প্রতিনিধি, দিনাজপুর
তাজমহলের নাম উচ্চারিত হলেই স্মৃতিতে ভেসে ওঠে সম্রাট শাহজাহানের তৈরি করা সেই অমর কীর্তির। বিশ্বব্যাপী একনামেই যার পরিচিতি। এরই অনুকরণ করে দিনাজপুরের আফতাবগঞ্জে নির্মাণ করা হচ্ছে মসজিদ। স্বপ্নপুরীতে প্রবেশের আগেই গড়ে উঠছে দৃষ্টিনন্দন প্রার্থনাগৃহটি।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে অবস্থিত উত্তরবঙ্গের প্রাচীন ও বৃহৎ পর্যটন স্পট স্বপ্নপুরী। প্রতিদিনই উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিনোদনের আশায় এখানে মানুষজন ছুটে আসেন। সেই স্বপ্নপুরীর আফতাবগঞ্জে এবার বিশ্বখ্যাত তাজমহলের অনুসরণে নির্মাণ হচ্ছে মসজিদ। পুরো এক বিঘা জমির ওপর মসজিদটি বাইরে থেকে দেখতে মনে হবে যেন তাজমহল। নির্মাণকাজ শেষ না হলেও এরই মধ্যে মসজিদটি দেখতে ভিড় করছে বিভিন্ন এলাকার মানুষজন। বাজারের পুরোনো মসজিদে স্থান সংকুলান না হওয়ায় সেখানে শুক্রবারে জুমার নামাজ পড়াও শুরু করেছেন এলাকার মুসল্লিরা।
জানা যায়, মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে ১৪২১ সালের পয়লা বৈশাখ। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে তিল তিল করে নিজের তত্ত্বাবধানে মসজিদটি গড়ে তোলেন স্বপ্নপুরীর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন। কোন বিশেষজ্ঞ আর্কিটেকচার বা ইঞ্জিনিয়ার ছাড়াই তাঁর নিজস্ব ডিজাইন ও পরিকল্পনায় গড়ে উঠছে মসজিদটি। নিজস্ব পরিকল্পনায় তাজমহলের অনুসরণে তাঁর নিজস্ব মিস্ত্রিদের দিয়ে মসজিদটির নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
চার তলাবিশিষ্ট মসজিদটি নিচতলায় থাকবে একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। যেখানে থাকবে ধর্মীয় বিভিন্ন গবেষণামূলক বই। পাশেই থাকবে সেমিনার কক্ষ। যেখানে ধর্মীয় বিতর্ক কিংবা আলোচনা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা সেখানে করা যাবে। থাকবে তাবলিগ, জামাত কিংবা জ্ঞান অন্বেষণে আসা লোকদের জন্য থাকার সুব্যবস্থাও।
দ্বিতীয় তলা থেকে চতুর্থ তলা পর্যন্ত তিনটি ফ্লোরে ২০ হাজার স্কয়ার ফিটের এ মসজিদে প্রায় ৫ হাজার লোকের নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। তৃতীয় তলায় মহিলাদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। ১৬টি পিলারের ওপর তৈরি এ মসজিদে রয়েছে ৩২টি ছোট মিনার। চারকোনায় রয়েছে চারটি সুউচ্চ গম্বুজ। যেগুলোর প্রতিটির উচ্চতা ৯৭ ফিট। বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, ভারত ও ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গ্রানাইট, টাইলস, মার্বেল পাথরসহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী মসজিদটি নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে। মসজিদের দেয়াল, ছাদসহ গোটা মসজিদ জুড়ে বিভিন্ন নকশা, আরবি ক্যালিগ্রাফি ও চাঁদ-তারাসহ বিভিন্ন ডিজাইন স্থান পেয়েছে। সেখানে প্রতিদিন কাজ করছেন রাজমিস্ত্রি, টাইলস মিস্ত্রিসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক শ্রমিক।
মসজিদটির উদ্যোক্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার বাবা মৃত ডা. আফতাব হোসেনের নামে এই বাজারটির নামকরণ করা হয়। তাঁর হাত ধরে এখানে মসজিদ, স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। পূর্বের মসজিটি পুরোনো হয়ে যাওয়ায় ও মুসল্লিদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় পারিবারিকভাবে নতুন করে একটি মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করেন তিনি। কয়েক শতাব্দী পেরোলেও তাজমহল নিজস্ব মহিমায় ভাস্কর থাকায় এর আদলে মসজিদটি নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হয়। এ জন্য মসজিদ নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মিস্ত্রিসহ একাধিক লোককে সঙ্গে নিয়ে একাধিকবার তাজমহলসহ ভারতের বিভিন্ন মসজিদ পরিদর্শন করা হয়েছে।
মো. দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, আগামী বছর পয়লা বৈশাখে মসজিদটি উদ্বোধনের ইচ্ছা ছিল। কিন্তু এটি নির্মাণে আরও ২-৩ বছর লাগতে পারে।
মসজিদটির নির্মাণ খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মসজিদ নির্মাণে কোন বাজেট নির্ধারণ করা নেই। মসজিদটি নির্মাণে যত টাকা লাগবে তা ব্যয় করা হবে।
নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ কোটি টাকার মতো খরচ হয়ে গেছে। নির্মাণকাজ শেষ করতে আরও সমপরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে।
তাজমহলের নাম উচ্চারিত হলেই স্মৃতিতে ভেসে ওঠে সম্রাট শাহজাহানের তৈরি করা সেই অমর কীর্তির। বিশ্বব্যাপী একনামেই যার পরিচিতি। এরই অনুকরণ করে দিনাজপুরের আফতাবগঞ্জে নির্মাণ করা হচ্ছে মসজিদ। স্বপ্নপুরীতে প্রবেশের আগেই গড়ে উঠছে দৃষ্টিনন্দন প্রার্থনাগৃহটি।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে অবস্থিত উত্তরবঙ্গের প্রাচীন ও বৃহৎ পর্যটন স্পট স্বপ্নপুরী। প্রতিদিনই উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিনোদনের আশায় এখানে মানুষজন ছুটে আসেন। সেই স্বপ্নপুরীর আফতাবগঞ্জে এবার বিশ্বখ্যাত তাজমহলের অনুসরণে নির্মাণ হচ্ছে মসজিদ। পুরো এক বিঘা জমির ওপর মসজিদটি বাইরে থেকে দেখতে মনে হবে যেন তাজমহল। নির্মাণকাজ শেষ না হলেও এরই মধ্যে মসজিদটি দেখতে ভিড় করছে বিভিন্ন এলাকার মানুষজন। বাজারের পুরোনো মসজিদে স্থান সংকুলান না হওয়ায় সেখানে শুক্রবারে জুমার নামাজ পড়াও শুরু করেছেন এলাকার মুসল্লিরা।
জানা যায়, মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে ১৪২১ সালের পয়লা বৈশাখ। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে তিল তিল করে নিজের তত্ত্বাবধানে মসজিদটি গড়ে তোলেন স্বপ্নপুরীর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন। কোন বিশেষজ্ঞ আর্কিটেকচার বা ইঞ্জিনিয়ার ছাড়াই তাঁর নিজস্ব ডিজাইন ও পরিকল্পনায় গড়ে উঠছে মসজিদটি। নিজস্ব পরিকল্পনায় তাজমহলের অনুসরণে তাঁর নিজস্ব মিস্ত্রিদের দিয়ে মসজিদটির নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
চার তলাবিশিষ্ট মসজিদটি নিচতলায় থাকবে একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। যেখানে থাকবে ধর্মীয় বিভিন্ন গবেষণামূলক বই। পাশেই থাকবে সেমিনার কক্ষ। যেখানে ধর্মীয় বিতর্ক কিংবা আলোচনা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা সেখানে করা যাবে। থাকবে তাবলিগ, জামাত কিংবা জ্ঞান অন্বেষণে আসা লোকদের জন্য থাকার সুব্যবস্থাও।
দ্বিতীয় তলা থেকে চতুর্থ তলা পর্যন্ত তিনটি ফ্লোরে ২০ হাজার স্কয়ার ফিটের এ মসজিদে প্রায় ৫ হাজার লোকের নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। তৃতীয় তলায় মহিলাদের জন্য নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। ১৬টি পিলারের ওপর তৈরি এ মসজিদে রয়েছে ৩২টি ছোট মিনার। চারকোনায় রয়েছে চারটি সুউচ্চ গম্বুজ। যেগুলোর প্রতিটির উচ্চতা ৯৭ ফিট। বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, ভারত ও ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গ্রানাইট, টাইলস, মার্বেল পাথরসহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী মসজিদটি নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে। মসজিদের দেয়াল, ছাদসহ গোটা মসজিদ জুড়ে বিভিন্ন নকশা, আরবি ক্যালিগ্রাফি ও চাঁদ-তারাসহ বিভিন্ন ডিজাইন স্থান পেয়েছে। সেখানে প্রতিদিন কাজ করছেন রাজমিস্ত্রি, টাইলস মিস্ত্রিসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক শ্রমিক।
মসজিদটির উদ্যোক্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার বাবা মৃত ডা. আফতাব হোসেনের নামে এই বাজারটির নামকরণ করা হয়। তাঁর হাত ধরে এখানে মসজিদ, স্কুল কলেজসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। পূর্বের মসজিটি পুরোনো হয়ে যাওয়ায় ও মুসল্লিদের স্থান সংকুলান না হওয়ায় পারিবারিকভাবে নতুন করে একটি মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করেন তিনি। কয়েক শতাব্দী পেরোলেও তাজমহল নিজস্ব মহিমায় ভাস্কর থাকায় এর আদলে মসজিদটি নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হয়। এ জন্য মসজিদ নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মিস্ত্রিসহ একাধিক লোককে সঙ্গে নিয়ে একাধিকবার তাজমহলসহ ভারতের বিভিন্ন মসজিদ পরিদর্শন করা হয়েছে।
মো. দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, আগামী বছর পয়লা বৈশাখে মসজিদটি উদ্বোধনের ইচ্ছা ছিল। কিন্তু এটি নির্মাণে আরও ২-৩ বছর লাগতে পারে।
মসজিদটির নির্মাণ খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মসজিদ নির্মাণে কোন বাজেট নির্ধারণ করা নেই। মসজিদটি নির্মাণে যত টাকা লাগবে তা ব্যয় করা হবে।
নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ কোটি টাকার মতো খরচ হয়ে গেছে। নির্মাণকাজ শেষ করতে আরও সমপরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আগুনে পুড়ে যাওয়া আমদানি কার্গো ভিলেজটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভেতরে এখনো কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট সংলগ্ন ওই ভবনটির সামনে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
১ মিনিট আগেচট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন প্রবর্তক মোড়ে অবস্থিত বন্ধ থাকা একটি বেসরকারি হাসপাতালে গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় চার মাস ধরে হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ‘সেন্ট্রাল সিটি হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ নামে
১০ মিনিট আগেআলোচিত বাংলাদেশি পর্নো তারকা যুগলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। দেশে বসেই পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট তৈরি করে আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে তাঁরা। এমনকি দেশে অন্যদের এই কাজে যুক্ত হওয়ার প্রলোভন দেখাতেন।
১৭ মিনিট আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পারিবারিক কলহের জেরে পারুল বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধাকে হাতুড়িপেটা করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর পুত্রবধূ লিলি আক্তারের (৩০) বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের আসাদনগর মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পারুল বেগম ওই এলাকার আব্দুল ওয়াহিদের স্ত্রী
১ ঘণ্টা আগে