জিয়াউল হক, যশোর

বিয়ের এক বছরের মাথায় স্বামী মারা যান নাজমা আক্তারের। এরপরই জীবনযুদ্ধে নামতে হয় নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান নাজমাকে। চাকরি নেন যশোর শহরতলির ধর্মতলা এলাকার পপুলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। শুরু করেন শিক্ষকতা। সামান্য বেতনে তখন নিজের খরচটুকু চললেও মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় বাপের বাড়ি।
নাজমা আক্তার বলেন, ‘কারও বোঝা হতে চাইনি। কিন্তু করোনা মহামারিতে এক বছরের বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ রয়েছে। প্রথম দুই–তিন মাস কর্তৃপক্ষ কিছু টাকা দিয়েছিল। এরপর তা–ও বন্ধ করে দেয়। দেখছি, তাদেরই এখন আয় নেই। তাই লজ্জায় আর চাইতে পারিনি। একই অবস্থা বাবার পরিবারেও।’
শুধু নাজমা আক্তার নন, তাঁর মতো এ রকম জেলার ৩৩৭টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অন্তত দুই হাজার শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারী করোনার কারণে উপার্জনহীন হয়ে পড়েছেন। যদিও শিক্ষকদের সংখ্যা নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেনি যশোর প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়। নিবন্ধনহীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ায় সরকারি কোনো অনুদান মেলেনি তাঁদের।
দীর্ঘ ১৬ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় জেলার আট উপজেলার এসব কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষককে দুর্বিষহ জীবন কাটাতে হচ্ছে। এমনকি ঈদ আনন্দ নেই তাঁদের পরিবারে। শুধু শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নন, স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠান ভাড়ার টাকা জোগাতে বিপাকে পড়েছে। কোনোটির ভাড়া বকেয়া পড়েছে দুই লাখ টাকারও বেশি।
জেলা সদর উপজেলা, কেশবপুর, মনিরামপুর, চৌগাছা, ঝিকরগাছা, অভয়নগর, শার্শা ও বাঘারপাড়ার সব কটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের একই চিত্র। এমনটি জানিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধিরা।
যশোর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম জানান, যশোর জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তালিকাভুক্ত এমন কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে ৩৩৭টি। ২০২০ সাল পর্যন্ত হালনাগাদ করা এ তালিকায় নেই শিক্ষকের সংখ্যা নেই। তবে সরকারি বই বিতরণের হিসাব অনুযায়ী, ৫০ হাজার ২৮০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে এসব স্কুলে।
যশোর সদরের ভেকুটিয়া বি বি এল কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক এনামুল হক বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থীই এখন স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে না। দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় আমরা তাদের কাছ থেকে বেতন নিতে পারিনি। এতে আমাদেরও বেতন হয়নি। তা ছাড়া কয়েকজনকে প্রাইভেট পড়াতাম। সেটাও কমে গেছে; যা জমানো টাকা ছিল, তা–ও শেষের পথে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এখন।’
তুষার হোসেন, রাফেজা খাতুন, ইমদাদ হোসেনসহ অনেকেই এমন দুরবস্থার কথা জানিয়েছেন।
সদর উপজেলার পপুলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পরিচালক আলী আহমেদ বলেন, ‘স্কুল খুলবে সে আশায় এখনো ভাড়া টেনে যাচ্ছি। ভাড়া বকেয়া পড়ে গেছে দুই লাখ টাকারও বেশি। শিক্ষকদেরও বেতন দিতে পারছি না। সব মিলিয়ে খুব বাজে সময় পার করছি।’
মনিরামপুর প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন জানান, উপজেলাটিতে ৩৩টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রায় ২০০ শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানে। এক বছরের বেশি সময় ধরে বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তাঁরা।
মনিরামপুর বাজারের প্রতিভা বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, এখানে ১৩–১৪ জন শিক্ষক রয়েছেন। করোনার মাত্র তিন মাসের বেতন দিতে পেরেছি। প্রতি মাসে এক লাখ টাকা বেতন দিতে হতো। এক বছর ধরে ১২ হাজার টাকা করে ঘর ভাড়া গুনে যাচ্ছি। কত দিন টেনে যেতে পারব, জানি না।’
মনিরামপুর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জহির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের জন্য কিছু করতে পারিনি।’
কেশবপুর প্রতিনিধি কামরুজ্জামান রাজু জানান, উপজেলায় কিন্ডারগার্টেন রয়েছে ১৮টি। এসব প্রতিষ্ঠানে নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ত প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী। দুই শতাধিক শিক্ষক–কর্মকর্তা এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। এসব শিক্ষকের মধ্যে অনেকেই পেশা বদল করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তবে লকডাউনের কারণে সেটাও থমকে গেছে।
উপজেলার পাঁজিয়া এডাস স্কুলের শিক্ষক জয় মিত্র বলেন, ‘চার সদস্যের পরিবার আমার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ধার-দেনা করে সংসার চালাতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে স্কুলের তিনজন কর্মচারী খেতে দিনমজুরের কাজ করছেন।
কেশবপুরের সূচনা কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে খুবই দুরবস্থায় আছি। কয়েকটি টিউশন পড়াচ্ছিলাম, সেটাও লকডাউনে বন্ধ হয়ে গেছে।’
উপজেলার কিন্ডার স্কলারশিপ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বিশ্বাস বলেন, ‘কেশবপুরের ১৮টি কিন্ডারগার্টেনের দুই শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী কোনো সহযোগিতা না পেয়ে দিশেহারা অবস্থায় আছেন।’
অভয়নগর প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম জানান, উপজেলাটিতে শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারায় এবং ঘর ভাড়া টানতে না পেরে চরম বিপাকে আছে কিন্ডারগার্টেনগুলোর কর্তৃপক্ষ। কোনোটির কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। এমনই একটি প্রতিষ্ঠান এম এ আজিজ মেমোরিয়াল কিন্ডারগার্টেন।
এর স্বত্বাধিকারী মো. জহির রায়হান বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল শিক্ষার আলো সর্বত্র ছড়িয়ে দেব। কিন্তু ভয়াবহ করোনার গ্রাসে আজ স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষক, কর্মচারীর বেতন এবং বাড়ি ভাড়া দিতে গিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। বাধ্য হয়ে স্কুলের বাড়ি ছেড়ে দিয়েছি। শিক্ষক, কর্মচারীদের অন্যত্র কিছু করার জন্য বলা হয়েছে।’
বাঘারপাড়া প্রতিনিধি সুমন পারভেজ জানান, উপজেলাটিতে ৩৩টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। বাঘারপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, ৩৩টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষার্থী রয়েছে দুই হাজারের কাছাকাছি। আর শিক্ষক রয়েছেন দুই শতাধিক।
উপজেলার বর্ণময় কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘সরকারের উচিত আমাদের পাশে দাঁড়ানো। কারণ আমাদের মতো শিক্ষকেরা লজ্জায় কারও কাছে সাহায্য চাইতে পারছি না।’
যশোরের চৌগাছায়ও কষ্টে দিন কাটছে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দুই শতাধিক শিক্ষক–কর্মচারীর। পৌর সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অন্তত ২০টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে দুই শতাধিক শিক্ষক–কর্মচারী চাকরি করেন।
যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম বলেন, ‘যশোরে কয়েকটি মাত্র কিন্ডারগার্টেন স্কুলের রেজিস্ট্রেশন আছে। তারা ব্যক্তিমালিকানাধীন থাকায় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করে না কখনো। তারপরও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আমরা তাঁদের একটি তালিকা তৈরি করেছি। সরকার আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে, কোনো শিক্ষার্থী যাতে সমস্যায় না পড়ে। আমরা সেদিকটি খেয়াল রাখছি।’
শেখ অহিদুল আলম বলেন, ‘অনেকেই কিন্ডারগার্টেন ছেড়ে মূল ধারায় ফিরে এসেছে। আমরা তাদের ভর্তি করে নিচ্ছি। তবে শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আপাতত আমাদের করণীয় কিছু নেই।’

বিয়ের এক বছরের মাথায় স্বামী মারা যান নাজমা আক্তারের। এরপরই জীবনযুদ্ধে নামতে হয় নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান নাজমাকে। চাকরি নেন যশোর শহরতলির ধর্মতলা এলাকার পপুলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। শুরু করেন শিক্ষকতা। সামান্য বেতনে তখন নিজের খরচটুকু চললেও মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় বাপের বাড়ি।
নাজমা আক্তার বলেন, ‘কারও বোঝা হতে চাইনি। কিন্তু করোনা মহামারিতে এক বছরের বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ রয়েছে। প্রথম দুই–তিন মাস কর্তৃপক্ষ কিছু টাকা দিয়েছিল। এরপর তা–ও বন্ধ করে দেয়। দেখছি, তাদেরই এখন আয় নেই। তাই লজ্জায় আর চাইতে পারিনি। একই অবস্থা বাবার পরিবারেও।’
শুধু নাজমা আক্তার নন, তাঁর মতো এ রকম জেলার ৩৩৭টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অন্তত দুই হাজার শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারী করোনার কারণে উপার্জনহীন হয়ে পড়েছেন। যদিও শিক্ষকদের সংখ্যা নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেনি যশোর প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়। নিবন্ধনহীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ায় সরকারি কোনো অনুদান মেলেনি তাঁদের।
দীর্ঘ ১৬ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় জেলার আট উপজেলার এসব কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষককে দুর্বিষহ জীবন কাটাতে হচ্ছে। এমনকি ঈদ আনন্দ নেই তাঁদের পরিবারে। শুধু শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নন, স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠান ভাড়ার টাকা জোগাতে বিপাকে পড়েছে। কোনোটির ভাড়া বকেয়া পড়েছে দুই লাখ টাকারও বেশি।
জেলা সদর উপজেলা, কেশবপুর, মনিরামপুর, চৌগাছা, ঝিকরগাছা, অভয়নগর, শার্শা ও বাঘারপাড়ার সব কটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের একই চিত্র। এমনটি জানিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধিরা।
যশোর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম জানান, যশোর জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তালিকাভুক্ত এমন কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে ৩৩৭টি। ২০২০ সাল পর্যন্ত হালনাগাদ করা এ তালিকায় নেই শিক্ষকের সংখ্যা নেই। তবে সরকারি বই বিতরণের হিসাব অনুযায়ী, ৫০ হাজার ২৮০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে এসব স্কুলে।
যশোর সদরের ভেকুটিয়া বি বি এল কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক এনামুল হক বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থীই এখন স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে না। দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় আমরা তাদের কাছ থেকে বেতন নিতে পারিনি। এতে আমাদেরও বেতন হয়নি। তা ছাড়া কয়েকজনকে প্রাইভেট পড়াতাম। সেটাও কমে গেছে; যা জমানো টাকা ছিল, তা–ও শেষের পথে। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এখন।’
তুষার হোসেন, রাফেজা খাতুন, ইমদাদ হোসেনসহ অনেকেই এমন দুরবস্থার কথা জানিয়েছেন।
সদর উপজেলার পপুলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পরিচালক আলী আহমেদ বলেন, ‘স্কুল খুলবে সে আশায় এখনো ভাড়া টেনে যাচ্ছি। ভাড়া বকেয়া পড়ে গেছে দুই লাখ টাকারও বেশি। শিক্ষকদেরও বেতন দিতে পারছি না। সব মিলিয়ে খুব বাজে সময় পার করছি।’
মনিরামপুর প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন জানান, উপজেলাটিতে ৩৩টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রায় ২০০ শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানে। এক বছরের বেশি সময় ধরে বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তাঁরা।
মনিরামপুর বাজারের প্রতিভা বিদ্যানিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, এখানে ১৩–১৪ জন শিক্ষক রয়েছেন। করোনার মাত্র তিন মাসের বেতন দিতে পেরেছি। প্রতি মাসে এক লাখ টাকা বেতন দিতে হতো। এক বছর ধরে ১২ হাজার টাকা করে ঘর ভাড়া গুনে যাচ্ছি। কত দিন টেনে যেতে পারব, জানি না।’
মনিরামপুর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জহির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের জন্য কিছু করতে পারিনি।’
কেশবপুর প্রতিনিধি কামরুজ্জামান রাজু জানান, উপজেলায় কিন্ডারগার্টেন রয়েছে ১৮টি। এসব প্রতিষ্ঠানে নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ত প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী। দুই শতাধিক শিক্ষক–কর্মকর্তা এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। এসব শিক্ষকের মধ্যে অনেকেই পেশা বদল করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তবে লকডাউনের কারণে সেটাও থমকে গেছে।
উপজেলার পাঁজিয়া এডাস স্কুলের শিক্ষক জয় মিত্র বলেন, ‘চার সদস্যের পরিবার আমার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ধার-দেনা করে সংসার চালাতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে স্কুলের তিনজন কর্মচারী খেতে দিনমজুরের কাজ করছেন।
কেশবপুরের সূচনা কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে খুবই দুরবস্থায় আছি। কয়েকটি টিউশন পড়াচ্ছিলাম, সেটাও লকডাউনে বন্ধ হয়ে গেছে।’
উপজেলার কিন্ডার স্কলারশিপ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বিশ্বাস বলেন, ‘কেশবপুরের ১৮টি কিন্ডারগার্টেনের দুই শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী কোনো সহযোগিতা না পেয়ে দিশেহারা অবস্থায় আছেন।’
অভয়নগর প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম জানান, উপজেলাটিতে শিক্ষক–কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারায় এবং ঘর ভাড়া টানতে না পেরে চরম বিপাকে আছে কিন্ডারগার্টেনগুলোর কর্তৃপক্ষ। কোনোটির কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। এমনই একটি প্রতিষ্ঠান এম এ আজিজ মেমোরিয়াল কিন্ডারগার্টেন।
এর স্বত্বাধিকারী মো. জহির রায়হান বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল শিক্ষার আলো সর্বত্র ছড়িয়ে দেব। কিন্তু ভয়াবহ করোনার গ্রাসে আজ স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষক, কর্মচারীর বেতন এবং বাড়ি ভাড়া দিতে গিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। বাধ্য হয়ে স্কুলের বাড়ি ছেড়ে দিয়েছি। শিক্ষক, কর্মচারীদের অন্যত্র কিছু করার জন্য বলা হয়েছে।’
বাঘারপাড়া প্রতিনিধি সুমন পারভেজ জানান, উপজেলাটিতে ৩৩টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। বাঘারপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, ৩৩টি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষার্থী রয়েছে দুই হাজারের কাছাকাছি। আর শিক্ষক রয়েছেন দুই শতাধিক।
উপজেলার বর্ণময় কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘সরকারের উচিত আমাদের পাশে দাঁড়ানো। কারণ আমাদের মতো শিক্ষকেরা লজ্জায় কারও কাছে সাহায্য চাইতে পারছি না।’
যশোরের চৌগাছায়ও কষ্টে দিন কাটছে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দুই শতাধিক শিক্ষক–কর্মচারীর। পৌর সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অন্তত ২০টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে দুই শতাধিক শিক্ষক–কর্মচারী চাকরি করেন।
যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ অহিদুল আলম বলেন, ‘যশোরে কয়েকটি মাত্র কিন্ডারগার্টেন স্কুলের রেজিস্ট্রেশন আছে। তারা ব্যক্তিমালিকানাধীন থাকায় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও করে না কখনো। তারপরও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আমরা তাঁদের একটি তালিকা তৈরি করেছি। সরকার আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে, কোনো শিক্ষার্থী যাতে সমস্যায় না পড়ে। আমরা সেদিকটি খেয়াল রাখছি।’
শেখ অহিদুল আলম বলেন, ‘অনেকেই কিন্ডারগার্টেন ছেড়ে মূল ধারায় ফিরে এসেছে। আমরা তাদের ভর্তি করে নিচ্ছি। তবে শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আপাতত আমাদের করণীয় কিছু নেই।’

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
১ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৪ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২০ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

বিয়ের এক বছরের মাথায় স্বামী মারা যান নাজমা আক্তারের। এরপরই জীবনযুদ্ধে নামতে হয় নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান নাজমাকে। চাকরি নেন যশোর শহরতলির ধর্মতলা এলাকার পপুলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। শুরু করেন শিক্ষকতা। সামান্য বেতনে তখন নিজের খরচটুকু চললেও মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় বাপের বাড়ি।
১৭ জুলাই ২০২১
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৪ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২০ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

বিয়ের এক বছরের মাথায় স্বামী মারা যান নাজমা আক্তারের। এরপরই জীবনযুদ্ধে নামতে হয় নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান নাজমাকে। চাকরি নেন যশোর শহরতলির ধর্মতলা এলাকার পপুলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। শুরু করেন শিক্ষকতা। সামান্য বেতনে তখন নিজের খরচটুকু চললেও মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় বাপের বাড়ি।
১৭ জুলাই ২০২১
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
১ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২০ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।
শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।
শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

বিয়ের এক বছরের মাথায় স্বামী মারা যান নাজমা আক্তারের। এরপরই জীবনযুদ্ধে নামতে হয় নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান নাজমাকে। চাকরি নেন যশোর শহরতলির ধর্মতলা এলাকার পপুলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। শুরু করেন শিক্ষকতা। সামান্য বেতনে তখন নিজের খরচটুকু চললেও মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় বাপের বাড়ি।
১৭ জুলাই ২০২১
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
১ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৪ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিয়ের এক বছরের মাথায় স্বামী মারা যান নাজমা আক্তারের। এরপরই জীবনযুদ্ধে নামতে হয় নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান নাজমাকে। চাকরি নেন যশোর শহরতলির ধর্মতলা এলাকার পপুলার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। শুরু করেন শিক্ষকতা। সামান্য বেতনে তখন নিজের খরচটুকু চললেও মাথা গোঁজার ঠাঁই হয় বাপের বাড়ি।
১৭ জুলাই ২০২১
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
১ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৪ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২০ মিনিট আগে