কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের কালীগঞ্জে বেতনের পাওনা টাকার দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন বন্ধ হয়ে যাওয়া মসলিন কটন মিলসের তৎকালীন শ্রমিকেরা। আজ সোমবার সকালে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে এই অবস্থান নেন তাঁরা। ১৯৯০ সালে কারখানাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে শ্রমিকেরা পাওনা টাকার দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট অনেকের আশ্বাসে ৩৩ বছর পার হলেও কেউ কথা রাখেননি।
জানা গেছে, ১৯৫৮ সালে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ১০০ একর জমির ওপর নির্মিত হয় পোশাক কারখানা মসলিন কটন মিলস। এরপর থেকে প্রায় ৩ হাজার শ্রমিকের পদচারণায় মুখরিত থাকত উপজেলার ভাদার্ত্তী এলাকা। প্রতিদিন আর্থিক লেনদেন থাকায় আশপাশের অঞ্চলে দারিদ্র্যর হারও ছিল তুলনামূলক কম। ১৯৮৬ সালের পর থেকে কারখানাটি লোকসানের পড়লে ১৯৯০ সালে বন্ধ হয়।
১৯৯৪ সালে কারখানাটি পুনরায় খুললেও কয়েক দিনের মাথায় বন্ধ করতে বাধ্য হয় তৎকালীন কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকির চেষ্টায় ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট ১৩৫ কোটি টাকার বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানটি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে কারখানাটি হস্তান্তর করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে আসা কয়েকজন শ্রমিক জানান, মসলিন কটন মিলসের শ্রমিকেরা ১৯৯০ সাল থেকে বকেয়া আদায়ের লক্ষ্যে বারবার আন্দোলন করলেও পেয়েছে কেবল আশ্বাস। কিছু শ্রমিক পর্যায়ক্রমে পাওনা বুঝে পেলেও এখনো অনেকে হন্যে হয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির দ্বারে ঘুরছেন প্রাপ্য বেতনের আশায়। কয়েক দিন পর পর তাঁরা সড়কে নেমে আসেন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে। এবার শ্রমিকেরা অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে সড়কে নেমেছেন।
কারাখানার সেই সময়ের শ্রমিক আহমদ মাঝি (৯০) বলেন, ‘এই মিলের শুরু থেকে আমরা কাজ করেছি। দিন রাত পরিশ্রম করে মিলটি দাঁড় করিয়েছিলাম। আমাদের শ্রমিকদের চেষ্টায় আমরা একটি কলেজও নির্মাণ করেছিলাম। কিন্তু বিনিময়ে আমাদেরই ঠকানো হলো। আমাদের অপরাধ কী তা জানি না। বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও বকেয়া বেতনের টাকা পরিশোধ করা হয়নি।’
লতিফ সরকার (৮৮) নামের আরেক শ্রমিক বলেন, ‘প্রায় তিন দশক টাকার জন্য ঘুরতেছি। আমার সংসারে আয় রোজগার করার মতো কেউ নাই। অনাহার, অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছি। এই টাকাগুলো আমার রক্ত পানি করা টাকা। এগুলো পেলে অন্তত কয়েকটা দিন পেট ভরে তো খেতে পারতাম। আজ না কাল দিব বলে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।’
চোখে ভালো দেখেন না কারাখানার সেই সময়ের শ্রমিক শহর উদ্দিন (৯০)। তাঁর একমাত্র ছেলে করোনা ভাইরাসে মারা গেছে। মেয়ের বিয়ে হয়েছে অনেক আগেই। স্ত্রীর মৃত্যুতে একেবারেই নিঃসঙ্গ জীবন পার করছেন তিনি। কোনরকমে রান্না করে খাবার তৈরি করেন। এরপরেও দারিদ্রতার কষাঘাত তো রয়েছেই। এই অবস্থায় অল্প টাকাও তার কাছে অনেক কিছু। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার টেহা গুলা দয়া কইরা দিয়া দেন।’
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘কিছুদিন হলো আমি কালীগঞ্জে যোগদান করেছি। এরইমধ্যে বিষয়টি আমার কানে এসেছে। অবশ্যই এই খেটে খাওয়া মানুষগুলোর পাওনা আদায়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেষ্টা করে যাব।’
গাজীপুরের কালীগঞ্জে বেতনের পাওনা টাকার দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন বন্ধ হয়ে যাওয়া মসলিন কটন মিলসের তৎকালীন শ্রমিকেরা। আজ সোমবার সকালে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে এই অবস্থান নেন তাঁরা। ১৯৯০ সালে কারখানাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে শ্রমিকেরা পাওনা টাকার দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট অনেকের আশ্বাসে ৩৩ বছর পার হলেও কেউ কথা রাখেননি।
জানা গেছে, ১৯৫৮ সালে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ১০০ একর জমির ওপর নির্মিত হয় পোশাক কারখানা মসলিন কটন মিলস। এরপর থেকে প্রায় ৩ হাজার শ্রমিকের পদচারণায় মুখরিত থাকত উপজেলার ভাদার্ত্তী এলাকা। প্রতিদিন আর্থিক লেনদেন থাকায় আশপাশের অঞ্চলে দারিদ্র্যর হারও ছিল তুলনামূলক কম। ১৯৮৬ সালের পর থেকে কারখানাটি লোকসানের পড়লে ১৯৯০ সালে বন্ধ হয়।
১৯৯৪ সালে কারখানাটি পুনরায় খুললেও কয়েক দিনের মাথায় বন্ধ করতে বাধ্য হয় তৎকালীন কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকির চেষ্টায় ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট ১৩৫ কোটি টাকার বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানটি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে কারখানাটি হস্তান্তর করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে আসা কয়েকজন শ্রমিক জানান, মসলিন কটন মিলসের শ্রমিকেরা ১৯৯০ সাল থেকে বকেয়া আদায়ের লক্ষ্যে বারবার আন্দোলন করলেও পেয়েছে কেবল আশ্বাস। কিছু শ্রমিক পর্যায়ক্রমে পাওনা বুঝে পেলেও এখনো অনেকে হন্যে হয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির দ্বারে ঘুরছেন প্রাপ্য বেতনের আশায়। কয়েক দিন পর পর তাঁরা সড়কে নেমে আসেন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে। এবার শ্রমিকেরা অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে সড়কে নেমেছেন।
কারাখানার সেই সময়ের শ্রমিক আহমদ মাঝি (৯০) বলেন, ‘এই মিলের শুরু থেকে আমরা কাজ করেছি। দিন রাত পরিশ্রম করে মিলটি দাঁড় করিয়েছিলাম। আমাদের শ্রমিকদের চেষ্টায় আমরা একটি কলেজও নির্মাণ করেছিলাম। কিন্তু বিনিময়ে আমাদেরই ঠকানো হলো। আমাদের অপরাধ কী তা জানি না। বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও বকেয়া বেতনের টাকা পরিশোধ করা হয়নি।’
লতিফ সরকার (৮৮) নামের আরেক শ্রমিক বলেন, ‘প্রায় তিন দশক টাকার জন্য ঘুরতেছি। আমার সংসারে আয় রোজগার করার মতো কেউ নাই। অনাহার, অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছি। এই টাকাগুলো আমার রক্ত পানি করা টাকা। এগুলো পেলে অন্তত কয়েকটা দিন পেট ভরে তো খেতে পারতাম। আজ না কাল দিব বলে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।’
চোখে ভালো দেখেন না কারাখানার সেই সময়ের শ্রমিক শহর উদ্দিন (৯০)। তাঁর একমাত্র ছেলে করোনা ভাইরাসে মারা গেছে। মেয়ের বিয়ে হয়েছে অনেক আগেই। স্ত্রীর মৃত্যুতে একেবারেই নিঃসঙ্গ জীবন পার করছেন তিনি। কোনরকমে রান্না করে খাবার তৈরি করেন। এরপরেও দারিদ্রতার কষাঘাত তো রয়েছেই। এই অবস্থায় অল্প টাকাও তার কাছে অনেক কিছু। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার টেহা গুলা দয়া কইরা দিয়া দেন।’
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘কিছুদিন হলো আমি কালীগঞ্জে যোগদান করেছি। এরইমধ্যে বিষয়টি আমার কানে এসেছে। অবশ্যই এই খেটে খাওয়া মানুষগুলোর পাওনা আদায়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেষ্টা করে যাব।’
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত একটি অ্যাম্বুলেন্সে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ সময় অ্যাম্বুলেন্সে কোনো রোগী না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
৩১ মিনিট আগে‘নতুন একটি রাজনৈতিক দল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছে, আমরা নাকি সংস্কার, অংশীদারত্বের রাজনীতি, গণ-অভ্যুত্থানে কোনো ভূমিকা রাখিনি। তোমরা নতুন ছাত্রদের দল, জামায়াতের সঙ্গে পাল্লা দিতে হলে তোমাদের আরও বহুদূর যেতে হবে। জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ো না।’
৩৬ মিনিট আগেদুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন থাকায় অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান খান ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
১ ঘণ্টা আগেসাবেক ছাত্রলীগের নেতা ও ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পরিচালক সুভাষ সিংহ রায় এবং তাঁর স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মমতা হেনা লাভলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ নিষেধাজ্ঞা জারির এ
১ ঘণ্টা আগে