ষের আড়াই মাস সময় হয়ে গেলেও পায়নি ঝিনাইদহের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বহু শিক্ষার্থীই সিলেবাসের সব কটি বই পায়নি। যেখানে বহুদিন পর আজ মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিক ও প্রাক প্রাথমিকে পুরো দমে শুরু হয়েছে। অথচ বহু শিক্ষার্থীর হাতে আছে দু-একটি বই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমন চিত্র জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলগুলোতে ৩ য়,৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ সংকট রয়েছে। তবে ১ম ও ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সিলেবাসের সব নতুন বই পেয়েছে।
শহরের স্কুলগুলোতে সংকট কিছুটা কম। গ্রামের স্কুলে সমস্যা প্রকট। বিভিন্ন স্কুল ঘুরে জানা যায়,৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুটি করে নতুন বই পেয়েছে। আর ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পেয়েছে মাত্র একটি। অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী এর মধ্যে পুরোনো বই জোগাড় করতে পেরেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় প্রাথমিকে ১ হাজার ৪৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে শিক্ষার্থী ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৪৫ জন। এর মধ্যে ১ম ও ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সব বিষয়ে নতুন বই পেয়েছে। কিন্তু ৩য় শ্রেণির ৪৩ হাজার ৮৪৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪ হাজার ৬১৫ শিক্ষার্থী দুটি করে নতুন বই পেয়েছে। আর ৪র্থ শ্রেণির ৪১ হাজার ৯২৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ হাজার ৯৭২ জন পেয়েছে নতুন দুটি করে বই। ৫ম শ্রেণির ৩৫ হাজার ৭৬২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৫ হাজার ৯৭০ জন শিক্ষার্থী পেয়েছে মাত্র একটি করে নতুন বই। সেটি বাংলা।
জানা গেছে,৩ য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরোনো বই সংগ্রহ করে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসের ছয়টি বই জোগাড় করতে পেরেছে মাত্র ৩০ ভাগ শিক্ষার্থী। প্রথম দিকে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে চাহিদার তুলনায় অল্পসংখ্যক বই আসায় শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুটি করে বিভিন্ন বিষয়ের বই ভাগ করে দেন।
যদিও শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের দাবি,৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা চারটি করেই নতুন বই পেয়েছে। আর ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তিনটি বিষয়ের নতুন বই পায়নি। আর জেলায় মোট বইয়ের চাহিদা ছিল ১০ লাখ ৮ হাজার ৫৩১ টি, বিপরীতে পাওয়া গেছে ৬ লাখ ৫৫ হাজার বই।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী লামিয়া রহমান বলে, ‘আমি স্কুল থেকে গিয়ে বাড়িতে বাংলা ছাড়া অন্য কোনো বই পড়তে পারি না। স্কুলে ম্যাডামেরা পড়ালেও বাড়িতে গিয়ে পড়তে না পারায় ইংরেজি, গণিতসহ অন্যান্য বিষয় ভালো মনে থাকে না।’
করোতিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল বলে, ‘স্কুল থেকে একটি বই দিয়েছেন স্যারেরা। তাই বাড়িতে অন্য বিষয় পড়তে পারি না। শুধু স্কুলে এসে সহপাঠীদের বই নিয়ে পড়তে হয়। বন্ধুরা অনেক সময় বই দিতে চায় না।’
৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী অনন্যা বিশ্বাস বলে, ‘নতুন ক্লাসে উঠেছি। নতুন বই পড়ব। কিন্তু এখন পুরোনো ছেঁড়া, দাগানো বই পড়তে ভালো লাগে না।’
বই না পাওয়ায় চিন্তিত অভিভাবকেরাও। সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবক নাদিরা খাতুন বৃষ্টি বলেন, ‘আমার মেয়ে সম্প্রতি দুইটা বই পেয়েছে। তারা বই না পাওয়ায় বাসায় ঠিকমতো পড়াতে পারি না। কারণ তারা লিখবে ও পড়বে। কিন্তু যদি পড়তেই না পারে তাহলে লিখবে কী করে!’
আরেক অভিভাবক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বছরের প্রথম দিনে বই দেওয়ার কথা। কিন্তু আজও পূর্ণ বই পেল না তারা। তাহলে বছরের প্রথম দিনে বই দেওয়ার কথা বলে ছাত্রছাত্রীদের আশ্বাস দেওয়ার কী দরকার?’
করোনার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এমনিতেই শিশুদের লেখাপড়ায় অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এখন আবার তারা বই পাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে প্রাথমিকের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এমন মন্তব্য করেন লাউদিয়া এলাকার অভিভাবক নাসিমা খাতুন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মী রানী পোদ্দার বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিকের তিনটি শ্রেণি রয়েছে। এই শিক্ষার্থীরা নতুন বই না পাওয়ায় লেখাপড়ার তো অবশ্যই ক্ষতি হচ্ছে। আমরাও ঠিকমতো পাঠদান করতে পারি না। তাদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। প্রায় প্রতিদিনই তারা বলতেই থাকে, বই দিবেন কবে, বই দিবেন কবে।’
বছরের শুরুর দিনে নতুন বই দেওয়ার কথা থাকলেও হাতে বই না আসেনি জানিয়ে লাউদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পর্শিয়া খানম বলেন, ‘কিছু পুরোনো বই ম্যানেজ করে পাঠদান চালাচ্ছি। পুরোনো বই এর আগে বেশ কয়েক বছর দরকার পড়েনি। আবার গ্রামের স্কুলের শিক্ষার্থীরা বই ঠিকমতো রাখেনি। তাই পুরোনো বইও সব ম্যানেজ করা যায়নি।’
বই সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দু-একটি করে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান করোতি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাবের হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীর তুলনায় ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে যে বই পেয়েছিলাম তা অনেক কম। তাই সবগুলো বই দুটি করে ভাগ ভাগ করে শিক্ষার্থীদের দিয়েছি।’
এতদিনেও বই না আসার বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সব শিক্ষার্থীকে বই দেওয়া হয়েছে। দু-একটি বিষয়ে বই দিতে পারিনি।’ তবে স্কুল খুলে যাওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রমে কোনো সমস্যা হয়নি বলে মনে করেন তিনি।
কবে নাগাদ এ সংকট দূর হবে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেন, ‘অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি, প্রিন্টিং কার্যক্রমের দায়িত্বরতদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে প্রাথমিকে বই ছাপানোতে কিছু সমস্যা হয়েছে। অতি দ্রুতই বই পেয়ে যাব এবং শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’

শিক্ষাবর্ষের আড়াই মাস সময় হয়ে গেলেও পায়নি ঝিনাইদহের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বহু শিক্ষার্থীই সিলেবাসের সব কটি বই পায়নি। যেখানে বহুদিন পর আজ মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিক ও প্রাক প্রাথমিকে পুরো দমে শুরু হয়েছে। অথচ বহু শিক্ষার্থীর হাতে আছে দু-একটি বই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমন চিত্র জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলগুলোতে ৩ য়,৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ সংকট রয়েছে। তবে ১ম ও ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সিলেবাসের সব নতুন বই পেয়েছে।
শহরের স্কুলগুলোতে সংকট কিছুটা কম। গ্রামের স্কুলে সমস্যা প্রকট। বিভিন্ন স্কুল ঘুরে জানা যায়,৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুটি করে নতুন বই পেয়েছে। আর ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পেয়েছে মাত্র একটি। অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী এর মধ্যে পুরোনো বই জোগাড় করতে পেরেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় প্রাথমিকে ১ হাজার ৪৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে শিক্ষার্থী ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৪৫ জন। এর মধ্যে ১ম ও ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সব বিষয়ে নতুন বই পেয়েছে। কিন্তু ৩য় শ্রেণির ৪৩ হাজার ৮৪৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪ হাজার ৬১৫ শিক্ষার্থী দুটি করে নতুন বই পেয়েছে। আর ৪র্থ শ্রেণির ৪১ হাজার ৯২৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ হাজার ৯৭২ জন পেয়েছে নতুন দুটি করে বই। ৫ম শ্রেণির ৩৫ হাজার ৭৬২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৫ হাজার ৯৭০ জন শিক্ষার্থী পেয়েছে মাত্র একটি করে নতুন বই। সেটি বাংলা।
জানা গেছে,৩ য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরোনো বই সংগ্রহ করে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসের ছয়টি বই জোগাড় করতে পেরেছে মাত্র ৩০ ভাগ শিক্ষার্থী। প্রথম দিকে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে চাহিদার তুলনায় অল্পসংখ্যক বই আসায় শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুটি করে বিভিন্ন বিষয়ের বই ভাগ করে দেন।
যদিও শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের দাবি,৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা চারটি করেই নতুন বই পেয়েছে। আর ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তিনটি বিষয়ের নতুন বই পায়নি। আর জেলায় মোট বইয়ের চাহিদা ছিল ১০ লাখ ৮ হাজার ৫৩১ টি, বিপরীতে পাওয়া গেছে ৬ লাখ ৫৫ হাজার বই।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী লামিয়া রহমান বলে, ‘আমি স্কুল থেকে গিয়ে বাড়িতে বাংলা ছাড়া অন্য কোনো বই পড়তে পারি না। স্কুলে ম্যাডামেরা পড়ালেও বাড়িতে গিয়ে পড়তে না পারায় ইংরেজি, গণিতসহ অন্যান্য বিষয় ভালো মনে থাকে না।’
করোতিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল বলে, ‘স্কুল থেকে একটি বই দিয়েছেন স্যারেরা। তাই বাড়িতে অন্য বিষয় পড়তে পারি না। শুধু স্কুলে এসে সহপাঠীদের বই নিয়ে পড়তে হয়। বন্ধুরা অনেক সময় বই দিতে চায় না।’
৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী অনন্যা বিশ্বাস বলে, ‘নতুন ক্লাসে উঠেছি। নতুন বই পড়ব। কিন্তু এখন পুরোনো ছেঁড়া, দাগানো বই পড়তে ভালো লাগে না।’
বই না পাওয়ায় চিন্তিত অভিভাবকেরাও। সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবক নাদিরা খাতুন বৃষ্টি বলেন, ‘আমার মেয়ে সম্প্রতি দুইটা বই পেয়েছে। তারা বই না পাওয়ায় বাসায় ঠিকমতো পড়াতে পারি না। কারণ তারা লিখবে ও পড়বে। কিন্তু যদি পড়তেই না পারে তাহলে লিখবে কী করে!’
আরেক অভিভাবক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বছরের প্রথম দিনে বই দেওয়ার কথা। কিন্তু আজও পূর্ণ বই পেল না তারা। তাহলে বছরের প্রথম দিনে বই দেওয়ার কথা বলে ছাত্রছাত্রীদের আশ্বাস দেওয়ার কী দরকার?’
করোনার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এমনিতেই শিশুদের লেখাপড়ায় অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এখন আবার তারা বই পাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে প্রাথমিকের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এমন মন্তব্য করেন লাউদিয়া এলাকার অভিভাবক নাসিমা খাতুন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মী রানী পোদ্দার বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিকের তিনটি শ্রেণি রয়েছে। এই শিক্ষার্থীরা নতুন বই না পাওয়ায় লেখাপড়ার তো অবশ্যই ক্ষতি হচ্ছে। আমরাও ঠিকমতো পাঠদান করতে পারি না। তাদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। প্রায় প্রতিদিনই তারা বলতেই থাকে, বই দিবেন কবে, বই দিবেন কবে।’
বছরের শুরুর দিনে নতুন বই দেওয়ার কথা থাকলেও হাতে বই না আসেনি জানিয়ে লাউদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পর্শিয়া খানম বলেন, ‘কিছু পুরোনো বই ম্যানেজ করে পাঠদান চালাচ্ছি। পুরোনো বই এর আগে বেশ কয়েক বছর দরকার পড়েনি। আবার গ্রামের স্কুলের শিক্ষার্থীরা বই ঠিকমতো রাখেনি। তাই পুরোনো বইও সব ম্যানেজ করা যায়নি।’
বই সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দু-একটি করে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান করোতি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাবের হোসেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীর তুলনায় ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে যে বই পেয়েছিলাম তা অনেক কম। তাই সবগুলো বই দুটি করে ভাগ ভাগ করে শিক্ষার্থীদের দিয়েছি।’
এতদিনেও বই না আসার বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সব শিক্ষার্থীকে বই দেওয়া হয়েছে। দু-একটি বিষয়ে বই দিতে পারিনি।’ তবে স্কুল খুলে যাওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রমে কোনো সমস্যা হয়নি বলে মনে করেন তিনি।
কবে নাগাদ এ সংকট দূর হবে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম বলেন, ‘অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি, প্রিন্টিং কার্যক্রমের দায়িত্বরতদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে প্রাথমিকে বই ছাপানোতে কিছু সমস্যা হয়েছে। অতি দ্রুতই বই পেয়ে যাব এবং শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’

উপজেলা ঘোষণার চার বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে মাদারীপুরের এ উপজেলার বাসিন্দাদের সরকারি হাসপাতালের সেবা নেওয়ার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে আশপাশের অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি যানবাহন ভাড়া।
৩ ঘণ্টা আগে
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজরামপুর কাশিগঞ্জ এলাকায় যমুনেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকার একটি চক্র ৫-৬ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে আসছে। এই চক্র আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় বালু তুলত। এখন তাদের ওই ইউনিয়ন বিএনপির...
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
৫ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৫ ঘণ্টা আগেআয়শা সিদ্দিকা আকাশী, মাদারীপুর

উপজেলা ঘোষণার চার বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে মাদারীপুরের এ উপজেলার বাসিন্দাদের সরকারি হাসপাতালের সেবা নেওয়ার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে আশপাশের অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি যানবাহন ভাড়া। একই সঙ্গে দূরত্বের জন্যও তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত এ উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হোক। এদিকে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ডাসার উপজেলায় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের কার্যক্রম চলছে। প্রাথমিক পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণের জন্য যৌথ তদন্ত হয়েছে। এরপর জমি অধিগ্রহণ শেষে পরবর্তী ধাপগুলো শুরু করা হবে।
২০২১ সালের ২৬ জুলাই সচিবালয়ের নিকারের সভায় মাদারীপুরের ডাসারকে উপজেলা ঘোষণা করা হয়। এর আগে ডাসার উপজেলাটি কালকিনি উপজেলার মধ্যে ছিল। তখন মাদারীপুরে উপজেলার সংখ্যা ছিল চারটি। ডাসারকে উপজেলা ঘোষণার পর এ জেলায় উপজেলার সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচটি। ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট ডাসারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিয়োগ দেওয়া হয়। উপজেলাটির আয়তন ৭৬ দশমিক ৮ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৭৫ হাজার ১৭৩ জন।
স্থানীয়রা বলছেন, উপজেলা ঘোষণার চার বছর পেরিয়ে গেলেও ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ হয়নি। ফলে এই উপজেলার মানুষকে চিকিৎসা নিতে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।
ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের ধুলগাও গ্রামের নাদিরা আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলের বয়স তিন বছর। ঠান্ডা-সর্দিসহ নানা সময় নানান অসুস্থতা লেগেই থাকে। তাই মাঝেমধ্যেই ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন হয়। আমার স্বামী প্রতিবন্ধী। আয় করতে পারেন না। আমরা গরিব মানুষ, সরকারিভাবে ডাক্তার দেখাতে হয়। তাই মাদারীপুর শহরে গিয়ে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে দেখাতে হয়। এতে করে আমাদের সময় বেশি লাগে, গাড়ি ভাড়ার টাকা লাগে।’ তিনি বলেন, ‘এই উপজেলায় একটি সরকারি হাসপাতাল হলে আমাদের অনেক উপকার হতো।’
গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমার মায়ের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা রয়েছে। ফলে প্রায় সময়ই তিনি অসুস্থ থাকেন। তাই একটু অসুস্থ হলেই ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের ডাসার উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই। তাই কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে হয়। অনেক সময় হাসপাতালে ভর্তিও থাকতে হয়। তখন নিজ বাড়ি থেকে যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হয়। তাই এই উপজেলায় একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ জরুরি বলে আমি মনে করি।’
ডাসারের নবগ্রামের বাসিন্দা নিতু রাণী বলেন, ‘আমাদের ডাসার উপজেলা ঘোষণার চার বছর পেরিয়ে গেলেও একটি সরকারি হাসপাতাল নির্মাণ হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা উপজেলাবাসী চাই অন্য উপজেলার মতো এই উপজেলাতেও একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ হোক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাইফ-উল-আরেফীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাসার উপজেলায় ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের কার্যক্রম চলমান আছে। প্রাথমিক পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণের জন্য যৌথ তদন্ত হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ শেষে পরবর্তী ধাপগুলো শুরু করা হবে।

উপজেলা ঘোষণার চার বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে মাদারীপুরের এ উপজেলার বাসিন্দাদের সরকারি হাসপাতালের সেবা নেওয়ার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে আশপাশের অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি যানবাহন ভাড়া। একই সঙ্গে দূরত্বের জন্যও তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত এ উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হোক। এদিকে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ডাসার উপজেলায় ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের কার্যক্রম চলছে। প্রাথমিক পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণের জন্য যৌথ তদন্ত হয়েছে। এরপর জমি অধিগ্রহণ শেষে পরবর্তী ধাপগুলো শুরু করা হবে।
২০২১ সালের ২৬ জুলাই সচিবালয়ের নিকারের সভায় মাদারীপুরের ডাসারকে উপজেলা ঘোষণা করা হয়। এর আগে ডাসার উপজেলাটি কালকিনি উপজেলার মধ্যে ছিল। তখন মাদারীপুরে উপজেলার সংখ্যা ছিল চারটি। ডাসারকে উপজেলা ঘোষণার পর এ জেলায় উপজেলার সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচটি। ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট ডাসারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিয়োগ দেওয়া হয়। উপজেলাটির আয়তন ৭৬ দশমিক ৮ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৭৫ হাজার ১৭৩ জন।
স্থানীয়রা বলছেন, উপজেলা ঘোষণার চার বছর পেরিয়ে গেলেও ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ হয়নি। ফলে এই উপজেলার মানুষকে চিকিৎসা নিতে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।
ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের ধুলগাও গ্রামের নাদিরা আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলের বয়স তিন বছর। ঠান্ডা-সর্দিসহ নানা সময় নানান অসুস্থতা লেগেই থাকে। তাই মাঝেমধ্যেই ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন হয়। আমার স্বামী প্রতিবন্ধী। আয় করতে পারেন না। আমরা গরিব মানুষ, সরকারিভাবে ডাক্তার দেখাতে হয়। তাই মাদারীপুর শহরে গিয়ে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে দেখাতে হয়। এতে করে আমাদের সময় বেশি লাগে, গাড়ি ভাড়ার টাকা লাগে।’ তিনি বলেন, ‘এই উপজেলায় একটি সরকারি হাসপাতাল হলে আমাদের অনেক উপকার হতো।’
গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমার মায়ের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা রয়েছে। ফলে প্রায় সময়ই তিনি অসুস্থ থাকেন। তাই একটু অসুস্থ হলেই ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের ডাসার উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই। তাই কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে হয়। অনেক সময় হাসপাতালে ভর্তিও থাকতে হয়। তখন নিজ বাড়ি থেকে যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হয়। তাই এই উপজেলায় একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ জরুরি বলে আমি মনে করি।’
ডাসারের নবগ্রামের বাসিন্দা নিতু রাণী বলেন, ‘আমাদের ডাসার উপজেলা ঘোষণার চার বছর পেরিয়ে গেলেও একটি সরকারি হাসপাতাল নির্মাণ হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা উপজেলাবাসী চাই অন্য উপজেলার মতো এই উপজেলাতেও একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ হোক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাইফ-উল-আরেফীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডাসার উপজেলায় ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের কার্যক্রম চলমান আছে। প্রাথমিক পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণের জন্য যৌথ তদন্ত হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ শেষে পরবর্তী ধাপগুলো শুরু করা হবে।

শহরের স্কুলগুলোতে সংকট কিছুটা কম। গ্রামের স্কুলে সমস্যা প্রকট। বিভিন্ন স্কুল ঘুরে জানা যায়,৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুটি করে নতুন বই পেয়েছে। আর ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পেয়েছে মাত্র একটি। অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী এর মধ্যে পুরোনো বই জোগাড় করতে পেরেছে।
১৫ মার্চ ২০২২
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজরামপুর কাশিগঞ্জ এলাকায় যমুনেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকার একটি চক্র ৫-৬ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে আসছে। এই চক্র আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় বালু তুলত। এখন তাদের ওই ইউনিয়ন বিএনপির...
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
৫ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৫ ঘণ্টা আগেআশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজরামপুর কাশিগঞ্জ এলাকায় যমুনেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকার একটি চক্র ৫-৬ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে আসছে। এই চক্র আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় বালু তুলত। এখন তাদের ওই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোকসেদুল হক প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এমনকি পুলিশও ‘ম্যানেজ’ হয়ে আছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
স্থানীয় লোকজন জানান, অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করছেন প্রভাবশালী মোয়াজ্জেন আলী এবং তাঁর সহযোগী এমদাদুল, মিল্লাদ ও আলমগীর। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান অভিযান চালিয়ে ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ভেঙে দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরও বন্ধ হয়নি সেখান থেকে বালু উত্তোলন।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে নদী থেকে বালু তোলার কারণে তীরবর্তী কাশিগঞ্জ গ্রাম, কৃষিজমি ও মধুপুর ইউনিয়ন পরিষদ হুমকির মুখে পড়েছে। তা ছাড়া বালু পরিবহনের ট্রলির কারণে সেখানকার রাস্তাঘাটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন চালালেও পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তাঁদের ভাষ্যমতে, ইউএনও সকালে অভিযান চালালে থানা-পুলিশের সহযোগিতায় বিকেলে আবার ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান বালুখেকো মোয়াজ্জেন আলী। তবে মধুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোকসেদুল হক বলেন, ‘আমি সম্প্রতি বাড়ির কাজের প্রয়োজনে কিছু বালু তুলতে ব্যক্তিগত ড্রেজার মেশিন বসিয়েছিলাম। কিন্তু আমার নামে অপপ্রচার হওয়ায় ৬ ঘণ্টার মধ্যে মেশিন তুলে ফেলি।’
এক প্রশ্নের জবাবে ওই বিএনপি নেতা বলেন, ‘পুলিশ টাকা খায় কি না, তা বিএনপি নেতা হিসেবে আমি বলতে চাই না। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় মোয়াজ্জেন দীর্ঘ বছর ধরে সেখান থেকে বালু তুলছেন।’
রাজরামপুর, কাশিগঞ্জ এলাকার বাইরে লোহানীপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মাধাই খামার, উত্তর মাধাই খামার, সাহেবগঞ্জ, তেলিপাড়া, কুতুবপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট, অরুণনেছা ঘাট, দালালপাড়া, কালুপাড়া ইউনিয়নের চান্দামারীর ঘাট, বৈরামপুর, দামোদরপুর ইউনিয়নের কালীরঘাট, শেখেরহাট, মোস্তফাপুর মণ্ডলপাড়া গ্রামে চিকলী ও যমুনেশ্বরী নদী থেকেও ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বদরগঞ্জ উপজেলার ইউএনও মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত দেড় মাসে ১৫-২০টি বালুর পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই বালু ব্যবসায়ীরা টের পেয়ে সরে পড়ায় তাদের ধরা যায় না। ওই সময়ে এলাকার মানুষও মুখ খোলে না। ঘটনাস্থলে শুধু পাওয়া যায় ড্রেজার মেশিন।’
‘থানা ম্যানেজ’ হওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন বদরগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম আতিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমি কারও কাছ থেকে এক টাকা নেওয়া তো দূরের কথা; বালুর বিষয়ে এক কাপ চাও খাইনি।’

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজরামপুর কাশিগঞ্জ এলাকায় যমুনেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকার একটি চক্র ৫-৬ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে আসছে। এই চক্র আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় বালু তুলত। এখন তাদের ওই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোকসেদুল হক প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এমনকি পুলিশও ‘ম্যানেজ’ হয়ে আছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
স্থানীয় লোকজন জানান, অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করছেন প্রভাবশালী মোয়াজ্জেন আলী এবং তাঁর সহযোগী এমদাদুল, মিল্লাদ ও আলমগীর। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান অভিযান চালিয়ে ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ভেঙে দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরও বন্ধ হয়নি সেখান থেকে বালু উত্তোলন।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে নদী থেকে বালু তোলার কারণে তীরবর্তী কাশিগঞ্জ গ্রাম, কৃষিজমি ও মধুপুর ইউনিয়ন পরিষদ হুমকির মুখে পড়েছে। তা ছাড়া বালু পরিবহনের ট্রলির কারণে সেখানকার রাস্তাঘাটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসন চালালেও পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তাঁদের ভাষ্যমতে, ইউএনও সকালে অভিযান চালালে থানা-পুলিশের সহযোগিতায় বিকেলে আবার ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান বালুখেকো মোয়াজ্জেন আলী। তবে মধুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোকসেদুল হক বলেন, ‘আমি সম্প্রতি বাড়ির কাজের প্রয়োজনে কিছু বালু তুলতে ব্যক্তিগত ড্রেজার মেশিন বসিয়েছিলাম। কিন্তু আমার নামে অপপ্রচার হওয়ায় ৬ ঘণ্টার মধ্যে মেশিন তুলে ফেলি।’
এক প্রশ্নের জবাবে ওই বিএনপি নেতা বলেন, ‘পুলিশ টাকা খায় কি না, তা বিএনপি নেতা হিসেবে আমি বলতে চাই না। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় মোয়াজ্জেন দীর্ঘ বছর ধরে সেখান থেকে বালু তুলছেন।’
রাজরামপুর, কাশিগঞ্জ এলাকার বাইরে লোহানীপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মাধাই খামার, উত্তর মাধাই খামার, সাহেবগঞ্জ, তেলিপাড়া, কুতুবপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট, অরুণনেছা ঘাট, দালালপাড়া, কালুপাড়া ইউনিয়নের চান্দামারীর ঘাট, বৈরামপুর, দামোদরপুর ইউনিয়নের কালীরঘাট, শেখেরহাট, মোস্তফাপুর মণ্ডলপাড়া গ্রামে চিকলী ও যমুনেশ্বরী নদী থেকেও ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বদরগঞ্জ উপজেলার ইউএনও মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত দেড় মাসে ১৫-২০টি বালুর পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই বালু ব্যবসায়ীরা টের পেয়ে সরে পড়ায় তাদের ধরা যায় না। ওই সময়ে এলাকার মানুষও মুখ খোলে না। ঘটনাস্থলে শুধু পাওয়া যায় ড্রেজার মেশিন।’
‘থানা ম্যানেজ’ হওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন বদরগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম আতিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমি কারও কাছ থেকে এক টাকা নেওয়া তো দূরের কথা; বালুর বিষয়ে এক কাপ চাও খাইনি।’

শহরের স্কুলগুলোতে সংকট কিছুটা কম। গ্রামের স্কুলে সমস্যা প্রকট। বিভিন্ন স্কুল ঘুরে জানা যায়,৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুটি করে নতুন বই পেয়েছে। আর ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পেয়েছে মাত্র একটি। অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী এর মধ্যে পুরোনো বই জোগাড় করতে পেরেছে।
১৫ মার্চ ২০২২
উপজেলা ঘোষণার চার বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে মাদারীপুরের এ উপজেলার বাসিন্দাদের সরকারি হাসপাতালের সেবা নেওয়ার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে আশপাশের অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি যানবাহন ভাড়া।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
৫ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৫ ঘণ্টা আগেইবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। দুই ঘণ্টার বেশি কর্মসূচি পালনের পরে বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করার সময় তাঁকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, সাজিদ আবদুল্লাহ হত্যার পর ১০৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত হত্যার বিচার হয়নি, কোনো খুনিও গ্রেপ্তার হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়সারা মনোভাব ও বিচারপ্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে।
উপরন্তু, আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝি কর্তৃক সাজিদ আবদুল্লাহকে ‘কোথাকার কোনো মৃত পোলা, যা-ই হোক, সে তো চইলাই গেছে’ বলে হেয়প্রতিপন্ন করা এবং নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও কটূক্তির মতো লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে। তাঁর এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নৈতিক অধঃপতন ও বিচারবোধহীনতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
এ সময় উপাচার্যের কাছে পাঁচ দফা দাবি পেশ করেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—সাজিদ আবদুল্লাহ হত্যার পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করে খুনিদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। সাজিদকে হেয়প্রতিপন্ন করা ও নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে ন্যক্কারজনক ও যৌন হয়রানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অপরাধে বরখাস্ত করতে হবে। সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি হুমকি প্রদানকারীদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘কোনো শিক্ষক যদি এভাবে কাউকে অপমান করেন, তাহলে যেকোনো শিক্ষকের পক্ষ থেকেই আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমাদের কথা বলার অধিকার আছে, কিন্তু কাউকে গালি দেওয়ার অধিকার নেই। এ ধরনের বক্তব্য যেন কোনো শিক্ষক ভবিষ্যতে আর না দেন, সেই ব্যবস্থা করব। আমি যত দূর জানি, তিনি সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পেলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘আমি আল কোরআন বিভাগের সভাপতি হিসেবে শহীদ সাজিদ আব্দুল্লাহর জন্য বিভাগের ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে বিচার চেয়ে আন্দোলন করেছি। আমার অফিসে বসেই কেস এন্ট্রি করেছি। প্রশাসনিকভাবে বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে ভিসি, প্রো-ভিসি, ইবি থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু এতৎসত্ত্বেও, আমার এক ছাত্রের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমার অসাবধানতাবশত কিছু শব্দ চয়নে ভুল হয়েছে বলে আমি মনে করি। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
প্রসঙ্গত, আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি নাসিরউদ্দিন মিঝির একটি পুরোনো অডিও ভাইরাল হয়। এতে শোনা যায়, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে উলঙ্গ নারী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। অডিওটি ভাইরালের পরে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ড. মিঝি নিঃশর্ত ক্ষমা চান সবার কাছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। দুই ঘণ্টার বেশি কর্মসূচি পালনের পরে বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করার সময় তাঁকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, সাজিদ আবদুল্লাহ হত্যার পর ১০৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত হত্যার বিচার হয়নি, কোনো খুনিও গ্রেপ্তার হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়সারা মনোভাব ও বিচারপ্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে।
উপরন্তু, আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝি কর্তৃক সাজিদ আবদুল্লাহকে ‘কোথাকার কোনো মৃত পোলা, যা-ই হোক, সে তো চইলাই গেছে’ বলে হেয়প্রতিপন্ন করা এবং নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও কটূক্তির মতো লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে। তাঁর এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নৈতিক অধঃপতন ও বিচারবোধহীনতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
এ সময় উপাচার্যের কাছে পাঁচ দফা দাবি পেশ করেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—সাজিদ আবদুল্লাহ হত্যার পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করে খুনিদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। সাজিদকে হেয়প্রতিপন্ন করা ও নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে ন্যক্কারজনক ও যৌন হয়রানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অপরাধে বরখাস্ত করতে হবে। সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি হুমকি প্রদানকারীদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘কোনো শিক্ষক যদি এভাবে কাউকে অপমান করেন, তাহলে যেকোনো শিক্ষকের পক্ষ থেকেই আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমাদের কথা বলার অধিকার আছে, কিন্তু কাউকে গালি দেওয়ার অধিকার নেই। এ ধরনের বক্তব্য যেন কোনো শিক্ষক ভবিষ্যতে আর না দেন, সেই ব্যবস্থা করব। আমি যত দূর জানি, তিনি সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পেলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘আমি আল কোরআন বিভাগের সভাপতি হিসেবে শহীদ সাজিদ আব্দুল্লাহর জন্য বিভাগের ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে বিচার চেয়ে আন্দোলন করেছি। আমার অফিসে বসেই কেস এন্ট্রি করেছি। প্রশাসনিকভাবে বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে ভিসি, প্রো-ভিসি, ইবি থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু এতৎসত্ত্বেও, আমার এক ছাত্রের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমার অসাবধানতাবশত কিছু শব্দ চয়নে ভুল হয়েছে বলে আমি মনে করি। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
প্রসঙ্গত, আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি নাসিরউদ্দিন মিঝির একটি পুরোনো অডিও ভাইরাল হয়। এতে শোনা যায়, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে উলঙ্গ নারী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। অডিওটি ভাইরালের পরে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ড. মিঝি নিঃশর্ত ক্ষমা চান সবার কাছে।

শহরের স্কুলগুলোতে সংকট কিছুটা কম। গ্রামের স্কুলে সমস্যা প্রকট। বিভিন্ন স্কুল ঘুরে জানা যায়,৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুটি করে নতুন বই পেয়েছে। আর ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পেয়েছে মাত্র একটি। অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী এর মধ্যে পুরোনো বই জোগাড় করতে পেরেছে।
১৫ মার্চ ২০২২
উপজেলা ঘোষণার চার বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে মাদারীপুরের এ উপজেলার বাসিন্দাদের সরকারি হাসপাতালের সেবা নেওয়ার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে আশপাশের অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি যানবাহন ভাড়া।
৩ ঘণ্টা আগে
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজরামপুর কাশিগঞ্জ এলাকায় যমুনেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকার একটি চক্র ৫-৬ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে আসছে। এই চক্র আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় বালু তুলত। এখন তাদের ওই ইউনিয়ন বিএনপির...
৩ ঘণ্টা আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৫ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) মামলার পরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার রিংকু রংদী উপজেলার মাধুপাড়া গ্রামের সুপারসন চাম্বুগংয়ের ছেলে। তাঁরা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী।
আর ভুক্তভোগী কিশোরী (১৪) পূর্বধলা উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। সেখানকার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগীর পরিবার ইসলাম ধর্মাবলম্বী।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ-ছয় মাস আগে ফেসবুকে ইসলাম ধর্মাবলম্বী ওই ছাত্রীর পরিচয় হয় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী রিংকুর সঙ্গে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ২৭ অক্টোবর সকালে ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় যে, সে দুর্গাপুরে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে। পরে রিংকু তাকে নিয়ে দুর্গাপুরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়ান এবং সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে থাকার প্রস্তাব দেন। এতে ওই ছাত্রী রাজি হয়ে সেখানে থেকে যায়। রিংকু নিজের শয়নকক্ষে ওই ছাত্রীকে থাকতে দেন। আর তিনি অন্য কক্ষে ঘুমাতে যান। রাত ১১টার দিকে কৌশলে রিংকু কক্ষে প্রবেশ করে ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন এবং ফোনে পরিবারকে বিষয়টি জানান।
পরদিন সকালে ওই ছাত্রীর মা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রিংকুর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে বিকেলে রিংকুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযান চালিয়ে রিংকুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ভুক্তভোগী কিশোরীকেও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) মামলার পরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার রিংকু রংদী উপজেলার মাধুপাড়া গ্রামের সুপারসন চাম্বুগংয়ের ছেলে। তাঁরা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী।
আর ভুক্তভোগী কিশোরী (১৪) পূর্বধলা উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। সেখানকার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগীর পরিবার ইসলাম ধর্মাবলম্বী।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ-ছয় মাস আগে ফেসবুকে ইসলাম ধর্মাবলম্বী ওই ছাত্রীর পরিচয় হয় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী রিংকুর সঙ্গে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ২৭ অক্টোবর সকালে ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় যে, সে দুর্গাপুরে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে। পরে রিংকু তাকে নিয়ে দুর্গাপুরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়ান এবং সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে থাকার প্রস্তাব দেন। এতে ওই ছাত্রী রাজি হয়ে সেখানে থেকে যায়। রিংকু নিজের শয়নকক্ষে ওই ছাত্রীকে থাকতে দেন। আর তিনি অন্য কক্ষে ঘুমাতে যান। রাত ১১টার দিকে কৌশলে রিংকু কক্ষে প্রবেশ করে ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন এবং ফোনে পরিবারকে বিষয়টি জানান।
পরদিন সকালে ওই ছাত্রীর মা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রিংকুর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে বিকেলে রিংকুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযান চালিয়ে রিংকুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ভুক্তভোগী কিশোরীকেও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

শহরের স্কুলগুলোতে সংকট কিছুটা কম। গ্রামের স্কুলে সমস্যা প্রকট। বিভিন্ন স্কুল ঘুরে জানা যায়,৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুটি করে নতুন বই পেয়েছে। আর ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পেয়েছে মাত্র একটি। অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী এর মধ্যে পুরোনো বই জোগাড় করতে পেরেছে।
১৫ মার্চ ২০২২
উপজেলা ঘোষণার চার বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ হয়নি ডাসার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ফলে মাদারীপুরের এ উপজেলার বাসিন্দাদের সরকারি হাসপাতালের সেবা নেওয়ার জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে আশপাশের অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি যানবাহন ভাড়া।
৩ ঘণ্টা আগে
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজরামপুর কাশিগঞ্জ এলাকায় যমুনেশ্বরী নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এলাকার একটি চক্র ৫-৬ বছর ধরে অবৈধভাবে বালু তুলে বিক্রি করে আসছে। এই চক্র আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় বালু তুলত। এখন তাদের ওই ইউনিয়ন বিএনপির...
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
৫ ঘণ্টা আগে