শ্রীপুরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ
রাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার পৌরসভা এলাকায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাসাবাড়িতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এ জন্য ২৩ কোটি ৬৬ লাখ ২৩ হাজার ৪৬৬ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পানি সরবরাহের জন্য ১৩৮ কিলোমিটার পাইপ ও ১০টি পাম্প হাউস স্থাপন করার কথা ছিল। এর মধ্যে একটি পাম্প স্থাপনের কাজ বাকি রেখে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঠিকাদারেরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে কাজ বুঝিয়ে দেন। কিন্তু দুই বছরেও এসব পাম্প চালু হয়নি। এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে পাইপ ফেটে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে সরকারের প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয় হলেও সুফল পাননি পৌর এলাকার বাসিন্দারা।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভা এলাকার বাসাবাড়িতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১৩৮ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের জন্য ব্যয় ধরা হয় ১৫ কোটি ৮ লাখ ৬৭ হাজার ১৯ টাকা। এ ছাড়া ১০টি পাম্প হাউস স্থাপনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৮ কোটি ৫৭ লাখ ৫৬ হাজার ৪৪৭ টাকা। পাইপলাইন স্থাপনের কাজ করে মনিরা ট্রেডার্স এবং পাম্প হাউস স্থাপনের কাজ করে জিলানী ট্রেডার্স নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২১-২২ অর্থবছরে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও শেষ হয় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে। যদিও একটি পাম্প স্থাপনের কাজ এখনো শেষ হয়নি। কথা ছিল ১ হাজার ৫০০ গ্রাহকের বাসাবাড়িতে পানি সরবরাহ করা হবে।
জানা গেছে, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর প্রকল্পটির তদারকির দায়িত্বে ছিল। কাজ শেষে দুই ঠিকাদার ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেন। কিন্তু নিম্নমানের পাইপ ব্যবহারের ফলে মাটির নিচে সেসব নষ্ট হচ্ছে। বেশির ভাগ এলাকার পাইপলাইন ভেঙে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং গ্যাসলাইন স্থানান্তরসহ নানা কারণে মাটির নিচে স্থাপিত পানি সরবরাহের পাইপ নষ্ট হয়েছে। ব্যবহৃত নিম্নমানের পাইপের বেশির ভাগ অংশ ভেঙে গেছে।
পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রকল্পের টাকা সব জলে গেছে। মাটির নিচে পাইপলাইন বসানো হলেও তা নষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন বাসাবাড়ির গ্যাসলাইন, বসতবাড়ি নির্মাণ, কারখানার নির্মাণকাজের ফলে পাইপ ভেঙে গেছে। পুরো প্রকল্পের টাকা জলে গেল। নগরের মানুষ সুবিধা পেল না।’
৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘পানি সরবরাহ প্রকল্পে প্রায় ২৪ কোটি টাকা খরচ করলেও বাসিন্দাদের একফোঁটা পানি সরবরাহ করতে পারেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। প্রকল্প দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। খুবই নিম্নমানের পাইপ বসানো হয়েছে। সেগুলো এরই মধ্যে শেষ। প্রকল্পটির সুফল পাওয়ার কোনো আশা দেখছি না।’
শ্রীপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি ও পয়োনিষ্কাশন) কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রকল্প শুরুর দিকে আমি এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না। নিয়মানুযায়ী আমার দায়িত্বে থাকার কথা থাকলেও আমাকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। খুবই নিম্নমানের পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘১ হাজার ৫০০ গ্রাহকের বসতবাড়িতে পানি সরবরাহের সংযোগ দেওয়া হয়েছে; কিন্তু একটি সংযোগও নেই। ১৩৮ কিলোমিটার পাইপলাইন পুরোটাই অকেজো। কয়েকটি পাম্প নষ্ট। চালানো যাচ্ছে না। ১০টি পাম্পের মধ্যে ৯টি বুঝিয়ে দিলেও একটির কাজ চলমান। পাম্প হাউস বসানো হলে কী হবে, পুরো লাইন ভেঙে গেছে। প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনা কম।’
শ্রীপুর পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাহেদ আখতার বলেন, কাজ বুঝে নেওয়ার পর থেকে পাম্প চালানো সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে পানি সরবরাহ লাইনের অনেক পাইপ নষ্ট হয়ে গেছে। প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক সজীব আহমেদ বলেন, ‘গৃহস্থালি কাজে বাসিন্দাদের পানি সরবরাহের জন্য প্রকল্পটির কাজ আমি যোগদানের আগে শেষ হয়। আমি যোগদানের পর থেকে একটি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে।’
গাজীপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০২৩ সালে শ্রীপুর পৌর কর্তৃপক্ষকে কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাজ নিম্নমানের হলে তাঁরা কেন কাজ বুঝে নিল। কোনো জিনিস ব্যবহার না করলে নষ্ট তো হবেই।’
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার পৌরসভা এলাকায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাসাবাড়িতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এ জন্য ২৩ কোটি ৬৬ লাখ ২৩ হাজার ৪৬৬ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পানি সরবরাহের জন্য ১৩৮ কিলোমিটার পাইপ ও ১০টি পাম্প হাউস স্থাপন করার কথা ছিল। এর মধ্যে একটি পাম্প স্থাপনের কাজ বাকি রেখে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঠিকাদারেরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে কাজ বুঝিয়ে দেন। কিন্তু দুই বছরেও এসব পাম্প চালু হয়নি। এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে পাইপ ফেটে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে সরকারের প্রায় ২৪ কোটি টাকা ব্যয় হলেও সুফল পাননি পৌর এলাকার বাসিন্দারা।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভা এলাকার বাসাবাড়িতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১৩৮ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের জন্য ব্যয় ধরা হয় ১৫ কোটি ৮ লাখ ৬৭ হাজার ১৯ টাকা। এ ছাড়া ১০টি পাম্প হাউস স্থাপনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৮ কোটি ৫৭ লাখ ৫৬ হাজার ৪৪৭ টাকা। পাইপলাইন স্থাপনের কাজ করে মনিরা ট্রেডার্স এবং পাম্প হাউস স্থাপনের কাজ করে জিলানী ট্রেডার্স নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২১-২২ অর্থবছরে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও শেষ হয় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে। যদিও একটি পাম্প স্থাপনের কাজ এখনো শেষ হয়নি। কথা ছিল ১ হাজার ৫০০ গ্রাহকের বাসাবাড়িতে পানি সরবরাহ করা হবে।
জানা গেছে, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর প্রকল্পটির তদারকির দায়িত্বে ছিল। কাজ শেষে দুই ঠিকাদার ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেন। কিন্তু নিম্নমানের পাইপ ব্যবহারের ফলে মাটির নিচে সেসব নষ্ট হচ্ছে। বেশির ভাগ এলাকার পাইপলাইন ভেঙে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং গ্যাসলাইন স্থানান্তরসহ নানা কারণে মাটির নিচে স্থাপিত পানি সরবরাহের পাইপ নষ্ট হয়েছে। ব্যবহৃত নিম্নমানের পাইপের বেশির ভাগ অংশ ভেঙে গেছে।
পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রকল্পের টাকা সব জলে গেছে। মাটির নিচে পাইপলাইন বসানো হলেও তা নষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন বাসাবাড়ির গ্যাসলাইন, বসতবাড়ি নির্মাণ, কারখানার নির্মাণকাজের ফলে পাইপ ভেঙে গেছে। পুরো প্রকল্পের টাকা জলে গেল। নগরের মানুষ সুবিধা পেল না।’
৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘পানি সরবরাহ প্রকল্পে প্রায় ২৪ কোটি টাকা খরচ করলেও বাসিন্দাদের একফোঁটা পানি সরবরাহ করতে পারেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। প্রকল্প দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। খুবই নিম্নমানের পাইপ বসানো হয়েছে। সেগুলো এরই মধ্যে শেষ। প্রকল্পটির সুফল পাওয়ার কোনো আশা দেখছি না।’
শ্রীপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি ও পয়োনিষ্কাশন) কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রকল্প শুরুর দিকে আমি এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না। নিয়মানুযায়ী আমার দায়িত্বে থাকার কথা থাকলেও আমাকে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। খুবই নিম্নমানের পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘১ হাজার ৫০০ গ্রাহকের বসতবাড়িতে পানি সরবরাহের সংযোগ দেওয়া হয়েছে; কিন্তু একটি সংযোগও নেই। ১৩৮ কিলোমিটার পাইপলাইন পুরোটাই অকেজো। কয়েকটি পাম্প নষ্ট। চালানো যাচ্ছে না। ১০টি পাম্পের মধ্যে ৯টি বুঝিয়ে দিলেও একটির কাজ চলমান। পাম্প হাউস বসানো হলে কী হবে, পুরো লাইন ভেঙে গেছে। প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনা কম।’
শ্রীপুর পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাহেদ আখতার বলেন, কাজ বুঝে নেওয়ার পর থেকে পাম্প চালানো সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে পানি সরবরাহ লাইনের অনেক পাইপ নষ্ট হয়ে গেছে। প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক সজীব আহমেদ বলেন, ‘গৃহস্থালি কাজে বাসিন্দাদের পানি সরবরাহের জন্য প্রকল্পটির কাজ আমি যোগদানের আগে শেষ হয়। আমি যোগদানের পর থেকে একটি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে।’
গাজীপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০২৩ সালে শ্রীপুর পৌর কর্তৃপক্ষকে কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাজ নিম্নমানের হলে তাঁরা কেন কাজ বুঝে নিল। কোনো জিনিস ব্যবহার না করলে নষ্ট তো হবেই।’
রাত পোহালেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), সিনেট প্রতিনিধি ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এ জন্য ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। আজ বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের সমাগম দেখা গেছে।
৩ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ওয়ার্ড আমির আনোয়ার হোসেনসহ ৩০ জনের মতো নেতা-কর্মী বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার বাঙালা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত কর্মিসভায় তাঁরা বিএনপিতে যোগ দেন বলে দলটির স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেসিলেটে নতুন ট্রেন চালুসহ তিন দাবিতে নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার সিলেটের দক্ষিণ সুরমা রেলগেটে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় রেললাইনের ওপর ১০ মিনিট শুয়ে থেকে দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে লোকজন।
২ ঘণ্টা আগেমহিদুল ইসলাম জানান, উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে উইন্ডো গ্রুপে গত ৩ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে ৪ অক্টোবর সকাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ভল্ট থেকে ১ কোটি টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৮ অক্টোবর উইন্ডো গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. হাসিম মিয়া গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার রাশেদ নিজামকে আসামি করে উত্তরা
২ ঘণ্টা আগে