Ajker Patrika

সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলা: আসামি শাহজালালের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ আগস্ট ২০২৫, ২০: ০৫
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের রিমান্ড শেষে আজ সোমবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় গাজীপুর আদালতে হাজির করে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের রিমান্ড শেষে আজ সোমবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় গাজীপুর আদালতে হাজির করে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যা মামলায় আসামি শাহজালাল (৩২) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৩ আদালতের বিচারক ওমর হায়দারের কাছে তিনি এ জবানবন্দি দেন।

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামির মধ্যে আদালতে জবানবন্দি দেওয়া শাহজালালের বাড়ি কুমিল্লার হোমনা উপজেলার আন্তপুর গ্রামে। তিনি গাজীপুরে বসবাস করেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আহসান উল্লাহ চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় গত শনিবার সাত আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালত আসামিদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ বেলা আড়াইটার দিকে আদালতে হাজির করা হয়। হাজির করা আসামিদের মধ্যে শাহজালাল আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হন। পরে আদালত ১৬৪ ধারায় শাহজালালের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, জবানবন্দিতে শাহজালাল জানিয়েছেন, তিনি ইয়াবা কারবার ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। গত বৃহস্পতিবার মিজান, স্বাধীন, সুমন, আরমান, ফয়সাল, আলামিন এবং তিনি একসঙ্গে ইয়াবা সেবন করছিলেন। এমন সময় গোলাপী তাঁর স্বামী মিজানকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে জানান, শাপলা ম্যানশনের কাছে একজন লোক পাওয়া গেছে। তাঁকে আটকে টাকাপয়সা নেওয়া যাবে।

সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের রিমান্ড শেষে আজ সোমবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় গাজীপুর আদালতে হাজির করে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের রিমান্ড শেষে আজ সোমবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় গাজীপুর আদালতে হাজির করে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিছুক্ষণের মধ্যে মিজানসহ তাঁরা চাপাতি, দা, সুইচ গিয়ার চাকু নিয়ে শাপলা ম্যানশনের দিকে গিয়ে গোলাপীকে নিশানায় ফেলা ব্যক্তির সঙ্গে হাতাহাতি করতে দেখেন। এমন অবস্থায় ধাওয়া করে ওই ব্যক্তিকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তাঁরা। কোপ খেয়ে ওই ব্যক্তি একটি মুদিদোকানে ঢুকে পড়েন। ওই সময় গোলাপী চিৎকার করে বলতে থাকেন, তুহিন সাংবাদিক ভিডিও করছে। সঙ্গে সঙ্গে আহত ব্যক্তিকে ফেলে তুহিনকে ধাওয়া করে চায়ের দোকানের সামনে প্রথমে মিজান দা দিয়ে কোপ মারেন। তিনি জখম অবস্থায় দোকানের ভেতর ঢুকলে স্বাধীন, সুমন, আরমান, আলামিন, ফয়সাল–সবাই তুহিনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। মিজান সুযোগ বুঝে সাংবাদিক তুহিনের মোবাইল ফোন নিয়ে পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেন। এ সময় গোলাপী পুলিশ আসছে বলে চিৎকার করলে সবাই পালিয়ে যান।

আদালত পরিদর্শক বলেন, শাহজালাল তাঁর জবানবন্দিতে তুহিন হত্যাকাণ্ডে নিজে জড়িত ছিলেন এবং অন্য কে কে জড়িত, সেসব বিষয় উল্লেখ করে বক্তব্য দিয়েছেন। তবে অন্য আসামিরা স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হননি। তা ছাড়া পুলিশও তাঁদের আর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করেনি। এ কারণে আদালত সব আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাঁদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় আট আসামির মধ্যে সাতজনকে রিমান্ড শেষে প্রথমে গাজীপুর আদালতের হাজতখানায় এনে রাখা হয়। পরে আসামিদের গাজীপুরের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এর বিচারক ওমর হায়দারের আদালতে তোলা হয়।

গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে একটি মার্কেটের ভেতর প্রকাশ্যে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। তুহিন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপির) বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন খান বলেন, সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় বাসন থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে। এর একটির বাদী হয়েছেন তুহিনের বড় ভাই মো. সেলিম। অন্যটির বাদী তুহিন হত্যার আগে সংঘটিত আরেকটি হামলার ঘটনায় আহত বাদশা মিয়ার ভাই। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।

সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের রিমান্ড শেষে আজ সোমবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় গাজীপুর আদালতে হাজির করে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের রিমান্ড শেষে আজ সোমবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় গাজীপুর আদালতে হাজির করে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

জিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. জাহিদুল হাসান জানান, সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে শনাক্ত হওয়ার পর মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছয়জনকে মহানগর পুলিশ ও দুজনকে র‍্যাব গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার অন্য আসামিরা হলেন জামালপুরের মেলান্দহ থানার মাহমুদপুর এলাকার মোবারকের ছেলে মিজান ওরফে কেটু মিজান (৩৫), তাঁর স্ত্রী গোলাপী (২৫), পাবনার ফরিদপুর উপজেলার সোনাহারা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে মো. স্বাধীন (২৮), খুলনার সোনাডাঙ্গা উপজেলার ময়লাপোতার হানিফের ছেলে আল আমিন (২১), পাবনার চাটমোহর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের কিয়ামুদ্দিনের ছেলে মো. ফয়সাল হাসান (২৩) ও সুমন নামের একজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিরাপদ সড়কসহ ৫ দফা দাবিতে ফার্মগেটে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নিরাপদ সড়কের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর ফার্মগেটে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিরাপদ সড়কের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর ফার্মগেটে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নিরাপদ সড়কের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর ফার্মগেটে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন সরকারি বিজ্ঞান কলেজসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। দুদিন আগে ফার্মগেট এলাকায় ট্রাকচাপায় সিফাত নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন কর্মসূচি। সড়ক অবরোধের কারণে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ফার্মগেট মোড়ে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেছে। আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলছি।’

সিফাতের মৃত্যুর ঘটনায় ডিসি ইবনে মিজান জানান, ‘ট্রাকচাপায় ফার্মগেটের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী সিফাতের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

এ সময় শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো—

১. সিফাত হত্যার বিচার এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেওয়ায় প্রশাসনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

২. ফুটপাত দখলমুক্তকরণ: ফুটপাত থেকে সব অবৈধ দোকান, অস্থায়ী স্থাপনা, অননুমোদিত বাজার ও ভবঘুরে স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ।

৩. পার্কিং আইন কার্যকর: নো-পার্কিং জোন কঠোরভাবে ঘোষণা ও বাস্তবায়ন।

৪. যানবাহন নিয়ন্ত্রণ: দুর্ঘটনা ও যানজট এড়াতে রেলক্রসিং থেকে গির্জা পর্যন্ত সড়কে অটোরিকশা, ট্রাকসহ ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করতে হবে।

৫. সড়ক নিরাপত্তা অবকাঠামো উন্নয়ন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে তিনটি স্পিড ব্রেকার, পর্যাপ্ত ল্যাম্পপোস্ট, লেন ডিভাইডার এবং ট্রাফিক আইল্যান্ড স্থাপন।

পুলিশের সঙ্গে আলোচনা সত্ত্বেও দুপুর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে দাদিকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে নাতি আটক

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সন্দেশ বেওয়া (৮৫) নামের এক বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর নাতি সজিব আলীর (২২) বিরুদ্ধে। উল্লাপাড়া উপজেলার চকবরু ভেংড়ী গ্রামে বুধবার গভীর রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত সন্দেশ বেওয়া ওই গ্রামের মৃত নওশের আলীর স্ত্রী এবং আটক সজিব আলী তাঁর (বৃদ্ধার) সন্তান আহমদ আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বুধবার গভীর রাতে সন্দেশ বেওয়ার ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। পরে পরিবারের সদস্যরা ঘরে গিয়ে সন্দেশ বেওয়ার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে রাতেই সলঙ্গা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত নাতি সজিব আলীকে আটক করে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আটক যুবক সজিব আলী মাদকাসক্ত এবং মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন।

সলঙ্গা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাসিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এএসআই হাসিম আরও জানান, আটক সজিব আলীকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সার্কেল কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এই ঘটনায় এখনো কোনো মামলা করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ কার্যালয়ে চাকরির সুযোগ

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ কার্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ২ ধরনের পদে ২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৬ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আগ্রহী প্রার্থীরা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ঠিকানায় ডাকযোগের মাধ্যমে আবেদনপত্র পাঠাতে পারবেন।

পদের নাম: ডুপ্লিকেটিং মেশিন অপারেটর কাম-দপ্তরি।

পদ সংখ্যা: ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট অথবা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা। ফটোকপি মেশিন চালানোর বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন: ৮,৮০০–২১,৩১০ টাকা।

পদের নাম: ইলেকট্রিশিয়ান।

পদ সংখ্যা: ১ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট অথবা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ সরকার কর্তৃক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হতে সনদপ্রাপ্ত হতে হবে।

বেতন: ৮,৮০০–২১,৩১০ টাকা।

আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদনপত্রের খামের উপর পদের নাম উল্লেখ করে ‘প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ, মানিকগঞ্জ’ বরাবরে ডাকযোগে পৌঁছাতে হবে। সরাসরি ও নির্ধারিত তারিখের পরে কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

আবেদনের শেষ সময়: ১৬ নভেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ

গাজীপুর (শ্রীপুর) প্রতিনিধি
আজ দুপুরে উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায় কয়েক হাজার শ্রমিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ দুপুরে উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায় কয়েক হাজার শ্রমিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ‘এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড’ কারখানার শ্রমিকেরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায় এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।

কারখানার শ্রমিক মনিরা খাতুন বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতন দেওয়ার তারিখ ছিল ১০ অক্টোবর। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষের লোকজন দিই-দিচ্ছি করে দিন পার করছে। আজ বেতন পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু আজও বেতন পরিশোধ করার কোনো সম্ভবনা নেই। পুলিশ আমাদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।’

আরেক শ্রমিক আরিফুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের পরিবার আছে, স্ত্রী-সন্তান আছে। বাড়িভাড়া ও মুদিদোকানের বকেয়ার জন্য চরম চাপে আছি। পাওনাদারেরা রীতিমতো চাপ দিচ্ছে টাকা পরিশোধ করতে, নয়তো বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে। পেটের দায়েই আমরা রাস্তায় এসেছি। লাঠিপেটা হলেও আমরা টাকা চাই।’

এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, ‘এক মাসের বেতন বকেয়া। আজ পরিশোধের তারিখ ছিল; কিন্তু আজও সম্ভব হচ্ছে না। বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু শ্রমিকেরা কাজ ফেলে মহাসড়কে চলে গেছে।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের কয়েকটি তারিখ দিয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের বেতন পরিশোধের জন্য আজ সর্বশেষ তারিখ ছিল। কিন্তু আজও বেতন পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ। এ জন্য সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু শ্রমিকেরা কিছুতেই সড়ক ছাড়ছেন না। এ সময় টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত