Ajker Patrika

জোয়ারের পানির নিচে ১১ হাজার হেক্টর জমির ধান

শেখ জাবেরুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ
জোয়ারের পানির নিচে ১১ হাজার হেক্টর জমির ধান

গোপালগঞ্জ জেলায় উৎপাদিত ধানের একটি বড় অংশ আসে চান্দার বিল থেকে। এই চান্দার বিলটি গোপালগঞ্জ জেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে পড়েছে। ইউনিয়নগুলো হলো মুকসুদপুর উপজেলার উজানী, ননীক্ষীর, জলিরপাড়, কাশালিয়া, সদর উপজেলার সাতপাড় ও কাশিয়ানী উপজেলার হাতিয়াড়া। 

এর মধ্যে চান্দার বিলের বেশি অংশ পড়েছে উজানী ইউনিয়নে। এই ইউনিয়নে বড় বিল নামে আরও একটি বিল রয়েছে। এটিও এক সময় চান্দার বিলের অংশ ছিল। এই সকল বিল বেষ্টিত এলাকার ৯৫ ভাগ মানুষের একমাত্র আয়ের উৎস ধান উৎপাদন। প্রায় ১৫ হাজার পরিবার এসব বিলে এক ফসলি বোরো ধান উৎপাদন করে সারা বছর তাদের সংসার চালায়। 

এ চান্দার বিল ও বড় বিলের সঙ্গে সরাসরি এমবিআর ক্যানেলের সংযোগ রয়েছে। বিগত কয়েক বছর এমবিআর ক্যানেল থেকে জোয়ারের পানিতে এই এলাকার বিলের কৃষি জমি তলিয়ে যায়। প্রতিবছর জোয়ারের পানি প্রবেশের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। তবে এ বছর জোয়ারের পানি মাত্রাতিরিক্ত ভাবে বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপদের সম্মুখীন হয়েছে এলাকার মানুষ। 

জোয়ারের পানি মাত্রাতিরিক্তভাবে প্রবেশের ফলে তলিয়ে গেছে ওই সব এলাকার প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমির ধান। পানি বেড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ খেতের কাচা ও আধা পাকা ধান কাটতে শুরু করেছে অসহায় কৃষকেরা। তবে ধান কাটতে গিয়ে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। একদিকে জোয়ারের পানিতে জমির ধান নষ্ট হচ্ছে, অপর দিকে ধান কাটা শ্রমিকের মজুরের সংকট। প্রতি বছর ফরিদপুর, সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, বাগেরহাটসহ বেশ কয়েকটি জেলা থেকে শ্রমিক ধান কাটতে আসলেও এ বছর তাদের দেখা মিলছে না। যে শ্রমিক এসেছে তাদের দ্বিগুণেরও বেশি মজুরি দিতে এমন অবস্থায় দিশেহারা কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। 

উজানী ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের কৃষক শুক্রাচার্য বিশ্বাস বলেন, ‘এখানে জোয়ারের পানির ঢোকার কারণে আমার ২০ বিঘা জমির ধান শেষ হয়ে গেছে। জমি এখনো জলের তলেই রইছে। কোন কিষেন (ধান কাটা শ্রমিক) আমার জমির ধান কাটতিছেনা। একটা কিষেনরে পাঁচ ভাগের এক ভাগ ধান দিতে হচ্ছে আর খাওন দিতে হচ্ছে তাতেও কিষেন পাওয়া যাইচ্ছেনা। এখন আমরা দিশেহারা। হাটতিছি কিন্তু হাঁটার বল নাই গায় (শরীরে)। জোয়ারের চাপে ধান পড়ে গেছে ও নষ্ট হয়ে গেছে। এহন সর্বশান্ত হয়ে গেছি আমি।’ 

অপর এক কৃষক আরিফ উকিল জানান, চান্দার বিল ও বড়বিলে আমার ১০ বিঘে জমি। প্রতিবছর জোয়ারের পানি এসে এইরকম তলায় যায়। ধান কেটে বাড়ি নিতে পারি না। আধাআধি থাইকে যায়। কিষেন পাচ্ছি না, কিষেনের দাম অতিরিক্ত। পানির ভেতর দিয়ে বোঝাও মাথায় উঠোনো যায় না। ধান বিক্রি করতি গেলি মন সাড়ে ৬শ,৭শ টাকার ওপর দেয় না। এতে খুবই দুরবস্থার মধ্যে আছি।

উজানী ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের কৃষক মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ‘আমার ২৫ বিঘে জমির ধান পানির নিচে পড়েছে। পানির নিচে পড়ে ধানে গ্যাজ (শিকড়) হয়ে গেছে। কাইটে বোঝা বইয়ে বাড়িতে নেওয়ার কায়দা (উপায়) নাই নৌকায় ও আসেনা। এখন পলিথিনে কইরে পানির ভেতর দিয়ে টাইনে ৩ কিলোমিটার দুরে আনতে হচ্ছে। কিষেন দিয়ে কাটাইতি যে খরচ আর ধান কাইটে যা নেই তাতে সে খরচের টাকা হচ্ছে না। আমরা খুব অসহায় হয়ে পড়ছি। আমাদের এলাকায় একটাই ফসল সেটা হলো এই বোরো ধান। আর এই ধানের ওপর চান্দারবিল ঘোষিত এলাকার সবাই নির্ভরশীল। এখন সবাইকে না খেয়ে মরতে হবে। সরকার যেন আমাদের দিকে একটু খেয়াল করে।’ 

উজানী ইউনিয়নের কৃষক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমি ৪ বিঘা ধান চাষ করেছি। আমাদের এই চান্দার বিলে একমাত্র বোরো ধানই ফসল আর কোনো ফসল হয় না। জোয়ারের পানি ঢোকার কারণে ধানের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। বেশির ভাগ ধানের ওপর দিয়ে গ্যাজ হয়ে গেছে। জোয়ারের পানি না ঢুকলে আমাদের এ রকম ক্ষতি হতো না। সরকারের কাছে আমার অনুরোধ যাতে বেড়িবাঁধ ও স্লুইসগেট গেট করে দিয়ে জোয়ারের পানি আশা যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা করে দেয়। এ বছর এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।’

পানি বেড়ে যাওয়ায় খেতের কাচা ও আধা পাকা ধান কাটছেন কৃষকেরাফরিদপুরের সালতা থেকে ধান কাটতে আশা শ্রমিক মো.আজিজুল শেখ জানান, এই অঞ্চলের ধান পানিতে তলায় গেছে। ধান কাটতে আমাদের সমস্যা হয়। শুকনা জমি হলে এক বিঘা জমির ধান ৫ জনে কাটতে পারি। কিন্তু পানির নিচে থাকায় ৫ জনে ১০ কাঠার বেশি ধান কাটা সম্ভব হয় না। এতে জমির মালিক ও বাঁচানো আমরাও বাঁচিনা। 

উজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ শ্যামল কান্তি বোস জানান, এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু জোয়ারের পানি কৃষকদের সব স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে। বিলের মধ্য দিয়ে ১৫টি খাল রয়েছে। এ খাল দিয়েই মূলত জোয়ারের পানি বিলে প্রবেশ করে। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খাল খনন ও তার মুখে স্লুইসগেট গেট করতে পারলে জোয়ারের পানি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। এ ছাড়া বোশের খাল নামে যে খালটি রয়েছে তার পশ্চিম পাড় দিয়ে বেড়ি বাঁধ রয়েছে। এখন খালটির পূর্ব পাড় দিয়ে বেড়ি বাঁধ করতে পারলে বিলের পশ্চিম প্রান্তের জমি জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা পাবে।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. অরবিন্দু কুমার রায় জানান, চান্দার বিলের ওই সব এলাকার জমি নিচু, একবার পানি উঠে গেলে সহজে নামে না। হারভেস্টার মেশিনও সেখানে চলে না। জোয়ারের পানি নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। শ্রমিক সংকট সমাধানের জন্যও চেষ্টা চালানো হচ্ছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পুলিশের বলা ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ নিয়ে প্রশ্ন জোবায়েদের শিক্ষকের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বুধবার বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনে শিক্ষক সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্‌দীন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বুধবার বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনে শিক্ষক সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্‌দীন। ছবি: আজকের পত্রিকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ বলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্‌দীন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সংবাদ সম্মেলন থেকে ত্রিভুজ প্রেমের গল্পের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু জোবায়েদের সম্পর্কে তার শিক্ষক ও সহপাঠীরা যতটুকু জানে, তাতে এই ধরনের মন্তব্য তার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নয়। তা ছাড়া জোবায়েদ যদি প্রেমই করত, তাহলে তো তাকে আর মেয়ের পরিবার টিউশনিতেই রাখত না।’

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আজকের পত্রিকাকে এসব কথা বলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. রইছ উদ্‌দীন। এর আগে বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে ভাষাশহীদ রফিক ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির সংবাদ সম্মেলনের নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ছাত্রদল ও অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং জোবায়েদের আইনজীবী মো. ইশতিয়াক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনার দ্বিতীয় দিনে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা হলেন বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৮), মাহির রহমান (১৯) ও ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০)। এরপর মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো নজরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বর্ষাকে পড়াতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে জোবায়েদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে বর্ষার সঙ্গে মাহিরের পূর্ববর্তী সম্পর্ক ছিল। এটা মূলত ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’। এর জেরে মাহির ও আয়লান মিলে বর্ষার সহযোগিতায় হত্যা করেন জোবায়েদকে।

পুলিশের এই বক্তব্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক রইছ উদ্‌দীন বলেন, ‘আমাদের কিছু কিছু বিষয় নিয়ে সংশয় আছে, প্রশ্ন আছে। জোবায়েদকে হত্যার আগে তার ছাত্রী বর্ষা তাকে কল দিয়ে জিজ্ঞাসা করে, সে কখন আসতেছে, কতটুকু এসেছে এবং তার আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়, পরে তার লোকেশন চেক করে। বিষয়টা স্বীকারোক্তি দিয়েছিল ছাত্রী বর্ষা। সেটি এজাহারের প্রথম সূত্র হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটি কেন বাদ দেওয়া হলো? সেটা কি ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে, নাকি পরে বাদ দেওয়া হয়েছে, সেটা আমাদের প্রথম প্রশ্ন।’

ডিএমপির বক্তব্য অনুযায়ী, মাহিরকে বর্ষা বলেছিলেন, জোবায়েদকে না সরালে তিনি ‘মাহিরের হতে পারবেন না’। এরপর এক মাস আগে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

পুলিশের দেওয়া ঘটনার বর্ণনা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রইছ উদ্‌দীন। তিনি বলেন, ‘জোবায়েদকে আক্রোশে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা জানি, আক্রোশে হত্যা করলে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়। কিন্তু পুলিশ বলল, এক আঘাতেই হত্যা করা হয়েছে জোবায়েদকে। এটা তো পেশাদার হত্যাকারী ছাড়া কেউ করতে পারার কথা নয়। তাহলে আমাদের প্রশ্ন পেশাদার হত্যাকারী দিয়ে হত্যা করিয়ে অন্যদের ফাঁসানো হয়েছে কি? এ ছাড়া মাহিরের উচ্চতা ও জোবায়েদের উচ্চতায় অনেক তফাত। জোবায়েদ মাহিরের থেকে অনেক লম্বা, সে (মাহির) তার (জোবায়েদ) গলা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারার কথা নয়। সে জায়গা থেকে হত্যা করা সম্ভব কি?’

তিনি আরও বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে দুজন ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে। একজন কালো টি-শার্ট পরিহিত, আরেকজন লাল টি-শার্ট পরিধান করা ছিল। এই দুজনই কি গ্রেপ্তার হওয়া দুজন কি না, আমরা কীভাবে নিশ্চিত হব? সংশ্লিষ্ট প্রশাসন পর্যাপ্ত প্রমাণ জব্দ করেছে কি না, সেটা আমরা জানতে চাই।’

পুলিশের বিবরণের আরেকটি অংশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই অধ্যাপক বলেন, ‘অভিযুক্ত বার্জিস শাবনাম বর্ষার মা-বাবার জবানবন্দি নেওয়া প্রয়োজন ছিল, হত্যার সময় বাসায় তাঁরা উপস্থিত ছিলেন। যদি তাঁরা এ ঘটনায় সমর্থন দিয়ে থাকেন, তাঁদেরও তো এই মামলার আসামি হওয়ার কথা। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার কাছ থেকে জবানবন্দি নেওয়ার বিষয়েও পুলিশ স্পষ্ট কিছু জানায়নি।’

এদিকে জোবায়েদ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সেখান থেকেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। সমাবেশে পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু সাইদ মো. রিপন রউফ বলেন, ‘গতকাল পুলিশের কর্মকর্তারা যেভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁরা যেভাবে হাসাহাসি করেছেন, তাতে মনে হয় না, তাঁরা একটি হত্যার বিবরণ দিচ্ছেন। তাঁরা কোনোভাবেই দায়িত্বশীল আচরণ করেননি।’

জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ২

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মিজানুর রহমান ও শিহাব আলী নামের দুই যুবক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ইমন আলী নামের আরও এক যুবক।

আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের কেন্দুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত যুবকেরা হলেন সদর উপজেলার মাঝপাড়ার তাজেবুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান (২২) ও ধীনগর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে শিহাব আলী (২০)।

আহত যুবক হলেন আমনুরা কলোনির শফিকুল ইসলামের ছেলে ইমন আলী।

সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, আজ বেলা পৌনে ৩টার দিকে একই মোটরসাইকেলে তিন যুবক ঝিলিমবাজার থেকে গোদাগাড়ীর দিকে যাচ্ছিলেন। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি একটি কালভার্টের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মিজানুর। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিহাব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শুধু সেটআপটা নষ্ট করেছি, আ.লীগ অফিস দখল করিনি—সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে বিপ্লব উদ্যানে এনসিপির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামে বিপ্লব উদ্যানে এনসিপির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও দখলের কথা অস্বীকার করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নগর যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অবশ্যই স্বাধীনতার একজন অন্যতম স্থপতি। কিন্তু গত ১৬ বছরে শেখ মুজিবকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে মানুষের ক্ষোভ আছে। সেখানে ছাত্র-জনতা ম্যুরাল ভাঙচুর করে। আমরা সেখানে শুধু সেটআপটা নষ্ট করে দিয়েছি, দখল করিনি।’

আজ বুধবার নগরীর বিপ্লব উদ্যানে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এনসিপি নেতারা।

আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের অফিসগুলো পরিত্যক্ত ছিল। কিন্তু দুই মাস ধরে খবর পাচ্ছি, অফিসগুলোতে কার্যক্রম চলছে, দরজা-জানালা লাগানো হচ্ছে, লোকজন আসা-যাওয়া করছে। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম, কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি।’

ভাঙচুরের বিষয়ে যুগ্ম সমন্বয়কারী মোহাম্মদ এরফানুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড থেমে নেই। ওই ভবন আওয়ামী লীগ বিনা ভাড়ায় দখল করে ছিল। পাশাপাশি সেখানে বিভিন্ন অপকর্ম পরিচালনা করা হতো।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার নগরীর নিউমার্কেটের দোস্ত বিল্ডিংয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেন একদল তরুণ। এতে নেতৃত্ব দেন এনসিপি নেতা আরিফ মঈনুদ্দিন। তাঁর সঙ্গে সাবেক সমন্বয়কসহ এনসিপি নেতা-কর্মীদের ভাঙচুর চালানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. রাফসান জানি ও মো. জসিম উদ্দিন। এ ছাড়া কমিটির সদস্য, সংগঠক ও থানা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পুলিশ পরিচয়ে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
পুলিশ পরিচয়ে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি

পুলিশ পরিচয়ে কিশোরগঞ্জের এক সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই সাংবাদিক। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ভুক্তভোগী সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক খায়রুল ইসলাম মাসিক কালের নতুন সংবাদের সম্পাদক ও দৈনিক নওরোজের কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি। আর অভিযুক্ত জুয়েল ওরফে রুবেল ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার লংগাইর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে। হুমকি দেওয়ার সময় তিনি নিজেকে পুলিশ বলে দাবি করেন।

অভিযোগে বলা হয়, গত ২৭ আগস্ট নিকলী থানার পুলিশ কনস্টেবল বিল্লালের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ এনে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এক তরুণী। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য অভিযুক্ত বিল্লালের বক্তব্য নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিল্লালের হয়ে জুয়েল ওরফে রুবেল পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন থানায় মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়টি জানতে এ প্রতিবেদক হুমকিদাতাকে ফোন করলে নাম না বলে উল্টা ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থাকেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত