আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
তিন শর বেশি গ্রাহকের প্রায় তিন কোটি টাকা নিয়ে সাদুল্লাপুরের এক ‘অবৈধ ব্যাংকের’ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আমানতকারীরা। ব্যাংকের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। উপজেলার নলডাঙ্গার আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স (এসিসিএফ) ব্যাংক এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে।
এসিসিএফ ব্যাংক প্রথমে কিছুদিন আমানতকারীদের মুনাফা দিয়েছে। হঠাৎ গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন এর কর্মকর্তারা। এখানে টাকা গচ্ছিত রাখা ব্যক্তিদের অনেকে স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষ।
বেশ কয়েকজন আমানতকারীর অভিযোগ, ব্যাংকের নলডাঙ্গা শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল বারি, অ্যাকাউন্ট্যান্ট তাজুল ইসলাম ও সিনিয়র অফিসার বেলামিন হোসেন মিলে বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে আমানত সংগ্রহ করেন। মাস ছয়েক আগে থেকে তাঁরা মুনাফা দেওয়া বন্ধ করে দেন। এমনকি মূল আমানত চেয়েও পাওয়া যায়নি। তিন মাস ধরে শাখাটিই তালাবদ্ধ। ব্যবস্থাপকসহ শাখার কর্মীরা এলাকাছাড়া। উধাও হওয়ার পর কিছুদিন ফোনে কথা হলেও এখন আর তাদের কেউ ফোন ধরছেন না। উল্টো আমানতকারীদের নানা রকম হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গার ১ নম্বর রেলগেট এলাকার সৌদিয়া মার্কেটে আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেডের শাখা। এ প্রতিবেদক সম্প্রতি ওই শাখায় গিয়ে দেখেন, মূল ফটকে তালা ঝুলছে।
তালাবদ্ধ কলাপসিবল গেটের ভেতর দিয়ে দেখা যাচ্ছে টেবিল-চেয়ার ও কাচে ঘেরা ব্যবস্থাপকের কক্ষ। ভেতরে-বাইরে কোনো কর্মী নেই।
আমানত ফেরত নেওয়ার জন্য শাখা কার্যালয়ের সামনে বসে ছিলেন সর্বানন্দ গ্রামের ভাঙারি ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বছর পাঁচেক আগে ৫ লাখ টাকা আমানত রেখেছিলাম। পরে কিছু কিছু করে টাকা তুলে নিই। তবে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা তারা আটকে দেয়। চাইলে তারা “দেই দিচ্ছি” বলে টালবাহানা করে। একপর্যায়ে ব্যাংক বন্ধ করে উধাও হয়ে যায়।’
এসিসিএফের হয়রানির শিকার পূর্বপ্রতাপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফকরুল ইসলাম, বিজিবি সদস্য দিদারুল আলম, ব্যবসায়ী নাজমুল আলমসহ আরও অনেক আমানতকারী। তাঁরা ফোনেও ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাউকে পাচ্ছেন না।
ব্যাংকের শাখাটি যে ভবনে, সেটির মালিক মোত্তালেব হোসেন। তিনিও আর্থিক ক্ষতির শিকার। মোত্তালেব বলেন, ১০ মাসের ভাড়া বকেয়া রেখে এবং ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দিয়ে উধাও হয়েছেন ব্যাংকের লোকজন।
ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক আব্দুল বারি ২০১৬ সাল থেকে এ শাখায় কর্মরত। এ বিষয়ে কথা বলতে দশলিয়া গ্রামের বাসায় গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কল ধরেননি।
এ বিষয়ে জেলা সমবায় অফিসার ফরিদ উদ্দিন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সমবায় থেকে অনুমোদন নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালানোর কোনো এখতিয়ার নেই। আমরা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ওই ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে গ্রাহকদের এ ব্যাংকে লেনদেনের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’
ফরিদ উদ্দিন সরকার আরও বলেন, এসিসিএফের ব্যাংকিং কার্যক্রম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে। তবে নলডাঙ্গায় তারা গোপনে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালিয়েছে, তা এ প্রতিবেদকের কাছে আজই জানতে পেরেছেন তিনি।
তিন শর বেশি গ্রাহকের প্রায় তিন কোটি টাকা নিয়ে সাদুল্লাপুরের এক ‘অবৈধ ব্যাংকের’ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আমানতকারীরা। ব্যাংকের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। উপজেলার নলডাঙ্গার আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স (এসিসিএফ) ব্যাংক এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে।
এসিসিএফ ব্যাংক প্রথমে কিছুদিন আমানতকারীদের মুনাফা দিয়েছে। হঠাৎ গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন এর কর্মকর্তারা। এখানে টাকা গচ্ছিত রাখা ব্যক্তিদের অনেকে স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষ।
বেশ কয়েকজন আমানতকারীর অভিযোগ, ব্যাংকের নলডাঙ্গা শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল বারি, অ্যাকাউন্ট্যান্ট তাজুল ইসলাম ও সিনিয়র অফিসার বেলামিন হোসেন মিলে বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে আমানত সংগ্রহ করেন। মাস ছয়েক আগে থেকে তাঁরা মুনাফা দেওয়া বন্ধ করে দেন। এমনকি মূল আমানত চেয়েও পাওয়া যায়নি। তিন মাস ধরে শাখাটিই তালাবদ্ধ। ব্যবস্থাপকসহ শাখার কর্মীরা এলাকাছাড়া। উধাও হওয়ার পর কিছুদিন ফোনে কথা হলেও এখন আর তাদের কেউ ফোন ধরছেন না। উল্টো আমানতকারীদের নানা রকম হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গার ১ নম্বর রেলগেট এলাকার সৌদিয়া মার্কেটে আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেডের শাখা। এ প্রতিবেদক সম্প্রতি ওই শাখায় গিয়ে দেখেন, মূল ফটকে তালা ঝুলছে।
তালাবদ্ধ কলাপসিবল গেটের ভেতর দিয়ে দেখা যাচ্ছে টেবিল-চেয়ার ও কাচে ঘেরা ব্যবস্থাপকের কক্ষ। ভেতরে-বাইরে কোনো কর্মী নেই।
আমানত ফেরত নেওয়ার জন্য শাখা কার্যালয়ের সামনে বসে ছিলেন সর্বানন্দ গ্রামের ভাঙারি ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বছর পাঁচেক আগে ৫ লাখ টাকা আমানত রেখেছিলাম। পরে কিছু কিছু করে টাকা তুলে নিই। তবে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা তারা আটকে দেয়। চাইলে তারা “দেই দিচ্ছি” বলে টালবাহানা করে। একপর্যায়ে ব্যাংক বন্ধ করে উধাও হয়ে যায়।’
এসিসিএফের হয়রানির শিকার পূর্বপ্রতাপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফকরুল ইসলাম, বিজিবি সদস্য দিদারুল আলম, ব্যবসায়ী নাজমুল আলমসহ আরও অনেক আমানতকারী। তাঁরা ফোনেও ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাউকে পাচ্ছেন না।
ব্যাংকের শাখাটি যে ভবনে, সেটির মালিক মোত্তালেব হোসেন। তিনিও আর্থিক ক্ষতির শিকার। মোত্তালেব বলেন, ১০ মাসের ভাড়া বকেয়া রেখে এবং ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দিয়ে উধাও হয়েছেন ব্যাংকের লোকজন।
ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক আব্দুল বারি ২০১৬ সাল থেকে এ শাখায় কর্মরত। এ বিষয়ে কথা বলতে দশলিয়া গ্রামের বাসায় গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কল ধরেননি।
এ বিষয়ে জেলা সমবায় অফিসার ফরিদ উদ্দিন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সমবায় থেকে অনুমোদন নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালানোর কোনো এখতিয়ার নেই। আমরা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ওই ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে গ্রাহকদের এ ব্যাংকে লেনদেনের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’
ফরিদ উদ্দিন সরকার আরও বলেন, এসিসিএফের ব্যাংকিং কার্যক্রম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে। তবে নলডাঙ্গায় তারা গোপনে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালিয়েছে, তা এ প্রতিবেদকের কাছে আজই জানতে পেরেছেন তিনি।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইমামবাড়ি বাজারে মিষ্টির কার্টনে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে বিরোধের জেরে টর্চ জ্বালিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের ইমামবাড়ি...
১২ মিনিট আগেনদীবেষ্টিত এলাকা পটুয়াখালী পৌরসভায় দীর্ঘদিন ধরে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পৌর কর্তৃপক্ষের সঞ্চালন লাইনের পানির ওপর নির্ভরশীল হলেও জলবায়ু পরিবর্তন, ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার ও অপর্যাপ্ত অবকাঠামোর কারণে দিন দিন তীব্র হচ্ছে পানির সংকট।
২০ মিনিট আগেকুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গোলাপের চর গ্রামের একমাত্র সেতুটি ৩০ বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকার পর বর্তমানে চরম নাজুক দশায় পৌঁছেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তৈরি করা ৩০ ফুট দীর্ঘ সেতুটির পিলার থেকে মাটি সরে যাওয়া এবং দেবে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁশের খুঁটি দিয়ে কোনোমতে যান..
২৩ মিনিট আগেরশুনিয়া ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার খান বলেন, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু রাতের বেলায় পুরো রাস্তা অন্ধকারে থাকে। শীতের সময় কুয়াশা পড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়। তাই দ্রুত সড়কবাতি স্থাপন করা প্রয়োজন।
১ ঘণ্টা আগে