Ajker Patrika

কম্পিউটার প্রিন্টের দোকানে জাল সনদ-এনআইডি তৈরির অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার

গাজীপুর প্রতিনিধি
কম্পিউটার প্রিন্টের দোকানে জাল সনদ-এনআইডি তৈরির অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার

গাজীপুরে কম্পিউটার প্রিন্টের ব্যবসার আড়ালে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের সনদপত্র তৈরির অভিযোগে মো. সজিবুল আলম (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল শনিবার রাতে মহানগরীর বাসন থানার চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

সজিবুল আলমের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায়। বাসন থানার গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় ‘সাউদা অনলাইন জোন’ নামে তাঁর একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. পারভেজ রানা। 

পারভেজ রানা জানান, চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় নাসির সুপার মার্কেটে সাউদা অনলাইন জোনে কম্পিউটার কম্পোজ, ডিজাইন, কালার প্রিন্ট, ছবি প্রিন্ট ইত্যাদি ব্যবসা করেন। এর আড়ালে সজিবুল অনেক দিন ধরে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের সনদপত্র তৈরি করে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে সরবরাহ করে আসছিলেন। 

জাল সনদ তৈরির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রাতে র‍্যাব-১ এর একটি দল সেখানে সজিবুলের দোকানে অভিযান চালায়। এ সময় জাতীয় পরিচয়পত্র ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের জাল সনদপত্র তৈরির অপরাধে সজিবুলকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি জাল জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, একটি জাল এসএসসি পাশের সনদপত্র, একটি সিপিইউ, একটি হার্ড ডিস্ক, একটি মনিটর, একটি স্ক্যানার, একটি ইউপিএস, একটি মাউস, একটি কিবোর্ড উদ্ধার করা হয় বলে জানায় র‍্যাব। 

এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, ‘সজিবুলকে বাসন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ তবে পরে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে বলে থানা থেকে জানা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) মামলার পরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার রিংকু রংদী উপজেলার মাধুপাড়া গ্রামের সুপারসন চাম্বুগংয়ের ছেলে। তাঁরা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী।

আর ভুক্তভোগী কিশোরী (১৪) পূর্বধলা উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। সেখানকার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগীর পরিবার ইসলাম ধর্মাবলম্বী।

মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ-ছয় মাস আগে ফেসবুকে ইসলাম ধর্মাবলম্বী ওই ছাত্রীর পরিচয় হয় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী রিংকুর সঙ্গে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ২৭ অক্টোবর সকালে ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় যে, সে দুর্গাপুরে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে। পরে রিংকু তাকে নিয়ে দুর্গাপুরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়ান এবং সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে থাকার প্রস্তাব দেন। এতে ওই ছাত্রী রাজি হয়ে সেখানে থেকে যায়। রিংকু নিজের শয়নকক্ষে ওই ছাত্রীকে থাকতে দেন। আর তিনি অন্য কক্ষে ঘুমাতে যান। রাত ১১টার দিকে কৌশলে রিংকু কক্ষে প্রবেশ করে ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন এবং ফোনে পরিবারকে বিষয়টি জানান।

পরদিন সকালে ওই ছাত্রীর মা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রিংকুর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে বিকেলে রিংকুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযান চালিয়ে রিংকুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ভুক্তভোগী কিশোরীকেও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বরিশালে অপসো ফার্মার ৫০০ শ্রমিক ছাঁটাই, বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশালে অপসো ফার্মার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশালে অপসো ফার্মার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালে অপসো স্যালাইন (ওএসএল) ফার্মা লিমিটেডের প্রায় ৫২০ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে একযোগে ছাঁটাই করা হয়েছে। আজ বুধবার ডাকযোগে শ্রমিকদের কাছে ছাঁটাইয়ের চিঠি পাঠানোর কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।

ছাঁটাইয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এরপর নগরীর বগুড়া রোডের ওএসএল ফার্মার সামনে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা।

এ সময় শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। পরে কর্মকর্তারা এ বিষয়ে আগামী শনিবার সিদ্ধান্ত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে শান্ত হন শ্রমিকেরা। ছাঁটাই হওয়া সবাই কোম্পানির স্টেরিপ্যাক ডিপার্টমেন্টে কর্মরত ছিলেন।

শ্রমিকেরা জানান, কোনো কারণ ছাড়াই তাঁদের চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের নোটিশ ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নোটিশে স্বাক্ষর করেছেন কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগের উপব্যবস্থাপক ও এইচআর বিভাগের ইনচার্জ।

তাঁরা আরও বলেন, ‘আমাদের পরিবার আছে, সংসার আছে। এতগুলো পরিবারকে কোনো কারণ ছাড়া চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হলো। এখন এই পরিবারগুলো কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। সংসার কীভাবে চলবে।’ নোটিশ প্রত্যাহার করে শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজে যোগদানের সুযোগ না দিলে পুরো কোম্পানি অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিকেরা।

শ্রমিকদের পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, ওএসএল ফার্মা লিমিটেডের বগুড়া রোডে অবস্থিত ফ্যাক্টরিতে স্টেরিপ্যাক ডিপার্টমেন্টে কর্মরত সব শ্রমিক-কর্মচারীকে অবহিত করা যাচ্ছে যে, কোম্পানির নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে স্টেরিপ্যাক ডিপার্টমেন্টের উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

এই অবস্থায় বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ২৬(৩) ধারার বিধান অনুযায়ী আগামী ১ নভেম্বর হতে স্টেরিপ্যাক ডিপার্টমেন্টের সব শ্রমিক-কর্মচারীর চাকরি অবসান করা হলো। একই সঙ্গে বাংলাদেশ শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী অবসানকৃত শ্রমিক-কর্মচারীদের চূড়ান্ত পাওনা আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাড়া না পাওয়ায় কারও বক্তব্য জানা যায়নি। তবে বাসদের বরিশাল জেলা সদস্যসচিব মনীষা চক্রবর্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, অপসো স্যালাইন তাদের একটি সেকশন বন্ধ করে ৫২০ জনকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

মালিকপক্ষকে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের সঙ্গে বসে তাঁদের ন্যায্য অধিকার দিতে। কেননা, এভাবে হুট করে ৫২০ শ্রমিককে ছাঁটাই করা অমানবিক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুকসু গঠনতন্ত্রের খসড়া প্রকাশ, প্রার্থিতার বয়সসীমা ২৮ বছর

কুবি প্রতিনিধি 
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (কুকসু) গঠনতন্ত্রের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় সংসদে ১৯টি ও হল সংসদে ৯টি পদে নির্বাচন হবে। প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ বছর এবং ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ খসড়া গঠনতন্ত্র প্রকাশ করা হয়।

খসড়া অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সংসদে মোট পদ ২১টি। এর মধ্যে সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ পদ ছাড়া অন্য ১৯টি পদে সরাসরি নির্বাচন হবে। পদগুলো হলো সহসভাপতি; সাধারণ সম্পাদক; সহসাধারণ সম্পাদক; মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রবিষয়ক সম্পাদক; শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক; স্বাস্থ্য ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক; আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক; ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক; সাহিত্য-সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক; ক্রীড়া সম্পাদক; পরিবহন সম্পাদক; সমাজসেবা ও শিক্ষার্থীকল্যাণ সম্পাদক; ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক (ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত); পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক এবং চারজন নির্বাহী সদস্য।

সংরক্ষিত পদে পদাধিকারবলে সভাপতি হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ।

এ ছাড়া হল সংসদে মোট পদ রয়েছে ১১টি। সেগুলো হলো–সভাপতি; কোষাধ্যক্ষ; সহসভাপতি; সাধারণ সম্পাদক; সহসাধারণ সম্পাদক; সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক; পাঠাগার সম্পাদক; ক্রীড়া সম্পাদক; স্বাস্থ্য ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এবং দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য।

এর মধ্যে ৯টি পদে নির্বাচন হবে এবং অন্য দুটি পদের মধ্যে হলের প্রাধ্যক্ষ পদাধিকারবলে সভাপতি হবেন এবং আবাসিক শিক্ষক বা হাউস টিউটরদের থেকে একজন কোষাধ্যক্ষ হবেন।

কেন্দ্রীয় ও হল সংসদে প্রার্থিতার যোগ্যতা হিসেবে শিক্ষার্থীকে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত হতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বা ততধিক স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে গণ্য হবেন না। শিক্ষার্থীর বয়স সর্বোচ্চ ২৮ বছর রাখা হয়েছে। প্রার্থিতা নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট করা বাধ্যতামূলক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সান্ধ্যকালীন কোর্স যেমন, এমবিএ, ইএমবিএ, এমএড অথবা কোনো পেশাদার বা নির্বাহী বা বিশেষ মাস্টার্স কোর্স, অথবা এমফিল ও পিএইচডি বা সমমানের কোর্সসমূহ, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্সসমূহ, ভাষা কোর্সসহ এ ধরনের অন্যান্য কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের সদস্য হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

এ ছাড়া বাংলাদেশে বলবৎ কোনো আইন অনুসারে নিষিদ্ধঘোষিত কোনো সংগঠনের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত বা শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কোনো কলেজ বা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও সদস্য হওয়ার অযোগ্য হবেন।

এ বিষয়ে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে এই খসড়া প্রকাশ করেছি এবং আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এই গঠনতন্ত্র নিয়ে তাদের মতামত জানাতে পারবে।

‘পাঁচ দিন পরে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে কোনো সংযোজন-বিয়োজন করা লাগলে করা হবে। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করা হবে।’

উল্লেখ্য, আগামী পাঁচ কার্যদিবস পর্যন্ত নিম্নোক্ত এই ([email protected]) ই-মেইল ঠিকানায় গঠনতন্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা যেকোনো মতামত জানাতে পারবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বদলগাছীতে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ তিনজন আহত

বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

নওগাঁর বদলগাছীতে এক বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে শিশুসহ তিনজন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সন্ধ্যায় উপজেলার মডেল মসজিদসংলগ্ন মা প্রসাধনী দোকানের সামনে রাসেল হোসেনের ছেলে রিয়াদ (৪) খেলা করছিল। হঠাৎ একটি কুকুর এসে তার পায়ে, কানে কামড় দেয়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা এসে শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল মোড়ে মৃত আলম উদ্দিনের ছেলে বৃদ্ধ কাশেমকে একটি কুকুর দৌড়ে এসে আক্রমণ করে। তাঁর হাত ও পায়ের কয়েকটি স্থানে রক্তাক্ত হয়ে যায়। স্থানীয়রা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মহিলা কলেজ গেটে পিন্ডিরা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আনিছুর রহমান টিউবওয়েলে হাত-পা ধোয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ পেছন থেকে একটি কুকুর তাঁর পায়ে কামড় দেয়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। আহত ব্যক্তিদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চান অনেকে।

এদিকে আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৌমিতা জলিল তিনজনকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা কানিজ ফারহানা বলেন, ‘কুকুরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হেলথের কাজ না। কুকুরের কামড়ে আহতরা প্রতিরোধের টিকা পাননি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপাতত আমাদের স্টোরে কোনো টিকা নেই। কার্যাদেশ পাঠানো আছে, দু-এক সপ্তাহের মধ্যে চলে আসবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান ছনি বলেন, মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত