ক্লাবের দুই ভবন প্রকল্প
তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা

সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সংগঠন অফিসার্স ক্লাব। রাজধানীর বেইলি রোডে এই ক্লাবের জন্য রাষ্ট্রের ৪২৩ কোটির বেশি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হচ্ছে দুটি অত্যাধুনিক ভবন। একটি ক্লাবের জন্য শত শত কোটি টাকার সরকারি প্রকল্প কীভাবে অনুমোদন হলো, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।
এই প্রকল্পে তিনটি সুইমিংপুল ও আনুষঙ্গিক উপকরণের জন্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা, ১৪৫০ টন এসির জন্য ২৪ কোটি টাকা, বিদেশি ফার্নিচারের (আসবাব) জন্য ৭ কোটি টাকা খরচের হিসাব অনেকেই অস্বাভাবিক মনে করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে ধরনের ফার্নিচার কেনার দরকার, তা দেশে পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে দরপত্রে বিদেশি ফার্নিচারের শর্ত দেওয়া হয়েছে। বড় কথা হলো, সবকিছু আমাদের হাতে না। যাদের জন্য কাজ করা হয়, তাদের চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘অনেক কিছু আছে, যা স্থাপত্য অধিদপ্তরের বিষয়। আমরা কাজ করি; বাস্তবায়ন করি। এটি সরকারি প্রতিষ্ঠান না, এটা সত্য। মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, আমরা শুধু কাজ করছি।’
বেসরকারি ক্লাবে ৪২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ: ৪২৩ কোটি ৪৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকার মধ্যে প্রায় ২৬৫ কোটি টাকার বিল দেওয়া হয়েছে। সেখানে ট্রিপল বেসমেন্টসহ ১২ তলা ভবনের জন্য ব্যয় হয়েছে ১৬৪ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, আরেকটি ট্রিপল বেসমেন্টসহ ১২ তলা ভবন নির্মাণে ১৩০ কোটি ৯১ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। দুটি আলাদা ভবনকে যুক্ত করা হচ্ছে একটি কমপ্লেক্স হিসেবে। এ ছাড়া ৯টি লিফটের জন্য ১৯ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ সাবস্টেশনে ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, সিকিউরিটি লাইট ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, সিসিটিভি ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা, সাউন্ড সিস্টেম ও স্টেজ লাইট ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা, সিনেপ্লেক্সে ৩ কোটি টাকা ও ডিজিটাল ডিসপ্লের জন্য ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা খরচ করা হচ্ছে।
এ প্রকল্পের অর্থ ছাড়াও সারা বছর এ ক্লাবের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করা হয়। বেসরকারি অন্য কোনো ক্লাব এ রকম খরচ পায় না।
প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (নগর বিভাগ) আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অফিসার্স ক্লাব প্রকল্পের সার্বিক দিকে অগ্রগতি ৮০ শতাংশের মতো। পদ্মা কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে এ প্রকল্পটির কাজ চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।’
একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেসরকারি ক্লাবের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে মোটা অঙ্কের টাকা খরচের নজির খুব কম। বড় আকারের এ প্রকল্প যখন হাতে নেওয়া হয়, তখন অনুমোদনের প্রতিটি স্তরেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু বিগত সরকারের প্রভাবশালী দুই আমলার দাপটে কেউ তা আটকাতে পারেনি। সেই দুজন হলেন, সাবেক মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং সাবেক সচিব ও অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন। চেষ্টা করেও এ ব্যাপারে ওই দুই সাবেক কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কারণ ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া আত্মগোপনে। আর মেজবাহ উদ্দিন হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন শ্রমিক মূল ভবন নির্মাণের কাজ করছেন। চলছে লিফট ও এসি স্থাপনের কাজও।
সুইমিংপুল-জ্যাকুজিতে ৩০ কোটি টাকা: অফিসার্স ক্লাবের নতুন প্রকল্পে মোট তিনটি সুইমিংপুল রয়েছে। এসব সুইমিংপুলের জন্য দুভাবে কমবেশি ৩০ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। এর মধ্যে জ্যাকুজি, স্টিম বাথ ও সনার জন্য ৭ কোটি ৯৮ লাখ ২১ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আরেকটি অংশে সুইমিংপুল, চেঞ্জিং রুম, সনা রুম, জ্যাকুজি, স্টিম বাথ, সেলুন, জিমনেশিয়াম, টেবিল টেনিসসহ ৩০ ফুট উচ্চতার স্টিল ভবনের জন্য খরচ করা হচ্ছে ২২ কোটি ৫৯ লাখ ২৮ হাজার টাকা। তিনটি সুইমিংপুলের মধ্যে একটি পুরুষ, একটি মহিলা ও একটি শিশুদের জন্য। নতুন বহুতল ভবনের ছাদে গড়া হচ্ছে ৮২ ফুট দৈর্ঘ্যের সুইমিংপুল। এটি এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় সুইমিংপুল বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
১৪৫০ টনের এসি কিনতে খরচ ২৪ কোটি: এ প্রকল্পে বহুতল ভবনের জন্য কেনা হচ্ছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি)। ১৪৫০ টনের এ কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের মধ্যে ১ হাজার টন চিলার সিস্টেম এবং ৪৫০ টন ভিআরএফ। এ ভারী এসি চালাতে প্রয়োজন হবে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের। এসব এসি কিনতে সরকারি কোষাগার থেকে গুনতে হচ্ছে ২৪ কোটি টাকা।
৭ কোটি টাকার বিদেশি ফার্নিচার: দেশের ডলার-সংকট মোকাবিলায় যেখানে সরকারি খরচে বিদেশ ভ্রমণসহ নানা বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে, সেখানে ৭ কোটি টাকার বিদেশি ফার্নিচার কিনছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। আর এ জন্য দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে পাশ কাটাতে অভিনব শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। অফিসার্স ক্লাবের অডিটরিয়ামের জন্য কেনা হচ্ছে এসব ফার্নিচার। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ফার্নিচার কেনাকাটার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।
ফার্নিচার কেনাকাটার দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর ও স্থাপত্য বিভাগ থেকে যেভাবে বলা হচ্ছে সেভাবেই ফার্নিচার কেনা হচ্ছে। তাঁরা বলতে পারবেন বিস্তারিত।’
৪ শতাধিক কোটি টাকার এই বিলাসবহুল প্রকল্পের বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. হামিদুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ প্রকল্প আগে থেকেই সরকার অনুমোদন করে রেখেছে। এখন সেটা চলমান। আমরা চাইলেই অর্থছাড় বন্ধ করতে পারি না। তবে অস্বাভাবিক মূল্যে বিদেশি ফার্নিচার ক্রয়সহ অন্যান্য বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’

সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সংগঠন অফিসার্স ক্লাব। রাজধানীর বেইলি রোডে এই ক্লাবের জন্য রাষ্ট্রের ৪২৩ কোটির বেশি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হচ্ছে দুটি অত্যাধুনিক ভবন। একটি ক্লাবের জন্য শত শত কোটি টাকার সরকারি প্রকল্প কীভাবে অনুমোদন হলো, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।
এই প্রকল্পে তিনটি সুইমিংপুল ও আনুষঙ্গিক উপকরণের জন্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা, ১৪৫০ টন এসির জন্য ২৪ কোটি টাকা, বিদেশি ফার্নিচারের (আসবাব) জন্য ৭ কোটি টাকা খরচের হিসাব অনেকেই অস্বাভাবিক মনে করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে ধরনের ফার্নিচার কেনার দরকার, তা দেশে পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে দরপত্রে বিদেশি ফার্নিচারের শর্ত দেওয়া হয়েছে। বড় কথা হলো, সবকিছু আমাদের হাতে না। যাদের জন্য কাজ করা হয়, তাদের চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘অনেক কিছু আছে, যা স্থাপত্য অধিদপ্তরের বিষয়। আমরা কাজ করি; বাস্তবায়ন করি। এটি সরকারি প্রতিষ্ঠান না, এটা সত্য। মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, আমরা শুধু কাজ করছি।’
বেসরকারি ক্লাবে ৪২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ: ৪২৩ কোটি ৪৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকার মধ্যে প্রায় ২৬৫ কোটি টাকার বিল দেওয়া হয়েছে। সেখানে ট্রিপল বেসমেন্টসহ ১২ তলা ভবনের জন্য ব্যয় হয়েছে ১৬৪ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, আরেকটি ট্রিপল বেসমেন্টসহ ১২ তলা ভবন নির্মাণে ১৩০ কোটি ৯১ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। দুটি আলাদা ভবনকে যুক্ত করা হচ্ছে একটি কমপ্লেক্স হিসেবে। এ ছাড়া ৯টি লিফটের জন্য ১৯ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ সাবস্টেশনে ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, সিকিউরিটি লাইট ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, সিসিটিভি ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা, সাউন্ড সিস্টেম ও স্টেজ লাইট ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা, সিনেপ্লেক্সে ৩ কোটি টাকা ও ডিজিটাল ডিসপ্লের জন্য ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা খরচ করা হচ্ছে।
এ প্রকল্পের অর্থ ছাড়াও সারা বছর এ ক্লাবের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করা হয়। বেসরকারি অন্য কোনো ক্লাব এ রকম খরচ পায় না।
প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (নগর বিভাগ) আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অফিসার্স ক্লাব প্রকল্পের সার্বিক দিকে অগ্রগতি ৮০ শতাংশের মতো। পদ্মা কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে এ প্রকল্পটির কাজ চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।’
একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেসরকারি ক্লাবের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে মোটা অঙ্কের টাকা খরচের নজির খুব কম। বড় আকারের এ প্রকল্প যখন হাতে নেওয়া হয়, তখন অনুমোদনের প্রতিটি স্তরেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু বিগত সরকারের প্রভাবশালী দুই আমলার দাপটে কেউ তা আটকাতে পারেনি। সেই দুজন হলেন, সাবেক মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং সাবেক সচিব ও অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন। চেষ্টা করেও এ ব্যাপারে ওই দুই সাবেক কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কারণ ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া আত্মগোপনে। আর মেজবাহ উদ্দিন হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন শ্রমিক মূল ভবন নির্মাণের কাজ করছেন। চলছে লিফট ও এসি স্থাপনের কাজও।
সুইমিংপুল-জ্যাকুজিতে ৩০ কোটি টাকা: অফিসার্স ক্লাবের নতুন প্রকল্পে মোট তিনটি সুইমিংপুল রয়েছে। এসব সুইমিংপুলের জন্য দুভাবে কমবেশি ৩০ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। এর মধ্যে জ্যাকুজি, স্টিম বাথ ও সনার জন্য ৭ কোটি ৯৮ লাখ ২১ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আরেকটি অংশে সুইমিংপুল, চেঞ্জিং রুম, সনা রুম, জ্যাকুজি, স্টিম বাথ, সেলুন, জিমনেশিয়াম, টেবিল টেনিসসহ ৩০ ফুট উচ্চতার স্টিল ভবনের জন্য খরচ করা হচ্ছে ২২ কোটি ৫৯ লাখ ২৮ হাজার টাকা। তিনটি সুইমিংপুলের মধ্যে একটি পুরুষ, একটি মহিলা ও একটি শিশুদের জন্য। নতুন বহুতল ভবনের ছাদে গড়া হচ্ছে ৮২ ফুট দৈর্ঘ্যের সুইমিংপুল। এটি এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় সুইমিংপুল বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
১৪৫০ টনের এসি কিনতে খরচ ২৪ কোটি: এ প্রকল্পে বহুতল ভবনের জন্য কেনা হচ্ছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি)। ১৪৫০ টনের এ কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের মধ্যে ১ হাজার টন চিলার সিস্টেম এবং ৪৫০ টন ভিআরএফ। এ ভারী এসি চালাতে প্রয়োজন হবে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের। এসব এসি কিনতে সরকারি কোষাগার থেকে গুনতে হচ্ছে ২৪ কোটি টাকা।
৭ কোটি টাকার বিদেশি ফার্নিচার: দেশের ডলার-সংকট মোকাবিলায় যেখানে সরকারি খরচে বিদেশ ভ্রমণসহ নানা বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে, সেখানে ৭ কোটি টাকার বিদেশি ফার্নিচার কিনছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। আর এ জন্য দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে পাশ কাটাতে অভিনব শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। অফিসার্স ক্লাবের অডিটরিয়ামের জন্য কেনা হচ্ছে এসব ফার্নিচার। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ফার্নিচার কেনাকাটার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।
ফার্নিচার কেনাকাটার দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর ও স্থাপত্য বিভাগ থেকে যেভাবে বলা হচ্ছে সেভাবেই ফার্নিচার কেনা হচ্ছে। তাঁরা বলতে পারবেন বিস্তারিত।’
৪ শতাধিক কোটি টাকার এই বিলাসবহুল প্রকল্পের বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. হামিদুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ প্রকল্প আগে থেকেই সরকার অনুমোদন করে রেখেছে। এখন সেটা চলমান। আমরা চাইলেই অর্থছাড় বন্ধ করতে পারি না। তবে অস্বাভাবিক মূল্যে বিদেশি ফার্নিচার ক্রয়সহ অন্যান্য বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’
ক্লাবের দুই ভবন প্রকল্প
তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা

সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সংগঠন অফিসার্স ক্লাব। রাজধানীর বেইলি রোডে এই ক্লাবের জন্য রাষ্ট্রের ৪২৩ কোটির বেশি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হচ্ছে দুটি অত্যাধুনিক ভবন। একটি ক্লাবের জন্য শত শত কোটি টাকার সরকারি প্রকল্প কীভাবে অনুমোদন হলো, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।
এই প্রকল্পে তিনটি সুইমিংপুল ও আনুষঙ্গিক উপকরণের জন্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা, ১৪৫০ টন এসির জন্য ২৪ কোটি টাকা, বিদেশি ফার্নিচারের (আসবাব) জন্য ৭ কোটি টাকা খরচের হিসাব অনেকেই অস্বাভাবিক মনে করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে ধরনের ফার্নিচার কেনার দরকার, তা দেশে পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে দরপত্রে বিদেশি ফার্নিচারের শর্ত দেওয়া হয়েছে। বড় কথা হলো, সবকিছু আমাদের হাতে না। যাদের জন্য কাজ করা হয়, তাদের চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘অনেক কিছু আছে, যা স্থাপত্য অধিদপ্তরের বিষয়। আমরা কাজ করি; বাস্তবায়ন করি। এটি সরকারি প্রতিষ্ঠান না, এটা সত্য। মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, আমরা শুধু কাজ করছি।’
বেসরকারি ক্লাবে ৪২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ: ৪২৩ কোটি ৪৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকার মধ্যে প্রায় ২৬৫ কোটি টাকার বিল দেওয়া হয়েছে। সেখানে ট্রিপল বেসমেন্টসহ ১২ তলা ভবনের জন্য ব্যয় হয়েছে ১৬৪ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, আরেকটি ট্রিপল বেসমেন্টসহ ১২ তলা ভবন নির্মাণে ১৩০ কোটি ৯১ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। দুটি আলাদা ভবনকে যুক্ত করা হচ্ছে একটি কমপ্লেক্স হিসেবে। এ ছাড়া ৯টি লিফটের জন্য ১৯ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ সাবস্টেশনে ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, সিকিউরিটি লাইট ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, সিসিটিভি ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা, সাউন্ড সিস্টেম ও স্টেজ লাইট ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা, সিনেপ্লেক্সে ৩ কোটি টাকা ও ডিজিটাল ডিসপ্লের জন্য ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা খরচ করা হচ্ছে।
এ প্রকল্পের অর্থ ছাড়াও সারা বছর এ ক্লাবের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করা হয়। বেসরকারি অন্য কোনো ক্লাব এ রকম খরচ পায় না।
প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (নগর বিভাগ) আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অফিসার্স ক্লাব প্রকল্পের সার্বিক দিকে অগ্রগতি ৮০ শতাংশের মতো। পদ্মা কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে এ প্রকল্পটির কাজ চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।’
একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেসরকারি ক্লাবের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে মোটা অঙ্কের টাকা খরচের নজির খুব কম। বড় আকারের এ প্রকল্প যখন হাতে নেওয়া হয়, তখন অনুমোদনের প্রতিটি স্তরেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু বিগত সরকারের প্রভাবশালী দুই আমলার দাপটে কেউ তা আটকাতে পারেনি। সেই দুজন হলেন, সাবেক মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং সাবেক সচিব ও অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন। চেষ্টা করেও এ ব্যাপারে ওই দুই সাবেক কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কারণ ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া আত্মগোপনে। আর মেজবাহ উদ্দিন হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন শ্রমিক মূল ভবন নির্মাণের কাজ করছেন। চলছে লিফট ও এসি স্থাপনের কাজও।
সুইমিংপুল-জ্যাকুজিতে ৩০ কোটি টাকা: অফিসার্স ক্লাবের নতুন প্রকল্পে মোট তিনটি সুইমিংপুল রয়েছে। এসব সুইমিংপুলের জন্য দুভাবে কমবেশি ৩০ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। এর মধ্যে জ্যাকুজি, স্টিম বাথ ও সনার জন্য ৭ কোটি ৯৮ লাখ ২১ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আরেকটি অংশে সুইমিংপুল, চেঞ্জিং রুম, সনা রুম, জ্যাকুজি, স্টিম বাথ, সেলুন, জিমনেশিয়াম, টেবিল টেনিসসহ ৩০ ফুট উচ্চতার স্টিল ভবনের জন্য খরচ করা হচ্ছে ২২ কোটি ৫৯ লাখ ২৮ হাজার টাকা। তিনটি সুইমিংপুলের মধ্যে একটি পুরুষ, একটি মহিলা ও একটি শিশুদের জন্য। নতুন বহুতল ভবনের ছাদে গড়া হচ্ছে ৮২ ফুট দৈর্ঘ্যের সুইমিংপুল। এটি এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় সুইমিংপুল বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
১৪৫০ টনের এসি কিনতে খরচ ২৪ কোটি: এ প্রকল্পে বহুতল ভবনের জন্য কেনা হচ্ছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি)। ১৪৫০ টনের এ কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের মধ্যে ১ হাজার টন চিলার সিস্টেম এবং ৪৫০ টন ভিআরএফ। এ ভারী এসি চালাতে প্রয়োজন হবে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের। এসব এসি কিনতে সরকারি কোষাগার থেকে গুনতে হচ্ছে ২৪ কোটি টাকা।
৭ কোটি টাকার বিদেশি ফার্নিচার: দেশের ডলার-সংকট মোকাবিলায় যেখানে সরকারি খরচে বিদেশ ভ্রমণসহ নানা বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে, সেখানে ৭ কোটি টাকার বিদেশি ফার্নিচার কিনছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। আর এ জন্য দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে পাশ কাটাতে অভিনব শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। অফিসার্স ক্লাবের অডিটরিয়ামের জন্য কেনা হচ্ছে এসব ফার্নিচার। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ফার্নিচার কেনাকাটার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।
ফার্নিচার কেনাকাটার দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর ও স্থাপত্য বিভাগ থেকে যেভাবে বলা হচ্ছে সেভাবেই ফার্নিচার কেনা হচ্ছে। তাঁরা বলতে পারবেন বিস্তারিত।’
৪ শতাধিক কোটি টাকার এই বিলাসবহুল প্রকল্পের বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. হামিদুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ প্রকল্প আগে থেকেই সরকার অনুমোদন করে রেখেছে। এখন সেটা চলমান। আমরা চাইলেই অর্থছাড় বন্ধ করতে পারি না। তবে অস্বাভাবিক মূল্যে বিদেশি ফার্নিচার ক্রয়সহ অন্যান্য বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’

সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সংগঠন অফিসার্স ক্লাব। রাজধানীর বেইলি রোডে এই ক্লাবের জন্য রাষ্ট্রের ৪২৩ কোটির বেশি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হচ্ছে দুটি অত্যাধুনিক ভবন। একটি ক্লাবের জন্য শত শত কোটি টাকার সরকারি প্রকল্প কীভাবে অনুমোদন হলো, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।
এই প্রকল্পে তিনটি সুইমিংপুল ও আনুষঙ্গিক উপকরণের জন্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা, ১৪৫০ টন এসির জন্য ২৪ কোটি টাকা, বিদেশি ফার্নিচারের (আসবাব) জন্য ৭ কোটি টাকা খরচের হিসাব অনেকেই অস্বাভাবিক মনে করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে ধরনের ফার্নিচার কেনার দরকার, তা দেশে পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে দরপত্রে বিদেশি ফার্নিচারের শর্ত দেওয়া হয়েছে। বড় কথা হলো, সবকিছু আমাদের হাতে না। যাদের জন্য কাজ করা হয়, তাদের চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘অনেক কিছু আছে, যা স্থাপত্য অধিদপ্তরের বিষয়। আমরা কাজ করি; বাস্তবায়ন করি। এটি সরকারি প্রতিষ্ঠান না, এটা সত্য। মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, আমরা শুধু কাজ করছি।’
বেসরকারি ক্লাবে ৪২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ: ৪২৩ কোটি ৪৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকার মধ্যে প্রায় ২৬৫ কোটি টাকার বিল দেওয়া হয়েছে। সেখানে ট্রিপল বেসমেন্টসহ ১২ তলা ভবনের জন্য ব্যয় হয়েছে ১৬৪ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, আরেকটি ট্রিপল বেসমেন্টসহ ১২ তলা ভবন নির্মাণে ১৩০ কোটি ৯১ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। দুটি আলাদা ভবনকে যুক্ত করা হচ্ছে একটি কমপ্লেক্স হিসেবে। এ ছাড়া ৯টি লিফটের জন্য ১৯ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ সাবস্টেশনে ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, সিকিউরিটি লাইট ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, সিসিটিভি ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা, সাউন্ড সিস্টেম ও স্টেজ লাইট ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা, সিনেপ্লেক্সে ৩ কোটি টাকা ও ডিজিটাল ডিসপ্লের জন্য ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা খরচ করা হচ্ছে।
এ প্রকল্পের অর্থ ছাড়াও সারা বছর এ ক্লাবের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করা হয়। বেসরকারি অন্য কোনো ক্লাব এ রকম খরচ পায় না।
প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (নগর বিভাগ) আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অফিসার্স ক্লাব প্রকল্পের সার্বিক দিকে অগ্রগতি ৮০ শতাংশের মতো। পদ্মা কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে এ প্রকল্পটির কাজ চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।’
একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেসরকারি ক্লাবের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে মোটা অঙ্কের টাকা খরচের নজির খুব কম। বড় আকারের এ প্রকল্প যখন হাতে নেওয়া হয়, তখন অনুমোদনের প্রতিটি স্তরেই নানা প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু বিগত সরকারের প্রভাবশালী দুই আমলার দাপটে কেউ তা আটকাতে পারেনি। সেই দুজন হলেন, সাবেক মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং সাবেক সচিব ও অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন। চেষ্টা করেও এ ব্যাপারে ওই দুই সাবেক কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কারণ ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া আত্মগোপনে। আর মেজবাহ উদ্দিন হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন শ্রমিক মূল ভবন নির্মাণের কাজ করছেন। চলছে লিফট ও এসি স্থাপনের কাজও।
সুইমিংপুল-জ্যাকুজিতে ৩০ কোটি টাকা: অফিসার্স ক্লাবের নতুন প্রকল্পে মোট তিনটি সুইমিংপুল রয়েছে। এসব সুইমিংপুলের জন্য দুভাবে কমবেশি ৩০ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। এর মধ্যে জ্যাকুজি, স্টিম বাথ ও সনার জন্য ৭ কোটি ৯৮ লাখ ২১ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আরেকটি অংশে সুইমিংপুল, চেঞ্জিং রুম, সনা রুম, জ্যাকুজি, স্টিম বাথ, সেলুন, জিমনেশিয়াম, টেবিল টেনিসসহ ৩০ ফুট উচ্চতার স্টিল ভবনের জন্য খরচ করা হচ্ছে ২২ কোটি ৫৯ লাখ ২৮ হাজার টাকা। তিনটি সুইমিংপুলের মধ্যে একটি পুরুষ, একটি মহিলা ও একটি শিশুদের জন্য। নতুন বহুতল ভবনের ছাদে গড়া হচ্ছে ৮২ ফুট দৈর্ঘ্যের সুইমিংপুল। এটি এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় সুইমিংপুল বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
১৪৫০ টনের এসি কিনতে খরচ ২৪ কোটি: এ প্রকল্পে বহুতল ভবনের জন্য কেনা হচ্ছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি)। ১৪৫০ টনের এ কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের মধ্যে ১ হাজার টন চিলার সিস্টেম এবং ৪৫০ টন ভিআরএফ। এ ভারী এসি চালাতে প্রয়োজন হবে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুতের। এসব এসি কিনতে সরকারি কোষাগার থেকে গুনতে হচ্ছে ২৪ কোটি টাকা।
৭ কোটি টাকার বিদেশি ফার্নিচার: দেশের ডলার-সংকট মোকাবিলায় যেখানে সরকারি খরচে বিদেশ ভ্রমণসহ নানা বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে, সেখানে ৭ কোটি টাকার বিদেশি ফার্নিচার কিনছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। আর এ জন্য দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে পাশ কাটাতে অভিনব শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। অফিসার্স ক্লাবের অডিটরিয়ামের জন্য কেনা হচ্ছে এসব ফার্নিচার। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ফার্নিচার কেনাকাটার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।
ফার্নিচার কেনাকাটার দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর ও স্থাপত্য বিভাগ থেকে যেভাবে বলা হচ্ছে সেভাবেই ফার্নিচার কেনা হচ্ছে। তাঁরা বলতে পারবেন বিস্তারিত।’
৪ শতাধিক কোটি টাকার এই বিলাসবহুল প্রকল্পের বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব মো. হামিদুর রহমান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ প্রকল্প আগে থেকেই সরকার অনুমোদন করে রেখেছে। এখন সেটা চলমান। আমরা চাইলেই অর্থছাড় বন্ধ করতে পারি না। তবে অস্বাভাবিক মূল্যে বিদেশি ফার্নিচার ক্রয়সহ অন্যান্য বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৬ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৯ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৫ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেমৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সংগঠন অফিসার্স ক্লাব। রাজধানীর বেইলি রোডে এই ক্লাবের জন্য রাষ্ট্রের ৪২৩ কোটির বেশি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হচ্ছে দুটি অত্যাধুনিক ভবন। একটি ক্লাবের জন্য শত শত কোটি টাকার সরকারি প্রকল্প কীভাবে অনুমোদন হলো, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৯ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৫ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।
পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সংগঠন অফিসার্স ক্লাব। রাজধানীর বেইলি রোডে এই ক্লাবের জন্য রাষ্ট্রের ৪২৩ কোটির বেশি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হচ্ছে দুটি অত্যাধুনিক ভবন। একটি ক্লাবের জন্য শত শত কোটি টাকার সরকারি প্রকল্প কীভাবে অনুমোদন হলো, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৬ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৫ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।
শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।
শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সংগঠন অফিসার্স ক্লাব। রাজধানীর বেইলি রোডে এই ক্লাবের জন্য রাষ্ট্রের ৪২৩ কোটির বেশি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হচ্ছে দুটি অত্যাধুনিক ভবন। একটি ক্লাবের জন্য শত শত কোটি টাকার সরকারি প্রকল্প কীভাবে অনুমোদন হলো, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৬ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৯ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পুকুরে ডুবে শাহবাব মন্ডল (আড়াই বছর) ও আবু তোহা মন্ডল (৩) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর নতুন গ্রাম এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
শাহবাব মন্ডল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর নতুন গ্রামের শাহজাহান মন্ডলের ছেলে এবং আবু তোহা মন্ডল একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে। এই দুই শিশু সম্পর্কে মামা-ভাগনে।
পরিবারের বরাত দিয়ে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, বুধবার সকালে ওই দুই শিশু তালেব মন্ডলের বাড়িতে খেলা করছিল। এ সময় সবার অজান্তে তারা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। স্বজনেরা পুকুর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একই এলাকার বাসিন্দা ও কুড়িগ্রাম-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী আজিজুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
রৌমারী থানার উপপরিদর্শক শাহনেওয়াজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সংগঠন অফিসার্স ক্লাব। রাজধানীর বেইলি রোডে এই ক্লাবের জন্য রাষ্ট্রের ৪২৩ কোটির বেশি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হচ্ছে দুটি অত্যাধুনিক ভবন। একটি ক্লাবের জন্য শত শত কোটি টাকার সরকারি প্রকল্প কীভাবে অনুমোদন হলো, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর
৬ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
১৯ মিনিট আগে
মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
২৫ মিনিট আগে