ফেনী প্রতিনিধি
ফেনীর মহিপাল উপজেলার আলহাজ্ব কোব্বাদ আহমেদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে তাঁর অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার সকালে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এতে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়ে বিদ্যালয় মাঠে অবস্থান নেয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বছরের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ রুটিন পরিবর্তন করে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করা হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষককে বাদ দিয়ে তাঁর পছন্দমতো শিক্ষক দিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করান। সেই সঙ্গে তিনি ২০২৫ সালের টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে নিয়ে মূল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের আরও অভিযোগ, ২০২৩ সালে ৯০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা আদায় করা হলেও এর কোনো হিসাব এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেননি প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট নিতে হলে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জোর করে এক হাজার টাকা আদায় করা হয়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ের ভবন রাতের বেলা ভাড়া দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের পানির ট্যাংক প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি গ্রন্থাগারের টেলিভিশন তিনি বাড়িতে নিয়ে গেছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়টিতে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থাকলেও এ পদে কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না।
শিক্ষার্থীদের দাবি, যোগ্য প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং তাঁরা যেন স্থানীয় বাসিন্দা না হন। শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ের পাশে হাইওয়ে থানার পরিত্যক্ত ভবনে উচ্ছৃঙ্খল তরুণেরা অবস্থান নিয়ে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করেন এবং মাদক সেবনের আড্ডা বসান। এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপসহ বিদ্যালয়ের মাঠ ও পরিবেশ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানায় তারা।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) ফাতিমা আক্তার শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনে জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত চলাকালে প্রধান শিক্ষককে ছুটিতে পাঠিয়ে বিকল্প এক শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন সুলতানা কান্তাসহ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক এ কে এম জহির উদ্দিন কচি বলেন, এনটিআরসি (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) থেকে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আগের ইংরেজি শিক্ষককে রাখতে চাইছিল বলেই আন্দোলন শুরু হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন।
ফেনীর মহিপাল উপজেলার আলহাজ্ব কোব্বাদ আহমেদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে তাঁর অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার সকালে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এতে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়ে বিদ্যালয় মাঠে অবস্থান নেয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বছরের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ রুটিন পরিবর্তন করে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করা হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষককে বাদ দিয়ে তাঁর পছন্দমতো শিক্ষক দিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করান। সেই সঙ্গে তিনি ২০২৫ সালের টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে নিয়ে মূল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের আরও অভিযোগ, ২০২৩ সালে ৯০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা আদায় করা হলেও এর কোনো হিসাব এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেননি প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট নিতে হলে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জোর করে এক হাজার টাকা আদায় করা হয়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ের ভবন রাতের বেলা ভাড়া দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের পানির ট্যাংক প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি গ্রন্থাগারের টেলিভিশন তিনি বাড়িতে নিয়ে গেছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়টিতে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থাকলেও এ পদে কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না।
শিক্ষার্থীদের দাবি, যোগ্য প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং তাঁরা যেন স্থানীয় বাসিন্দা না হন। শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ের পাশে হাইওয়ে থানার পরিত্যক্ত ভবনে উচ্ছৃঙ্খল তরুণেরা অবস্থান নিয়ে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করেন এবং মাদক সেবনের আড্ডা বসান। এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপসহ বিদ্যালয়ের মাঠ ও পরিবেশ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানায় তারা।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) ফাতিমা আক্তার শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনে জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত চলাকালে প্রধান শিক্ষককে ছুটিতে পাঠিয়ে বিকল্প এক শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন সুলতানা কান্তাসহ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক এ কে এম জহির উদ্দিন কচি বলেন, এনটিআরসি (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) থেকে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আগের ইংরেজি শিক্ষককে রাখতে চাইছিল বলেই আন্দোলন শুরু হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন।
অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকেরা যখন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই করছেন, ঠিক তখনই চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বাড়ানো হলো। ব্যবসায়ীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার কনটেইনার পরিবহন বন্ধ করে বন্দরের কার্যক্রম থমকে দিয়েছেন...
৪ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একের পর এক পদ শূন্য থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে চিকিৎসাসেবা। ৫০ শয্যার জনবল ও ১০০ শয্যার খাবার-ওষুধ নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ২৫০ শয্যার সরকারি হাসপাতালটি; বিশেষ করে ১০ মাস ধরে অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট না...
৪ ঘণ্টা আগেমাদারীপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরার জন্য বসানো বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কোনো কাজেই আসেনি। দিনের পর দিন ব্যবহার না হওয়ায় এসব যন্ত্র এখন নষ্টের পথে। এতে অপচয় হচ্ছে সরকারের লাখ লাখ টাকা।
৫ ঘণ্টা আগেবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) অন্তত ২৩ শিক্ষককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে সাতজন জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী রয়েছেন। পদোন্নতির এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক আলম।
৫ ঘণ্টা আগে