যশোর প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগর কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলাম (৫০) হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পার হলেও এখনো কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনার জেরে আগুনে ঘর হারা ১৮ পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। নতুন করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও সেনা টহল জোরদার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের বাড়েদাপাড়েতে ঘের ব্যবসায়ী পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িতে তরিকুল ইসলামকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘেরের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
এ ঘটনায় উত্তেজিত একদল লোক ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের অন্তত ১৮টি হিন্দুবাড়িতে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ছাড়া উপজেলার সুন্দলী বাজারে দুটি দোকানে অগ্নিসংযোগ এবং চারটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। এতে আহত হন অন্তত ১০ জন।
নিহত তরিকুল ইসলাম উপজেলার ধোপাদী গ্রামের ইব্রাহিম সরদারের ছেলে। তিনি উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি ছিলেন।
জানতে চাইলে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তরিকুল হত্যার ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। পরিবার এজাহার না দিলে মামলা হবে কী করে, আমরা তার পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দ্রুতই রহস্য উদ্ঘাটন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডহর মশিয়াহাটির গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
এদিকে, আজ শনিবার সকালে নিহত কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলামের বাড়িতে যান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ উপজেলার নেতৃবৃন্দ।
এ সময় তাঁরা তরিকুল ইসলামের শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এরপর বিএনপির নেতারা ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের যে বাড়িতে তরিকুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছিল, সেই বাড়িতে যান। পরে নেতারা গ্রামের পুড়িয়ে দেওয়া বাড়িগুলো ঘুরে দেখেন এবং বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
ঘেরের ইজারার দ্বন্দ্বে খুন হন তরিকুল
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের বিল বোকড়ে তরিকুলের একটি মাছের ঘের ছিল। ঘেরটির জমির ইজারার মেয়াদ শেষ হয়েছে। পাশের বিল কাছুরাবাদে অন্য এক ব্যক্তির আরেকটি মাছের ঘের ছিল। বিল কাছুরাবাদের বেশির ভাগ জমি ডহর মশিয়াহাটি গ্রামবাসীর। ঘেরের জমির ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মালিক ঘের ছেড়ে দিয়েছেন।
এই ঘেরের জমি ইজারা নিয়ে তরিকুল ইসলাম মাছ চাষ করতে চেয়েছিলেন। অপর দিকে আরও এক ব্যক্তি ঘেরের জমি ইজারা নিয়ে মাছ করতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে দুজনের বিরোধ হয়। বিষয়টি নিয়ে ওই দিন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় তরিকুল ইসলামকে ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের পিল্টু বিশ্বাসের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে প্রথমে কুপিয়ে এবং পরে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর পর থেকে ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের পোড়া বাড়িগুলো প্রায় পুরুষশূন্য, আতঙ্কিত নারীরা।
নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাই মাছের ঘেরের ব্যবসা করতেন। তাঁর তিনটি মাছের ঘের আছে। তিনি ডহর মশিয়াহাটি এলাকায় একজনের ছেড়ে দেওয়া ঘের ইজারা নিতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে আরেকজনের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তরিকুল ইসলাম নওয়াপাড়ার বাড়িতে ছিলেন।
‘তখন ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের পিল্টু বিশ্বাস তাঁকে ফোন করেন। ঘেরের ডিড (চুক্তি) হবে বলে পিল্টু বিকেলে তরিকুলকে তাঁর বাড়িতে যেতে বলেন। তরিকুল একজনকে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে মোটরসাইকেলে পিল্টুর বাড়িতে যান। সে সময় ছয়জন সন্ত্রাসী পিল্টুর ঘরে তরিকুলকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।’
খোলা আকাশের নিচে ১৮ পরিবার
ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের বাড়েদাপাড়ার অধিকাংশ মতুয়া সম্প্রদায়ের। ক্ষোভের আগুনে দেওয়া বাড়িঘর পুড়ে ভস্মীভূত। ঘরের চার দেয়াল থাকলেও পুড়ে ছাই ছাউনি। ফলে খোলা আকাশের নিচে তিন দিন যাবৎ পার করছেন পাড়াটির বাসিন্দারা।
আজ দিনভর বৃষ্টিতে খোলা আকাশের নিচে পার করেছেন। মাঝবয়সী চণ্ডিকা বিশ্বাস বলেন, ‘গায়ে কাপড় ছাড়া কিছু নেই। ঘরের সবকিছু পুড়ে গেছে। ঘরবাড়িতে থাকার মতো অবস্থা নেই। গাছের পাতাও পুড়ে গেছে। আমরা আতঙ্কে আছি। পাড়া পুরুষশূন্য। আমরা নিরপরাধ এসব মানুষের যারা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
যশোরের অভয়নগর কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলাম (৫০) হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পার হলেও এখনো কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনার জেরে আগুনে ঘর হারা ১৮ পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। নতুন করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও সেনা টহল জোরদার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের বাড়েদাপাড়েতে ঘের ব্যবসায়ী পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িতে তরিকুল ইসলামকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘেরের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
এ ঘটনায় উত্তেজিত একদল লোক ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের অন্তত ১৮টি হিন্দুবাড়িতে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ছাড়া উপজেলার সুন্দলী বাজারে দুটি দোকানে অগ্নিসংযোগ এবং চারটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। এতে আহত হন অন্তত ১০ জন।
নিহত তরিকুল ইসলাম উপজেলার ধোপাদী গ্রামের ইব্রাহিম সরদারের ছেলে। তিনি উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি ছিলেন।
জানতে চাইলে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তরিকুল হত্যার ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। পরিবার এজাহার না দিলে মামলা হবে কী করে, আমরা তার পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দ্রুতই রহস্য উদ্ঘাটন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডহর মশিয়াহাটির গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
এদিকে, আজ শনিবার সকালে নিহত কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলামের বাড়িতে যান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ উপজেলার নেতৃবৃন্দ।
এ সময় তাঁরা তরিকুল ইসলামের শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এরপর বিএনপির নেতারা ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের যে বাড়িতে তরিকুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছিল, সেই বাড়িতে যান। পরে নেতারা গ্রামের পুড়িয়ে দেওয়া বাড়িগুলো ঘুরে দেখেন এবং বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
ঘেরের ইজারার দ্বন্দ্বে খুন হন তরিকুল
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের বিল বোকড়ে তরিকুলের একটি মাছের ঘের ছিল। ঘেরটির জমির ইজারার মেয়াদ শেষ হয়েছে। পাশের বিল কাছুরাবাদে অন্য এক ব্যক্তির আরেকটি মাছের ঘের ছিল। বিল কাছুরাবাদের বেশির ভাগ জমি ডহর মশিয়াহাটি গ্রামবাসীর। ঘেরের জমির ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মালিক ঘের ছেড়ে দিয়েছেন।
এই ঘেরের জমি ইজারা নিয়ে তরিকুল ইসলাম মাছ চাষ করতে চেয়েছিলেন। অপর দিকে আরও এক ব্যক্তি ঘেরের জমি ইজারা নিয়ে মাছ করতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে দুজনের বিরোধ হয়। বিষয়টি নিয়ে ওই দিন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় তরিকুল ইসলামকে ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের পিল্টু বিশ্বাসের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে প্রথমে কুপিয়ে এবং পরে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর পর থেকে ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের পোড়া বাড়িগুলো প্রায় পুরুষশূন্য, আতঙ্কিত নারীরা।
নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাই মাছের ঘেরের ব্যবসা করতেন। তাঁর তিনটি মাছের ঘের আছে। তিনি ডহর মশিয়াহাটি এলাকায় একজনের ছেড়ে দেওয়া ঘের ইজারা নিতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে আরেকজনের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তরিকুল ইসলাম নওয়াপাড়ার বাড়িতে ছিলেন।
‘তখন ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের পিল্টু বিশ্বাস তাঁকে ফোন করেন। ঘেরের ডিড (চুক্তি) হবে বলে পিল্টু বিকেলে তরিকুলকে তাঁর বাড়িতে যেতে বলেন। তরিকুল একজনকে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে মোটরসাইকেলে পিল্টুর বাড়িতে যান। সে সময় ছয়জন সন্ত্রাসী পিল্টুর ঘরে তরিকুলকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।’
খোলা আকাশের নিচে ১৮ পরিবার
ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের বাড়েদাপাড়ার অধিকাংশ মতুয়া সম্প্রদায়ের। ক্ষোভের আগুনে দেওয়া বাড়িঘর পুড়ে ভস্মীভূত। ঘরের চার দেয়াল থাকলেও পুড়ে ছাই ছাউনি। ফলে খোলা আকাশের নিচে তিন দিন যাবৎ পার করছেন পাড়াটির বাসিন্দারা।
আজ দিনভর বৃষ্টিতে খোলা আকাশের নিচে পার করেছেন। মাঝবয়সী চণ্ডিকা বিশ্বাস বলেন, ‘গায়ে কাপড় ছাড়া কিছু নেই। ঘরের সবকিছু পুড়ে গেছে। ঘরবাড়িতে থাকার মতো অবস্থা নেই। গাছের পাতাও পুড়ে গেছে। আমরা আতঙ্কে আছি। পাড়া পুরুষশূন্য। আমরা নিরপরাধ এসব মানুষের যারা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
যশোর প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগর কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলাম (৫০) হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পার হলেও এখনো কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনার জেরে আগুনে ঘর হারা ১৮ পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। নতুন করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও সেনা টহল জোরদার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের বাড়েদাপাড়েতে ঘের ব্যবসায়ী পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িতে তরিকুল ইসলামকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘেরের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
এ ঘটনায় উত্তেজিত একদল লোক ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের অন্তত ১৮টি হিন্দুবাড়িতে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ছাড়া উপজেলার সুন্দলী বাজারে দুটি দোকানে অগ্নিসংযোগ এবং চারটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। এতে আহত হন অন্তত ১০ জন।
নিহত তরিকুল ইসলাম উপজেলার ধোপাদী গ্রামের ইব্রাহিম সরদারের ছেলে। তিনি উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি ছিলেন।
জানতে চাইলে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তরিকুল হত্যার ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। পরিবার এজাহার না দিলে মামলা হবে কী করে, আমরা তার পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দ্রুতই রহস্য উদ্ঘাটন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডহর মশিয়াহাটির গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
এদিকে, আজ শনিবার সকালে নিহত কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলামের বাড়িতে যান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ উপজেলার নেতৃবৃন্দ।
এ সময় তাঁরা তরিকুল ইসলামের শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এরপর বিএনপির নেতারা ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের যে বাড়িতে তরিকুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছিল, সেই বাড়িতে যান। পরে নেতারা গ্রামের পুড়িয়ে দেওয়া বাড়িগুলো ঘুরে দেখেন এবং বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
ঘেরের ইজারার দ্বন্দ্বে খুন হন তরিকুল
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের বিল বোকড়ে তরিকুলের একটি মাছের ঘের ছিল। ঘেরটির জমির ইজারার মেয়াদ শেষ হয়েছে। পাশের বিল কাছুরাবাদে অন্য এক ব্যক্তির আরেকটি মাছের ঘের ছিল। বিল কাছুরাবাদের বেশির ভাগ জমি ডহর মশিয়াহাটি গ্রামবাসীর। ঘেরের জমির ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মালিক ঘের ছেড়ে দিয়েছেন।
এই ঘেরের জমি ইজারা নিয়ে তরিকুল ইসলাম মাছ চাষ করতে চেয়েছিলেন। অপর দিকে আরও এক ব্যক্তি ঘেরের জমি ইজারা নিয়ে মাছ করতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে দুজনের বিরোধ হয়। বিষয়টি নিয়ে ওই দিন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় তরিকুল ইসলামকে ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের পিল্টু বিশ্বাসের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে প্রথমে কুপিয়ে এবং পরে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর পর থেকে ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের পোড়া বাড়িগুলো প্রায় পুরুষশূন্য, আতঙ্কিত নারীরা।
নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাই মাছের ঘেরের ব্যবসা করতেন। তাঁর তিনটি মাছের ঘের আছে। তিনি ডহর মশিয়াহাটি এলাকায় একজনের ছেড়ে দেওয়া ঘের ইজারা নিতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে আরেকজনের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তরিকুল ইসলাম নওয়াপাড়ার বাড়িতে ছিলেন।
‘তখন ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের পিল্টু বিশ্বাস তাঁকে ফোন করেন। ঘেরের ডিড (চুক্তি) হবে বলে পিল্টু বিকেলে তরিকুলকে তাঁর বাড়িতে যেতে বলেন। তরিকুল একজনকে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে মোটরসাইকেলে পিল্টুর বাড়িতে যান। সে সময় ছয়জন সন্ত্রাসী পিল্টুর ঘরে তরিকুলকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।’
খোলা আকাশের নিচে ১৮ পরিবার
ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের বাড়েদাপাড়ার অধিকাংশ মতুয়া সম্প্রদায়ের। ক্ষোভের আগুনে দেওয়া বাড়িঘর পুড়ে ভস্মীভূত। ঘরের চার দেয়াল থাকলেও পুড়ে ছাই ছাউনি। ফলে খোলা আকাশের নিচে তিন দিন যাবৎ পার করছেন পাড়াটির বাসিন্দারা।
আজ দিনভর বৃষ্টিতে খোলা আকাশের নিচে পার করেছেন। মাঝবয়সী চণ্ডিকা বিশ্বাস বলেন, ‘গায়ে কাপড় ছাড়া কিছু নেই। ঘরের সবকিছু পুড়ে গেছে। ঘরবাড়িতে থাকার মতো অবস্থা নেই। গাছের পাতাও পুড়ে গেছে। আমরা আতঙ্কে আছি। পাড়া পুরুষশূন্য। আমরা নিরপরাধ এসব মানুষের যারা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
যশোরের অভয়নগর কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলাম (৫০) হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পার হলেও এখনো কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনার জেরে আগুনে ঘর হারা ১৮ পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। নতুন করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও সেনা টহল জোরদার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের বাড়েদাপাড়েতে ঘের ব্যবসায়ী পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িতে তরিকুল ইসলামকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘেরের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
এ ঘটনায় উত্তেজিত একদল লোক ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের অন্তত ১৮টি হিন্দুবাড়িতে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ছাড়া উপজেলার সুন্দলী বাজারে দুটি দোকানে অগ্নিসংযোগ এবং চারটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। এতে আহত হন অন্তত ১০ জন।
নিহত তরিকুল ইসলাম উপজেলার ধোপাদী গ্রামের ইব্রাহিম সরদারের ছেলে। তিনি উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি ছিলেন।
জানতে চাইলে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তরিকুল হত্যার ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। পরিবার এজাহার না দিলে মামলা হবে কী করে, আমরা তার পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দ্রুতই রহস্য উদ্ঘাটন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডহর মশিয়াহাটির গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
এদিকে, আজ শনিবার সকালে নিহত কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলামের বাড়িতে যান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ উপজেলার নেতৃবৃন্দ।
এ সময় তাঁরা তরিকুল ইসলামের শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এরপর বিএনপির নেতারা ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের যে বাড়িতে তরিকুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছিল, সেই বাড়িতে যান। পরে নেতারা গ্রামের পুড়িয়ে দেওয়া বাড়িগুলো ঘুরে দেখেন এবং বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
ঘেরের ইজারার দ্বন্দ্বে খুন হন তরিকুল
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের বিল বোকড়ে তরিকুলের একটি মাছের ঘের ছিল। ঘেরটির জমির ইজারার মেয়াদ শেষ হয়েছে। পাশের বিল কাছুরাবাদে অন্য এক ব্যক্তির আরেকটি মাছের ঘের ছিল। বিল কাছুরাবাদের বেশির ভাগ জমি ডহর মশিয়াহাটি গ্রামবাসীর। ঘেরের জমির ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মালিক ঘের ছেড়ে দিয়েছেন।
এই ঘেরের জমি ইজারা নিয়ে তরিকুল ইসলাম মাছ চাষ করতে চেয়েছিলেন। অপর দিকে আরও এক ব্যক্তি ঘেরের জমি ইজারা নিয়ে মাছ করতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে দুজনের বিরোধ হয়। বিষয়টি নিয়ে ওই দিন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় তরিকুল ইসলামকে ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের পিল্টু বিশ্বাসের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে প্রথমে কুপিয়ে এবং পরে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর পর থেকে ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের পোড়া বাড়িগুলো প্রায় পুরুষশূন্য, আতঙ্কিত নারীরা।
নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাই মাছের ঘেরের ব্যবসা করতেন। তাঁর তিনটি মাছের ঘের আছে। তিনি ডহর মশিয়াহাটি এলাকায় একজনের ছেড়ে দেওয়া ঘের ইজারা নিতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে আরেকজনের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তরিকুল ইসলাম নওয়াপাড়ার বাড়িতে ছিলেন।
‘তখন ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের পিল্টু বিশ্বাস তাঁকে ফোন করেন। ঘেরের ডিড (চুক্তি) হবে বলে পিল্টু বিকেলে তরিকুলকে তাঁর বাড়িতে যেতে বলেন। তরিকুল একজনকে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে মোটরসাইকেলে পিল্টুর বাড়িতে যান। সে সময় ছয়জন সন্ত্রাসী পিল্টুর ঘরে তরিকুলকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।’
খোলা আকাশের নিচে ১৮ পরিবার
ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের বাড়েদাপাড়ার অধিকাংশ মতুয়া সম্প্রদায়ের। ক্ষোভের আগুনে দেওয়া বাড়িঘর পুড়ে ভস্মীভূত। ঘরের চার দেয়াল থাকলেও পুড়ে ছাই ছাউনি। ফলে খোলা আকাশের নিচে তিন দিন যাবৎ পার করছেন পাড়াটির বাসিন্দারা।
আজ দিনভর বৃষ্টিতে খোলা আকাশের নিচে পার করেছেন। মাঝবয়সী চণ্ডিকা বিশ্বাস বলেন, ‘গায়ে কাপড় ছাড়া কিছু নেই। ঘরের সবকিছু পুড়ে গেছে। ঘরবাড়িতে থাকার মতো অবস্থা নেই। গাছের পাতাও পুড়ে গেছে। আমরা আতঙ্কে আছি। পাড়া পুরুষশূন্য। আমরা নিরপরাধ এসব মানুষের যারা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
উত্তরা রাজলক্ষ্মী এলাকায় সকাল সোয়া ১০টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। মিছিলে ১৫ / ১৬ জন উপস্থিত ছিল। ওই সময় স্থানীয় জনতা তাদের ধাওয়া করে দু’জনকে আটক করে। পরে তাদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
৩ মিনিট আগেপিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে মো. ফিরোজ আলম (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৮ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
১২ মিনিট আগেবগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় তাঁর বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৫ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
৩৭ মিনিট আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর উত্তরায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের একাধিক বিক্ষোভ মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসব মিছিল থেকে অবিস্ফোরিত দু’টি ককটেলসহ ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে উত্তরার জসীম উদদীন রোড, রাজলক্ষ্মী ও হাউস বিল্ডিং এলাকায় এসব মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উত্তরা রাজলক্ষ্মী এলাকায় সকাল সোয়া ১০টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। মিছিলে ১৫/১৬ জন উপস্থিত ছিল। ওই সময় স্থানীয় জনতা তাদের ধাওয়া করে দু’জনকে আটক করে। পরে তাদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
অপরদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাউস বিল্ডিং সংলগ্ন ৮ নম্বর সেক্টরের পুলিশ স্টাফ কোয়ার্টারের পাশের সড়কে আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ওই মিছিলের পর সেখান থেকে অবিস্ফোরিত দু’টি ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ।
একই সময় উত্তরার জসীম উদদীন রোড এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলের চেষ্টা করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তবে মিছিল করতে না পেরে তারা পর পর দু’টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৮ নম্বর সেক্টরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও নাশকতার চেষ্টা করলে জনতার সহযোগিতায় ৬ জনকে আটক করা হয়। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে দু’টি অবিস্ফোরিত ককটেল সদৃশ বস্তু পাওয়া যায়। এগুলো নিষ্ক্রিয় করতে ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর উত্তরায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের একাধিক বিক্ষোভ মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসব মিছিল থেকে অবিস্ফোরিত দু’টি ককটেলসহ ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে উত্তরার জসীম উদদীন রোড, রাজলক্ষ্মী ও হাউস বিল্ডিং এলাকায় এসব মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উত্তরা রাজলক্ষ্মী এলাকায় সকাল সোয়া ১০টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। মিছিলে ১৫/১৬ জন উপস্থিত ছিল। ওই সময় স্থানীয় জনতা তাদের ধাওয়া করে দু’জনকে আটক করে। পরে তাদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
অপরদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাউস বিল্ডিং সংলগ্ন ৮ নম্বর সেক্টরের পুলিশ স্টাফ কোয়ার্টারের পাশের সড়কে আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ওই মিছিলের পর সেখান থেকে অবিস্ফোরিত দু’টি ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ।
একই সময় উত্তরার জসীম উদদীন রোড এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলের চেষ্টা করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তবে মিছিল করতে না পেরে তারা পর পর দু’টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৮ নম্বর সেক্টরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও নাশকতার চেষ্টা করলে জনতার সহযোগিতায় ৬ জনকে আটক করা হয়। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে দু’টি অবিস্ফোরিত ককটেল সদৃশ বস্তু পাওয়া যায়। এগুলো নিষ্ক্রিয় করতে ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভয়নগর কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলাম (৫০) হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পার হলেও এখনো কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনার জেরে আগুনে ঘর হারা ১৮ পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। নতুন করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও সেনা টহল জোরদার করা হয়েছে।
২৪ মে ২০২৫পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে মো. ফিরোজ আলম (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৮ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
১২ মিনিট আগেবগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় তাঁর বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৫ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
৩৭ মিনিট আগেপিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে মো. ফিরোজ আলম নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও আট মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার ভোরা গ্রামের মৃত মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মো. ফিরোজ আলম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত ফিরোজ আলমের সঙ্গে ১৯৯৭ সালে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার পৈকখালী গ্রামের মৃত আমীর মল্লিকের মেয়ে বিউটি বেগমের বিয়ে হয়। এ দম্পতির মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর রাতে ফিরোজ আলম তাঁর স্ত্রী ছয় সন্তানের জননী বিউটিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার দায় থেকে নিজে বাঁচতে জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকা প্রতিবেশীদের ফাঁসানোর চেষ্টা করেন ফিরোজ।
হত্যার ঘটনায় বিউটির ভাই মো. ইউনুস মল্লিক বাদী হয়ে ফিরোজকে নামীয় এবং কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। পুলিশ তদন্ত করে ফিরোজের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। সাক্ষ্য-প্রমাণে সে দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পাবলিক প্রসিকিউটর) আবুল কালাম আকন বলেন, ‘আমরা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।’
পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে মো. ফিরোজ আলম নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও আট মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার ভোরা গ্রামের মৃত মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মো. ফিরোজ আলম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত ফিরোজ আলমের সঙ্গে ১৯৯৭ সালে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার পৈকখালী গ্রামের মৃত আমীর মল্লিকের মেয়ে বিউটি বেগমের বিয়ে হয়। এ দম্পতির মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর রাতে ফিরোজ আলম তাঁর স্ত্রী ছয় সন্তানের জননী বিউটিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার দায় থেকে নিজে বাঁচতে জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকা প্রতিবেশীদের ফাঁসানোর চেষ্টা করেন ফিরোজ।
হত্যার ঘটনায় বিউটির ভাই মো. ইউনুস মল্লিক বাদী হয়ে ফিরোজকে নামীয় এবং কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। পুলিশ তদন্ত করে ফিরোজের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। সাক্ষ্য-প্রমাণে সে দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পাবলিক প্রসিকিউটর) আবুল কালাম আকন বলেন, ‘আমরা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।’
অভয়নগর কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলাম (৫০) হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পার হলেও এখনো কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনার জেরে আগুনে ঘর হারা ১৮ পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। নতুন করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও সেনা টহল জোরদার করা হয়েছে।
২৪ মে ২০২৫উত্তরা রাজলক্ষ্মী এলাকায় সকাল সোয়া ১০টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। মিছিলে ১৫ / ১৬ জন উপস্থিত ছিল। ওই সময় স্থানীয় জনতা তাদের ধাওয়া করে দু’জনকে আটক করে। পরে তাদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
৩ মিনিট আগেবগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় তাঁর বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৫ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
৩৭ মিনিট আগেবগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় তাঁর বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, ঢাকার শাহবাগ থানায় দায়ের করা সাইবার অপরাধ মামলায় সাকিব খানকে গ্রেপ্তারের জন্য শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়ায় আসে। পরে সদর থানা-পুলিশকে মামলার বিষয় জানিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করার অভিযোগে ২০ অক্টোবর শাহবাগ থানা-পুলিশ বাদী হয়ে সাকিব খানসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে থানায় মামলা করে। সেই মামলায় সাকিব খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় তাঁর বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, ঢাকার শাহবাগ থানায় দায়ের করা সাইবার অপরাধ মামলায় সাকিব খানকে গ্রেপ্তারের জন্য শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়ায় আসে। পরে সদর থানা-পুলিশকে মামলার বিষয় জানিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করার অভিযোগে ২০ অক্টোবর শাহবাগ থানা-পুলিশ বাদী হয়ে সাকিব খানসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে থানায় মামলা করে। সেই মামলায় সাকিব খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
অভয়নগর কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলাম (৫০) হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পার হলেও এখনো কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনার জেরে আগুনে ঘর হারা ১৮ পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। নতুন করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও সেনা টহল জোরদার করা হয়েছে।
২৪ মে ২০২৫উত্তরা রাজলক্ষ্মী এলাকায় সকাল সোয়া ১০টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। মিছিলে ১৫ / ১৬ জন উপস্থিত ছিল। ওই সময় স্থানীয় জনতা তাদের ধাওয়া করে দু’জনকে আটক করে। পরে তাদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
৩ মিনিট আগেপিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে মো. ফিরোজ আলম (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৮ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
১২ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
৩৭ মিনিট আগেতাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
শিক্ষার্থীদের তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষতা, সক্ষমতা বাড়ানো ও স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলেও বাস্তবে তা এখন গলার কাঁটা হয়েছে। নিম্নমানের উপকরণ সরবরাহের ফলে শুরুতেই এসব ডিজিটাল ল্যাব মুখ থুবড়ে পড়েছে। পরিণত হয়েছে ই-বর্জ্যে। অথচ এসব ল্যাব পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন করে ল্যাব সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সরকারিভাবে নিয়মিত মাসিক বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। ল্যাবে কাজ না থাকায় তাঁরা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন। এসব ল্যাব স্থাপনে এই উপজেলায় সরকারের প্রায় ৯ কোটি টাকা জলে গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একটি সিন্ডিকেট পুরোনো সংস্করণের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ওয়েবক্যাম, এলিইডি টিভি, হোয়াইটবোর্ড, রাউটার, ইন্টারনেট, ট্যাব, সার্ভার সিস্টেমসহ যাবতীয় হার্ডওয়ার ও ফার্নিচার সরবরাহ করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তারা মানহীন পণ্য সরবরাহ করে এসব ল্যাব থেকে দুই থেকে তিন কোটি টাকা সুকৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে।
জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় তাড়াশ উপজেলায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে পৌর সদরের তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার। অবশিষ্ট সাতটি স্কুল, চারটি কলেজ ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং একটি মাদ্রাসায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প থেকে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়। সরেজমিনে অধিকাংশ ডিজিটাল ল্যাবের করুণ দশা দেখা গেছে।
তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, এখানে স্থাপিত ‘স্কুল অব ফিউচার’ কার্যত বন্ধ। প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম জানান, অপারেটর না থাকায় কার্যক্রম বন্ধ। টেকনিশিয়ান চেয়ে বারবার আইসিটি অধিদপ্তরে আবেদন করেও সাড়া মেলেনি।
নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজের ডিজিটাল ল্যাবের ৩০টি ডেস্কটপ কম্পিউটারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম সম্পূর্ণ অচল এবং ল্যাবটি এখন ই-বর্জ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. বেলাল হোসেন আনছারী বলেন, নিম্নমানের সরঞ্জামের কারণে ল্যাবটি অচল হয়ে পড়েছে।
গুল্টা বাজার শহীদ এম মনসুর আলী ডিগ্রি কলেজে ল্যাপটপ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পাঁচ থেকে সাতটি কম্পিউটার উধাও। অভিযোগ উঠেছে, কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান ও তাঁর নিকটজনেরা এসব ল্যাপটপ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন।
অন্যান্য ল্যাবের অবস্থাও এই তিন ল্যাবের মতো। তবে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে কয়েকটি কম্পিউটার এখনো সচল রয়েছে। ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর ল্যাবের কক্ষটি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ল্যাব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ১৪টি শর্ত প্রযোজ্য থাকলেও বাস্তবে তা মানা হয়নি। মূলত সংশ্লিষ্ট আসনের সংসদ সদস্যরা নিয়মকানুন অমান্য করে তাঁদের পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিও লেটার দিয়েছেন এবং সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এসব ল্যাব প্রতিষ্ঠায় ঠিক কত টাকা ব্যয় করা হয়েছে, তার সঠিক হিসাব তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আইটি বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রতিটি ল্যাব স্থাপনে গড়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সেই হিসাবে তাড়াশের ১৮টি ল্যাবে ৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, যা এখন ব্যর্থতায় পর্যবসিত।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা অভিযোগ করেন, ল্যাবগুলোর সমস্যার বিষয়ে বারবার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরে আবেদন করেও কোনো সাড়া মেলেনি। উপজেলা আইসিটি অফিসারের কার্যালয় থেকে সমস্যা নিয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হলেও তা শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মো. আবু রায়হান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ল্যাব পরিদর্শনের প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ল্যাব প্রতিষ্ঠার সময় বরাদ্দ বা সরঞ্জামের মান সম্পর্কে তাঁদের অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি নষ্ট হলে প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা এগুলো ফেলে রাখেন। যার ফলে তা একদিন অচল হয়ে যায়। তাঁর মতে, দ্রুত অর্থ বরাদ্দ করে বিশেষজ্ঞ দ্বারা ল্যাবগুলো নিয়মিত সার্ভিস করা না গেলে সরকারের আইসিটি শিক্ষা প্রদান কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের বর্তমান প্রকল্প পরিচালক এ এস এম লোকমান কোনো তথ্য দিতে পারেননি এবং আগের প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
শিক্ষার্থীদের তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষতা, সক্ষমতা বাড়ানো ও স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলেও বাস্তবে তা এখন গলার কাঁটা হয়েছে। নিম্নমানের উপকরণ সরবরাহের ফলে শুরুতেই এসব ডিজিটাল ল্যাব মুখ থুবড়ে পড়েছে। পরিণত হয়েছে ই-বর্জ্যে। অথচ এসব ল্যাব পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন করে ল্যাব সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সরকারিভাবে নিয়মিত মাসিক বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। ল্যাবে কাজ না থাকায় তাঁরা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন। এসব ল্যাব স্থাপনে এই উপজেলায় সরকারের প্রায় ৯ কোটি টাকা জলে গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একটি সিন্ডিকেট পুরোনো সংস্করণের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ওয়েবক্যাম, এলিইডি টিভি, হোয়াইটবোর্ড, রাউটার, ইন্টারনেট, ট্যাব, সার্ভার সিস্টেমসহ যাবতীয় হার্ডওয়ার ও ফার্নিচার সরবরাহ করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তারা মানহীন পণ্য সরবরাহ করে এসব ল্যাব থেকে দুই থেকে তিন কোটি টাকা সুকৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে।
জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় তাড়াশ উপজেলায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে পৌর সদরের তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার। অবশিষ্ট সাতটি স্কুল, চারটি কলেজ ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং একটি মাদ্রাসায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প থেকে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়। সরেজমিনে অধিকাংশ ডিজিটাল ল্যাবের করুণ দশা দেখা গেছে।
তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, এখানে স্থাপিত ‘স্কুল অব ফিউচার’ কার্যত বন্ধ। প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম জানান, অপারেটর না থাকায় কার্যক্রম বন্ধ। টেকনিশিয়ান চেয়ে বারবার আইসিটি অধিদপ্তরে আবেদন করেও সাড়া মেলেনি।
নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজের ডিজিটাল ল্যাবের ৩০টি ডেস্কটপ কম্পিউটারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম সম্পূর্ণ অচল এবং ল্যাবটি এখন ই-বর্জ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. বেলাল হোসেন আনছারী বলেন, নিম্নমানের সরঞ্জামের কারণে ল্যাবটি অচল হয়ে পড়েছে।
গুল্টা বাজার শহীদ এম মনসুর আলী ডিগ্রি কলেজে ল্যাপটপ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পাঁচ থেকে সাতটি কম্পিউটার উধাও। অভিযোগ উঠেছে, কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান ও তাঁর নিকটজনেরা এসব ল্যাপটপ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন।
অন্যান্য ল্যাবের অবস্থাও এই তিন ল্যাবের মতো। তবে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে কয়েকটি কম্পিউটার এখনো সচল রয়েছে। ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর ল্যাবের কক্ষটি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ল্যাব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ১৪টি শর্ত প্রযোজ্য থাকলেও বাস্তবে তা মানা হয়নি। মূলত সংশ্লিষ্ট আসনের সংসদ সদস্যরা নিয়মকানুন অমান্য করে তাঁদের পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিও লেটার দিয়েছেন এবং সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এসব ল্যাব প্রতিষ্ঠায় ঠিক কত টাকা ব্যয় করা হয়েছে, তার সঠিক হিসাব তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আইটি বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রতিটি ল্যাব স্থাপনে গড়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সেই হিসাবে তাড়াশের ১৮টি ল্যাবে ৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, যা এখন ব্যর্থতায় পর্যবসিত।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা অভিযোগ করেন, ল্যাবগুলোর সমস্যার বিষয়ে বারবার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরে আবেদন করেও কোনো সাড়া মেলেনি। উপজেলা আইসিটি অফিসারের কার্যালয় থেকে সমস্যা নিয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হলেও তা শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মো. আবু রায়হান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ল্যাব পরিদর্শনের প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ল্যাব প্রতিষ্ঠার সময় বরাদ্দ বা সরঞ্জামের মান সম্পর্কে তাঁদের অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি নষ্ট হলে প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা এগুলো ফেলে রাখেন। যার ফলে তা একদিন অচল হয়ে যায়। তাঁর মতে, দ্রুত অর্থ বরাদ্দ করে বিশেষজ্ঞ দ্বারা ল্যাবগুলো নিয়মিত সার্ভিস করা না গেলে সরকারের আইসিটি শিক্ষা প্রদান কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের বর্তমান প্রকল্প পরিচালক এ এস এম লোকমান কোনো তথ্য দিতে পারেননি এবং আগের প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
অভয়নগর কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলাম (৫০) হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পার হলেও এখনো কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনার জেরে আগুনে ঘর হারা ১৮ পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। নতুন করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও সেনা টহল জোরদার করা হয়েছে।
২৪ মে ২০২৫উত্তরা রাজলক্ষ্মী এলাকায় সকাল সোয়া ১০টার দিকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। মিছিলে ১৫ / ১৬ জন উপস্থিত ছিল। ওই সময় স্থানীয় জনতা তাদের ধাওয়া করে দু’জনকে আটক করে। পরে তাদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
৩ মিনিট আগেপিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে মো. ফিরোজ আলম (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৮ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
১২ মিনিট আগেবগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় তাঁর বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৫ মিনিট আগে