Ajker Patrika

গাজীপুরে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের রিসোর্টে পেট্রলবোমার বিস্ফোরণ, থানায় মামলা

গাজীপুর প্রতিনিধি
কালীগঞ্জ থানা। ছবি: সংগৃহীত
কালীগঞ্জ থানা। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের কুচলিবাড়ি এলাকায় অবস্থিত গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের মালিকানাধীন নিসর্গ নামের একটি রিসোর্টে দুটি পেট্রলবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার কালীগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গত সোমবার (২৬ মে) দিবাগত রাত ২টা ও ভোর ৪টার দিকে রিসোর্টের আশপাশে দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণের পর আগুনের সূত্রপাত হলে রিসোর্টের লোকজন তা নিয়ন্ত্রণ করেন। তবে এ ঘটনায় বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। এ ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এ ঘটনায় বুধবার নিসর্গ রিসোর্টের ডিউটি অফিসার ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আব্দুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলা নং-২০(৫)২৫।

সূত্র আরও জানায়, নিসর্গ রিসোর্টটি পরিচালনা করে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস হলেন গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা ট্রাস্টি।

মামলার বাদী অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আমাদের ভয়ভীতি দেখানোর জন্য কেউ হয়তো এমনটি করে থাকতে পারেন।’

বিষয়টি জানার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিনের মোবাইলে ফোন করা হলে একজন এসআই ফোন রিসিভ করেন। তিনি বলেন, স্যার মিটিংয়ে আছেন। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। আমরা জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার কাজ করছি।’

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের কুচলিবাড়ি এলাকায় অবস্থিত গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট পরিচালিত নিসর্গ রিসোর্টে গত সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রিসোর্টের পূর্বদিকে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা প্রথম একটি পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করলে সেটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এরপর ভোররাতে আবারও দোতলা ভবনের লবিতে একটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের ফলে আগুনের সূত্রপাত হলে তাৎক্ষণিকভাবে আনসার সদস্য সাফায়েত, আব্দুল আজিজ, আল-আমিন, রাকিব ও আলমগীর কবির তা নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ঘটনাস্থল থেকে সুতলি দিয়ে বাঁধা তরল পদার্থভর্তি দুটি কাচের বোতল, ভাঙা কাচ উদ্ধার করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, সোমবার রাতে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা রিসোর্টের পূর্ব পাশের কাঁঠালবাগানে গোপন বৈঠক করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও সরকার উৎখাতের উদ্দেশ্যেই তারা ওই বৈঠক করে এবং পরিকল্পিতভাবে নিসর্গ রিসোর্টের সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে পেট্রলবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।

মামলার বাদী আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে প্রথমে একটি পেট্রলবোমা রিসোর্টের পূর্বদিকে ফেলে। এরপর ভোররাত ৪টার দিকে আরেকটি বোমা এসে রিসোর্টের একটি দোতলা ভবনের লবিতে পড়ে। দুটিতেই আগুন লাগে, আনসার সদস্যরা তাৎক্ষণিক তা নিয়ন্ত্রণ করেন। তবে এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনা বুধবার মামলা করা হয়।

এ বিষয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক বলেন, রিসোর্টটি নির্জন এলাকায় অবস্থিত। দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে কাজটি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য ইতিমধ্যে কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে এক বাসায় বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ ৪

ঢামেক প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগারগাঁওয়ে সরকারি কোয়ার্টারে গ্যাস বিস্ফোরণের পর এবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলা থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সোনারগাঁওয়ের পাটাত্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, আলাউদ্দিন (৩৫), তাঁর দুই মেয়ে শিফা আক্তার (১৪) ও সিমলা আক্তার (৪) এবং আলাউদ্দিনের মা জরিনা বেগম (৬৫)।

দগ্ধ আলাউদ্দিনের বোন সালমা আক্তার জানান, তাঁর মা, ভাই ও ভাইয়ের দুই মেয়ে ওই বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকে। ভোরে তাঁর ভাই আলাউদ্দিন ওয়াশরুমে যায়। এ সময় তাদের রান্না ঘরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। তাঁর ভাই রুমে ঢুকতেই আগুনে ঝলসে যায়। এ সময় ঘরে থাকা তিনজন দগ্ধ হয়। পরে তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসে।

সালমা আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, রান্না ঘরে গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, সকালে নারায়ণগঞ্জের একটি বাসায় গ্যাসের চুলার আগুন থেকে ৪ জন দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছে। এদের মধ্যে আলাউদ্দিনের ৪০ শতাংশ, শিফার ১২ শতাংশ, শিমলার ৩০ শতাংশ ও জরিনা বেগমের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। চারজনকে ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মাগুরায় পেট্রলবোমা হামলায় দুই সরকারি অফিসে অগ্নিকাণ্ড

মাগুরা প্রতিনিধি 
মাগুরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও সরকারি সাবরেজিস্ট্রার অফিসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাগুরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও সরকারি সাবরেজিস্ট্রার অফিসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাগুরায় আলাদা স্থানে পেট্রলবোমা হামলায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দপ্তর দুটি হলো মাগুরা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ও সরকারি সাবরেজিস্ট্রার অফিস। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আগুন লাগিয়ে দেয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা আক্তার বলেন, রাতের আঁধারে দুষ্কৃতকারীরা অফিসের পেছনের জানালা ভেঙে ভেতরে পেট্রলবোমা ছোড়ে। এতে নিচতলায় থাকা কম্পিউটার, আসবাবসহ জমি-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল ও নথিপত্র পুড়ে যায়।

অন্যদিকে শহরের ইসলামপুর পাড়ার সাবরেজিস্ট্রার অফিসেও একইভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সাবরেজিস্ট্রার শুভ্রা রানী দাস বলেন, পেট্রলবোমায় রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে দলিল লেখকদের ঘর এবং নিচতলা পুড়ে গেছে। এতে জমি-সংক্রান্ত দলিল, প্রয়োজনীয় নথি ও দলিল লেখকদের কাগজপত্র ছাই হয়ে গেছে।

মাগুরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার মো. আলিম মোল্লা বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পরপর দুটি স্থানে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‎টঙ্গীতে ছিনতাকারীর ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর বাটাগেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

‎নিহত ব্যক্তির নাম সিদ্দিকুর রহমান (৫৭)। তিনি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার মৃত ইসমাইল ফকিরের ছেলে। সিদ্দিক টঙ্গীর মধুমিতা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বসবাস করতেন।

‎‎থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছেন।

‎‎স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সিদ্দিকুর রহমান ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগে চাকরি করতেন। শনিবার সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন তিনি। সিদ্দিকুর বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর ওপর বাসের অপেক্ষায় ছিলেন। এ সময় কয়েকজন ছিনতাইকারী তাঁর কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা তাঁকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

‎ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ‎‎টঙ্গী পূর্ব থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতিকুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে বাবা-ছেলে আটক

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
গতকাল রাতে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাড়ি ঘেরাও করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল রাতে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাড়ি ঘেরাও করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ শহরের গণকপাড়া রাঢ়ীবাড়ি এলাকায় বাবা-ছেলেকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে এই দুজনকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন ওই এলাকার মো. শফিউল বাসার হাসিব (৪০) ও তাঁর বাবা

মো. রবিউল আউয়াল জসিম ওরফে খোকন (৬৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ৩ ডিসেম্বর রাত পৌনে ৩টার দিকে মো. শফিউল বাসার হাসিব নিজ বসতঘরে কোরআন শরিফে আগুন দেন। ঘটনাটি তাঁর ফুফু হোসনেয়ারা হাসনাত (৫৬) প্রত্যক্ষ করেন। পরে সকালে হাসিবের বাবা মো. রবিউল আউয়াল জসিম কোরআন শরিফের পোড়া পৃষ্ঠা ও ছাই পাশের ডোবায় ফেলে দেন।

ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার রাতে মুসল্লি ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। রাতেই উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাড়ি ঘেরাও করলে পরিস্থিতি চরমে ওঠে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করে হেফাজতে নেন।

সদর থানার ওসি এম সাইফুল আলম বলেন, হোসনেয়ারা হাসনাতের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও দাঙ্গা সৃষ্টির অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। আটক দুই আসামিকে শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

সাইফুল আলম জানান, বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত