নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে প্রতারণার অভিযোগে গোপালগঞ্জের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই মো. ফারুক আলমের বিরুদ্ধে মামলার পর এবার বাদীর আইনজীবীকে হাত-পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (২০০০)-এর সংশোধনী অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর ৯ (খ) ধারায় ফারুকের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা হয় গত ২৩ নভেম্বর। গোপালগঞ্জের ২৮ বছর বয়সী এক নারী এই মামলা দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল বাদীর অভিযোগ প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
ামলার খবর জানার পরে এসআই মো. ফারুক তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা বাদীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা শুরু করেন। বাদীর আইনজীবী নুর হোসেন দুলালকেও হাত-পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেন এসআই ফারুক। এই অভিযোগে অ্যাডভোকেট নূর হোসেন দুলাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন গত ১ ডিসেম্বর।
আইনজীবীর মামলা:
আইনজীবী নূর হোসেন দুলাল মামলায় অভিযোগ করেন, তিনি ঢাকা আইনজীবীর সমিতির সদস্য এবং গোপালগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য। গত ২৩ নভেম্বর গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এক নারীর পক্ষে তিনি এসআই ফারুক আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় বাদীর অভিযোগ তদন্তপূর্বক এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দেন। আইনজীবী মামলা দায়েরের পর ঢাকায় ফিরে আসেন। গত ৩০ নভেম্বর তিনি ঢাকা জেলা জজ আদালত ভবনে অবস্থান করার সময় আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে গোপালগঞ্জের তেঁতুলিয়া গ্রামের এস এম খসরুল আলম বাবুল নামে একজন তাঁকে ফোন দেন। ফোনে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘গোপালগঞ্জের ডিবির এসআই ফারুক আলমের বিরুদ্ধে এক নারীর পক্ষে আপনি মামলা করেছেন। দ্রুত গোপালগঞ্জ এসে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেবেন। প্রত্যাহার করা না হলে গোপালগঞ্জ এলে আপনার হাত-পা ভেঙে ফেলা হবে। আবার গোপালগঞ্জের যত পেন্ডিং মামলা আছে সবগুলোতে গ্রেপ্তার করে আপনাকে কারাগারে পাঠানো হবে। ওই সব মামলা থেকে বাঁচতে হলে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদাও দিতে হবে।’
এরপর ফোনে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ফোন কেটে দেওয়া হয়।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, গোপালগঞ্জে দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার বাদীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ইতিমধ্যে এলাকাছাড়া করা হয়েছে।
এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ডিবির এসআই ফারুক জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে পুলিশে চাকরি নিয়েছেন। তাঁর বাড়ি শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার টুমচর গ্রামে। অথচ তিনি পুলিশের চাকরি নিয়েছেন যশোরের কোতোয়ালি থানার ঠিকানা ব্যবহার করে। এসআই ফারুকের দু’টি জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। দু’টি পরিচয়পত্রের ফটোকপি আইনজীবী মামলায় দাখিল করেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল আইনজীবীর দায়ের করা এই মামলার অভিযোগ তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামী ২৯ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
আইনজীবী নুর হোসেন দুলাল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গোপালগঞ্জে মামলা:
গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদীর স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ থাকায় মামলা চলছিল। ওই সময় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মরত ডিবির এসআই ফারুকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। স্বামীর বিরুদ্ধে করা মামলায় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন ফারুক। এসআই ফারুক তখন বাদীর গ্রামের বাড়িতে যান। একপর্যায়ে ফারুক ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। বাদীকে ফুসলিয়ে স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন। একপর্যায়ে গোপালগঞ্জ শহরে বাদীকে বাসা ভাড়া করে থাকতে বলেন এসআই ফারুক। বাদী বাসা ভাড়া নেন। এসআই ফারুক নিয়মিত ওই বাসায় যেতেন। তাঁর সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করতেন। বাদী একপর্যায়ে এসআই ফারুককে চাপ দিলে তিনি টালবাহানা শুরু করেন। সর্বশেষ গত ১০ নভেম্বর রাতে বাদীর ভাড়া বাসায় এসআই ফারুক যান। ওই রাতে বাদী শারীরিক মেলামেশায় অস্বীকৃতি জানালে এসআই ফারুক তাঁকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এরপর থেকে এসআই ফারুক আর ওই নারীর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ করে দেন এবং জানিয়ে দেন তিনি বিয়ে করবেন না।
এসআই ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারী ওই নারী আজকের পত্রিকাকে জানান, এসআই ফারুক তাঁর সঙ্গে শারীরিক মেলামেশার ভিডিও ধারণ করেছেন। এগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন এখন। আবার তাঁকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোরও হুমকি দিচ্ছেন। তিনি থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নেওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন বলে জানান।

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে প্রতারণার অভিযোগে গোপালগঞ্জের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই মো. ফারুক আলমের বিরুদ্ধে মামলার পর এবার বাদীর আইনজীবীকে হাত-পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (২০০০)-এর সংশোধনী অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর ৯ (খ) ধারায় ফারুকের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা হয় গত ২৩ নভেম্বর। গোপালগঞ্জের ২৮ বছর বয়সী এক নারী এই মামলা দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল বাদীর অভিযোগ প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
ামলার খবর জানার পরে এসআই মো. ফারুক তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা বাদীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা শুরু করেন। বাদীর আইনজীবী নুর হোসেন দুলালকেও হাত-পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেন এসআই ফারুক। এই অভিযোগে অ্যাডভোকেট নূর হোসেন দুলাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন গত ১ ডিসেম্বর।
আইনজীবীর মামলা:
আইনজীবী নূর হোসেন দুলাল মামলায় অভিযোগ করেন, তিনি ঢাকা আইনজীবীর সমিতির সদস্য এবং গোপালগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য। গত ২৩ নভেম্বর গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এক নারীর পক্ষে তিনি এসআই ফারুক আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় বাদীর অভিযোগ তদন্তপূর্বক এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দেন। আইনজীবী মামলা দায়েরের পর ঢাকায় ফিরে আসেন। গত ৩০ নভেম্বর তিনি ঢাকা জেলা জজ আদালত ভবনে অবস্থান করার সময় আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে গোপালগঞ্জের তেঁতুলিয়া গ্রামের এস এম খসরুল আলম বাবুল নামে একজন তাঁকে ফোন দেন। ফোনে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘গোপালগঞ্জের ডিবির এসআই ফারুক আলমের বিরুদ্ধে এক নারীর পক্ষে আপনি মামলা করেছেন। দ্রুত গোপালগঞ্জ এসে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেবেন। প্রত্যাহার করা না হলে গোপালগঞ্জ এলে আপনার হাত-পা ভেঙে ফেলা হবে। আবার গোপালগঞ্জের যত পেন্ডিং মামলা আছে সবগুলোতে গ্রেপ্তার করে আপনাকে কারাগারে পাঠানো হবে। ওই সব মামলা থেকে বাঁচতে হলে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদাও দিতে হবে।’
এরপর ফোনে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ফোন কেটে দেওয়া হয়।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, গোপালগঞ্জে দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার বাদীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ইতিমধ্যে এলাকাছাড়া করা হয়েছে।
এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ডিবির এসআই ফারুক জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে পুলিশে চাকরি নিয়েছেন। তাঁর বাড়ি শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার টুমচর গ্রামে। অথচ তিনি পুলিশের চাকরি নিয়েছেন যশোরের কোতোয়ালি থানার ঠিকানা ব্যবহার করে। এসআই ফারুকের দু’টি জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। দু’টি পরিচয়পত্রের ফটোকপি আইনজীবী মামলায় দাখিল করেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল আইনজীবীর দায়ের করা এই মামলার অভিযোগ তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামী ২৯ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
আইনজীবী নুর হোসেন দুলাল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গোপালগঞ্জে মামলা:
গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদীর স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ থাকায় মামলা চলছিল। ওই সময় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মরত ডিবির এসআই ফারুকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। স্বামীর বিরুদ্ধে করা মামলায় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন ফারুক। এসআই ফারুক তখন বাদীর গ্রামের বাড়িতে যান। একপর্যায়ে ফারুক ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। বাদীকে ফুসলিয়ে স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন। একপর্যায়ে গোপালগঞ্জ শহরে বাদীকে বাসা ভাড়া করে থাকতে বলেন এসআই ফারুক। বাদী বাসা ভাড়া নেন। এসআই ফারুক নিয়মিত ওই বাসায় যেতেন। তাঁর সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করতেন। বাদী একপর্যায়ে এসআই ফারুককে চাপ দিলে তিনি টালবাহানা শুরু করেন। সর্বশেষ গত ১০ নভেম্বর রাতে বাদীর ভাড়া বাসায় এসআই ফারুক যান। ওই রাতে বাদী শারীরিক মেলামেশায় অস্বীকৃতি জানালে এসআই ফারুক তাঁকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এরপর থেকে এসআই ফারুক আর ওই নারীর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ করে দেন এবং জানিয়ে দেন তিনি বিয়ে করবেন না।
এসআই ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারী ওই নারী আজকের পত্রিকাকে জানান, এসআই ফারুক তাঁর সঙ্গে শারীরিক মেলামেশার ভিডিও ধারণ করেছেন। এগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন এখন। আবার তাঁকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোরও হুমকি দিচ্ছেন। তিনি থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নেওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন বলে জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে প্রতারণার অভিযোগে গোপালগঞ্জের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই মো. ফারুক আলমের বিরুদ্ধে মামলার পর এবার বাদীর আইনজীবীকে হাত-পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (২০০০)-এর সংশোধনী অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর ৯ (খ) ধারায় ফারুকের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা হয় গত ২৩ নভেম্বর। গোপালগঞ্জের ২৮ বছর বয়সী এক নারী এই মামলা দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল বাদীর অভিযোগ প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
ামলার খবর জানার পরে এসআই মো. ফারুক তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা বাদীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা শুরু করেন। বাদীর আইনজীবী নুর হোসেন দুলালকেও হাত-পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেন এসআই ফারুক। এই অভিযোগে অ্যাডভোকেট নূর হোসেন দুলাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন গত ১ ডিসেম্বর।
আইনজীবীর মামলা:
আইনজীবী নূর হোসেন দুলাল মামলায় অভিযোগ করেন, তিনি ঢাকা আইনজীবীর সমিতির সদস্য এবং গোপালগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য। গত ২৩ নভেম্বর গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এক নারীর পক্ষে তিনি এসআই ফারুক আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় বাদীর অভিযোগ তদন্তপূর্বক এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দেন। আইনজীবী মামলা দায়েরের পর ঢাকায় ফিরে আসেন। গত ৩০ নভেম্বর তিনি ঢাকা জেলা জজ আদালত ভবনে অবস্থান করার সময় আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে গোপালগঞ্জের তেঁতুলিয়া গ্রামের এস এম খসরুল আলম বাবুল নামে একজন তাঁকে ফোন দেন। ফোনে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘গোপালগঞ্জের ডিবির এসআই ফারুক আলমের বিরুদ্ধে এক নারীর পক্ষে আপনি মামলা করেছেন। দ্রুত গোপালগঞ্জ এসে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেবেন। প্রত্যাহার করা না হলে গোপালগঞ্জ এলে আপনার হাত-পা ভেঙে ফেলা হবে। আবার গোপালগঞ্জের যত পেন্ডিং মামলা আছে সবগুলোতে গ্রেপ্তার করে আপনাকে কারাগারে পাঠানো হবে। ওই সব মামলা থেকে বাঁচতে হলে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদাও দিতে হবে।’
এরপর ফোনে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ফোন কেটে দেওয়া হয়।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, গোপালগঞ্জে দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার বাদীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ইতিমধ্যে এলাকাছাড়া করা হয়েছে।
এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ডিবির এসআই ফারুক জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে পুলিশে চাকরি নিয়েছেন। তাঁর বাড়ি শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার টুমচর গ্রামে। অথচ তিনি পুলিশের চাকরি নিয়েছেন যশোরের কোতোয়ালি থানার ঠিকানা ব্যবহার করে। এসআই ফারুকের দু’টি জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। দু’টি পরিচয়পত্রের ফটোকপি আইনজীবী মামলায় দাখিল করেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল আইনজীবীর দায়ের করা এই মামলার অভিযোগ তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামী ২৯ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
আইনজীবী নুর হোসেন দুলাল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গোপালগঞ্জে মামলা:
গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদীর স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ থাকায় মামলা চলছিল। ওই সময় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মরত ডিবির এসআই ফারুকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। স্বামীর বিরুদ্ধে করা মামলায় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন ফারুক। এসআই ফারুক তখন বাদীর গ্রামের বাড়িতে যান। একপর্যায়ে ফারুক ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। বাদীকে ফুসলিয়ে স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন। একপর্যায়ে গোপালগঞ্জ শহরে বাদীকে বাসা ভাড়া করে থাকতে বলেন এসআই ফারুক। বাদী বাসা ভাড়া নেন। এসআই ফারুক নিয়মিত ওই বাসায় যেতেন। তাঁর সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করতেন। বাদী একপর্যায়ে এসআই ফারুককে চাপ দিলে তিনি টালবাহানা শুরু করেন। সর্বশেষ গত ১০ নভেম্বর রাতে বাদীর ভাড়া বাসায় এসআই ফারুক যান। ওই রাতে বাদী শারীরিক মেলামেশায় অস্বীকৃতি জানালে এসআই ফারুক তাঁকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এরপর থেকে এসআই ফারুক আর ওই নারীর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ করে দেন এবং জানিয়ে দেন তিনি বিয়ে করবেন না।
এসআই ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারী ওই নারী আজকের পত্রিকাকে জানান, এসআই ফারুক তাঁর সঙ্গে শারীরিক মেলামেশার ভিডিও ধারণ করেছেন। এগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন এখন। আবার তাঁকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোরও হুমকি দিচ্ছেন। তিনি থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নেওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন বলে জানান।

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে প্রতারণার অভিযোগে গোপালগঞ্জের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই মো. ফারুক আলমের বিরুদ্ধে মামলার পর এবার বাদীর আইনজীবীকে হাত-পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলা হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (২০০০)-এর সংশোধনী অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর ৯ (খ) ধারায় ফারুকের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা হয় গত ২৩ নভেম্বর। গোপালগঞ্জের ২৮ বছর বয়সী এক নারী এই মামলা দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল বাদীর অভিযোগ প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
ামলার খবর জানার পরে এসআই মো. ফারুক তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা বাদীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা শুরু করেন। বাদীর আইনজীবী নুর হোসেন দুলালকেও হাত-পা ভেঙে ফেলার হুমকি দেন এসআই ফারুক। এই অভিযোগে অ্যাডভোকেট নূর হোসেন দুলাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন গত ১ ডিসেম্বর।
আইনজীবীর মামলা:
আইনজীবী নূর হোসেন দুলাল মামলায় অভিযোগ করেন, তিনি ঢাকা আইনজীবীর সমিতির সদস্য এবং গোপালগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য। গত ২৩ নভেম্বর গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এক নারীর পক্ষে তিনি এসআই ফারুক আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় বাদীর অভিযোগ তদন্তপূর্বক এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দেন। আইনজীবী মামলা দায়েরের পর ঢাকায় ফিরে আসেন। গত ৩০ নভেম্বর তিনি ঢাকা জেলা জজ আদালত ভবনে অবস্থান করার সময় আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে গোপালগঞ্জের তেঁতুলিয়া গ্রামের এস এম খসরুল আলম বাবুল নামে একজন তাঁকে ফোন দেন। ফোনে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘গোপালগঞ্জের ডিবির এসআই ফারুক আলমের বিরুদ্ধে এক নারীর পক্ষে আপনি মামলা করেছেন। দ্রুত গোপালগঞ্জ এসে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেবেন। প্রত্যাহার করা না হলে গোপালগঞ্জ এলে আপনার হাত-পা ভেঙে ফেলা হবে। আবার গোপালগঞ্জের যত পেন্ডিং মামলা আছে সবগুলোতে গ্রেপ্তার করে আপনাকে কারাগারে পাঠানো হবে। ওই সব মামলা থেকে বাঁচতে হলে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদাও দিতে হবে।’
এরপর ফোনে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে ফোন কেটে দেওয়া হয়।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, গোপালগঞ্জে দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার বাদীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ইতিমধ্যে এলাকাছাড়া করা হয়েছে।
এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ডিবির এসআই ফারুক জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে পুলিশে চাকরি নিয়েছেন। তাঁর বাড়ি শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার টুমচর গ্রামে। অথচ তিনি পুলিশের চাকরি নিয়েছেন যশোরের কোতোয়ালি থানার ঠিকানা ব্যবহার করে। এসআই ফারুকের দু’টি জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। দু’টি পরিচয়পত্রের ফটোকপি আইনজীবী মামলায় দাখিল করেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল আইনজীবীর দায়ের করা এই মামলার অভিযোগ তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামী ২৯ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
আইনজীবী নুর হোসেন দুলাল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গোপালগঞ্জে মামলা:
গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদীর স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ থাকায় মামলা চলছিল। ওই সময় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মরত ডিবির এসআই ফারুকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। স্বামীর বিরুদ্ধে করা মামলায় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন ফারুক। এসআই ফারুক তখন বাদীর গ্রামের বাড়িতে যান। একপর্যায়ে ফারুক ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। বাদীকে ফুসলিয়ে স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন। একপর্যায়ে গোপালগঞ্জ শহরে বাদীকে বাসা ভাড়া করে থাকতে বলেন এসআই ফারুক। বাদী বাসা ভাড়া নেন। এসআই ফারুক নিয়মিত ওই বাসায় যেতেন। তাঁর সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করতেন। বাদী একপর্যায়ে এসআই ফারুককে চাপ দিলে তিনি টালবাহানা শুরু করেন। সর্বশেষ গত ১০ নভেম্বর রাতে বাদীর ভাড়া বাসায় এসআই ফারুক যান। ওই রাতে বাদী শারীরিক মেলামেশায় অস্বীকৃতি জানালে এসআই ফারুক তাঁকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এরপর থেকে এসআই ফারুক আর ওই নারীর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ করে দেন এবং জানিয়ে দেন তিনি বিয়ে করবেন না।
এসআই ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারী ওই নারী আজকের পত্রিকাকে জানান, এসআই ফারুক তাঁর সঙ্গে শারীরিক মেলামেশার ভিডিও ধারণ করেছেন। এগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন এখন। আবার তাঁকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোরও হুমকি দিচ্ছেন। তিনি থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নেওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন বলে জানান।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৫ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৮ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৪ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ডিবির এসআই ফারুক জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে পুলিশে চাকরি নিয়েছেন। তাঁর বাড়ি শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার টুমচর গ্রামে। অথচ তিনি পুলিশের চাকরি নিয়েছেন যশোরের কোতোয়ালি থানার ঠিকানা ব্যবহার করে।
১ দিন আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৮ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৪ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ডিবির এসআই ফারুক জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে পুলিশে চাকরি নিয়েছেন। তাঁর বাড়ি শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার টুমচর গ্রামে। অথচ তিনি পুলিশের চাকরি নিয়েছেন যশোরের কোতোয়ালি থানার ঠিকানা ব্যবহার করে।
১ দিন আগে
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৫ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৪ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।
শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।
শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ডিবির এসআই ফারুক জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে পুলিশে চাকরি নিয়েছেন। তাঁর বাড়ি শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার টুমচর গ্রামে। অথচ তিনি পুলিশের চাকরি নিয়েছেন যশোরের কোতোয়ালি থানার ঠিকানা ব্যবহার করে।
১ দিন আগে
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৫ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৮ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ডিবির এসআই ফারুক জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে পুলিশে চাকরি নিয়েছেন। তাঁর বাড়ি শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানার টুমচর গ্রামে। অথচ তিনি পুলিশের চাকরি নিয়েছেন যশোরের কোতোয়ালি থানার ঠিকানা ব্যবহার করে।
১ দিন আগে
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৫ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৮ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৪ মিনিট আগে