দিনাজপুর প্রতিনিধি
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল বক্তব্যের প্রতিবাদে দিনাজপুরে আওয়ামী লীগের কয়েকটি দলীয় কার্যালয় ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে ছাত্র-জনতা। এ ছাড়া শহরের হাসপাতাল মোড় এলাকায় দিনাজপুর সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের বাড়ি ভাঙা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে পাকেরহাট শাপলা চত্বর জড়ো হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিলসহ বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা পাকেরহাটস্থ উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছান। এ সময় তাঁরা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। তখন সাউন্ড বক্সে বিভিন্ন গান বাজিয়ে আনন্দে মাতেন। সড়কে এ সময় উৎসুক জনতার ভিড় ছিল।
এরপর রাত ১০টার দিকে শহরের হাসপাতাল মোড় এলাকায় ইকবালুর রহিমের বাড়ি এক্সকাভেটর দিয়ে ভাঙা হয়। পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে শহরের বাসুনিয়াপট্টি এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগ ও শহর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ও একই এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
‘জয় বাংলা, জিতবে এবার নৌকা’ গানের তালেতালে ইকবালুর রহিমের ভবনের দেয়ালে এক্সকাভেটর দিয়ে আঘাত করে। দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙে পড়ে প্রাচীর, ভবনের খুঁটি ও দেয়াল। উৎসুক জনতা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেন।
ভবন ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে ইট, লোহার গ্রিল, দরজা–জানালা, প্রাচীরের ওপরে তারকাঁটা যে যার মতো ভ্যানে তুলে নিয়ে যেতে দেখা গেছে স্থানীয়দের।
এর আগে গত ৪ আগস্ট বিকেলে ইকবালুর রহিমের বাসায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। পরের দিন অর্থাৎ সরকার পতনের দিন বিকেলে আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়ে। দলীয় দুটি কার্যালয় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও মাস দু–এক আগে ইকবালুর রহিমের বাড়ির জায়গায় তারকাঁটাসহ সুউচ্চ প্রাচীর দিয়ে জায়গাটি ঘিরে রাখা হয়। সেই প্রাচীরটি গুঁড়িয়ে দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইটসহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে যায় স্থানীয়রা।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবার নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম। যাওয়ার পর থেকে স্থানীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে তিনি কোনো যোগাযোগ করেননি বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট প্রথম দফায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। দ্বিতীয় দফায় ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে এই স্থাপনাগুলো গুঁড়িয়ে দেন তাঁরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খানসামা উপজেলার অন্যতম ছাত্র প্রতিনিধি রহিদুল ইসলাম রাফি আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা এত ছাত্র–জনতাকে হত্যার পরেও ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছেন। এটা ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না, তাই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সব চিহ্ন মুছে দিতেই বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা এমন প্রতিবাদ করেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ভাবকী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ও গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল বক্তব্যের প্রতিবাদে দিনাজপুরে আওয়ামী লীগের কয়েকটি দলীয় কার্যালয় ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে ছাত্র-জনতা। এ ছাড়া শহরের হাসপাতাল মোড় এলাকায় দিনাজপুর সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের বাড়ি ভাঙা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে পাকেরহাট শাপলা চত্বর জড়ো হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিলসহ বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা পাকেরহাটস্থ উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছান। এ সময় তাঁরা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। তখন সাউন্ড বক্সে বিভিন্ন গান বাজিয়ে আনন্দে মাতেন। সড়কে এ সময় উৎসুক জনতার ভিড় ছিল।
এরপর রাত ১০টার দিকে শহরের হাসপাতাল মোড় এলাকায় ইকবালুর রহিমের বাড়ি এক্সকাভেটর দিয়ে ভাঙা হয়। পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে শহরের বাসুনিয়াপট্টি এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগ ও শহর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ও একই এক্সকাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
‘জয় বাংলা, জিতবে এবার নৌকা’ গানের তালেতালে ইকবালুর রহিমের ভবনের দেয়ালে এক্সকাভেটর দিয়ে আঘাত করে। দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙে পড়ে প্রাচীর, ভবনের খুঁটি ও দেয়াল। উৎসুক জনতা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেন।
ভবন ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে ইট, লোহার গ্রিল, দরজা–জানালা, প্রাচীরের ওপরে তারকাঁটা যে যার মতো ভ্যানে তুলে নিয়ে যেতে দেখা গেছে স্থানীয়দের।
এর আগে গত ৪ আগস্ট বিকেলে ইকবালুর রহিমের বাসায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। পরের দিন অর্থাৎ সরকার পতনের দিন বিকেলে আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়ে। দলীয় দুটি কার্যালয় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও মাস দু–এক আগে ইকবালুর রহিমের বাড়ির জায়গায় তারকাঁটাসহ সুউচ্চ প্রাচীর দিয়ে জায়গাটি ঘিরে রাখা হয়। সেই প্রাচীরটি গুঁড়িয়ে দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইটসহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে যায় স্থানীয়রা।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবার নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিম। যাওয়ার পর থেকে স্থানীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে তিনি কোনো যোগাযোগ করেননি বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট প্রথম দফায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। দ্বিতীয় দফায় ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে এই স্থাপনাগুলো গুঁড়িয়ে দেন তাঁরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খানসামা উপজেলার অন্যতম ছাত্র প্রতিনিধি রহিদুল ইসলাম রাফি আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা এত ছাত্র–জনতাকে হত্যার পরেও ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছেন। এটা ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না, তাই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সব চিহ্ন মুছে দিতেই বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা এমন প্রতিবাদ করেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ভাবকী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ও গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের সময় দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ঘটনাস্থলে থাকা কুরিয়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা। ডিএইচএল কুরিয়ার সার্ভিসের ইনচার্জ পরিচয় দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ওই কর্মকর্তা গতকাল রাতে সাংবাদিকদের বলেন...
৩ মিনিট আগেমানববন্ধনে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সাধারণ জেলেরা সরকারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা মেনে ইলিশ রক্ষায় সহযোগিতা করেছি। অথচ কিছু প্রভাবশালী ট্রলিং ট্রলার মালিক প্রশাসনের নীরবতায় সাগরে অবৈধভাবে মাছ ধরছে এবং ইলিশের পোনা ধ্বংস করছে। এটা শুধু জেলেদের ক্ষতি নয়, এটি জাতীয় সম্পদের ওপরও বড় হুমকি।’ তিনি
৫ মিনিট আগেক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগুনে শুধু তাদের আর্থিক ক্ষতিই হয়নি, অনেক গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অর্ডারেও ক্ষতি হবে। এতে মাঠপর্যায় থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায় পর্যন্ত প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ায় দেশের স্বাস্থ্য খাতে বিরূপ প্রভাব...
২০ মিনিট আগেবগুড়ার শেরপুরে নাতির লাঠির আঘাতে দাদার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত দাদার নাম শাবান আলী (৭৫)। তিনি চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত নাতি মো. রানা (২৪) পলাতক রয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে