গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যা মামলায় আসামি শাহজালাল (৩২) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৩ আদালতের বিচারক ওমর হায়দারের কাছে তিনি এ জবানবন্দি দেন।
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামির মধ্যে আদালতে জবানবন্দি দেওয়া শাহজালালের বাড়ি কুমিল্লার হোমনা উপজেলার আন্তপুর গ্রামে। তিনি গাজীপুরে বসবাস করেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আহসান উল্লাহ চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় গত শনিবার সাত আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালত আসামিদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ বেলা আড়াইটার দিকে আদালতে হাজির করা হয়। হাজির করা আসামিদের মধ্যে শাহজালাল আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হন। পরে আদালত ১৬৪ ধারায় শাহজালালের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, জবানবন্দিতে শাহজালাল জানিয়েছেন, তিনি ইয়াবা কারবার ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। গত বৃহস্পতিবার মিজান, স্বাধীন, সুমন, আরমান, ফয়সাল, আলামিন এবং তিনি একসঙ্গে ইয়াবা সেবন করছিলেন। এমন সময় গোলাপী তাঁর স্বামী মিজানকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানান, শাপলা ম্যানশনের কাছে একজন লোক পাওয়া গেছে। তাঁকে আটকে টাকাপয়সা নেওয়া যাবে।
কিছুক্ষণের মধ্যে মিজানসহ তাঁরা চাপাতি, দা, সুইচ গিয়ার চাকু নিয়ে শাপলা ম্যানশনের দিকে গিয়ে গোলাপীকে নিশানায় ফেলা ব্যক্তির সঙ্গে হাতাহাতি করতে দেখেন। এমন অবস্থায় ধাওয়া করে ওই ব্যক্তিকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তাঁরা। কোপ খেয়ে ওই ব্যক্তি একটি মুদিদোকানে ঢুকে পড়েন। ওই সময় গোলাপী চিৎকার করে বলতে থাকেন, তুহিন সাংবাদিক ভিডিও করছে। সঙ্গে সঙ্গে আহত ব্যক্তিকে ফেলে তুহিনকে ধাওয়া করে চায়ের দোকানের সামনে প্রথমে মিজান দা দিয়ে কোপ মারেন। তিনি জখম অবস্থায় দোকানের ভেতর ঢুকলে স্বাধীন, সুমন, আরমান, আলামিন, ফয়সাল–সবাই তুহিনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। মিজান সুযোগ বুঝে সাংবাদিক তুহিনের মোবাইল ফোন নিয়ে পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেন। এ সময় গোলাপী পুলিশ আসছে বলে চিৎকার করলে সবাই পালিয়ে যান।
আদালত পরিদর্শক বলেন, শাহজালাল তাঁর জবানবন্দিতে তুহিন হত্যাকাণ্ডে নিজে জড়িত ছিলেন এবং অন্য কে কে জড়িত, সেসব বিষয় উল্লেখ করে বক্তব্য দিয়েছেন। তবে অন্য আসামিরা স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হননি। তা ছাড়া পুলিশও তাঁদের আর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করেনি। এ কারণে আদালত সব আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাঁদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় আট আসামির মধ্যে সাতজনকে রিমান্ড শেষে প্রথমে গাজীপুর আদালতের হাজতখানায় এনে রাখা হয়। পরে আসামিদের গাজীপুরের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এর বিচারক ওমর হায়দারের আদালতে তোলা হয়।
গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে একটি মার্কেটের ভেতর প্রকাশ্যে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। তুহিন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপির) বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন খান বলেন, সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় বাসন থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে। এর একটির বাদী হয়েছেন তুহিনের বড় ভাই মো. সেলিম। অন্যটির বাদী তুহিন হত্যার আগে সংঘটিত আরেকটি হামলার ঘটনায় আহত বাদশা মিয়ার ভাই। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
জিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. জাহিদুল হাসান জানান, সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে শনাক্ত হওয়ার পর মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছয়জনকে মহানগর পুলিশ ও দুজনকে র্যাব গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার অন্য আসামিরা হলেন জামালপুরের মেলান্দহ থানার মাহমুদপুর এলাকার মোবারকের ছেলে মিজান ওরফে কেটু মিজান (৩৫), তাঁর স্ত্রী গোলাপী (২৫), পাবনার ফরিদপুর উপজেলার সোনাহারা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে মো. স্বাধীন (২৮), খুলনার সোনাডাঙ্গা উপজেলার ময়লাপোতার হানিফের ছেলে আল আমিন (২১), পাবনার চাটমোহর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের কিয়ামুদ্দিনের ছেলে মো. ফয়সাল হাসান (২৩) ও সুমন নামের একজন।
গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যা মামলায় আসামি শাহজালাল (৩২) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৩ আদালতের বিচারক ওমর হায়দারের কাছে তিনি এ জবানবন্দি দেন।
হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামির মধ্যে আদালতে জবানবন্দি দেওয়া শাহজালালের বাড়ি কুমিল্লার হোমনা উপজেলার আন্তপুর গ্রামে। তিনি গাজীপুরে বসবাস করেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আহসান উল্লাহ চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় গত শনিবার সাত আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালত আসামিদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ বেলা আড়াইটার দিকে আদালতে হাজির করা হয়। হাজির করা আসামিদের মধ্যে শাহজালাল আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হন। পরে আদালত ১৬৪ ধারায় শাহজালালের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, জবানবন্দিতে শাহজালাল জানিয়েছেন, তিনি ইয়াবা কারবার ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। গত বৃহস্পতিবার মিজান, স্বাধীন, সুমন, আরমান, ফয়সাল, আলামিন এবং তিনি একসঙ্গে ইয়াবা সেবন করছিলেন। এমন সময় গোলাপী তাঁর স্বামী মিজানকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানান, শাপলা ম্যানশনের কাছে একজন লোক পাওয়া গেছে। তাঁকে আটকে টাকাপয়সা নেওয়া যাবে।
কিছুক্ষণের মধ্যে মিজানসহ তাঁরা চাপাতি, দা, সুইচ গিয়ার চাকু নিয়ে শাপলা ম্যানশনের দিকে গিয়ে গোলাপীকে নিশানায় ফেলা ব্যক্তির সঙ্গে হাতাহাতি করতে দেখেন। এমন অবস্থায় ধাওয়া করে ওই ব্যক্তিকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তাঁরা। কোপ খেয়ে ওই ব্যক্তি একটি মুদিদোকানে ঢুকে পড়েন। ওই সময় গোলাপী চিৎকার করে বলতে থাকেন, তুহিন সাংবাদিক ভিডিও করছে। সঙ্গে সঙ্গে আহত ব্যক্তিকে ফেলে তুহিনকে ধাওয়া করে চায়ের দোকানের সামনে প্রথমে মিজান দা দিয়ে কোপ মারেন। তিনি জখম অবস্থায় দোকানের ভেতর ঢুকলে স্বাধীন, সুমন, আরমান, আলামিন, ফয়সাল–সবাই তুহিনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। মিজান সুযোগ বুঝে সাংবাদিক তুহিনের মোবাইল ফোন নিয়ে পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেন। এ সময় গোলাপী পুলিশ আসছে বলে চিৎকার করলে সবাই পালিয়ে যান।
আদালত পরিদর্শক বলেন, শাহজালাল তাঁর জবানবন্দিতে তুহিন হত্যাকাণ্ডে নিজে জড়িত ছিলেন এবং অন্য কে কে জড়িত, সেসব বিষয় উল্লেখ করে বক্তব্য দিয়েছেন। তবে অন্য আসামিরা স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হননি। তা ছাড়া পুলিশও তাঁদের আর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করেনি। এ কারণে আদালত সব আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাঁদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় আট আসামির মধ্যে সাতজনকে রিমান্ড শেষে প্রথমে গাজীপুর আদালতের হাজতখানায় এনে রাখা হয়। পরে আসামিদের গাজীপুরের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এর বিচারক ওমর হায়দারের আদালতে তোলা হয়।
গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে একটি মার্কেটের ভেতর প্রকাশ্যে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। তুহিন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপির) বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন খান বলেন, সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় বাসন থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে। এর একটির বাদী হয়েছেন তুহিনের বড় ভাই মো. সেলিম। অন্যটির বাদী তুহিন হত্যার আগে সংঘটিত আরেকটি হামলার ঘটনায় আহত বাদশা মিয়ার ভাই। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
জিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. জাহিদুল হাসান জানান, সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে শনাক্ত হওয়ার পর মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছয়জনকে মহানগর পুলিশ ও দুজনকে র্যাব গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার অন্য আসামিরা হলেন জামালপুরের মেলান্দহ থানার মাহমুদপুর এলাকার মোবারকের ছেলে মিজান ওরফে কেটু মিজান (৩৫), তাঁর স্ত্রী গোলাপী (২৫), পাবনার ফরিদপুর উপজেলার সোনাহারা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে মো. স্বাধীন (২৮), খুলনার সোনাডাঙ্গা উপজেলার ময়লাপোতার হানিফের ছেলে আল আমিন (২১), পাবনার চাটমোহর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের কিয়ামুদ্দিনের ছেলে মো. ফয়সাল হাসান (২৩) ও সুমন নামের একজন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, প্রথমে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় এবং পরে চূড়ান্ত ভোটার ও প্রার্থী তালিকায়ও অমর্ত্য রায় জনের নাম ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন হঠাৎ করে তার প্রার্থীতা বাতিল করে। নির্বাচন কমিশনের এই পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বড় বাধা।
৭ মিনিট আগেজমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে পাবনায় আপন চাচাতো ভাইদের মধ্যে সংঘর্ষে ট্যাটাবিদ্ধ হয়ে আবু বকর মন্ডল (৪০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আব্দুল আজিজ মন্ডল নামে আরও একজনকে গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের...
১ ঘণ্টা আগেআদেশে বলা হয়েছে, জনসাধারণের জীবন ও সম্পদ রক্ষা এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ১৪৪ ধারা অনুযায়ী, শনিবার রাত ১০টা থেকে রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত মীরের হাট থেকে এগারো মাইল সাবস্টেশন এবং উপজেলা গেট থেকে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে ও সংলগ্ন এলাকায়..
১ ঘণ্টা আগেটাঙ্গাইলের বাসাইলে কাদেরিয়া বাহিনী ও ছাত্র সমাবেশের ব্যানারে একই স্থানে পৃথক সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬ টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট মোছা...
২ ঘণ্টা আগে