Ajker Patrika

প্রতারণার অভিযোগে গোবিন্দগঞ্জে নারীসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৩, ১৯: ০০
প্রতারণার অভিযোগে গোবিন্দগঞ্জে নারীসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিভিন্ন রকমের প্রতারণার অভিযোগে নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

এ তথ্য জানিয়েছেন গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামাল হোসেন। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ঢাকার ধামরাইয়ের মুরারচর গ্রামের মৃত আমিরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩০), গাইবান্ধা সদর থানার ডেভিড কোম্পানিপাড়ার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মো. ফাহিম মিয়া (২২), গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের আয়ভাঙ্গি গ্রামের মুনফুর আলীর মেয়ে মেহনাজ আকতার সাথী (২৮), ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বামনকুড়ি গ্রামের জহুরুল আকন্দের ছেলে জুয়েল আকন্দ (২৬) এবং গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের তরফমনু গ্রামের ময়নুল শেখের ছেলে রুবেল শেখ (২৫)। 

এসপি কামাল হোসেন বলেন, ১৫ দিন আগে সাঘাটা উপজেলার আপেল মাহমুদ নামের এক যুবকের সঙ্গে আসামি রুবেল শেখ ও জুয়েল আকন্দের ফেসবুকে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় রুবেল ও জুয়েল পরিকল্পিতভাবে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে আপেল মাহমুদকে গোবিন্দগঞ্জে ডেকে নেন। 

এরপর তিনজনই বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরির পর সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জ থানা মোড়ের নুরজাহান আবাসিক হোটেলে একটি কক্ষে আপেল মাহমুদকে আটকে রাখে আসামিরা। সেখানে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ভুক্তভোগী আপেল মাহমুদের লগ্ন ছবি ও অশ্লীল ভিডিও তৈরির হুমকি দিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দাবি করা টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য ভুক্তভোগীর পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করেন। টাকা দিতে দেরি হওয়ায় ভুক্তভোগীকে মারধর করে তাঁর কাছে থাকা নগদ ১৮ হাজার টাকা ও স্মার্ট ফোন কেড়ে নেন তাঁরা। পরে ভুক্তভোগী আপেল মাহমুদের পরিবার থানা-পুলিশের শরণাপন্ন হলে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ তাঁদের অবস্থান শনাক্ত আপেল মাহমুদকে উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেপ্তার করে। 

অপর দিকে, ১০ দিন আগে ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলামের সঙ্গে অপর অভিযুক্ত মেহনাজ আকতার সাথীর ইমোতে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে মেহনাজ আকতার সাথী জহুরুল ইসলামকে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জে ডেকে নেন। দুজনে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি শেষে মেহনাজ আকতার সাথী জহুরুল ইসলামকে তাঁর ভাড়াবাসায় নিয়ে যান। সেখানে মেহনাজ আকতার সাথী তাঁর স্বামী আরিফুল ইসলাম আরিফ ও তাঁর সহযোগী ফাহিমকে সঙ্গে নিয়ে ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলামকে আটকে রাখেন। একপর্যায়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তাঁকে মারধর করেন। সেই সঙ্গে জহুরুল ইসলামের কাছে থাকা দেড় হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। 

পরে ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলাম পরিবারকে বিষয়টি জানালে তাঁর পরিবার পুলিশের শরণাপন্ন হয়। এরপর একইভাবে সহকারী পুলিশ সুপার উদয় কুমার সাহা, গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি ইজার উদ্দিন, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে জঙ্গলমারা গ্রামে ডায়াবেটিস হাসপাতালে পেছন থেকে অভিযুক্তের ভাড়া বাড়ি থেকে জহুরুল ইসলামকে উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেপ্তার করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লাল চিনিতে ভেজাল মেশানোয় জরিমানা

ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় লাল চিনিতে ভেজাল মেশানোয় ২ হাজার কেজি চিনি জব্দ এবং আ. সালাম নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আ. সালামের বাড়ি ফুলবাড়িয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড লাহেড়িপাড়া মহল্লায় পলাশতলী গ্রামে।

চিনিতে ভেজাল মেশানোর খবর পেয়ে ফুলবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় এক ড্রাম চিটাগুড় ও ভেজালমিশ্রিত ২ হাজার কেজি লাল চিনি জব্দ করা হয়।

ফুলবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, চিনিতে ভেজাল মেশানোয় ২ হাজার কেজি চিনি জব্দ এবং আ. সালাম নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজবাড়ীতে পদ্মার চর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজবাড়ী-পাবনা সীমান্তবর্তী পাংশা উপজেলার হাবাসপুর খেয়াঘাট এলাকার অদূরে পদ্মার চর থেকে হাত-পা বাঁধা অজ্ঞাতনামা এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন জানান, পদ্মায় মাছ ধরার সময় দুপুরে জেলেরা চরে মরদেহটি দেখতে পান। পরে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করেছে। মরদেহটি পাবনা জেলার সীমানায় পাওয়ায় পাবনা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।

ওসি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, দু-এক দিন আগে হত্যার পর লাশ চরে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। মরদেহের পরিচয় নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চীনা নাগরিককে ছুরিকাঘাত করা যুবক পালাল পুলিশকে ছুরিকাঘাত করে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে চীনা নাগরিককে ছুরিকাঘাত করে পালানোর সময় গণধোলাইয়ে আহত ছিনতাইকারী এবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশকে ছুরিকাঘাত করেছে। তবে ঘটনার পর পুলিশের একাধিক দলের সাঁড়াশি অভিযানে ছুরিকাঘাতকারী ওই যুবকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে চমেক হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে পাহারায় নিয়োজিত এক কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় ইমাম হোসেন আকাশ (৩০) নামের ওই যুবক। তিনি আনোয়ারার দিঘীরপাড় বরুমছড়া এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে এবং বন্দর এলাকার আজাদ কলোনির বাসিন্দা। পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার তাঁর দুই সহযোগীর নাম এখনো জানা যায়নি।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান আজকের পত্রিকাকে বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়া ছিনতাইকারী ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই বিষয়ে একটি ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

পাঁচলাইশ থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, চমেক হাসপাতালে পুলিশের পাহারায় ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন অভিযুক্ত ছিনতাইকারী ইমাম হোসেন আকাশ। ওই দিন রাতে ইমামের সঙ্গে দুজন নারীসহ তিনজন দেখা করতে আসেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইমাম হোসেন রাজু সেখানে দায়িত্বরত একজন কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর ওই দিন রাতেই নগর পুলিশের একাধিক টিম ওই ছিনতাইকারীকে ধরতে মাঠে নামে। পরে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে সীতাকুণ্ডের কুমিরা এলাকা থেকে তাঁকে দুই সহযোগীসহ আটক করা হয়।

গত মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতর সিপিআর ৫ নম্বর গেট-সংলগ্ন ব্রিজের সামনে এক চীনা নাগরিক ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। দুই-তিনজন ছিনতাইকারী ওই চীনা নাগরিককে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে তাঁর সঙ্গে থাকা পাসপোর্ট, ভিসা, নগদ অর্থ ও নথিপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় সেখানে উপস্থিত জনতা ধাওয়া দিয়ে দুই ছিনতাইকারীদের ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

বন্দর থানার পুলিশ জানায়, ঘটনার পর পুলিশের হাতে আটক দুই ছিনতাইকারীদের মধ্যে ইমাম হোসেন আকাশ গুরুতর আহত থাকায় তাঁকে পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। শাহাদাত হোসেন (২৫) নামের আরেক ছিনতাইকারীকে হাজতে রাখা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘নির্যাতন সইতে না পেরে’ কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন, গৃহবধূর মৃত্যু

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি 
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া মিতু বেগম। ছবি: সংগৃহীত
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া মিতু বেগম। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ এক গৃহবধূ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। যৌতুকের জন্য স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মারা যাওয়া নারীর নাম মিতু বেগম (২০)। গায়ে আগুন দেওয়ার পাঁচ দিন পর গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মিতু বেগম ফরিদগঞ্জের উত্তর হাঁসা গ্রামের অটোরিকশাচালক রাকিবের স্ত্রী।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিতু তাঁর স্বামীর বসতঘরে পারিবারিক কলহের জেরে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ঘটনায় তাঁর মা পারভীন বেগম ফরিদগঞ্জ থানায় মিতুর স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে যৌতুকের জন্য চাপ ও নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়।

পারভীন বেগম বলেন, ‘তিন বছর আগে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে জামাতা ও তার পরিবার আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয় এবং শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ও আমার মেয়েকে মারধর করলে নির্যাতন সইতে না পেরে নিজ শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পাঁচ দিন পর আমার মেয়ের মৃত্যু হয়। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। এ ঘটনায় উপযুক্ত বিচার চাই।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মিতু বেগমের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর স্বামী রাকিব ও পরিবারের সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অগ্নিদগ্ধ মিতু ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর মায়ের অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত