Ajker Patrika

পরিবেশবান্ধব ঘরে মুরগি রাখার উপায় নেই

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
পরিবেশবান্ধব ঘরে মুরগি রাখার উপায় নেই

ঘর হওয়ার কথা ছিল চৌচালার। করা হয়েছে বাংলা মডেলে। চালে দেওয়া হয়েছে কম পুরুর টিন। চালের তাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়নি বিশেষ যন্ত্র। বেড়ায় দেওয়া হয়েছে প্লাস্টিকের জালি। অথচ তাতে দেওয়ার কথা ছিল প্লাস্টিকে মোড়ানো ১৪ নম্বর গেজ ‘জিআই তারের’ জালি। এভাবে বিভিন্ন অনিয়ম করার অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ‘স্ক্যাভেঞ্জিং পোলট্রির পরিবেশবান্ধব ঘর নির্মাণ প্রকল্পে’। এতে উপকারভোগীদের কোনো কাজে আসছে না এই ঘর। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। 

প্রকল্পের উপকারভোগীদের কাছ থেকে জানা গেছে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) গঠিত প্রোডিউসার গ্রুপের (পিজি) সদস্যদের জন্য ইনভেস্টমেন্ট সাপোর্টের আওতায় মুরগির পরিবেশবান্ধব ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পের অর্থ দিয়ে ঘর নির্মাণের লক্ষ্যে পিজি সদস্যদের সঙ্গে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা সম্পাদন ও ফাঁকা চেকে সই নেন ওই প্রকল্পের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। ঘর প্রতি বরাদ্দ ছিল ২০ হাজার করে টাকা। 

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৫ ইউনিয়নে ১৪৬টি ঘরে মোট ব্যয় ধরা হয় ২৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। ব্যাংক থেকে টাকা পেয়ে ও ঘর নির্মাণের কথা ছিল উপকারভোগীদের নিজেদের। কিন্তু প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তারা উপকারভোগীদের ছাড়াই এই টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নিজেদের খেয়ালখুশি মতো ঘর নির্মাণ করেছেন। কয়েক দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। 

পিজির সদস্যরা বলেন, ‘কাজ আমাদের করার কথা ছিল। প্রকল্পের ডিজাইন অনুযায়ী অফিসের কর্মকর্তারা ঘর তৈরি করে দেবেন এমন প্রতিশ্রুতিতে তাঁরা কাজটি আমাদের করতে দেননি। তাঁরা নিম্নমানের ইট, পরিমাণে কম বালু ও সিমেন্ট দিয়ে নির্মাণকাজ শেষ করেছেন। আমরা কাজ করলে এত নরমাল হতো না। অফিসের লোকজন করায় আজ এই অবস্থা। আর সে কারণে মুরগি রাখতেও ভয় পাচ্ছি।’ 

সর্বানন্দ ইউনিয়নের তালুক বাজিত গ্রামের পিজি সদস্য মোছা মৌসুমি আক্তার বলেন, ‘আমাদেরকে বলেছে ২০ হাজার টাকা বাজেট আইচছে। এই হিসেবে আমরা সই করেছি। আমাদের ঘরও উঠাই দিছে উনারা। বলছে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এই টুকুই আমরা জানি। এখন যে কত খরচ হলো তা জানি না। তবে এ ঘর নির্মাণে মুরগি রাখা নিরাপদ নয়। সে কারণে রাতে রাখি না।’ 

মৌসুমির স্বামী মো. মাঈনুল ইসলাম বলেন, ‘শুনেছি ২০ হাজার টাকা বাজেট। আমার ধারণা, তো এখানে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখানে মুরগি রাখার কোনো পরিবেশ নেই। কারণ হাত দিয়ে টান দিলেই এগুলো খুলে আসে।’ 

তালুক বাজিত গ্রামের আরেক পিজি সদস্য মোছা জুই আক্তার বলেন, ‘কাজ উমরায় কইরছে। হামাক খালি ৫০টা ইট আইনতে বলছে। ওমার বাড়ি থাকি আনি দিছি। মিস্ত্রি কাজ করেছে। আর আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র উমরায় আনিয়া উমরায় কাজ করি গেইছে। টাকা পয়সা হামার হাতোত দেয় নাই।’ 

তারাপুর ইউনিয়নের নিজাম খাঁ গ্রামের পিজি সদস্য মোছা দুলালী বেগম বলেন, ‘বরাদ্দ ২০ হাজার টাকা ছিল। ঘরটা আমাদের করার কথা ছিল। কিন্তু অফিস থাকি কাজ কইরছে। এ ঘরে মুরগি রাখার পর গাড়োয়া ঠ্যাং টানি নিয়া যায়। সেই কারণে জাল দিয়েছি। বৃষ্টিতে ভেজে সে কারণে পলিথিন দিয়ে দিতে হয়।’ 

এ বিষয়ে কথা হয় হরিপুর ইউনিয়নের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা (এলএসপি) বিপ্লব দেবের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘অফিস থেকে কাজের কোনো শিডিউল দেওয়া হয়নি। পার্শ্ববর্তী সাদুল্লাপুর উপজেলার ঘরগুলো দেখে আমি কাজ করেছি।’ 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ইউএলও) মো. ফজলুল করিম বলেন, ‘উপজেলার তারাপুর, বেলকা ও সর্বানন্দ ইউনিয়নে ৩০টি করে এবং হরিপুর ও কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নে ২৮টি করে মোট ১৪৬টি পরিবেশবান্ধব মুরগির ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। কাজে অনিয়ম হয়নি। বরাদ্দের সমুদয় টাকা খরচ হয়েছে ঘরে। আপনাদের সন্দেহ হলে জুডিশিয়ালি মাঠে গিয়ে দেখতে পারেন।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আপনাদের কাছে জানতে পারলাম। কাগজপত্র দেখে প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নিব।’ 

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মাহফুজার রহমান বলেন, ‘শিডিউলের বাইরে কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। অবশ্যই সিডিউল মোতাবেক কাজ করতে হবে। দ্রুত মুরগির ঘরগুলো পরিদর্শন করব। অনিয়ম প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাইবান্ধায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত স্ত্রীর মৃত্যু

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত আজেদা বেগম (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার দিবাগত রাতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এর আগে গত মঙ্গলবার গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের এমপি পাড়ায় ছুরিকাঘাতের এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত স্বামী শামীম মিয়া (৪২) গোবিন্দগঞ্জের কামারদহ ইউনিয়নের বেতগারড়া গ্রামের মাফু মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি হোটেলে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি ঘটনার পর থেকে পলাতক।

নিহত আজেদা বেগম উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের রাজা মিয়ার মেয়ে। আট বছর বয়সী ছেলে আতিক ও ১৬ বছর বয়সী মেয়ে সোনিয়াকে নিয়ে তাঁরা কোনোমতে জীবন যাপন করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অভাবের সংসারে আজেদা অন্যের বাসায় কাজ করতেন। শামীম হোটেলে কাজ করলেও নেশাজাতীয় দ্রব্যে আসক্তি ও মোবাইল ফোনে জুয়া খেলায় জড়িয়ে পড়েন। এসব নিয়ে দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই কলহ লেগে থাকত।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত নারীর মৃত্যুর খবর স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাংনীতে কারেন্ট পোকার আক্রমণে কৃষকের সর্বনাশ: ভেজাল কীটনাশকের অভিযোগ

রাকিবুল ইসলাম, গাংনী (মেহেরপুর) 
উপজেলার তেরাইল-দেবীপুর মাঠের কৃষক মিরাজুল ইসলামের ক্ষতিগ্রস্ত জমি থেকে গতকাল সকালে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
উপজেলার তেরাইল-দেবীপুর মাঠের কৃষক মিরাজুল ইসলামের ক্ষতিগ্রস্ত জমি থেকে গতকাল সকালে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কার্তিকের এই সময়ে যখন কৃষকের মাঠভরা ধান দেখে আনন্দের নিশ্বাস ফেলার কথা, তখন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার দেবীপুর-তেরাইল মাঠের রোপা আমনচাষি মিরাজুল ইসলামকে হতাশা নিয়েই ছুটতে হচ্ছে মাঠে। কারেন্ট পোকার (ঘাসফড়িং) আক্রমণে তাঁর দেড় বিঘা জমির ধান একেবারে শেষ হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এত কষ্টের সব ধান আমার নষ্ট হয়ে গেল। মাঠে আমার ধান ছিল সেরা, এখন একেবারে জিরো। কীটনাশক প্রয়োগ করে অনেকের সেরে গেছে, কিন্তু আমি সব ধরনের বিষ ব্যবহার করেও কোনো সুফল পাইনি। আমার এতটাই ক্ষতি হয়েছে, যা কল্পনা করা যায় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কৃষি অফিস থেকে তেমন সঠিক কোনো দিকনির্দেশনাও পাইনি। কৃষি অফিস থেকে যদি সঠিক নির্দেশনা পাওয়া যেত কোন কীটনাশক ব্যবহার করলে ভালো হবে, তাহলে আমাদের অনেক উপকার হতো।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মজুরি খরচ, সার ও কীটনাশকের বাড়তি দামে কৃষকের নাভিশ্বাস উঠেছে। এর মধ্যেই আমনে কারেন্ট পোকার আক্রমণ মারাত্মক রূপ নিয়েছে। পোকার আক্রমণে কৃষক মিরাজুল ইসলামের ধানের গাছ শুকিয়ে সাদা হয়ে শুধু খড় দেখা যাচ্ছে। যেটুকু আছে, তা-ও দিন দিন নষ্ট হচ্ছে।

স্থানীয় চাষি আব্দুল মজিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আগে থাইডন, বাসোডিনের মতো বিষ ছিল, যা প্রয়োগ করলে সঙ্গে সঙ্গে কাজ হতো। কিন্তু এখনকার বিষে কোনো কাজ হয় না, এগুলো ভেজালে পরিপূর্ণ। বিষ কোম্পানিগুলো আসলে কী বিষ দেয়? এভাবে চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হলে কোথায় যাবে?’

আরেক ধানচাষি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মিরাজ নামের এই চাষির ধান কারেন্ট পোকার আক্রমণে এতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে বিচালি (খড়) করাও সম্ভব না। ধানের জমি খড়ের মতো হয়ে গেছে। এই মাঠে তার ধান অত্যন্ত সুন্দর হয়েছিল এবং সে তার ধানের প্রতি খুবই যত্নবান ছিল। সে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

গাংনী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আরাফাত মিয়া বলেন, ‘রোপা আমন মৌসুমে স্বাভাবিকভাবে এই ধরনের রোগ দেখা দেয়। আমরা অনেক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণে এনেছি পুরোপুরি। বাজারে বিভিন্ন ভেজাল কীটনাশক রয়েছে। এর মধ্য থেকে আসলটা বাছাই করে যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তাহলে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে যেসব উপসহকারী রয়েছে, তাদের বলা আছে কৃষকদের সঙ্গে সার্বিক যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডাব চুরি করতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে প্রাণ গেল যুবকের

বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় ডাব চুরি করতে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম আসলাম হোসেন (৪৫)। তিনি উপজেলার কোলা ইউনিয়নের পারিচা গ্রামের মোলায়েমের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোরের দিকে বদলগাছী উপজেলার আক্কেলপুর মধ্যপাড়া (মণ্ডলপাড়া) গ্রামে মুসা নামের এক ব্যক্তির নারকেলগাছে উঠেছিলেন আসলাম। ধারণা করা হচ্ছে, ডাব চুরি করার সময় তিনি গাছ থেকে নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা গাছের নিচে ডাবসহ লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে বদলগাছী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।

বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ডাব পাড়তে গিয়ে পা ফসকে পড়ে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণে ৬ শ্রমিক দগ্ধ, অবস্থা গুরুতর

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ২৯
এম এস ডাইং প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং কারখানা। ছবি: সংগৃহীত
এম এস ডাইং প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং কারখানা। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিসিক শিল্পনগরীতে এমএস ডাইং প্রিন্টিং অ্যান্ড ফিনিশিং নামে একটি কারখানায় বিস্ফোরণে ৬ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাঁদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন— কারখানাটির শ্রমিক আল আমিন (৩০), আজিজুল্লাহ (৩২), মো. সেলিম (৩৫), মো. জালাল মোল্লা (৪০), মো. নাজমুল হুদা (৩৫) এবং সিকিউরিটি গার্ড সুপারভাইজার নুর মোহাম্মদ (৩৫)।

দগ্ধরা জানান, সকালে কারখানার নিচতলায় বয়লার রুমে কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তেই সেই কক্ষে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। এতে ৬ জনের শরীর ঝলসে যায়। সহকর্মীরা দগ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, দগ্ধদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের সবার অবস্থাই গুরুতর। কার শরীরে কত শতাংশ পুড়েছে তা পরবর্তীতে বলা যাবে।

ফতুল্লা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার খায়রুল ইসলাম আজকের পত্রিকা বলেন, সকালে এসএম ডাইং স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে কারাখানা থেকে কোনো তাদের (ফায়ার সার্ভিস) বিস্ফোরণের সংবাদ জানানো হয়নি। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করছেন। বিস্ফোরণের কারণ তদন্তের পর জানা যাবে। তবে এ ঘটনায় কারখানাটির বেশ কয়েক শ্রমিক-কর্মচারী আহত হয়েছেন।

ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগুনে দগ্ধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। অফিশিয়ালি আমাদের এই বিষয়ে কেউ তথ্য দেয়নি। গণমাধ্যমে সংবাদ পেয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত