Ajker Patrika

আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী, কোনো অভিযোগ নেই: জায়েদা খাতুন 

নিজস্ব প্রতিবেদক,গাজীপুর থেকে
আপডেট : ২৫ মে ২০২৩, ১১: ৩৯
আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী, কোনো অভিযোগ নেই: জায়েদা খাতুন 

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা ও টেবিল ঘড়ি মার্কার মেয়র পদপ্রার্থী জায়েদা খাতুন বলেছেন, ‘আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিন। ইভিএম নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। ভোটকেন্দ্রগুলোর পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো আছে। এসব নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই।’

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন জায়েদা খাতুন। ভোট দিয়ে বেরিয়ে তাঁর কোনো অভিযোগ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম এজেন্টদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো কেন্দ্রের নাম বলতে পারেননি তিনি। 

কাছাকাছি সময়ে ভোট দিয়ে এসে মায়ের সঙ্গে যুক্ত হন এই নগরীর সর্বশেষ মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘৪৮০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। কিছু কেন্দ্রে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, তবে এতে কিছু যায় আসে না। মা, ছেলে ও গাজীপুরবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছে আমার মা জায়েদা খাতুনকে ভোট দিতে। বিকেল ৪টা পর্যন্তই যেন ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু হয়। কোনোভাবেই যেন সিসি ক্যামেরা ও ইভিএম মেশিন টেম্পারিং করা না হয়।’

সরকার ও নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ভোটের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা শেষ পর্যন্ত দেখব এমনটা জানিয়ে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমরা ভোটের মাঠে আছি। সর্বশেষ পর্যন্ত দেখব, কোথাও কোনো কারচুপি হয়েছে কি না। যদি সুষ্ঠু হয় তবে আমরা ভোটের ফলকে স্বাগত জানাব এবং ভালো ভোটের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ দেব। আর কোনো অনিয়ম হলে গাজীপুরবাসী তা মেনে নেবে না। এখন পর্যন্ত যে ভোট হয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। ভোটারদের বলছি আপনারা কেন্দ্রে আসেন, ভোট দেন। এই শহর আপনাদের, ভোটের মালিক আপনারা। কোনো পেশিশক্তি যেন ভোট নষ্ট না করতে পারে।’

জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কেউ বাধা দিয়ে ভোট নষ্ট করতে পারবে না বলে আশাবাদ জানিয়ে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমাদের সব এজেন্ট কেন্দ্রে গেছে, কিছু এজেন্টকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের এজেন্ট তার পরও কেন্দ্রে ঢুকেছে। টঙ্গীতে কিছু জায়গায় এটা করেছে। আমরা আরও তথ্য নিচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলায় পুরোনো বই বদলের সুযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী বিভাগীয় বইমেলা শুরু হবে আগামীকাল শুক্রবার। মেলায় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের স্টল থেকে পুরোনো বই বদল করে নতুন বই নেওয়া যাবে। বইমেলা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান বইমেলা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জানান, বিকেল ৪টায় বইমেলার উদ্বোধন করা হবে এবং মেলা চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। ছুটির দিন বাদে মেলা চলবে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আর ছুটির দিনে শুরু হবে বেলা ১১টায়।

জানা গেছে, মেলায় ১১টি সরকারি দপ্তর ও ৭০টি বেসরকারি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান তাদের প্রকাশিত পুস্তকের প্রদর্শনী ও বিক্রয় করবে। শিশুদের জন্য থাকবে শিশু কর্নার ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।

এবারের বইমেলায় বিশাল মূল্যছাড় ছাড়াও থাকছে লেখক ও পাঠক আড্ডা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সভা। এ ছাড়া বই কিনতে অসমর্থদের জন্য জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র দেবে বই বদলের সুযোগ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাউজানে র‍্যাবের অভিযানে অস্ত্র-মাদক উদ্ধার, আটক ২

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
রাউজানে র‍্যাবের অভিযানে অস্ত্র-মাদক উদ্ধার। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাউজানে র‍্যাবের অভিযানে অস্ত্র-মাদক উদ্ধার। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের রাউজানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছে র‍্যাব। এ সময় দুজনকে আটক করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার র‍্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে—১১টি বন্দুক, ২৭টি দেশি ধারালো অস্ত্র, ৮টি কাঠের স্ট্যাম্প ও ১৫টি কার্তুজ। আটক ব্যক্তিরা হলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খায়েজ আহমেদের ছেলে মো. কামাল ও অপরজন তাঁর চাচাতো ভাই মো. সোহেল। তিনি শফিক আহমেদের ছেলে।

জানা যায়, উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খায়েজ আহমেদের নতুন বাড়িতে অভিযান চালান র‍্যাব সদস্যরা। গতকাল বুধবার গভীর রাত থেকে এ অভিযান শুরু হয়। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত অভিযান চলে।

র‍্যাব জানায়, অভিযানে গাঁজা এবং বিদেশি মদও উদ্ধার করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির আঙিনা, পুকুর পাড় এবং আলমারিতে এসব অস্ত্র ও মাদক লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এ ছাড়া গ্রেপ্তার কামালের বিরুদ্ধে মারামারি ও চাঁদাবাজির তিনটি মামলা রয়েছে।

কর্নেল হাফিজুর রহমান জানান, অভিযানে ব্যাপক অস্ত্র-গোলাবারুদ, দা-কিরিচ, রাবার বুলেটসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজনকে থানা-পুলিশের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, রাউজানে গত ১৫ মাসে ১৬টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এসব হত্যাকাণ্ডের পর প্রশ্নের মুখে পড়ে রাউজানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দুদকের মামলায় রপ্তানিকারক দুই ভাই ও সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার জেল

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালত। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালত। ছবি: আজকের পত্রিকা

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় খুলনার একটি আদালত রপ্তানিকারক দুই ভাইকে ১০ বছর ও এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁদের তিনজনকে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে পৃথক মেয়াদের সাজা দেওয়া হয়।

আজ বৃহস্পতিবার খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. ইয়াছিন আলী।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে দুজন হলেন মেসার্স আকবর আলী সন্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রবিউল হক বিশ্বাস ও তাঁর ভাই ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মো. শফিউল হক বিশ্বাস। তাঁদের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৬ কোটি ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ৯৬০ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ মামলার অপর আসামি দৌলতপুর সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখার সাবেক অফিসার (অগ্রিম) এস এম ইমদাদুল হককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণাকালে এস এম ইমদাদুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।

আদালতের সূত্র জানায়, পাট রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আকবর আলী সন্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবিউল হক ও তাঁর ভাই চেয়ারম্যান শফিউল হক পরস্পরের যোগসাজশে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড থেকে ৬ কোটি ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ৯৬০ টাকা মূল্যের পাট আত্মসাৎ করেন।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ওই রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ২০০৯-১০ পাট মৌসুমে তাদের প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋণ নেন এবং ক্রয় করা পাট মানিকতলায় ভাড়া করা গোডাউনে রাখেন। আর গোডাউনের চাবি সোনালী ব্যাংকের কাছে সংরক্ষিত রাখা হয়। আর এর তদারকির দায়িত্বে ছিলেন দৌলতপুর সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখার তৎকালীন অফিসার (অগ্রিম) এস এম ইমদাদুল হক। তিনি ওই গোডাউনে থাকা পাটের আগের স্টক ও নবায়ন করা ঋণসীমার হিসাব রাখতেন। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন কাজ শেষে গোডাউনের চাবি ওই কর্মকর্তার কাছে দিতেন। কিন্তু তাঁরা পরস্পর যোগসাজশে উল্লিখিত পরিমাণ টাকার পাট গোডাউন থেকে সরিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

এ ঘটনায় দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার উপসহকারী পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০১৬ সালের ১১ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। তাঁদের মধ্যে আসামি সোহেল হোসেন জোয়াদ্দারের মৃত্যু হওয়ায় তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আদালত সূত্র আরও জানায়, সাজাপ্রাপ্ত আসামি রবিউল হক ও শফিউল হকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের ঘোষণাও দেন আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় বিকাশ এজেন্টকে কুপিয়ে জখম, টাকা ছিনতাই

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনার তেরখাদা উপজেলায় বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন সেলস অফিসার (ডিএসও) রাতুলকে কুপিয়ে জখমের পর নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

বিকাশ কর্মকর্তা মাহিদুজ্জামান সানি জানান, আহত রাতুল ডিএসও হিসেবে তেরখাদা উপজেলায় কর্মরত আছে। বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে তিনি উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিকাশের টাকা সংগ্রহ করে খুলনার উদ্দেশে রওনা হওয়ার সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁকে ঘিরে ফেলে এবং তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। তবে টাকার পরিমাণ জানা যায়নি।

তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, এমন ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত