কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
‘আমরা এখন কোন পথ দিয়ে ঘর থেকে বের হব? প্রতিবেশী জোর করে আমাদের যাতায়াতের পথে ঘর তুলে আমাদেরকে ঘরবন্দী করে রেখেছে। আমাদের এখন বাড়ি থেকে বাইরে বের হতে হলে, এখন আমার স্বামীর কবরের ওপর দিয়ে বের হতে হবে’
কথাগুলো গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কান্দি ইউনিয়নের করফা গ্রামের মৃত মহসিন গাজীর স্ত্রী পেয়ারা বেগমের (৬৩)।
এ ঘটনায় পেয়ারা বেগম বাদী হয়ে গতকাল রোববার কোটালীপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিবেশী মিল্লাত শেখ (৪০) ও মিল্লাতের ভগ্নিপতি ফয়সাল শেখ (৪৫) তাঁর জমিতে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাদের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলছে, পেয়ারা বেগম তাঁর ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর ভিটায় ৫৭ শতাংশ জায়গার ওপর পাকা ভবন নির্মাণ বসবাস করে আসছেন। গত কয়েক মাস ধরে একই গ্রামের আব্দুল হাকিম শেখের ছেলে প্রভাবশালী মিল্লাত শেখ ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার শ্রীরামকান্দি গ্রামের মৃত লুৎফর রহমান শেখের ছেলে ফয়সাল শেখ এই বসতভিটার ৩৮ শতাংশ জায়গা নিজেদের বলে দাবি করেন।
এরই সূত্র ধরে গত শুক্রবার (৫ মে) মিল্লাত শেখ ও ফয়সাল শেখ লোকজন নিয়ে পেয়ারা বেগমের বাড়ির প্রবেশ পথে ঘর তুলে তাদের যাতায়েতের পথ বন্ধ করে দেন। এর ফলে গত তিন দিন ধরে ওই পরিবারের ৯ জন সদস্য ঘরবন্দী অবস্থায় রয়েছে। তারা এখন তাদের জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে পারছে না।
পেয়ারা বেগমের ছেলে মিন্টু গাজী (৩৫) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের পৈতৃক ভিটায় বসবাস করছি। এখানে রয়েছে আমার বাপ দাদার কবর। মিল্লাত শেখ ও ফয়সাল শেখ অবৈধভাবে, জোর করে আমার এই বাপ-দাদার ভিটার ৩৮ শতাংশ জায়গা দখল করে নিয়েছে। এ বিষয়ে আমরা আদালতে মামলা করেছিলাম। আদালত ২০ ফেব্রুয়ারি আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। তারা সেই রায়কে অমান্য করে জোরপূর্বক ঘর তুলে আমাদের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।’
মিন্টু গাজীর স্ত্রী মিম আক্তার (২০) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের যাতায়াতের পথে ঘর তোলার সময় আমরা বাঁধা দিয়েছিলাম। এই বাঁধা না মেনে মিল্লাত শেখ ও ফয়সাল শেখ তাদের লোকজন নিয়ে জোর করে ঘর তুলেছে। আমরা বাঁধা দিলে তারা তখন আমাদেরকে মারধর ও জীবননাশের হুমকি দেয়। আমরা এই সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিল্লাত শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পেয়ারা বেগম বা তাঁর ছেলে মিন্টু গাজীর জায়গা দখল করিনি। আমরা গত শুক্রবার আমাদের কেনা জায়গায় ঘর নির্মাণ করেছি।’
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পেয়ারা বেগমের একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটির তদন্ত করে সত্যতা পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
‘আমরা এখন কোন পথ দিয়ে ঘর থেকে বের হব? প্রতিবেশী জোর করে আমাদের যাতায়াতের পথে ঘর তুলে আমাদেরকে ঘরবন্দী করে রেখেছে। আমাদের এখন বাড়ি থেকে বাইরে বের হতে হলে, এখন আমার স্বামীর কবরের ওপর দিয়ে বের হতে হবে’
কথাগুলো গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কান্দি ইউনিয়নের করফা গ্রামের মৃত মহসিন গাজীর স্ত্রী পেয়ারা বেগমের (৬৩)।
এ ঘটনায় পেয়ারা বেগম বাদী হয়ে গতকাল রোববার কোটালীপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিবেশী মিল্লাত শেখ (৪০) ও মিল্লাতের ভগ্নিপতি ফয়সাল শেখ (৪৫) তাঁর জমিতে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাদের পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলছে, পেয়ারা বেগম তাঁর ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর ভিটায় ৫৭ শতাংশ জায়গার ওপর পাকা ভবন নির্মাণ বসবাস করে আসছেন। গত কয়েক মাস ধরে একই গ্রামের আব্দুল হাকিম শেখের ছেলে প্রভাবশালী মিল্লাত শেখ ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার শ্রীরামকান্দি গ্রামের মৃত লুৎফর রহমান শেখের ছেলে ফয়সাল শেখ এই বসতভিটার ৩৮ শতাংশ জায়গা নিজেদের বলে দাবি করেন।
এরই সূত্র ধরে গত শুক্রবার (৫ মে) মিল্লাত শেখ ও ফয়সাল শেখ লোকজন নিয়ে পেয়ারা বেগমের বাড়ির প্রবেশ পথে ঘর তুলে তাদের যাতায়েতের পথ বন্ধ করে দেন। এর ফলে গত তিন দিন ধরে ওই পরিবারের ৯ জন সদস্য ঘরবন্দী অবস্থায় রয়েছে। তারা এখন তাদের জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে পারছে না।
পেয়ারা বেগমের ছেলে মিন্টু গাজী (৩৫) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের পৈতৃক ভিটায় বসবাস করছি। এখানে রয়েছে আমার বাপ দাদার কবর। মিল্লাত শেখ ও ফয়সাল শেখ অবৈধভাবে, জোর করে আমার এই বাপ-দাদার ভিটার ৩৮ শতাংশ জায়গা দখল করে নিয়েছে। এ বিষয়ে আমরা আদালতে মামলা করেছিলাম। আদালত ২০ ফেব্রুয়ারি আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। তারা সেই রায়কে অমান্য করে জোরপূর্বক ঘর তুলে আমাদের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।’
মিন্টু গাজীর স্ত্রী মিম আক্তার (২০) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের যাতায়াতের পথে ঘর তোলার সময় আমরা বাঁধা দিয়েছিলাম। এই বাঁধা না মেনে মিল্লাত শেখ ও ফয়সাল শেখ তাদের লোকজন নিয়ে জোর করে ঘর তুলেছে। আমরা বাঁধা দিলে তারা তখন আমাদেরকে মারধর ও জীবননাশের হুমকি দেয়। আমরা এই সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিল্লাত শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পেয়ারা বেগম বা তাঁর ছেলে মিন্টু গাজীর জায়গা দখল করিনি। আমরা গত শুক্রবার আমাদের কেনা জায়গায় ঘর নির্মাণ করেছি।’
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পেয়ারা বেগমের একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটির তদন্ত করে সত্যতা পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একের পর এক পদ শূন্য থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। ৫০ শয্যার জনবল ও ১০০ শয্যার খাবার-ওষুধ নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি; বিশেষ করে ১০ মাস ধরে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট না...
১ মিনিট আগেমাদারীপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বসানো বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কোনো কাজেই আসেনি। দিনের পর দিন ব্যবহার না হওয়ায় এসব যন্ত্র এখন নষ্টের পথে। এতে অপচয় হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা।
১ ঘণ্টা আগেবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) অন্তত ২৩ শিক্ষককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে সাতজন জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী রয়েছেন। পদোন্নতির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক আলম।
১ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমদানি কার্গো ভিলেজ ঘিরে রেখেছেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। শুধু জরুরি সেবায় নিয়োজিত ছাড়া কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগে