Ajker Patrika

বদনাম ঘোচাতে কঠোর, তবু থামছে না দখল

জাহিদ হাসান, যশোর 
আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৯: ০১
বদনাম ঘোচাতে কঠোর, তবু থামছে না দখল

যশোরের মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের অ্যাকাউন্ট্যান্ট ক্লার্ক শাহীন আলমকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর দাবি, গত বুধবার বিকেলে ইউএনও কার্যালয়সংলগ্ন শহীদ মিনারের সামনে তাঁকে মারধর করা হয়। এর প্রতিবাদে ঘটনার এক দিন পর ইউএনওর নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মোতাহারুলকে বহিষ্কার করেছে যুবদল।

একই দিন সকালে সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতার ১৫৫ বস্তা চাল বাগআঁচড়া খাদ্যগুদাম থেকে ডিলারের কাছে পৌঁছানোর সময় লুটের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি রুহুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে। প্রশাসনের অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা বিএনপি রুহুলের সব পদ স্থগিত করেছে। যদিও ঘটনার এক দিন পর সংবাদ সম্মেলন করে চাল লুটের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন রুহুল কুদ্দুস।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্র বলেছে, শুধু মোতাহারুল কিংবা রুহুলই নয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর যশোরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে উঠে আসছে একের পর অনিয়মের অভিযোগ। তবে এসব বিষয়ে প্রথম থেকেই বেশ কঠোর যশোর বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। এ ছাড়া নেতা-কর্মীদের তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে গঠন করা হয়েছে মনিটরিং সেলও। তারপরও অনিয়ম থামছে না। দোকানপাট, নওয়াপাড়া নৌবন্দর ঘাট, মৎস্য ঘের, জায়গাজমি, মার্কেট—সব জায়গায় দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা, নগর ও উপজেলার শতাধিক নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পদ স্থগিত করা হয়েছে অন্তত ৩০ জনের। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণ দেখানো হয়েছে।

এসব ব্যাপারে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক এম তমাল আহমেদ বলেন, ‘রাজনীতিক পটপরিবর্তনের পর যুবদলের প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মীকে শোকজ ও বহিষ্কার করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে হার্ড লাইনে গিয়ে বহিষ্কার করাতে এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’ তিনি বলেন, ‘বিশৃঙ্খলা করায় অনেক ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।’

স্থানীয় সূত্র বলেছে, রাজনীতিক পটপরিবর্তনের পরপরই যশোরের নওয়াপাড়া নৌবন্দরের অন্তত ২০টি ঘাট দখলে নিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। নওয়াপাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আবাহনী ক্রীড়া চক্রের দুই দশকের বেশি পুরোনো কার্যালয় দখল করে স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয় ও কোকো ক্রীড়া চক্র অফিস করেছেন নওয়াপাড়া বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ঘাট দখলসহ নানা অভিযোগে নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান জনির পদ ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড স্থগিত করেছে দল।

এদিকে যশোরের গদখালী পাইকারি ফুলের মোকামের শতাধিক ব্যবসায়ীর ফুলের ব্যবসা দখলের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। তাঁদের হুমকিতে চার মাস ধরে ওই ব্যবসায়ীরা বাজারে আসতে পারছেন না। ফুল ব্যবসায়ী না হয়েও গদখালী ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির কার্যালয় দখল করেছেন নেতারা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিএনপি ও যুবদলের লোকজন ব্যবসা কেড়ে নেওয়ায় শতাধিক ব্যবসায়ী বিপদে পড়েছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে মারধর করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে গদখালী ও পানিসারা এলাকার অন্তত ছয় হাজার ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীর মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা আবুল খায়ের বলেন, ‘এই সমিতির তেমন কার্যকারিতা ছিল না। তা ছাড়া এত দিন আওয়ামী লীগের লোকজনের দখলে ছিল সমিতির নেতৃত্ব। আমরা নতুন কমিটি গঠন করেছি। এতে ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা খুশি। কারও ব্যবসায় বাধা দেওয়া হচ্ছে না।’

দেশের অন্যতম বৃহৎ সীমান্ত শার্শা-বেনাপোলও নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পার করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে চোরাই কারবারিও নিয়ন্ত্রণ করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক এসকেন্দার আলী জনি সম্প্রতি ফেসবুকে লাইভে এসে এসব অভিযোগ করেন। এ ছাড়া বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা শহরের বিভিন্ন বাজার, মাছের ঘের ও বাঁওড় দখলে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, ‘বিশৃঙ্খলাসহ নানা অভিযোগে দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর নামে অভিযোগ আসে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার, শোকজ ও পদ স্থগিত করেছি। ৫ আগস্টের পরে দলের তরুণ নেতা-কর্মীরা অনেকটা লাগামহীন হয়ে পড়েছিলেন, এটা সত্য। যারা বিশৃঙ্খলা করেছে, তারাই তো আওয়ামী লীগের দুশাসন দেখে বড় হয়েছে। তারা মনে করেছে, দখল-প্রতিশোধ—এসবই মনে হয় রাজনীতি। পরে বহিষ্কার, শোকজসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়াতে অনেকটা কমে এসেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আনিস আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
আনিস আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিক আনিস আলমগীর এখনো ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তাঁকে সেখানে ডেকে নেওয়া হয়।

আজ সোমবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আনিস আলমগীরের ডিবি কার্যালয়ে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডিবি সদস্যরা তাঁকে সেখানে নিয়ে যান। রাজধানীর ধানমন্ডির একটি জিম থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন আনিস আলমগীর।

ডিবির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়েই রয়েছেন। তাঁর বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা এখনো জানানো হয়নি।

এদিকে সাংবাদিক আনিস আলমগীর এবং অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্র এবং নিষিদ্ধ সংগঠনকে উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।

‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামে একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ এই অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন মারিয়া কিসপট্টা ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।

থানায় দেওয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যেও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অভিযুক্তরা এসব কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে অভিযুক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করছেন।

এতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের এসব বক্তব্য ও অনলাইন কার্যক্রমের কারণে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা উসকানি পাচ্ছে। ফলস্বরূপ তারা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, সহিংসতা এবং অবকাঠামো ধ্বংসের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছে।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোহাম্মদ রফিক আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, এটি সাইবার-সম্পর্কিত একটি ইস্যু। তিনি বলেন, ‘আমরা অভিযোগ গ্রহণ করেছি। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পেলে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এখন ঢাকায়

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ২৩
ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিতে ঢাকায় পৌঁছেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। ছবি: ফ্লাইটর‍্যাডার২৪
ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিতে ঢাকায় পৌঁছেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। ছবি: ফ্লাইটর‍্যাডার২৪

রাজধানীর এয়ারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার জন্য ঢাকায় এসেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সিঙ্গাপুর থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন রাগিব সামাদ আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ বেলা ১১টা ২২ মিনিটে বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সড়কপথে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সে বিমানবন্দরে নেওয়া হবে এবং সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হবে।

ওসমান হাদির বড় দুই ভাই—ওমর ফারুক এবং আবু বকর সিদ্দিক—তাঁর সঙ্গে বিদেশ যাওয়ার কথা রয়েছে। দুপুরের মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর সন্ধ্যার দিকে হাদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

এরপর গতকাল রোববার ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে হাদিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ (গতকাল রোববার) এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।

আগামীকাল (আজ সোমবার) দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় মেডিকেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল এবং ভ্রমণসংক্রান্ত সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাক্সিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

ওসমান হাদির চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তার চিকিৎসা প্রক্রিয়া সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধভাবে সার মজুত: ব্যবসায়ীকে ৭ দিনের কারাদণ্ড, ৭৬৬ বস্তা জব্দ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
সারগুলো জব্দ করে গুদাম সিলগালা করে দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সারগুলো জব্দ করে গুদাম সিলগালা করে দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার মজুত রাখার অভিযোগে এক কীটনাশক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। একই সঙ্গে দুটি গুদাম থেকে ৭৬৬ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে এবং গুদাম দুটি সিলগালা করা হয়েছে।

রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বড় খোঁচাবাড়ি বাজারের পেছনে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খাইরুল ইসলাম। অভিযানে আব্দুল্লাহ নামের ওই কীটনাশক ব্যবসায়ীর দুটি গুদামে অবৈধভাবে মজুত রাখা বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার পাওয়া যায়।

সারগুলো জব্দ করে গুদাম সিলগালা করে দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সারগুলো জব্দ করে গুদাম সিলগালা করে দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আব্দুল্লাহকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দ করা ৭৬৬ বস্তা সার গুদামে রেখে সিলগালা করা হয়েছে।

ইউএনও মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। জব্দকৃত সার কিছুদিন পর কৃষি কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ন্যায্যমূল্যে উন্মুক্ত বাজারে বিক্রি করা হবে। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কাপ্তাই হ্রদে পানিস্বল্পতা, কমছে বিদ্যুৎ উৎপাদন

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানিস্বল্পতার কারণে দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎকেন্দ্র—কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন দিন দিন কমছে। পানির ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল এই কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে মাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে গড়ে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।

কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি দ্রুত কমে যাওয়ায় উৎপাদন সীমিত রাখা হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত কেন্দ্রের ৫ নম্বর ইউনিট থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।

এ বিষয়ে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি কমতে থাকায় বর্তমানে পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে মাত্র একটি ইউনিট চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে। রুল কার্ভ অনুযায়ী এই সময়ে কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর থাকার কথা ১০৪ দশমিক ৮০ ফুট (মিন সি লেভেল)। কিন্তু রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত হ্রদের পানির স্তর নেমে এসেছে ৯৮ দশমিক ৯০ ফুটে।’

তিনি আরও বলেন, পানির স্তর যদি আরও কমে যায়, তাহলে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত