Ajker Patrika

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে সবার আগেই শিক্ষাকে স্মার্ট করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

গাজীপুর প্রতিনিধি
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে সবার আগেই শিক্ষাকে স্মার্ট করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে, সবার আগে শিক্ষাকে স্মার্ট করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুর মূল ক্যাম্পাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে বলেছিলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কথা। ২০২২ সালে এসে তিনি বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশকে একটি উদ্ভাবনীর দেশ হিসেবে, স্মার্ট বাংলাদেশ করে গড়ে তুলবেন। আমাদের প্রাত্যহিক আলাপ আলোচনায় স্মার্ট শব্দটির বহু ব্যবহৃত অর্থ রয়েছে। কিন্তু তিনি যে অর্থে ব্যবহার করেছেন সেটি হলো—আমরা সকলে সবদিক থেকে চৌকস হয়ে গড়ে উঠব। আমাদের শিক্ষা হবে স্মার্ট, আমাদের অর্থনীতি হবে স্মার্ট, আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য হবে স্মার্ট, আমাদের গভর্নেন্স হবে স্মার্ট-এই সবকিছুর মধ্য দিয়ে আমরা একটা স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে, সবার আগেই শিক্ষাটাকে স্মার্ট করতে হবে। শিক্ষাটাকে স্মার্ট বানাবার জন্যই আমরা গত ক’বছরে নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছি।’ 

দীপু মনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এ লক্ষ্যে এবারে চলমান তিন মেয়াদে এবং তার আগের মেয়াদে শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। ঠিক যেভাবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন শিক্ষাকে প্রাধান্য দিতে হবে। আমাদের যতগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আমাদের এই শিক্ষাকে একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশের উপযোগী করে দেশকে এগিয়ে নেবার জন্য, তার সমস্ত সম্ভাবনাকে বিকশিত করার জন্য, যে রকম একটি শিক্ষা ব্যবস্থা দরকার সে রকম। সেই ঔপনিবেশিক শিক্ষা নয়, কেরানি পয়দা করার শিক্ষা নয়! একটা স্বাধীন দেশের উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’ 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল হয়েছে, আমাদের নানা রকম নীতিমালা বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের নতুন নীতিমালা প্রণীত হয়েছে এবং সেটা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এ রকম নানাবিধ এবং আমাদের উচ্চ শিক্ষায়ও আমাদের বিভিন্ন নীতিমালা অনুসরণ করে চলেছি। আমাদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কিছু লক্ষ্য রয়েছে সেগুলো আমাদের পূরণ করতে হবে আর টেকসই উন্নয়নের যে লক্ষ্য আন্তর্জাতিকভাবে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।’ 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অত্যন্ত সফলভাবে তারা সারা দেশের অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার মান উন্নয়নসহ শিক্ষা প্রশাসন পরিচালনা করছে। যদিও এই কাজ অত্যন্ত কঠিন এবং চ্যালেঞ্জের। দেশের ২ হাজার ২৫৭টি কলেজের শিক্ষাব্যবস্থাপনা, পরিচালনা পর্ষদ গঠন, মান উন্নয়নসহ নানাবিধ কাজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সামলাতে হয়। তবে আমাদের দেশের সাধারণ শিক্ষার চেয়ে কারিগরি শিক্ষা, কর্মমুখী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ানো উচিত। কারণ এসব ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি সৃষ্টি হয়।’

এর আগে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে একাডেমিক ভবনের সামনে সকাল সাড়ে ১০টায় পায়রা এবং বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন শেষে একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে আনন্দ র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নতুন ডরমিটরি ভবনের সামনে অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে শেষ হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। ৩০ পাউন্ড ওজনের কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়। 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এমপি, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, শামসুন্নাহার ভূঁইয়া এমপি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাবিবুর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. নাছিমা বানু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন। 

অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় সংসদ সদস্য ও সংগীত শিল্পী মমতাজ বেগম, সরকারি সংগীত কলেজসহ জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে যুবককে সাজা, ভেকু মেশিন জব্দ

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি  
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে মো. হৃদয় আহমেদ (২৬) নামের এক যুবককে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বালু তোলার কাজে ব্যবহৃত একটি এক্সকাভেটর (ভেকু মেশিন) জব্দ করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের জিলকী বটতলা এলাকায় উপজেলা প্রশাসন এই অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ত্রিশাল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান।

সাজাপ্রাপ্ত হৃদয় জিলকী বটতলা এলাকার মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

এসি ল্যান্ড মাহবুবুর রহমান বলেন, জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে, যাতে পরিবেশ ও নদী রক্ষা করা যায় এবং অবৈধ বালু উত্তোলন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গোপনে সহপাঠীদের অপ্রীতিকর ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বাকৃবি ছাত্রী

বাকৃবি প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে গোপনে নারী সহপাঠীদের ছবি তুলে এক সিনিয়র ছাত্রের কাছে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ডিনের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিযোগকারীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ছাত্রী বাকৃবি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। তিনি তাঁর নারী সহপাঠীদের ঘুমন্ত বা ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি গোপনে মোবাইল ফোনে তুলতেন। তাঁর কাছ থেকে যিনি ছবিগুলো গ্রহণ করতেন, তিনি ওই ছাত্রী যে বিভাগে পড়েন, সেই বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র এবং বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচারার হিসেবে কর্মরত।

ওই ছাত্রী অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসে। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে ছবি আদান-প্রদানের প্রমাণ পাই। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি স্বীকার করেন যে তিনি মেয়েদের বিভিন্ন ছবি তুলতেন এবং তা এক সিনিয়র ভাইয়ের কাছে পাঠাতেন।’ তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মোবাইলটি সিলগালা অবস্থায় ডিন অফিসে সংরক্ষিত রয়েছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও নিরোধ কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হবে।

অভিযুক্ত সিনিয়র শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি মেয়েটির সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা বলেছি। সে যেসব ছবি পাঠিয়েছে, আমি তা সংরক্ষণ করিনি। আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না; তবে আমি আমার কাজের জন্য অনুতপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা মেনে নেব।’

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সহপাঠীদের ভাষ্য, ইন্টার্নশিপ চলাকালে ওই ছাত্রীর সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ করে তাঁরা তাঁকে নজরদারিতে রাখেন। পরে নিশ্চিত হন যে ওই ছাত্রী মেয়েদের ঘুমন্ত বা অপ্রস্তুত অবস্থার ছবি তুলতেন। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পর তাঁরা বিভাগীয় শিক্ষকদের অবহিত করেন এবং কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে কিশোরীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীতে মাসুদা পারভিন ওরফে ইভা (১৭) নামের এক কিশোরীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরের মতিহার থানার মৌলভী বুধপাড়া এলাকার একটি আমবাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। তার স্বামী মো. দুর্জয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

মৃত ইভা নগরের মেহেরচণ্ডী এলাকার ইকবাল হোসেনের মেয়ে। তার স্বামী দুর্জয়ের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কানপাড়া গ্রামে। রাজশাহী নগরের দায়রাপাক এলাকায় এই দম্পতি ভাড়া থাকতেন। ইভা তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক জানান, দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আমবাগানে লাশটি দেখতে পান। ইভার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওসি বলেন, ইভার স্বামী দুর্জয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি পলাতক। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। এ নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক আহত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি   
উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা
উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রামের বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় দুই শিশুর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার মধ্যবাজার এলাকায় এই সংঘর্ষ চলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়ইউড়ি ও বাহুবল গ্রামের দুই শিশুর মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়াকে ঘিরে বিকেল থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সন্ধ্যার পর উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মধ্যবাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত কয়েকজনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল, বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে রাত ১০টার দিকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত