Ajker Patrika

চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকি: বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা

যশোর প্রতিনিধি
চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকি: বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা

চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার যশোরের বেনাপোল পোর্ট আমলি আদালতে মামলাটি করেন পোর্ট থানা এলাকার বাসিন্দা স্থানীয় দৈনিক নওয়াপাড়ার বেনাপোল প্রতিনিধি সুমন হোসাইন।

মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ আজ মঙ্গলবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের সাবেক অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক (বর্তমান প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত) রেজাউল করিম বলেন, ‘সুমনের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করেন। তাঁর বিরুদ্ধে সম্প্রতি বেনাপোল পোর্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য তিনি মিথ্যা অভিযোগে আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।’

মামলার বাদীর অভিযোগ, তিনি পেশায় একজন সাংবাদিক। বেনাপোল স্থলবন্দরের টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দেখতে যান। সেখানে গিয়ে ঢালাই কাজের ভিডিও ধারণ করেন। এরপর তিনি ওই ভিডিও বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান চৌধুরীর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠিয়ে অনিয়মের প্রতিকারসহ এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য চান। কিন্তু তিনি সংবাদ প্রকাশে নিষেধ করে বাদীকে বেনাপোল স্থলবন্দর রেস্ট হাউসে দেখা করতে বলেন।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, গত ২৩ আগস্ট বিকেলে তিনি বেনাপোল স্থলবন্দর রেস্ট হাউসে যান। সেখানে বিবাদী রেজাউল করিম ও জিল্লুর রহমান চৌধুরীকে দেখতে পান। বাদী টার্মিনাল নির্মাণের অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে প্রতিবেদন করতে চাইলে নিষেধ করা হয়। বাদী সংবাদ প্রকাশে অনড় থাকায় বিবাদীরা তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন।

বাদী মিথ্যা মামলা না করার অনুরোধ জানালে বিবাদী রেজাউল করিম ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আরেক বিবাদী জিল্লুর রহমান চৌধুরী হুমকি দেন টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে নিউজ করে ভাড়াটিয়া খুনি দিয়ে তাঁকে হত্যা করার।

শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের জামাতা বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান চৌধুরী। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হয়েছে। চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের অভিযোগে থানায় মামলা করতে গেলে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সে কারণে তিনি আদালতে মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড: স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, পণ্য খালাস বাড়ছে

জুলাই সনদ: বাস্তবায়ন আদেশের ভিত্তি হবে গণ-অভ্যুত্থান

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাটুরিয়ায় বৃদ্ধাকে হত্যার অভিযোগ: ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতি গ্রেপ্তার

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
সাটুরিয়ায় বৃদ্ধাকে হত্যার অভিযোগ: ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতি গ্রেপ্তার

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বউ-ছেলে মিলে মাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে নিহত ব্যক্তির ছোট ছেলে ঝন্টু রাজবংশী ২২ অক্টোবর সাটুরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নিহত লক্ষ্মী রাজবংশীর বড় ছেলে রঞ্জিত রাজবংশী, তাঁর বউ পার্বতী রানী রাজবংশী ও নাতি পিয়াস রাজবংশী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুল ইসলাম।

এর আগে গত সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার দড়গ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব বটতলা এলাকায় বাড়ির সামনের ডোবা থেকে ওই বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

হত্যা মামলার বাদী নিহত ব্যক্তির ছোট ছেলে ঝন্টু রাজবংশী বলেন, ‘রোববার রাত ১টার দিকে মায়ের ঘরে গিয়ে তাঁকে না পেয়ে সারা রাত খোঁজাখুঁজি করে কোথাও পাইনি। সকালে দেখি বাড়ির সামনের ডোবায় মায়ের লাশ ভেসে আছে। আমার মা প্যারালাইজড রোগী ছিলেন। ওই ডোবায় গেলেন কীভাবে? আমার মাকে ওরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি আমার মা হত্যার বিচার চাই।’

এলাকার বাসিন্দা লিমন কাজী বলেন, ‘লক্ষ্মী রাজবংশী পাঁচ বছর ধরে প্যারালাইজড অবস্থায় ছিলেন। তাঁর হাঁটার সক্ষমতা ছিল না। তাই তিনি কীভাবে ডোবার কাছে গেলেন, তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে। আমরা এই ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।’

নিহত ব্যক্তির বড় মেয়ে কামনা রাজবংশী বলেন, ‘আমার মা দুই বছর ধরে আমার সঙ্গে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ছিলেন। আমার তিন ভাইয়ের কেউ মায়ের ভরণপোষণ করত না, তাই আমি মাকে নিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু আট দিন আগে বড় ভাই রঞ্জিত এসে মাকে নিয়ে যায়। আমার মা তো এমনিই মরা, তবু ওরা আমার মাকে মেরে ফেলল। আমি এর বিচার চাই।’

সাটুরিয়া থানার ওসি মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, ২২ অক্টোবর নিহত ব্যক্তির ছোট ছেলে ঝন্টু রাজবংশী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের আজ বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড: স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, পণ্য খালাস বাড়ছে

জুলাই সনদ: বাস্তবায়ন আদেশের ভিত্তি হবে গণ-অভ্যুত্থান

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
মাওলানা মো. মুহিবুল্লাহ মাদানীকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
মাওলানা মো. মুহিবুল্লাহ মাদানীকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গী থেকে নিখোঁজ বিটিসিএল টিঅ্যান্ডটি কলোনি জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মাওলানা মো. মুহিবুল্লাহ (৬০) মাদানীকে পঞ্চগড় থেকে শিকল দিয়ে হাত-পা বাঁধা অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে পঞ্চগড় শহরের হেলিপ্যাড বাজার এলাকায় একটি গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় তাঁকে দেখতে পান তারা। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন, তবে তাঁর জ্ঞান এখনো ফেরেনি বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আজাদি আন্দোলনের আমির আতাউর রহমান বিক্রমপুরী।

‎আতাউর রহমান জানান, পঞ্চগড়ের যুব সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. হোসেন তাঁকে ফোন করে জানান যে বৃহস্পতিবার ভোরে পঞ্চগড়ের হেলিপ্যাড বাজার এলাকায় একটি গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে হাত-পা বাঁধা অচেতন অবস্থায় মাওলানা মুহিবুল্লাহকে দেখতে পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এখন তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

‎স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মাওলানা মুহিবুল্লাহ চলমান সামাজিক অবক্ষয়, পারিবারিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ও উগ্রপন্থী সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে জুমার খুতবায় বয়ান করার পর থেকে ১২ বার তিনি হুমকি পেয়েছেন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার তাঁকে চিঠি পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ হন।

‎টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, মাওলানা মুহিবুল্লাহকে পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে আসবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড: স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, পণ্য খালাস বাড়ছে

জুলাই সনদ: বাস্তবায়ন আদেশের ভিত্তি হবে গণ-অভ্যুত্থান

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী আটক

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনা মহানগরীর লবণচরায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে লবণচরা থানাধীন সবুজ পল্লি এলাকার ৪ নম্বর কাশেম সড়কে এই ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম ডলি বেগম (৪৫)। তিনি আটক মো. নাজমুল হাসান মোল্লার (৫৫) স্ত্রী।

পুলিশ জানিয়েছে, স্বামী নাজমুল হাসান আজ সকালে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর স্ত্রী ডলি বেগমকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে। পরে নাজমুল হাসান পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রতিবেশী রিকশাচালক আরিফ নগরীর লায়ন্স স্কুলের সামনে থেকে ধরে এনে তাঁকে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে আটক করে। পেশায় রাজমিস্ত্রি নাজমুল হাসান খুলনার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। নিহত ডলি বেগম পাইকগাছা শান্তা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের মেয়ে। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে পাশের ঘরে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে তাঁরা এগিয়ে যান। সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় ডলি বেগমকে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। স্বামী নাজমুল হাসান এ সময় পেছনের বেড়া ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

অন্য ভাড়াটিয়ারা তাৎক্ষণিকভাবে ডলি বেগমকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নাজমুলের মেয়ে সাদিয়া জানান, প্রায়ই তাঁর মা-বাবার মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত। ঝগড়ার জেরে তাঁর মাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন তাঁর বাবা।

লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানওয়ার হোসাইন মাসুম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাজমুল হাসানকে গ্রেপ্তার করি। যে ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড: স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, পণ্য খালাস বাড়ছে

জুলাই সনদ: বাস্তবায়ন আদেশের ভিত্তি হবে গণ-অভ্যুত্থান

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতির সভাপতির ওপর ছাত্রদলের হামলার অভিযোগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আহত দৈনিক কালবেলার সরকারি বাঙলা কলেজ প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম সাব্বির। ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আহত দৈনিক কালবেলার সরকারি বাঙলা কলেজ প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম সাব্বির। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুরে সরকারি বাঙলা কলেজে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতির (বাকসাস) সভাপতি ও দৈনিক কালবেলার বাঙলা কলেজ প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম সাব্বির ছাত্রদলের হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, সংঘর্ষের সময় সাংবাদিক সাব্বির ঘটনাস্থলের ভিডিও ধারণ করছিলেন। বিষয়টি দেখে কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু মিয়া কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে সাব্বিরের ওপর হামলা চালান। এতে সাংবাদিক সাব্বির আহত হন। সঙ্গে থাকা সহকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উদ্ধার করে রাজধানীর ডেলটা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে তাঁকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতি। এক বিবৃতিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিহাব আল নাসিম বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হামলা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। আমরা হামলাকারীদের অবিলম্বে শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

এদিকে ঘটনার বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘আমি খোঁজ দিচ্ছি। এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

এর কিছুক্ষণ পরই ছাত্রদলের অভিযুক্ত ওই নেতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।

ছাত্রদলের সহসভাপতি পদমর্যাদার দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, সরকারি বাঙলা কলেজ শাখার দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে আপনার বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নির্দেশনা প্রদান করেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড: স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, পণ্য খালাস বাড়ছে

জুলাই সনদ: বাস্তবায়ন আদেশের ভিত্তি হবে গণ-অভ্যুত্থান

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত