Ajker Patrika

ফেসবুক লাইভে এসে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদম তমিজির নানা অভিযোগ 

গাজিপুর ও টঙ্গী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০: ৩৬
ফেসবুক লাইভে এসে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদম তমিজির নানা অভিযোগ 

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে ‘চোর’ সম্বোধন করে হক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজি হকের ফেসবুক লাইভ ও স্ট্যাটাস নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। 

গত শুক্রবার রাতে বিদেশে অবস্থানকালে আদম তমিজি হক তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক থেকে লাইভে এসে বলেন, ‘শুভ বিকেল, আমার কারখানা থেকে বেআইনিভাবে জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের বাবা একজন ভালো মানুষ ছিলেন, তিনি আমার বাবার বন্ধু। প্রতিমন্ত্রী রাসেল, তাঁর চাচা মতিউর রহমান মতি ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরু আমার প্রতিষ্ঠান থেকে বেআইনিভাবে টাকা-পয়সা নিতেন। তাঁরা এ পর্যন্ত আমার ১ হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন।’ প্রতিমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘তুই একটা চোর, বাটপার, তুই আমাকে চিনস। আমি টঙ্গীতে আসতেছি। সাহস থাকলে ঠেকা।’ আদম তমিজি হক ঢাকা মহানগর উত্তর তাঁতি লীগের প্রধান উপদেষ্টার পদে রয়েছেন। 

ফেসবুক লাইভ ছাড়াও অপর স্ট্যাটাসে (ইংরেজিতে) আদম তমিজি হক লিখেছেন, ‘প্রিয় শুভাকাঙ্ক্ষী, অনেকেই আপনারা এত দিন আমাকে “চুতিয়া” ভেবেছেন। প্রয়োজনে আজই আমি আমার ক্ষমতার আংশিক রূপ দেখাতে পারি। আমি বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের ক্ষমতাসীন মন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে নামাতেও পারি। সুতরাং আমার সম্পত্তির দিকে হাত বাড়ানোর আগে খুব বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।’ 

অন্য এক স্ট্যাটাসে আদম তমিজি হক নাম উল্লেখ না করে লিখেছেন, ‘প্রিয় নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী), আমি এবং আমার দ্বিতীয় স্ত্রী দুবাই থেকে ঢাকার পথে। বাকি পারিবারিক সদস্যরা আজকে রাতে রওনা করবে এবং সকালে পৌঁছাবে। এমপি রাসেল ও তাঁর চাচার ভয়ানক থাবা থেকে আমরা আমাদের রিজিক বাঁচানোর লক্ষ্যে আসতেছি।’ 

আদম তমিজি হককে একটি লাইভে নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্টে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে দেখা যায়। এসময় তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা ছিলাম। আওয়ামী লীগ আমার ১ হাজার কোটি টাকা মাইরা দিয়া আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসানোর চেষ্টা করছে। এ কারণে আমি এ দেশের নাগরিক থাকতে চাচ্ছি না। আমার ফ্যামিলির যদি কিছু হয়, আপনারা বুঝবেন কারা করছে।’

এর আগে গত বুধবার রাতে টঙ্গীর হিমারদীঘি এলাকার হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (হক বিস্কুট) কারখানার ভেতরে কারখানার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান রুমেলকে পিটিয়ে আহত করা হয়। অভিযোগ ওঠে অপর এক কর্মকর্তা ইশান খানের বিরুদ্ধে। ঈশান খান কারখানাটির মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঘটনার পর পুলিশের উপস্থিতিতে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে কারখানা থেকে বের করে দেওয়া হয় মুশফিকুর রহমানকে। 

রাতেই সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কারখানাটিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকালে মুশফিকুর রহমান কারখানার কয়েক লাখ টাকার হিসাবে গরমিল করেন। রাতে হিসাব বুঝে নিতে কারখানাটির অন্যান্য কর্মকর্তা আলোচনা সভার আয়োজন করেন। এ সময় হিসাবে গরমিলের অভিযোগ এনে কারখানাটির মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ঈশান খান ও বহিরাগত একদল যুবক মুশফিকুর রহমানকে কারখানার ভেতর পিটিয়ে আহত করেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেবেন না এমন মৌখিক শর্তে মুসফিকুর রহমান রুমেলকে পুলিশের উপস্থিতিতে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে কারখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। ঘটনাটি সমাধান করতে রাতেই কারখানায় উপস্থিত হন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি ও তাঁর অনুসারীরা। 

এ ঘটনার পর থেকে টঙ্গীতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের কর্মীসমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল, ঝাড়ু মিছিল, মশাল মিছিল করেছেন। কারখানার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার তমিজি হক অভিযোগ করে বলেন, হক গ্রুপের কারখানা দখলের জন্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের চাচা মতিউর রহমান মতি এবং হক গ্রুপের বরখাস্তকৃত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুমেল মিলে ষড়যন্ত্র করছেন। এ নিয়ে শনিবার দুপুরে টঙ্গীতে হক গ্রুপের কারখানায় সালিশি সভা এবং সংবাদ সম্মেলনের কথা জানালেও পরে তিনি টঙ্গীতে আসেননি। 

এ ঘটনায় আদম তমিজি হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কথা বলেতে রাজি হননি। 

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরুল ইসলাম নূরু বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আদম তমিজি হকের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’ 

এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ‘বুধবার রাত ১০টায় টঙ্গীর হিমারদীঘি এলাকায় হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের একটি কারখানার ভেতরে ওই প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক মুশফিকুর রহমানকে মারধর করা হয়। মারধরের সময় তাঁর হাতের একটি আঙুল কেটে যায়। যেহেতু আমি রাজনীতি করি, তাই খবর পেয়ে সেখানে যাই। পুলিশও সেখানে যায়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে গুরুতর আহত অবস্থায় মুশফিকুর রহমানকে উদ্ধার করে তাঁর স্ত্রী মলি রহমানের হেফাজতে দেওয়া হয়। কিন্তু ভয়ে তাঁরা কোনো অভিযোগ করেনি।’ 

মতিউর রহমান আরও বলেন, ‘আদম তমিজি হকের সঙ্গে আমার কোনো ঝামেলা নেই। তিনি হয়তো কারও দ্বারা প্ররোচিত হয়ে রাজনৈতকভাবে আমাকে হেয় করার জন্য এসব মিথ্যা কথা প্রচার করছেন।’

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘সামনে জাতীয় নির্বাচন। আমার ইমেজ নষ্ট করার জন্য এটি একটি ষড়যন্ত্র। আমি ঐ কারখানার বিষয়ে কিছুই জানি না। একটি গণমাধ্যমে সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে গাজীপুর-২ আসনে আমার নাম আসার পর থেকে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। আমার, আমার পিতা ও আমার পরিবারের সুনাম নষ্ট করার জন্য। এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমাকে জড়িয়ে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তার সবই মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।’

জিএমপি টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তানফিজুর রহমান বলেন, ‘হক গ্রুপের কারখানার দুই ম্যানেজারের মধ্যে মারামারি  হচ্ছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আহত অবস্থায় মুশফিকুর রহমানকে উদ্ধার করে স্ত্রীর জিম্মায় দেওয়া হয়। বিষয়টি কারখানার অভ্যন্তরীণ হওয়ায় তারা মালিকের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছে৷ এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত কিংবা মৌখিক অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যেবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

ইয়ামাল কি তাহলে এভাবেই হারিয়ে যাবেন

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সংঘর্ষের পর সিটি ও ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি বন্ধ, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
সিটি ইউনিভার্সিটির আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিটি ইউনিভার্সিটির আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাভারের বিরুলিয়ায় সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনার পর উভয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সিটি ইউনিভার্সিটি ৪ নভেম্বর এবং ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখবে।

এর আগে শরীরে থুতু ফেলাকে কেন্দ্র করে রোববার রাতে সিটি ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের জের ধরে রাতেই ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা পাশের সিটি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর করেন, গাড়ি পুড়িয়ে দেন। সংঘর্ষে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

এই সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার জন্য উভয় বিশ্ববিদ্যালয় একে অপরকে দোষারোপ করছে। দুইটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠনসহ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার সিটি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে পোড়া গাড়ির অংশ, ভাঙচুর হওয়া ভবনের জানালা ও আসবাব। উপাচার্যের কার্যালয়েও চালানো হয়েছে হামলা। সেখানে ভাঙা কাচ ও পুড়ে যাওয়া নথিপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।

জানতে চাইলে ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলাকারীদের আচরণ শিক্ষার্থীসুলভ ছিল না। তারা আমার কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। গাড়িগুলো আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা আজ থানায় মামলা করব এবং ইউজিসিতে লিখিত অভিযোগ জানাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘অভ্যন্তরীণভাবে পুরো বিষয়টি তদন্তের পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে পুরো ঘটনার তদন্ত করা হবে। এই এলাকার পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়েছে, সেই পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমেও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করব।’

অপর দিকে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক এম আর কবির বলেন, ‘রোববার রাতে সংঘর্ষের ঘটনাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে সব দায় ড্যাফোডিলের ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সংঘর্ষে ড্যাফোডিলের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন রাতে ড্যাফোডিলের ১১ শিক্ষার্থীকে আটকের পর জিম্মি করে জোরপূর্বক তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। জবানবন্দিতে ওই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সিটি ইউনিভার্সিটির অ্যাকাউন্টস থেকে দেড় কোটি টাকা চুরি ও অস্ত্রসহ হামলার কথা বলানো হয়, যা সত্য নয়। তদন্ত হলেই প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।’

ড. এম আর কবির আরও বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাঁরা ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ সময় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুম ইকবাল, এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

ইয়ামাল কি তাহলে এভাবেই হারিয়ে যাবেন

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হালদা নদী রক্ষায় গেজেট সংশোধন করা হবে: উপদেষ্টা ফরিদা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মৎস্য হেরিটেজ বাস্তবায়ন তদারকি কমিটির ১৫তম সভায় বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত
প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মৎস্য হেরিটেজ বাস্তবায়ন তদারকি কমিটির ১৫তম সভায় বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, হালদা নদী রক্ষায় গেজেট সংশোধনের মাধ্যমে তামাক চাষ ও নদীদূষণ বন্ধ করা হবে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মৎস্য হেরিটেজ বাস্তবায়ন তদারকি কমিটির ১৫তম সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেন, গেজেট সংশোধন না হওয়ায় হালদা নদীর উন্নয়নমূলক অনেক কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। তামাক চাষের কারণে হালদা নদীর তীরবর্তী ভূমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে, যা নদীর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।

উপদেষ্টা বলেন, হালদা নদী উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে একযোগে ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে হালদা নদী রক্ষায় ডিপিপি ও চলমান প্রকল্পের বাইরে থেকেও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে গবেষণা করতে হবে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুসরাত সুলতানা, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জমির উদ্দিন, মৎস্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সালমা বেগম।

প্রসঙ্গত, পার্বত্য খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মদুনাঘাটের কাছে কর্ণফুলী নদীতে মিশেছে হালদা নদী। এ নদী থেকে বর্ষা মৌসুমে কার্পজাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

ইয়ামাল কি তাহলে এভাবেই হারিয়ে যাবেন

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডাকসু নেতা সর্বমিত্রের ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না: ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ডাকসু নেতা সর্বমিত্রের ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না: ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমার ‘ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্র ইউনিয়ন। জুলাই অভ্যুত্থানপরবর্তী সময়ে ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছে ছাত্রসংগঠনটি।

আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সভাপতি মেঘমল্লার বসু ও সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিবৃতিতে এমনটি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সর্বমিত্রের সন্ত্রাসী হুমকি প্রমাণ করে, তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ভিন্নমতাবলম্বীদের মাদক কারবারি আখ্যা দেওয়া আদতে সন্ত্রাসের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের ঘৃণ্য চেষ্টা।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে, প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ডাকসুর নেতৃত্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে আরেকবার সংঘাত ও সন্ত্রাসের দিকে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র রচনা করছে। প্রথমে আমরা লক্ষ করলাম, নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে এখতিয়ারবহির্ভূত উপায়ে ডাকসুর নেতারা নেতৃত্ব দিয়ে বর্বর কায়দায় উদ্বাস্তু, ভবঘুরে ও হকারদের উচ্ছেদের চেষ্টা করলেন। অথচ তাঁরা চাইলেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে চাপ দিয়ে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এসব আশ্রয়হীন মানুষকে অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারতেন। তা না করে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে আশ্রয় নিয়ে যখন প্রতিবাদের সম্মুখীন হলেন, তখন তাঁদের আক্রমণের শিকার হকার, উদ্বাস্তু, ভবঘুরেসহ প্রতিবাদকারীদের ঢালাওভাবে মাদক কারবারি আখ্যা দিয়ে তাঁরা ভিন্নমত দমনের পুরোনো ভয়াবহ কায়দা অবলম্বন করলেন।

একই দিনে একজন ডাকসু নেতার উপস্থিতিতে দুজন সহকারী প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর এক শিক্ষার্থীর ফোন চেক করে তাঁর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেন, তাঁর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে নানাবিধ প্রশ্ন করে হেনস্তা করেন। এ ঘটনাস্থলেই একজন রিকশাচালকের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে আহত হওয়া প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যের ছবি ব্যবহার করে বামপন্থীদের নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডায়ও লিপ্ত হয়েছেন কয়েকজন ডাকসু নেতা। কোনো প্রকার তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ডাকসু নেতাদের এ ধরনের বক্তব্য ও ক্রমাগত মিথ্যাচার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং নিপীড়নের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের অপচেষ্টামাত্র। এর প্রমাণ বহন করে ডাকসু সদস্য সর্বমিত্র চাকমার ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার হুমকি।

ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রশাসনিক পক্ষপাতিত্ব, ব্যালট বিতর্কসহ নানাবিধ অমীমাংসিত অভিযোগে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ডাকসুর ব্যানারের আড়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদে নিষিদ্ধ সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের চিরচেনা সন্ত্রাসী রাজনীতি নতুন মোড়কে হাজির করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। প্রশাসনিক ছত্রচ্ছায়ায় চলমান এ ষড়যন্ত্র প্রত্যাখ্যান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন সুস্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ হুমকি সহ্য করবে না। গণ-অভ্যুত্থানের পর তোফাজ্জল ও সাম্য খুনের বিচার শেষ হওয়ার আগেই যাঁরা আরেকবার ক্যাম্পাসকে রক্তাক্ত করার দিবাস্বপ্নে রত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

ইয়ামাল কি তাহলে এভাবেই হারিয়ে যাবেন

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বামপন্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে’ দিতে চান ডাকসু নেতা সর্বমিত্র, অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বামপন্থী শিক্ষার্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী আবির হাসান।

আবির হাসান ডাকসু নির্বাচনে উমামা ফাতেমার নেতৃত্বাধীন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সদস্য পদপ্রার্থী ছিলেন। তিনি সিএসই বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।

আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আবির হাসান অভিযোগ করেন, সর্বমিত্র চাকমা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে বামপন্থী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এই হুমকি দেন।

স্ট্যাটাসে আবির লেখেন, ‘আপনাদের একটা ইন্টারেস্টিং তথ্য দিই। সেদিন যখন প্রক্টর অফিসে আমার ফোন চেক করা হয় এবং আমি সেখানে বসা, তখন বামপন্থীরা হকারদের সঙ্গে মিছিল করছিল (বাইরে)। এমন সময় কোত্থেকে সর্বমিত্র চাকমা রুমে ঢুকে বললেন, ‘‘আপনি শুধু অনুমতি দিন স্যার, হলপাড়া থেকে ১০টা পোলাপান নিয়ে তাদের মেরে ঠ্যাং ভেঙে দিয়ে আসি।’

আবির আরও লেখেন, ‘আমার তখন জিজ্ঞেস করতে মন চাইছিল, ছোটভাই, তোমার হল যেন কোনটা? নিজের হল থেকে দুইটা পোলাপান নিয়ে আসো তো পারলে, দেখি।’

আবিরের পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে সর্বমিত্র লেখেন, ‘হল পাড়া থেকে ১০টা পোলাপানের কথা বলি নাই। মিনিমাম ২০০ জনের একটা মিছিল নিয়ে গিয়ে ঠ্যাং ভেঙে দিয়ে আসব বলেছিলাম। ১০ জন কম হয়ে যায়। আমার ক্যাম্পাসে গাঞ্জাখোর আর গাঞ্জা বিক্রেতারা এসে মিছিল করবে আর আমি আঙুল চুষবো! সরি, ব্রো!’

পরে অবশ্য সর্বমিত্রের ফেসবুক টাইমলাইনে পোস্টটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত হতে আজকের পত্রিকা সর্বমিত্র চাকমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এ সময় আবিরের পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে উপরোক্ত কথাগুলো লেখার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি পোস্টটি শেয়ার দিয়েছিলাম, কিন্তু পরে সেটি ‘‘ওনলি মি’’ করে রেখেছি। আমি পোস্টটি আবারও পাবলিক করব।’

তবে তিনি প্রক্টর অফিসে বামপন্থী ও হকারদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার কথা বলিনি। তারা ক্যাম্পাসে মাদকের কারবার করে, প্রক্টরিয়াল টিম তাদের উচ্ছেদ করতে অপারগতা জানাচ্ছিল, তখন আমি ছাত্রদের নিয়ে তাদের প্রতিরোধের কথা বলেছিলাম।’

এদিকে সর্বমিত্রের এই হুমকির প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। আজ সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ‘ঠ্যাং ভাঙা’ সন্ত্রাসের হুমকি সহ্য করা হবে না। সর্বমিত্রের সন্ত্রাসী হুমকি প্রমাণ করে, তথ্য-প্রমাণ ছাড়া ভিন্নমতাবলম্বীদের ‘মাদক কারবারি’ আখ্যা দেওয়া আদতে সন্ত্রাসের পক্ষে সম্মতি উৎপাদনের ঘৃণ্য চেষ্টা।

গত কয়েক দিন ধরে ঢাবি ক্যাম্পাসে অবৈধ দোকান ও ভ্রাম্যমাণ হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এ বি জুবায়ের ও সদস্য সর্বমিত্র চাকমা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছেন। অন্যদিকে এসব উচ্ছেদের প্রতিবাদে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা হকারদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল করেন।

ঘটনাটি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে ডাকসুর সদস্যদের ‘মোরাল পুলিশিং’ ও প্রশাসনিক ভূমিকা পালনের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

অন্যদিকে গতকাল সোমবার দুপুরে আবির হাসান বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসের বিরুদ্ধে মোবাইল ফোন চেক করে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগও দাখিল করেন। তিনি লিখিতভাবে জানান, প্রশাসনের এমন আচরণ শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া আদেশে যা আছে

ইয়ামাল কি তাহলে এভাবেই হারিয়ে যাবেন

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ইতিহাসের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে জ্যামাইকায়, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

সন্ধ্যা থেকে বন্ধ থাকবে নির্বাচন ভবনের আশপাশের ব্যবসা কার্যক্রম

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত