ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে প্রতারণার মাধ্যমে হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আরব আমিরাতে (দুবাই) পাড়ি জমিয়েছেন আকরাম শেখ (৩০) নামে এক যুবক। তিনি জেলা সদরের গেরদা ইউনিয়নের ইকরি গ্রামের ইছাহাক শেখের ছেলে। এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে এই প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। তবে, দীর্ঘ দেড় বছর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যানের ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ইউনিয়নের গোকাইল গ্রামের মৃত শেখ ফরিদের স্ত্রী রেখা বেগম (৩০) একজন ভুক্তভোগী। তিনি জানান, স্বামী বছর দু–এক আগে রং মিস্ত্রীর কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ লাখ টাকা পান। আরও কিছু জমানো টাকাসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখায় রাখেন। কিন্তু এজেন্ট ব্যাংকিং টাকা জমা নেওয়ার নিয়মের বাইরে তাঁকে দুটি ক্যাশ চেক দেওয়া হয়। সেই চেকে নিউ বিগ বাজার নামে আকরাম শেখের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে।
রেখা বেগম বলেন, ‘আমরা অশিক্ষিত মানুষ, এত কিছু বুঝতে পারি নাই। আকরাম আমাদের বলে তার ওইখানে টাকা রাখলে মাসে লাখ প্রতি ১ হাজার করে টাকা দেবে। এ জন্য সেখানে আমার সব টাকা রাখি। কিন্তু এভাবে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাবে বুঝি নাই। এখন ছোট ছোট দুইড্যা ছাওয়াল নিয়ে বাঁচব ক্যামনে!’
রেখার মতো ইকরি গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৯০ জন দরিদ্র নারী–পুরুষের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে যান আকরাম। প্রত্যেকের কাছ থেকে ১ লাখ, ২ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। এসব টাকা ব্যক্তিগতভাবে জমা করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা।
ভুক্তভোগীরা জানান, এ ঘটনার পর টাকা চাইলে বা অভিযোগ দিতে চাইলে স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহ মো. এমার হক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হারিচ মিয়া ভুক্তভোগীদের হুমকি–ধামকি দিতেন। ভয়ে তাঁরা কোথাও অভিযোগ দেননি। এখন দুইজন ভুক্তভোগী থানায় জানিয়েছেন।
তবে ৫ আগস্টের পর চেয়ারম্যান ও ওই আওয়ামী লীগ নেতা দুজনেই পলাতক।
ফরিদপুর ডাচ–বাংলা ব্যাংক শাখা সূত্রে জানা যায়, আকরাম শেখ ২০২০ সালের অক্টোবরে গেরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আউটলেটটির (এজেন্ট ব্যাংকিং) কার্যক্রম শুরু করেন। প্রায় তিন বছর কার্যক্রম পরিচালনা করেন। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেলে ২০২৩ সালের আগস্টে আউটলেটটি বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এই সময়ের মধ্যে সেখানে ১ হাজার ৪১৫টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। তবে, তাঁর মাধ্যমে গ্রাহকের কত টাকা লেনদেন হয়েছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য দেওয়া দুষ্কর বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।

আকরাশ শেখ এক বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন বলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। গতকাল রোববার দুপুরে ইকরি গ্রামে আকরাম শেখের বাড়ির সামনে ভিড় করে প্রায় ৭০ জন ভুক্তভোগী। প্রত্যেকেই আকরামের দেওয়া চেক নিয়ে হাজির হয়েছেন। প্রতিটি চেক নিউ বিগবাজার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের। আকরামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা নৌকা ও টয় ট্রেন (মেলায় বিনোদনের জন্য ব্যবহৃত) বিক্রি করা হবে, এমন খবরে ছুটে এসেছেন সবাই।
খাদিজা বেগম নীলি নামে এক বিধবা বলেন, নিজের গয়না বিক্রি করে এবং জমানো টাকাসহ ৪ লাখ টাকা ওই ব্যাংকে রেখেছিলেন। তাঁর হার্টের সমস্যা আছে। ওষুধ কেনার জন্য প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা পাবেন সেই আশায় টাকাগুলো রাখেন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি! চাল–ডাল কেনার টাকাও নাই। অনেক কষ্ট করে টাকা জমায়ছিলাম।’
ওই ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ মাকসুদ আলী বিদু ভুক্তভোগীদের তালিকা করছিলেন। তিনিই পরে আকরাম শেখের মালামাল বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা ভুক্তভোগীদের মাঝে ভাগ করে দেন।
সৈয়দ মাকসুদ আলী বিদু বলেন, ‘আকরাম শেখ প্রথম দিকে বিশ্বস্ততার সঙ্গে ব্যাংকটি পরিচালনা করে। সবাই মনে করে আকরামের ওইখানে টাকা রাখলে নিরাপদে থাকবে। এভাবেই সে অসহায় মানুষের টাকা সংগ্রহ করে। একদিন জানতে পারি সে উধাও হয়ে গেছে। এরপর মানুষ অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও টাকা পায়নি।’
ওই সময় পাশেই নিশ্চুপ বসে থাকতে দেখা যায় আকরাম হোসেনের বাবা বৃদ্ধ ইছাহাক শেখকে। ছেলে এভাবে মানুষের টাকা মেরে দেওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ২৫ বছর প্রবাসে ছিলাম, এখন দেশে এসেও দিনভর অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। আমার ছেলে সব শেষ করে দিয়েছে! আমি ওর টাকা দিব কীভাবে!’
এ বিষয়ে ডাচ–বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে একজন নারী অভিযোগ করার পর আমরা তদন্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে আটউলেটটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এ ছাড়া অন্য কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। আর টাকাগুলো ব্যক্তিগতভাবে লেনদেন করেছে, সেটির দায়ভার আমাদের না। তবে যেহেতু ডাচ–বাংলা ব্যাংকের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করেছে সে বিষয়ে আমরা শিগগিরই মামলা করব।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে বিষয়টি নিয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ফরিদপুরে প্রতারণার মাধ্যমে হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আরব আমিরাতে (দুবাই) পাড়ি জমিয়েছেন আকরাম শেখ (৩০) নামে এক যুবক। তিনি জেলা সদরের গেরদা ইউনিয়নের ইকরি গ্রামের ইছাহাক শেখের ছেলে। এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে এই প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। তবে, দীর্ঘ দেড় বছর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যানের ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ইউনিয়নের গোকাইল গ্রামের মৃত শেখ ফরিদের স্ত্রী রেখা বেগম (৩০) একজন ভুক্তভোগী। তিনি জানান, স্বামী বছর দু–এক আগে রং মিস্ত্রীর কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ লাখ টাকা পান। আরও কিছু জমানো টাকাসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখায় রাখেন। কিন্তু এজেন্ট ব্যাংকিং টাকা জমা নেওয়ার নিয়মের বাইরে তাঁকে দুটি ক্যাশ চেক দেওয়া হয়। সেই চেকে নিউ বিগ বাজার নামে আকরাম শেখের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে।
রেখা বেগম বলেন, ‘আমরা অশিক্ষিত মানুষ, এত কিছু বুঝতে পারি নাই। আকরাম আমাদের বলে তার ওইখানে টাকা রাখলে মাসে লাখ প্রতি ১ হাজার করে টাকা দেবে। এ জন্য সেখানে আমার সব টাকা রাখি। কিন্তু এভাবে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাবে বুঝি নাই। এখন ছোট ছোট দুইড্যা ছাওয়াল নিয়ে বাঁচব ক্যামনে!’
রেখার মতো ইকরি গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৯০ জন দরিদ্র নারী–পুরুষের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে যান আকরাম। প্রত্যেকের কাছ থেকে ১ লাখ, ২ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। এসব টাকা ব্যক্তিগতভাবে জমা করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা।
ভুক্তভোগীরা জানান, এ ঘটনার পর টাকা চাইলে বা অভিযোগ দিতে চাইলে স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহ মো. এমার হক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হারিচ মিয়া ভুক্তভোগীদের হুমকি–ধামকি দিতেন। ভয়ে তাঁরা কোথাও অভিযোগ দেননি। এখন দুইজন ভুক্তভোগী থানায় জানিয়েছেন।
তবে ৫ আগস্টের পর চেয়ারম্যান ও ওই আওয়ামী লীগ নেতা দুজনেই পলাতক।
ফরিদপুর ডাচ–বাংলা ব্যাংক শাখা সূত্রে জানা যায়, আকরাম শেখ ২০২০ সালের অক্টোবরে গেরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আউটলেটটির (এজেন্ট ব্যাংকিং) কার্যক্রম শুরু করেন। প্রায় তিন বছর কার্যক্রম পরিচালনা করেন। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেলে ২০২৩ সালের আগস্টে আউটলেটটি বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এই সময়ের মধ্যে সেখানে ১ হাজার ৪১৫টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। তবে, তাঁর মাধ্যমে গ্রাহকের কত টাকা লেনদেন হয়েছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য দেওয়া দুষ্কর বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।

আকরাশ শেখ এক বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন বলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। গতকাল রোববার দুপুরে ইকরি গ্রামে আকরাম শেখের বাড়ির সামনে ভিড় করে প্রায় ৭০ জন ভুক্তভোগী। প্রত্যেকেই আকরামের দেওয়া চেক নিয়ে হাজির হয়েছেন। প্রতিটি চেক নিউ বিগবাজার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের। আকরামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা নৌকা ও টয় ট্রেন (মেলায় বিনোদনের জন্য ব্যবহৃত) বিক্রি করা হবে, এমন খবরে ছুটে এসেছেন সবাই।
খাদিজা বেগম নীলি নামে এক বিধবা বলেন, নিজের গয়না বিক্রি করে এবং জমানো টাকাসহ ৪ লাখ টাকা ওই ব্যাংকে রেখেছিলেন। তাঁর হার্টের সমস্যা আছে। ওষুধ কেনার জন্য প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা পাবেন সেই আশায় টাকাগুলো রাখেন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি! চাল–ডাল কেনার টাকাও নাই। অনেক কষ্ট করে টাকা জমায়ছিলাম।’
ওই ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ মাকসুদ আলী বিদু ভুক্তভোগীদের তালিকা করছিলেন। তিনিই পরে আকরাম শেখের মালামাল বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা ভুক্তভোগীদের মাঝে ভাগ করে দেন।
সৈয়দ মাকসুদ আলী বিদু বলেন, ‘আকরাম শেখ প্রথম দিকে বিশ্বস্ততার সঙ্গে ব্যাংকটি পরিচালনা করে। সবাই মনে করে আকরামের ওইখানে টাকা রাখলে নিরাপদে থাকবে। এভাবেই সে অসহায় মানুষের টাকা সংগ্রহ করে। একদিন জানতে পারি সে উধাও হয়ে গেছে। এরপর মানুষ অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও টাকা পায়নি।’
ওই সময় পাশেই নিশ্চুপ বসে থাকতে দেখা যায় আকরাম হোসেনের বাবা বৃদ্ধ ইছাহাক শেখকে। ছেলে এভাবে মানুষের টাকা মেরে দেওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ২৫ বছর প্রবাসে ছিলাম, এখন দেশে এসেও দিনভর অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। আমার ছেলে সব শেষ করে দিয়েছে! আমি ওর টাকা দিব কীভাবে!’
এ বিষয়ে ডাচ–বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে একজন নারী অভিযোগ করার পর আমরা তদন্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে আটউলেটটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এ ছাড়া অন্য কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। আর টাকাগুলো ব্যক্তিগতভাবে লেনদেন করেছে, সেটির দায়ভার আমাদের না। তবে যেহেতু ডাচ–বাংলা ব্যাংকের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করেছে সে বিষয়ে আমরা শিগগিরই মামলা করব।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে বিষয়টি নিয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে প্রতারণার মাধ্যমে হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আরব আমিরাতে (দুবাই) পাড়ি জমিয়েছেন আকরাম শেখ (৩০) নামে এক যুবক। তিনি জেলা সদরের গেরদা ইউনিয়নের ইকরি গ্রামের ইছাহাক শেখের ছেলে। এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে এই প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। তবে, দীর্ঘ দেড় বছর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যানের ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ইউনিয়নের গোকাইল গ্রামের মৃত শেখ ফরিদের স্ত্রী রেখা বেগম (৩০) একজন ভুক্তভোগী। তিনি জানান, স্বামী বছর দু–এক আগে রং মিস্ত্রীর কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ লাখ টাকা পান। আরও কিছু জমানো টাকাসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখায় রাখেন। কিন্তু এজেন্ট ব্যাংকিং টাকা জমা নেওয়ার নিয়মের বাইরে তাঁকে দুটি ক্যাশ চেক দেওয়া হয়। সেই চেকে নিউ বিগ বাজার নামে আকরাম শেখের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে।
রেখা বেগম বলেন, ‘আমরা অশিক্ষিত মানুষ, এত কিছু বুঝতে পারি নাই। আকরাম আমাদের বলে তার ওইখানে টাকা রাখলে মাসে লাখ প্রতি ১ হাজার করে টাকা দেবে। এ জন্য সেখানে আমার সব টাকা রাখি। কিন্তু এভাবে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাবে বুঝি নাই। এখন ছোট ছোট দুইড্যা ছাওয়াল নিয়ে বাঁচব ক্যামনে!’
রেখার মতো ইকরি গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৯০ জন দরিদ্র নারী–পুরুষের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে যান আকরাম। প্রত্যেকের কাছ থেকে ১ লাখ, ২ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। এসব টাকা ব্যক্তিগতভাবে জমা করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা।
ভুক্তভোগীরা জানান, এ ঘটনার পর টাকা চাইলে বা অভিযোগ দিতে চাইলে স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহ মো. এমার হক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হারিচ মিয়া ভুক্তভোগীদের হুমকি–ধামকি দিতেন। ভয়ে তাঁরা কোথাও অভিযোগ দেননি। এখন দুইজন ভুক্তভোগী থানায় জানিয়েছেন।
তবে ৫ আগস্টের পর চেয়ারম্যান ও ওই আওয়ামী লীগ নেতা দুজনেই পলাতক।
ফরিদপুর ডাচ–বাংলা ব্যাংক শাখা সূত্রে জানা যায়, আকরাম শেখ ২০২০ সালের অক্টোবরে গেরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আউটলেটটির (এজেন্ট ব্যাংকিং) কার্যক্রম শুরু করেন। প্রায় তিন বছর কার্যক্রম পরিচালনা করেন। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেলে ২০২৩ সালের আগস্টে আউটলেটটি বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এই সময়ের মধ্যে সেখানে ১ হাজার ৪১৫টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। তবে, তাঁর মাধ্যমে গ্রাহকের কত টাকা লেনদেন হয়েছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য দেওয়া দুষ্কর বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।

আকরাশ শেখ এক বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন বলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। গতকাল রোববার দুপুরে ইকরি গ্রামে আকরাম শেখের বাড়ির সামনে ভিড় করে প্রায় ৭০ জন ভুক্তভোগী। প্রত্যেকেই আকরামের দেওয়া চেক নিয়ে হাজির হয়েছেন। প্রতিটি চেক নিউ বিগবাজার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের। আকরামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা নৌকা ও টয় ট্রেন (মেলায় বিনোদনের জন্য ব্যবহৃত) বিক্রি করা হবে, এমন খবরে ছুটে এসেছেন সবাই।
খাদিজা বেগম নীলি নামে এক বিধবা বলেন, নিজের গয়না বিক্রি করে এবং জমানো টাকাসহ ৪ লাখ টাকা ওই ব্যাংকে রেখেছিলেন। তাঁর হার্টের সমস্যা আছে। ওষুধ কেনার জন্য প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা পাবেন সেই আশায় টাকাগুলো রাখেন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি! চাল–ডাল কেনার টাকাও নাই। অনেক কষ্ট করে টাকা জমায়ছিলাম।’
ওই ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ মাকসুদ আলী বিদু ভুক্তভোগীদের তালিকা করছিলেন। তিনিই পরে আকরাম শেখের মালামাল বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা ভুক্তভোগীদের মাঝে ভাগ করে দেন।
সৈয়দ মাকসুদ আলী বিদু বলেন, ‘আকরাম শেখ প্রথম দিকে বিশ্বস্ততার সঙ্গে ব্যাংকটি পরিচালনা করে। সবাই মনে করে আকরামের ওইখানে টাকা রাখলে নিরাপদে থাকবে। এভাবেই সে অসহায় মানুষের টাকা সংগ্রহ করে। একদিন জানতে পারি সে উধাও হয়ে গেছে। এরপর মানুষ অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও টাকা পায়নি।’
ওই সময় পাশেই নিশ্চুপ বসে থাকতে দেখা যায় আকরাম হোসেনের বাবা বৃদ্ধ ইছাহাক শেখকে। ছেলে এভাবে মানুষের টাকা মেরে দেওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ২৫ বছর প্রবাসে ছিলাম, এখন দেশে এসেও দিনভর অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। আমার ছেলে সব শেষ করে দিয়েছে! আমি ওর টাকা দিব কীভাবে!’
এ বিষয়ে ডাচ–বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে একজন নারী অভিযোগ করার পর আমরা তদন্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে আটউলেটটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এ ছাড়া অন্য কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। আর টাকাগুলো ব্যক্তিগতভাবে লেনদেন করেছে, সেটির দায়ভার আমাদের না। তবে যেহেতু ডাচ–বাংলা ব্যাংকের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করেছে সে বিষয়ে আমরা শিগগিরই মামলা করব।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে বিষয়টি নিয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ফরিদপুরে প্রতারণার মাধ্যমে হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আরব আমিরাতে (দুবাই) পাড়ি জমিয়েছেন আকরাম শেখ (৩০) নামে এক যুবক। তিনি জেলা সদরের গেরদা ইউনিয়নের ইকরি গ্রামের ইছাহাক শেখের ছেলে। এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে এই প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। তবে, দীর্ঘ দেড় বছর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যানের ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ইউনিয়নের গোকাইল গ্রামের মৃত শেখ ফরিদের স্ত্রী রেখা বেগম (৩০) একজন ভুক্তভোগী। তিনি জানান, স্বামী বছর দু–এক আগে রং মিস্ত্রীর কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ লাখ টাকা পান। আরও কিছু জমানো টাকাসহ প্রায় আড়াই লাখ টাকা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখায় রাখেন। কিন্তু এজেন্ট ব্যাংকিং টাকা জমা নেওয়ার নিয়মের বাইরে তাঁকে দুটি ক্যাশ চেক দেওয়া হয়। সেই চেকে নিউ বিগ বাজার নামে আকরাম শেখের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে।
রেখা বেগম বলেন, ‘আমরা অশিক্ষিত মানুষ, এত কিছু বুঝতে পারি নাই। আকরাম আমাদের বলে তার ওইখানে টাকা রাখলে মাসে লাখ প্রতি ১ হাজার করে টাকা দেবে। এ জন্য সেখানে আমার সব টাকা রাখি। কিন্তু এভাবে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাবে বুঝি নাই। এখন ছোট ছোট দুইড্যা ছাওয়াল নিয়ে বাঁচব ক্যামনে!’
রেখার মতো ইকরি গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৯০ জন দরিদ্র নারী–পুরুষের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে যান আকরাম। প্রত্যেকের কাছ থেকে ১ লাখ, ২ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। এসব টাকা ব্যক্তিগতভাবে জমা করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা।
ভুক্তভোগীরা জানান, এ ঘটনার পর টাকা চাইলে বা অভিযোগ দিতে চাইলে স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহ মো. এমার হক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হারিচ মিয়া ভুক্তভোগীদের হুমকি–ধামকি দিতেন। ভয়ে তাঁরা কোথাও অভিযোগ দেননি। এখন দুইজন ভুক্তভোগী থানায় জানিয়েছেন।
তবে ৫ আগস্টের পর চেয়ারম্যান ও ওই আওয়ামী লীগ নেতা দুজনেই পলাতক।
ফরিদপুর ডাচ–বাংলা ব্যাংক শাখা সূত্রে জানা যায়, আকরাম শেখ ২০২০ সালের অক্টোবরে গেরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আউটলেটটির (এজেন্ট ব্যাংকিং) কার্যক্রম শুরু করেন। প্রায় তিন বছর কার্যক্রম পরিচালনা করেন। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেলে ২০২৩ সালের আগস্টে আউটলেটটি বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এই সময়ের মধ্যে সেখানে ১ হাজার ৪১৫টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। তবে, তাঁর মাধ্যমে গ্রাহকের কত টাকা লেনদেন হয়েছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য দেওয়া দুষ্কর বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।

আকরাশ শেখ এক বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন বলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। গতকাল রোববার দুপুরে ইকরি গ্রামে আকরাম শেখের বাড়ির সামনে ভিড় করে প্রায় ৭০ জন ভুক্তভোগী। প্রত্যেকেই আকরামের দেওয়া চেক নিয়ে হাজির হয়েছেন। প্রতিটি চেক নিউ বিগবাজার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের। আকরামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা নৌকা ও টয় ট্রেন (মেলায় বিনোদনের জন্য ব্যবহৃত) বিক্রি করা হবে, এমন খবরে ছুটে এসেছেন সবাই।
খাদিজা বেগম নীলি নামে এক বিধবা বলেন, নিজের গয়না বিক্রি করে এবং জমানো টাকাসহ ৪ লাখ টাকা ওই ব্যাংকে রেখেছিলেন। তাঁর হার্টের সমস্যা আছে। ওষুধ কেনার জন্য প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা পাবেন সেই আশায় টাকাগুলো রাখেন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি! চাল–ডাল কেনার টাকাও নাই। অনেক কষ্ট করে টাকা জমায়ছিলাম।’
ওই ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ মাকসুদ আলী বিদু ভুক্তভোগীদের তালিকা করছিলেন। তিনিই পরে আকরাম শেখের মালামাল বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা ভুক্তভোগীদের মাঝে ভাগ করে দেন।
সৈয়দ মাকসুদ আলী বিদু বলেন, ‘আকরাম শেখ প্রথম দিকে বিশ্বস্ততার সঙ্গে ব্যাংকটি পরিচালনা করে। সবাই মনে করে আকরামের ওইখানে টাকা রাখলে নিরাপদে থাকবে। এভাবেই সে অসহায় মানুষের টাকা সংগ্রহ করে। একদিন জানতে পারি সে উধাও হয়ে গেছে। এরপর মানুষ অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও টাকা পায়নি।’
ওই সময় পাশেই নিশ্চুপ বসে থাকতে দেখা যায় আকরাম হোসেনের বাবা বৃদ্ধ ইছাহাক শেখকে। ছেলে এভাবে মানুষের টাকা মেরে দেওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ২৫ বছর প্রবাসে ছিলাম, এখন দেশে এসেও দিনভর অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। আমার ছেলে সব শেষ করে দিয়েছে! আমি ওর টাকা দিব কীভাবে!’
এ বিষয়ে ডাচ–বাংলা এজেন্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে একজন নারী অভিযোগ করার পর আমরা তদন্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে আটউলেটটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এ ছাড়া অন্য কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। আর টাকাগুলো ব্যক্তিগতভাবে লেনদেন করেছে, সেটির দায়ভার আমাদের না। তবে যেহেতু ডাচ–বাংলা ব্যাংকের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করেছে সে বিষয়ে আমরা শিগগিরই মামলা করব।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জানামতে বিষয়টি নিয়ে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা নিয়ে তাঁর বোন মাছুমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিন বছর আগে ওসমান হাদিকে বলেছিলাম, তোকেও কিন্তু ভারতের “র” বাঁচতে দেবে না। আবরারকে যেভাবে মেরে ফেলেছে, তোকেও সেভাবে মেরে ফেলবে। দেশপ্রেমিক মানুষকে তারা বাঁচতে দেয় না।’
৩২ মিনিট আগে
হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মিজানুর রহমান নামের এক বন্দীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার কারাগারের ভেতরের একটি কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করেন কারারক্ষীরা।
৩৮ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক যুবক আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার আদালত পাড়ার কালীবাড়ি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত বাসে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
২ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা নিয়ে তাঁর বোন মাছুমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিন বছর আগে ওসমান হাদিকে বলেছিলাম, তোকেও কিন্তু ভারতের “র” বাঁচতে দেবে না। আবরারকে যেভাবে মেরে ফেলেছে, তোকেও সেভাবে মেরে ফেলবে। দেশপ্রেমিক মানুষকে তারা বাঁচতে দেয় না।’
হাদি ভারতবিরোধী লেখা লিখত, বাংলাদেশপন্থী লেখালেখি করত উল্লেখ করে মাছুমা বলেন, তার রক্তের প্রতিটি বিন্দুতে ছিল দেশপ্রেম। তার জীবনের প্রতিটি শিরা-উপশিরায় ছিল দেশের প্রতি ভালোবাসা। তার জীবন দেশের জন্যই ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ‘র’ আছে, আওয়ামী লীগ আছে—আবার এখন মির্জা আব্বাসের বিপরীতে ঢাকা-৮ আসনে দাঁড়িয়েছে—এখন তার শত্রুর অভাব নেই। এ দেশে জিয়াউর রহমানকেও বাঁচতে দেয়নি।
হাদির ভগ্নিপতি আমীর হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘ওসমান হাদি এমন একজন মানুষ, যার পা থেকে মাথা পর্যন্ত সবটাই দেশপ্রেমে ভরা। রাস্তায়, শাহবাগ মোড়ে—যেখানেই থাকুক—স্ত্রী, মা ও ভাইয়ের সঙ্গে একই কথা বলে। বাংলাদেশে এত সৎ মানুষ রাজনীতি করে না—এটা আমরা আগে থেকেই তাকে বলতাম। কিন্তু সে বলত, “না, কেউ না কেউকে তো শুরু করতেই হবে।” মূলত সে-ই সে শুরুটা করেছে।’
আমীর হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম, তার ওপর এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে, কারণ সে ছিল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। সে বাংলাদেশের প্রতিটি অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলত। তাই আমরা তাকে ব্যালেন্স করে চলতে বলতাম, কারণ ব্যালেন্স ছাড়া এ দেশে টিকে থাকা যায় না। কিন্তু সে বলত, “হ্যাঁ, আমি করব। হয়তো আমি একদিন থাকব না, কিন্তু আমার দেখাদেখি হাজারো-লাখো হাদির জন্ম হবে।’”
ঝালকাঠির নলছিটির বাড়িতে হাদির বোন ও ভগ্নিপতি বসবাস করেন। হাদির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে ভগ্নিপতি আমীর জানান, হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। হাদির মাকে এক সপ্তাহ আগে ঢাকায় হাদির বাসায় রেখে এসেছিলেন বলে তিনি জানান।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, হাদির বাবা প্রয়াত মাওলানা আব্দুল হাদি ছিলেন নলছিটি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক উপাধ্যক্ষ ও খাসমহল জামে মসজিদের ইমাম। মা তাসলিমা হাদি গৃহিণী। ছয় ভাইবোনের মধ্যে হাদি পঞ্চম। হাদির স্ত্রী রাবেয়া ইসলাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে অনার্স সম্পন্ন করেছেন। এই দম্পতির একটি সন্তান রয়েছে।
হাদির বাল্যবন্ধু ইসমাইল মুসাফির বলেন, ওসমান হাদি ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসার ছাত্র ছিল। শৈশব থেকেই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড—বিশেষ করে কবিতা আবৃত্তি ও বক্তৃতায়—সে ছিল অত্যন্ত দক্ষ। এ কারণে সে বারবার জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণপদক পেয়েছে। তার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না; ব্যক্তি হিসেবেই সে সব সময় রাজনৈতিকভাবে সচেতন ছিল।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা নিয়ে তাঁর বোন মাছুমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিন বছর আগে ওসমান হাদিকে বলেছিলাম, তোকেও কিন্তু ভারতের “র” বাঁচতে দেবে না। আবরারকে যেভাবে মেরে ফেলেছে, তোকেও সেভাবে মেরে ফেলবে। দেশপ্রেমিক মানুষকে তারা বাঁচতে দেয় না।’
হাদি ভারতবিরোধী লেখা লিখত, বাংলাদেশপন্থী লেখালেখি করত উল্লেখ করে মাছুমা বলেন, তার রক্তের প্রতিটি বিন্দুতে ছিল দেশপ্রেম। তার জীবনের প্রতিটি শিরা-উপশিরায় ছিল দেশের প্রতি ভালোবাসা। তার জীবন দেশের জন্যই ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ‘র’ আছে, আওয়ামী লীগ আছে—আবার এখন মির্জা আব্বাসের বিপরীতে ঢাকা-৮ আসনে দাঁড়িয়েছে—এখন তার শত্রুর অভাব নেই। এ দেশে জিয়াউর রহমানকেও বাঁচতে দেয়নি।
হাদির ভগ্নিপতি আমীর হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘ওসমান হাদি এমন একজন মানুষ, যার পা থেকে মাথা পর্যন্ত সবটাই দেশপ্রেমে ভরা। রাস্তায়, শাহবাগ মোড়ে—যেখানেই থাকুক—স্ত্রী, মা ও ভাইয়ের সঙ্গে একই কথা বলে। বাংলাদেশে এত সৎ মানুষ রাজনীতি করে না—এটা আমরা আগে থেকেই তাকে বলতাম। কিন্তু সে বলত, “না, কেউ না কেউকে তো শুরু করতেই হবে।” মূলত সে-ই সে শুরুটা করেছে।’
আমীর হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম, তার ওপর এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে, কারণ সে ছিল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। সে বাংলাদেশের প্রতিটি অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলত। তাই আমরা তাকে ব্যালেন্স করে চলতে বলতাম, কারণ ব্যালেন্স ছাড়া এ দেশে টিকে থাকা যায় না। কিন্তু সে বলত, “হ্যাঁ, আমি করব। হয়তো আমি একদিন থাকব না, কিন্তু আমার দেখাদেখি হাজারো-লাখো হাদির জন্ম হবে।’”
ঝালকাঠির নলছিটির বাড়িতে হাদির বোন ও ভগ্নিপতি বসবাস করেন। হাদির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে ভগ্নিপতি আমীর জানান, হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। হাদির মাকে এক সপ্তাহ আগে ঢাকায় হাদির বাসায় রেখে এসেছিলেন বলে তিনি জানান।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, হাদির বাবা প্রয়াত মাওলানা আব্দুল হাদি ছিলেন নলছিটি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক উপাধ্যক্ষ ও খাসমহল জামে মসজিদের ইমাম। মা তাসলিমা হাদি গৃহিণী। ছয় ভাইবোনের মধ্যে হাদি পঞ্চম। হাদির স্ত্রী রাবেয়া ইসলাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে অনার্স সম্পন্ন করেছেন। এই দম্পতির একটি সন্তান রয়েছে।
হাদির বাল্যবন্ধু ইসমাইল মুসাফির বলেন, ওসমান হাদি ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসার ছাত্র ছিল। শৈশব থেকেই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড—বিশেষ করে কবিতা আবৃত্তি ও বক্তৃতায়—সে ছিল অত্যন্ত দক্ষ। এ কারণে সে বারবার জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণপদক পেয়েছে। তার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না; ব্যক্তি হিসেবেই সে সব সময় রাজনৈতিকভাবে সচেতন ছিল।

আকরাম শেখ ২০২০ সালের অক্টোবরে গেরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আউটলেটটির (এজেন্ট ব্যাংকিং) কার্যক্রম শুরু করেন। প্রায় তিন বছর কার্যক্রম পরিচালনা করেন। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেলে ২০২৩ সালের আগস্টে আউটলেটটি বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
০৪ নভেম্বর ২০২৪
হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মিজানুর রহমান নামের এক বন্দীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার কারাগারের ভেতরের একটি কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করেন কারারক্ষীরা।
৩৮ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক যুবক আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার আদালত পাড়ার কালীবাড়ি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত বাসে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
২ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মিজানুর রহমান নামের এক বন্দীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার কারাগারের ভেতরের একটি কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করেন কারারক্ষীরা।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্দী মিজানুর কারাগারের ভেতরে কার্পেট চালির (যেখানে কার্পেট তৈরি হয়) দরজা ভেঙে ঢোকেন। সেখানে তিনি গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে কারারক্ষীরা তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু ততক্ষণে তিনি মারা যান।
মৃত মিজানুর রহমান যশোরের শার্শা উপজেলার আমতলা গ্রামের আক্কাচ আলীর ছেলে। তিনি চলতি বছরের ২৪ জুলাই একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আসেন। মিজান ওয়ার্কশপ মেকানিক থেকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আবিষ্কার করে এক দশক ধরে জেলায় পরিচিতি পান ‘উদ্ভাবক মিজান’ নামে।
জানতে চাইলে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবিদ আহমেদ জানান, তিনি (মিজান) মূলত কপোতাক্ষ-৩ ভবনে থাকতেন। কিন্তু কৌশলে তিনি কার্পেট চালির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে যান। সেখানেই এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তাঁর পরিবারকে জানানো হয়েছে। তারা এলে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, মিজানুর রহমান যশোরের শার্শার একজন মেকানিক। যিনি বহু উদ্ভাবনী যন্ত্র; যেমন বিদ্যুৎ উৎপাদন, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য যানবাহন তৈরি করেছেন। গত বছরের ২৪ জুলাই একটি হত্যা মামলায় মিজানসহ চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মিজানুর রহমান নামের এক বন্দীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার কারাগারের ভেতরের একটি কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করেন কারারক্ষীরা।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্দী মিজানুর কারাগারের ভেতরে কার্পেট চালির (যেখানে কার্পেট তৈরি হয়) দরজা ভেঙে ঢোকেন। সেখানে তিনি গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে কারারক্ষীরা তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু ততক্ষণে তিনি মারা যান।
মৃত মিজানুর রহমান যশোরের শার্শা উপজেলার আমতলা গ্রামের আক্কাচ আলীর ছেলে। তিনি চলতি বছরের ২৪ জুলাই একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আসেন। মিজান ওয়ার্কশপ মেকানিক থেকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আবিষ্কার করে এক দশক ধরে জেলায় পরিচিতি পান ‘উদ্ভাবক মিজান’ নামে।
জানতে চাইলে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবিদ আহমেদ জানান, তিনি (মিজান) মূলত কপোতাক্ষ-৩ ভবনে থাকতেন। কিন্তু কৌশলে তিনি কার্পেট চালির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে যান। সেখানেই এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তাঁর পরিবারকে জানানো হয়েছে। তারা এলে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, মিজানুর রহমান যশোরের শার্শার একজন মেকানিক। যিনি বহু উদ্ভাবনী যন্ত্র; যেমন বিদ্যুৎ উৎপাদন, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য যানবাহন তৈরি করেছেন। গত বছরের ২৪ জুলাই একটি হত্যা মামলায় মিজানসহ চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

আকরাম শেখ ২০২০ সালের অক্টোবরে গেরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আউটলেটটির (এজেন্ট ব্যাংকিং) কার্যক্রম শুরু করেন। প্রায় তিন বছর কার্যক্রম পরিচালনা করেন। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেলে ২০২৩ সালের আগস্টে আউটলেটটি বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
০৪ নভেম্বর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা নিয়ে তাঁর বোন মাছুমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিন বছর আগে ওসমান হাদিকে বলেছিলাম, তোকেও কিন্তু ভারতের “র” বাঁচতে দেবে না। আবরারকে যেভাবে মেরে ফেলেছে, তোকেও সেভাবে মেরে ফেলবে। দেশপ্রেমিক মানুষকে তারা বাঁচতে দেয় না।’
৩২ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক যুবক আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার আদালত পাড়ার কালীবাড়ি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত বাসে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
২ ঘণ্টা আগেনবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক যুবক আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার আদালত পাড়ার কালীবাড়ি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
আহত যুবকের নাম মো. রাব্বি (২১)। তিনি উপজেলা শাহবাজপুর গ্রামের মো. হেলাল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে পৌর সদর মাঝিকারা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে দুটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্ত চলছে, আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
মো. বিল্লাল হোসেন নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ তিনটি গুলি শব্দ শোনা যায়। বের হয়ে দেখি এক যুবক পিস্তল হাতে দৌড়ে চলে যাচ্ছে। গুলিবিদ্ধ রাব্বিকে উদ্ধার করে প্রথমে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।’
অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার জমিদার বাড়িসংলগ্ন বালুরচরের মাঠে মারামারির একটি ঘটনার সালিস চলছিল। সালিসে রাব্বির বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বাড়ি ফেরার পথে কালীবাড়ি মোড়ে রাব্বিকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর চিকিৎসক অঙ্কন রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, আহত যুবকের বুকের বাঁ পাশের পাঁজরে একটা ছিদ্র দেখা যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কুমিল্লা রেফার করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক যুবক আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার আদালত পাড়ার কালীবাড়ি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
আহত যুবকের নাম মো. রাব্বি (২১)। তিনি উপজেলা শাহবাজপুর গ্রামের মো. হেলাল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে পৌর সদর মাঝিকারা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে দুটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্ত চলছে, আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
মো. বিল্লাল হোসেন নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ তিনটি গুলি শব্দ শোনা যায়। বের হয়ে দেখি এক যুবক পিস্তল হাতে দৌড়ে চলে যাচ্ছে। গুলিবিদ্ধ রাব্বিকে উদ্ধার করে প্রথমে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।’
অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার জমিদার বাড়িসংলগ্ন বালুরচরের মাঠে মারামারির একটি ঘটনার সালিস চলছিল। সালিসে রাব্বির বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বাড়ি ফেরার পথে কালীবাড়ি মোড়ে রাব্বিকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর চিকিৎসক অঙ্কন রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, আহত যুবকের বুকের বাঁ পাশের পাঁজরে একটা ছিদ্র দেখা যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কুমিল্লা রেফার করা হয়েছে।

আকরাম শেখ ২০২০ সালের অক্টোবরে গেরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আউটলেটটির (এজেন্ট ব্যাংকিং) কার্যক্রম শুরু করেন। প্রায় তিন বছর কার্যক্রম পরিচালনা করেন। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেলে ২০২৩ সালের আগস্টে আউটলেটটি বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
০৪ নভেম্বর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা নিয়ে তাঁর বোন মাছুমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিন বছর আগে ওসমান হাদিকে বলেছিলাম, তোকেও কিন্তু ভারতের “র” বাঁচতে দেবে না। আবরারকে যেভাবে মেরে ফেলেছে, তোকেও সেভাবে মেরে ফেলবে। দেশপ্রেমিক মানুষকে তারা বাঁচতে দেয় না।’
৩২ মিনিট আগে
হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মিজানুর রহমান নামের এক বন্দীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার কারাগারের ভেতরের একটি কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করেন কারারক্ষীরা।
৩৮ মিনিট আগে
রাজধানীর বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত বাসে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত বাসে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রোজিনা আক্তার বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আসে বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত বাসে আগুন লেগেছে। খবর পাওয়ার পর বারিধারা ফায়ার স্টেশন থেকে দুটি ইউনিটকে পাঠানো হয় এবং তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে।’
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, দাউ দাউ করে জ্বলা বাসটি তখনো রাস্তায় চলন্ত অবস্থায় ছিল।
অগ্নিকাণ্ডের সময় বাসটিতে যাত্রী ছিল কি না—সে সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিস নিশ্চিত করতে পারেনি। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুন লাগার কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

রাজধানীর বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত বাসে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রোজিনা আক্তার বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আসে বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় একটি চলন্ত বাসে আগুন লেগেছে। খবর পাওয়ার পর বারিধারা ফায়ার স্টেশন থেকে দুটি ইউনিটকে পাঠানো হয় এবং তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে।’
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, দাউ দাউ করে জ্বলা বাসটি তখনো রাস্তায় চলন্ত অবস্থায় ছিল।
অগ্নিকাণ্ডের সময় বাসটিতে যাত্রী ছিল কি না—সে সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিস নিশ্চিত করতে পারেনি। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুন লাগার কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

আকরাম শেখ ২০২০ সালের অক্টোবরে গেরদা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আউটলেটটির (এজেন্ট ব্যাংকিং) কার্যক্রম শুরু করেন। প্রায় তিন বছর কার্যক্রম পরিচালনা করেন। টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেলে ২০২৩ সালের আগস্টে আউটলেটটি বন্ধ করে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
০৪ নভেম্বর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা নিয়ে তাঁর বোন মাছুমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিন বছর আগে ওসমান হাদিকে বলেছিলাম, তোকেও কিন্তু ভারতের “র” বাঁচতে দেবে না। আবরারকে যেভাবে মেরে ফেলেছে, তোকেও সেভাবে মেরে ফেলবে। দেশপ্রেমিক মানুষকে তারা বাঁচতে দেয় না।’
৩২ মিনিট আগে
হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মিজানুর রহমান নামের এক বন্দীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার কারাগারের ভেতরের একটি কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করেন কারারক্ষীরা।
৩৮ মিনিট আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক যুবক আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার আদালত পাড়ার কালীবাড়ি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে