Ajker Patrika

ইলেকট্রিক মেকানিক থেকে কৃষি উদ্যোক্তা সুমন

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
ইলেকট্রিক মেকানিক থেকে কৃষি উদ্যোক্তা সুমন

যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের সুমন হোসেন বাপ্পি। গ্রামের বাজারে একটি দোকানে ইলেকট্রিক মেকানিকের কাজ করতেন। ইউটিউবে ভিডিও দেখে শুরু করেন বীজবিহীন (সিড লেস) লেবু চাষ। প্রথমবারেই আবাদ করা জমিতে লেবুর ব্যাপক ফলন পাওয়ায় ও বাজারে এ লেবুর চাহিদা থাকায় মেকানিকের কাজ ছেড়ে এখন তিনি হয়ে উঠেছেন কৃষি উদ্যোক্তা।

মঙ্গলকোট গ্রামের মোজাম উদ্দীন গাজীর ছেলে সুমনের (২১) এসএসসি পাশ করার পর থেমে যায় পড়াশোনা। পরে ইলেকট্রিক মেকানিকের কাজ শিখে মঙ্গলকোট বাজারের পাশে একটি দোকান নিয়ে কাজ করতে থাকেন। তবে ব্যবসা মন্দা যাওয়ায় ইউটিউবে ভিডিও দেখে বছর দেড়েক আগে যশোরের বাঘারপাড়া থেকে দেড় শতাধিক লেবুর কলম কিনে আনেন। জমি প্রস্তুত করা, লেবুর কলম লাগানোসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ১০ হাজার টাকা ব্যয় করেন। ৮ মাস পর প্রতিটি গাছে লেবু ধরে।

প্রথমবারেই সুমন প্রায় ১৫ হাজার লেবু বিক্রি করেছেন। একেকটি লেবু বিক্রি করে ১ থেকে ৬ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত দাম পেয়েছেন। এ ছাড়া প্রায় ৪ হাজার লেবুর কলম তৈরি করেছেন। একেকটি কলম ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন। বীজবিহীন এ লেবুতে প্রচুর রস হওয়ায় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া এ লেবুর কলম কিনতে বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ওই বাগানে আসছেন। লেবু বাগানে নিয়মিত একজন শ্রমিক কাজ করেন। পাশাপাশি লেবুর কলম তৈরির সময় কাজ করেন ৩-৪ জন শ্রমিক।

কৃষি উদ্যোক্তা সুমন বলেন, ‘ইউটিউবে ভিডিও দেখে দেড় শতাধিক বীজবিহীন লেবুর কলম কিনে ২৬ শতক জমিতে আবাদ করি। ৮ মাসের মাথায় প্রথম ফলন পাই। গাছের বয়স এখন ১৮ মাস। প্রতিটি গাছে প্রায় দেড় হাজার লেবুর ফলন পেয়েছি। এসব লেবু পাশের চুকনগরের আঠারোমাইল বাজারসহ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করি। লেবুতে বীজ না থাকায় শরবত বিক্রেতারও বাগান থেকে লেবু কিনে নিয়ে যান।’

 ‘লেবু বিক্রি করে ভালো লাভবান হওয়ায় আরও ৩৬ শতক জমিতে লেবু চাষ শুরু করেছি। এ লেবু চাষে তেমন রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয় না। জৈব সার ব্যবহার করে ভালো ফলন পাওয়া যায়। তাই খরচও কম। বারোমাসি এ লেবু চাষ করে প্রতি মৌসুমে লক্ষাধিক টাকা আয় করা সম্ভব।’ এ কাজে কৃষি অফিসের পরামর্শ পেয়েছি। বলেন উদ্যোক্তা সুমন।

সুমন আরও বলেন, প্রথম যখন লেবুর কলম কিনে আনি তখন এলাকার অনেকেই পাগলসহ বিভিন্ন কথা বলত। যাঁরা এসব কথা বলত এখন তাঁরাই এ লেবু কিনছেন। এ কাজে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। তাঁদের অনেকেই এখন লেবুর বাগান করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। দেশে অসংখ্য বেকার যুবক রয়েছে। তারা যদি কৃষি উদ্যোক্তা হয় তাহলে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি বেকারত্ব দূর হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন, বীজবিহীন লেবু চাষের বিষয়ে সুমনকে উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হয়। তাঁর বাগান দেখে অন্যরাও লেবুর বাগান করার জন্য উৎসাহী হয়েছেন। নতুন কৃষি উদ্যোক্তাদেরও কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হবে। এভাবে নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি হলে কৃষি খাত এগিয়ে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কাফনের কাপড় পরে কাল পদযাত্রা করবেন ইবতেদায়ি শিক্ষকেরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবিতে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকেরা। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষক ঐক্যজোট আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নবম দিনের মতো অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। এ সময় তাঁরা জানান, দাবি মানা না হলে আগামীকাল কাফনের কাপড় পরে পদযাত্রা করবেন তাঁরা।

ধর্মঘট পালনকালে সমাবেশে ঐক্যজোটের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা শামসুল হক আনছারী বলেন, ‘১০৮৯টি স্বতন্ত্র মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। স্বীকৃতিপ্রাপ্ত অনুদানবিহীন সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার এমপিও আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় আমরা আগামীকাল বুধবার কাফনের কাপড় পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পদযাত্রা করব।’

মানিকপুর মোহাম্মাদিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো. মুহিব বুল্লাহ সিরাজী বলেন, ‘দাবি পূরণ না হলে আগামীতে আমরা লংমার্চ টু যমুনা যেতে বাধ্য হব।’

সমাবেশে বক্তব্য দেন আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মো. সামসুল আলম, সদস্যসচিব মোহাম্মদ আল-আমিন, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাশিক্ষক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান, উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন জিহাদি, মহাসচিব মো. সামছুল আলম প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পদ্মায় দেখা মিলল বিলুপ্তপ্রায় কুমিরের, নদীতে গোসল না করতে মাইকিং

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর পদ্মায় বিলুপ্তপ্রায় কুমিরের দেখা মিলল। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহীর পদ্মায় বিলুপ্তপ্রায় কুমিরের দেখা মিলল। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর পদ্মায় ছোট-বড় একাধিক কুমিরের দেখা মিলেছে। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক একটি কুমিরের ছবি তুলেছেন এক দম্পতি। আর ছোট এক বা একাধিক কুমির দেখেছেন নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা। তাঁরা অবশ্য ছবি তুলতে পারেননি। এই অবস্থায় নদীতে গোসল করা থেকে বিরত থাকতে এলাকায় মাইকিং করেছে বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পদ্মার চরে পাখির ছবি তুলতে যান ইমরুল কায়েস ও উম্মে খাদিজা ইভা দম্পতি। তাঁরা পাখির বদলে কুমিরের ছবি নিয়ে বাড়ি ফেরেন। ষাটবিঘা চরের রাজু আহাম্মেদ গরু চরাতে গিয়ে প্রথম কুমিরটি দেখতে পান। ওই দম্পতি যে কুমিরের ছবি তোলেন, সেটি প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর জোট আইইউসিএন বাংলাদেশে বিলুপ্ত শ্রেণির হিসেবে ঘোষণা করেছে। নতুন করে এ কুমিরের দেখা পাওয়া গেছে।

ইমরুল কায়েস-উম্মে খাদিজা দুজনই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পেশায় তাঁরা আলোকচিত্রী। তাঁরা সেদিন পদ্মার চরে লাল মুনিয়া পাখির ছবি তুলতে যান। সেখানে যাওয়ার পর রাজশাহী বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির মোবাইল ফোনে কল করেন ইমরুল কায়েসকে। তিনি জানান, চরে গরু চরাতে গিয়ে একটি ছেলে কুমির দেখতে পেয়েছেন। তারপরই শুরু হয় নদীতে কুমির খোঁজার অভিযান। একপর্যায়ে দেখা মেলে।

খাদিজার ভাষায়, ‘যদি কুমিরটা পানিতে থাকে, তাহলে ড্রোন দিয়ে দেখা যেতে পারে। কিছুক্ষণ বসে থাকার পর কায়েস ড্রোন ওড়ান। কায়েস প্রথমে ড্রোনটা আমাদের ডান দিকে পাঠালেন। কিন্তু কুমিরের দেখা নেই। একটু পর কায়েস হুট করে উত্তেজিত হয়ে বলে উঠলেন, ‘‘পাগলি কুমির!’’ আমি খুশিতে এক লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ালাম।

‘কায়েসকে জিজ্ঞেস করলাম, কোন দিকে কুমির? কায়েস বললেন, ডান দিকে সামনে। আমি আর কায়েস ড্রোন চালু রাখা অবস্থায় দুজন কুমিরের দিকে হাঁটা ধরলাম। কিছু দূর হাঁটতে হাঁটতে অবশেষে জীবনে প্রথম সামনাসামনি ওয়াইল্ডে কুমিরের দেখা পেলাম। কায়েস ড্রোন দিয়ে কিছু ভিডিও ও ছবি নিলেন, আমি ক্যামেরায় কিছু ভিডিও করলাম। আমরা খুশিতে আত্মহারা।’

আইইউসিএনের মুখ্য গবেষক এ বি এম সারোয়ার আলম (সীমান্ত দীপু) জানান, ২০১৫ সালে বাংলাদেশে মিঠাপানির কুমিরকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর পাবনা জেলায় একটি কুমিরের সন্ধান মেলে, পরে দেশের আরও দুটি স্থানে দেখা যায় একই প্রজাতির কুমির। বর্তমানে এ দুটি কুমিরকে সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজননকেন্দ্রে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

সারোয়ার আলম মনে করেন, এগুলো বাংলাদেশের প্রকৃতিতে জন্ম নেওয়া কুমির নয়। এরা বয়স্ক এবং সম্ভবত ভারতের চাম্বুল নদ এলাকা থেকে এসেছে।

এদিকে পদ্মায় প্রাপ্তবয়স্ক কুমিরটিকে বিরক্ত না করতে আজ মঙ্গলবার রাজশাহী বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পক্ষ থেকে নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় জেলেদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় জেলেরা জানান, কয়েক দিনের মধ্যে তাঁরাও ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া চরমাজারদিয়া এলাকায় পদ্মা নদীতে কুমির দেখেছেন। তবে তাঁদের দেখা কুমির ছবিতে আসা কুমিরটির মতো বড় নয়, সেটি ছোট।

জানতে চাইলে রাজশাহী বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘জেলেরা ছোট কুমির দেখেছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। তবে ইমরুল কায়েস ও উম্মে খাদিজা দম্পতি প্রাপ্তবয়স্ক কুমিরের ছবি তুলেছেন। এখন স্থানীয়রা নাকি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছেন কুমিরটি ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমার কাছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ জন্য ফোন এসেছিল। এই অবস্থায় স্থানীয়দের সচেতন করতে আমরা আজ লিফলেট বিতরণ করেছি।’

জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘প্রাপ্তবয়স্ক কুমিরটির সঙ্গী থাকতে পারে। আবার জেলেরা ছোট কুমির দেখার দাবি করছেন। তাহলে বোঝা যায় যে, কুমির আছে। এখন আমাদেরই সচেতন থাকতে হবে। জলজ প্রাণী জলেই থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। তাদের বিরক্ত করা যাবে না।’

তবে কুমিরের ছবি তোলা আলোকচিত্রী ইমরুল কায়েস আশঙ্কা করছেন, কুমিরটি খুঁজে ধরে নিয়ে যেতে পারে আইইউসিএন। কিন্তু তিনি চান, কুমিরটি উন্মুক্তভাবেই নদীতে থাকুক। তাহলে এর প্রজনন হবে।

ইমরুল কায়েস বলেন, ‘এর আগে আমরা দেখেছি, কোথাও কুমির পেলে আইইউসিএন সেটাকে ধরে নিয়ে গেছে। প্রজননের জন্য সেটিকে সুন্দরবনে ব্রিডিং সেন্টারে রেখেছে। সেটা তো খাঁচার মতো। আমরা চাই, এই কুমিরকে যেন সেখানে না নেওয়া হয়। তা না হলে আমাদেরই অপরাধী মনে হবে যে, আমরা ছবিটা তুলেছি বলে কুমিরটাকে খাঁচায় বন্দী হতে হলো।’

পদ্মা নদীতে গোসল না করতে প্রচারপত্র বিতরণ। ছবি: আজকের পত্রিকা
পদ্মা নদীতে গোসল না করতে প্রচারপত্র বিতরণ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লিফলেট

এতে বলা হয়েছে, কুমির হলো জলচর সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী। এরা হিংস্র স্বভাবের। কুমিরের মাথা সরু ও দীর্ঘ আকারের হয়। কুমিরের মুখটি ইংরেজি ‘ভি’ আকৃতিবিশিষ্ট হয়। সব কুমিরই অর্ধ-জলচর প্রাণী। এরা মূলত নদী, হ্রদ ও জলাভূমির মিষ্টি জলেই বাস করে। কোনো কোনো প্রজাতির কুমির অর্ধ-লবণাক্ত বা লবণাক্ত জলে বাস করে। রোদ পোহানোর জন্য এরা ডাঙ্গায় চলে আসে। এরা মাংসাশী প্রাণী। প্রধানত মাছ, জলাশয়ে বসবাসকারী পাখি ও অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণী খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।

কুমিরের আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য কুমিরের দেখা পেলে অতি উৎসাহী হয়ে বিরক্ত না করা, বাচ্চাদের নদীর কিনারায় যেতে না দেওয়া, দিনে ও রাতের বেলায় মাছ আহরণের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা, নদীতে গোসল করা থেকে বিরত থাকা, ছোট ছোট নৌযান চলাচলে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা, কুমিরের রোদ পোহানোর সময় ঢিল না ছোড়া এবং তাড়ানোর চেষ্টা না করা, রাতের বেলায় নদী ও নদীপাড়ের সব কাজ থেকে সাময়িকভাবে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে।

জলজ পরিবেশে কুমিরের গুরুত্বও তুলে ধরা হয় এ লিফলেটে। বলা হয়, কুমির জলজ খাদ্যশৃঙ্খলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কুমির মরা, পচা মাছ ও অন্যান্য জলজ মৃত প্রাণী ভক্ষণ করে জলজ পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখে। সর্বোপরি কুমির জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

এ ছাড়া আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী, কুমিরকে বিরক্ত করা, রোদ পোহানোর সময় ঢিল ছোড়া, তাড়ানোর চেষ্টা করা, ধরা, মারা, ক্রয়-বিক্রয়, পাচার করা, পরিবহন করা, হত্যা ইত্যাদি শাস্তিযোগ্য অপরাধ; যার সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে দুই ট্রাক সাদাপাথর জব্দ, দেড় লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ট্রাকে করে পাথর নেওয়ার সময় দুই চালককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাঁরা হলেন বগুড়ার নরুইল গ্রামের রেজওয়ান (২৭) ও কালিবালা গ্রামের আরিফুল (৩৫)। মঙ্গলবার সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই ট্রাকচালককে জরিমানা করা হয়।

এর আগে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়কে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে ট্রাক দুটি আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, সোমবার দিবাগত রাতে ওই ট্রাক দুটি ভোলাগঞ্জ থেকে পাথর নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তাদের তল্লাশিচৌকিতে আটক করা হয়। পরে পাথরবিষয়ক কাগজপত্র দেখাতে পারেননি চালকেরা। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলে পাথর পরিবহন করা ট্রাক দুটিসহ দুজনকে আটক করা হয়।

আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবুল হাছনাত। তিনি বলেন, আটক দুজনকে সতর্ক করা হয়েছে। জব্দ করা পাথর উপজেলা প্রশাসনের জিম্মায় রয়েছে। এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইয়াবাসহ শ্রমিক দলের সভাপতি গ্রেপ্তার

বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি 
গ্রেপ্তার ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি গোলাম রব্বানী। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি গোলাম রব্বানী। ছবি: সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ১০টি ইয়াবাসহ ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি গোলাম রব্বানীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি দুরুল হুদা। গ্রেপ্তার গোলাম রব্বানী বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি এবং লালপুর দীঘলবস্তি গ্রামের মৃত ইব্রাহিমের ছেলে।

পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় মাদক বিক্রির খবর পেয়ে দুওসুও ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এর লালপুর দীঘলবস্তি কবরস্থানের সামনে থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে তল্লাশি চালিয়ে ১০টি ইয়াবা উদ্ধার পুলিশ।

এ বিষয়ে উপজেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাদক কারবারি তো দূরের কথা, মাদক সেবন করে এমন লোকদেরও দলে ঠাঁই নেই। তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁর অপকর্মের দায় দল নেবে না।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি দুরুল হুদা বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত