মাসুদুর রহমান মাসুদ, ঝিকরগাছা (যশোর)
আগামীকাল ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস। প্রতিবছর দিবসটি ঘিরে ফুলের বাজার চাঙা হলেও এবার কাঙ্ক্ষিত বেচাকেনা না হওয়ায় চাষিরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী-পানিসারার চাষিরা ফুলের কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাননি।
গাঁদা ফুলের দাম বাড়লেও অন্যান্য ফুল আরও কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে চাষিদের। গতকাল বুধবার গদখালী ফুল বাজারে দাম না থাকায় চাষিদের মুখে হাসি দেখা যায়নি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা মূলত দুই দিন আগেই এখানে ফুল কিনতে আসেন। সেই হিসাবে বুধবার কাকডাকা ভোরে বসেছিল দিবসটি ঘিরে মূল হাট।
আজ বৃহস্পতিবারও প্রতিদিনের মতো হাট বসে। তবে সেখানে ফুল কিনতে আসেন যশোরের স্থানীয় ও আশপাশের ব্যবসায়ীরা। যদিও ফুলের কাঙ্ক্ষিত দাম বাড়েনি।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বসন্তবরণ এবং বিশ্ব ভালোবাসা দিবসেও গদখালী-পানিসারা এলাকার চাষিরা ফুলের কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি বলে জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, এই মৌসুমে ফুলের কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না তাঁরা। গত পাঁচ দিনে গদখালী ফুলের বাজারে ৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে, যা অন্যবারের তুলনায় অর্ধেক। এর আগে বসন্তবরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এই হাটে ১৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছিল। প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে ফুলের হাট শুরু হয়, চলে ৯টা পর্যন্ত।
বুধবার গদখালীতে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে গাঁদা ফুল। অন্য দিনের তুলনায় দ্বিগুণ দামে গাঁদা ফুল কেনাবেচা হয়। ৪০০ টাকার গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে ৭০০-১২০০ টাকা পর্যন্ত। তা ছাড়া, গোলাপ, জারবেরা, ফুল বাঁধাইয়ের জন্য কামিনীপাতা, জিপসির আঁটি, চন্দ্রমল্লিকা ও রকস্টিকের আঁটি আগের দামে বিক্রি হয়েছে। তবে রজনীগন্ধা ও রঙিন গ্লাডিউলাস কিছুটা চড়া দামে বিক্রি হয়।
নীলকণ্ঠ নগরের তৌহিদুর রহমান জানি বলেন, ‘সাড়ে তিন বিঘা জমিতে কয়েক রকম ফুলের চাষ করেছি। দাম না থাকায় এসব ফুল বিক্রি করে এ বছর সার-কীটনাশকের টাকাও উঠছে না।’
পটুয়াপাড়া (হাড়িয়াপাড়া) গ্রামের শাহানারা খাতুন বলেন, ‘তিন বিঘা জমির মধ্যে আড়াই বিঘা জমিতে গোলাপ ফুলের চাষ করেছি। দাম না থাকায় ফুল বিক্রি হয়েছে মাত্র ১ লাখ টাকা।’
বাজারে ফুল বিক্রি করতে আসা টাওরা গ্রামের কৃষক খোরশেদ আলম বলেন বলেন, ‘আমি তিন বিঘা জমিতে ফুল চাষ করেছি। এর মধ্যে ২৫ শতক জমির গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে ৪০ হাজার টাকায়। ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে গাঁদা ফুলের দাম বাড়তি পেয়েছি।’
চাঁদপুর থেকে ফুল কিনতে আসা সালাউদ্দিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ফুল কিনতে এসেছি। গাঁদাসহ ২৫ হাজার টাকার ফুল কিনেছি।’
যশোরের ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বসন্তবরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করেই এখানে ফুলের চাষ করা হয়। এ সময় ফুলের বাড়তি চাহিদা থাকে। তবে এই মৌসুমে ফুলের কাঙ্ক্ষিত দাম না থাকায় চাষিদের মুখে হাসি নেই।’
জানা গেছে, ঝিকরগাছায় ১২০০ হেক্টর জমিতে ১১ প্রকারের ফুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। উপজেলার ৬ হাজার পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ ফুল চাষের সঙ্গে জড়িত। এ অঞ্চলে প্রতিবছর ৩৫০ কোটি টাকার ফুল উৎপাদন হয়।
আগামীকাল ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস। প্রতিবছর দিবসটি ঘিরে ফুলের বাজার চাঙা হলেও এবার কাঙ্ক্ষিত বেচাকেনা না হওয়ায় চাষিরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী-পানিসারার চাষিরা ফুলের কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাননি।
গাঁদা ফুলের দাম বাড়লেও অন্যান্য ফুল আরও কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে চাষিদের। গতকাল বুধবার গদখালী ফুল বাজারে দাম না থাকায় চাষিদের মুখে হাসি দেখা যায়নি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা মূলত দুই দিন আগেই এখানে ফুল কিনতে আসেন। সেই হিসাবে বুধবার কাকডাকা ভোরে বসেছিল দিবসটি ঘিরে মূল হাট।
আজ বৃহস্পতিবারও প্রতিদিনের মতো হাট বসে। তবে সেখানে ফুল কিনতে আসেন যশোরের স্থানীয় ও আশপাশের ব্যবসায়ীরা। যদিও ফুলের কাঙ্ক্ষিত দাম বাড়েনি।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বসন্তবরণ এবং বিশ্ব ভালোবাসা দিবসেও গদখালী-পানিসারা এলাকার চাষিরা ফুলের কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি বলে জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, এই মৌসুমে ফুলের কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না তাঁরা। গত পাঁচ দিনে গদখালী ফুলের বাজারে ৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে, যা অন্যবারের তুলনায় অর্ধেক। এর আগে বসন্তবরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এই হাটে ১৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছিল। প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে ফুলের হাট শুরু হয়, চলে ৯টা পর্যন্ত।
বুধবার গদখালীতে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে গাঁদা ফুল। অন্য দিনের তুলনায় দ্বিগুণ দামে গাঁদা ফুল কেনাবেচা হয়। ৪০০ টাকার গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে ৭০০-১২০০ টাকা পর্যন্ত। তা ছাড়া, গোলাপ, জারবেরা, ফুল বাঁধাইয়ের জন্য কামিনীপাতা, জিপসির আঁটি, চন্দ্রমল্লিকা ও রকস্টিকের আঁটি আগের দামে বিক্রি হয়েছে। তবে রজনীগন্ধা ও রঙিন গ্লাডিউলাস কিছুটা চড়া দামে বিক্রি হয়।
নীলকণ্ঠ নগরের তৌহিদুর রহমান জানি বলেন, ‘সাড়ে তিন বিঘা জমিতে কয়েক রকম ফুলের চাষ করেছি। দাম না থাকায় এসব ফুল বিক্রি করে এ বছর সার-কীটনাশকের টাকাও উঠছে না।’
পটুয়াপাড়া (হাড়িয়াপাড়া) গ্রামের শাহানারা খাতুন বলেন, ‘তিন বিঘা জমির মধ্যে আড়াই বিঘা জমিতে গোলাপ ফুলের চাষ করেছি। দাম না থাকায় ফুল বিক্রি হয়েছে মাত্র ১ লাখ টাকা।’
বাজারে ফুল বিক্রি করতে আসা টাওরা গ্রামের কৃষক খোরশেদ আলম বলেন বলেন, ‘আমি তিন বিঘা জমিতে ফুল চাষ করেছি। এর মধ্যে ২৫ শতক জমির গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে ৪০ হাজার টাকায়। ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে গাঁদা ফুলের দাম বাড়তি পেয়েছি।’
চাঁদপুর থেকে ফুল কিনতে আসা সালাউদ্দিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ফুল কিনতে এসেছি। গাঁদাসহ ২৫ হাজার টাকার ফুল কিনেছি।’
যশোরের ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বসন্তবরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করেই এখানে ফুলের চাষ করা হয়। এ সময় ফুলের বাড়তি চাহিদা থাকে। তবে এই মৌসুমে ফুলের কাঙ্ক্ষিত দাম না থাকায় চাষিদের মুখে হাসি নেই।’
জানা গেছে, ঝিকরগাছায় ১২০০ হেক্টর জমিতে ১১ প্রকারের ফুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। উপজেলার ৬ হাজার পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ ফুল চাষের সঙ্গে জড়িত। এ অঞ্চলে প্রতিবছর ৩৫০ কোটি টাকার ফুল উৎপাদন হয়।
টাঙ্গাইলের সখীপুরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার একদিনেই পাঁচজন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর উপজেলায় মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে। আজ বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান কর্মকর
১৩ মিনিট আগেসংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসে দুই ইউনিয়ন বিচ্ছিন্ন করার প্রতিবাদে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আজ বুধবার তৃতীয় দিনের অবরোধ কর্মসূচি চলছে। আজকের কর্মসূচিকে ঘিরে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য।
৩৮ মিনিট আগেপটুয়াখালীর বাউফলে এখন মাঠজুড়ে কৃষকের আমন ধান রোপণের ব্যস্ততা চলছে। বর্ষার পানি নেমে আসায় উপজেলার কৃষকরা জমিতে আমন রোপণের কাজে লেগে পড়েছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষক-শ্রমিকেরা হাটু পানিতে দাঁড়িয়ে চারা রোপণ করছেন।
১ ঘণ্টা আগেকর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে নদীর দুই পাশে যাত্রী সাধারণ দুর্ভোগে পড়েছেন। গতকাল দিবাগত রাত ৩ টা থেকে রাঙামাটির কাপ্তাই লেক থেকে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট দিয়ে নদীতে পানি ছাড়া হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে