নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম দায়িত্ব প্রতিবিপ্লবকে ঠেকানো। কারণ যাদের আপনি ক্ষমতাচ্যুত করছেন, তারা তো আবার ক্ষমতা ফিরে পেতে চাইবে।’
আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘ছাত্র গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব এবং অভ্যুত্থানের স্পিরিট রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব বলেন। সংলাপের আয়োজন করে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘অনেকে এখন মনে করে, শেখ হাসিনাকে আনতে পারলে তারা আওয়ামী লীগকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম কাজ হচ্ছে, প্রতিবিপ্লবকে প্রতিহত করা। শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ডিএনএ পরীক্ষা করে করে চাকরি দিয়েছে। ছাত্রলীগ করত কিনা, লিডার হিসেবে দেয়নি, তাদের কাছ থেকে অন্ধ আনুগত্য পাওয়ার জন্য দিয়েছিল। এদের ছাঁটাই করতে হবে। এটাই বিপ্লবের ধর্ম।’
গণমানুষের স্বপ্ন পূরণ না করতে পারলে রাষ্ট্র অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে জানিয়ে এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আরও বলেন, ‘সবাই জানেন আন্দোলন কীভাবে হয়েছে। কত রক্তপাত হয়েছে। কত মানুষ মারা গেছেন। জীবন দেওয়া নতুন নয়। ১৯৭১ সালে দিয়েছে, ১৯৯০ সালে দিয়েছে। তবু স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এবার তরুণেরা আমাদের দেখিয়েছে, স্বপ্ন যদি আমরা পূরণ করতে না পারি, তাহলে বাংলাদেশ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে।’
সংলাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘২০২৪–এ আমাদের যে অভ্যুত্থান হয়েছে তা ছাত্র, জনতা, রাজনীতিকদের সমন্বয়ে সর্বজনীন অভ্যুত্থান। এর মধ্য দিয়ে মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের কারণে প্রথম এ দেশের কোনো সরকারকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। তবে এখন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হয়েছে তাদের সমালোচনা করতে হবে, তাদের চোখে চোখে রাখতে হবে। যাতে করে কেউ এদেশে আর স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে না পারে।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটু বেশি তাত্ত্বিক হয়ে গেছে। তাদের প্রথম যে দায়িত্ব পালন করা দরকার তা হচ্ছে বাজারে সুফল দেওয়া। মানুষ যদি এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সুফল না পায় তাহলে জনগণই এই সরকারের পেছনে পড়বে। পাশাপাশি এই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের খুন করেছে যারা সেই দোষীদের সাজার আওতায় আনা ও দুর্নীতিবাজ এবং অর্থ পাচারকারীদের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। এই সরকার কোথায় ভুল করছে তা দেখার জন্য একটি ছায়া সরকার গঠন করতে হবে।’
প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ও কবি সোহরাব হাসান বলেন, ‘আমরা যখন রাষ্ট্র সংস্কার করতে চাচ্ছি সেখানে আমাদের কথারও সংস্কার করতে হবে। আমরা আসলে কী বলতে চাচ্ছি সে কথারও সংস্কার করতে হবে। আমরা যদি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারি এবং ন্যায়ের কথা বলতে পারি তাহলে সংস্কার সম্ভব হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিয়ে আমাদের যেমন আশা আছে, তেমন শঙ্কাও আছে। তারা যে সংস্কারের কথা বলছে তাতে রাষ্ট্র মেরামত হতে অনেক সময় লেগে যাবে।’
কবি সোহরাব হাসান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ৫ বছরের বেশি জনপ্রিয়তা ধরে রাখা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি সম্ভব না। শেখ হাসিনার সব থেকে বড় ভুল ছিল এ দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা। তিনি যদি ক্ষমতা ধরে না রেখে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতেন তাহলে হয়তো এমন অবস্থা আওয়ামী লীগের হতো না।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনটির রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক। সঞ্চালনা করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম দায়িত্ব প্রতিবিপ্লবকে ঠেকানো। কারণ যাদের আপনি ক্ষমতাচ্যুত করছেন, তারা তো আবার ক্ষমতা ফিরে পেতে চাইবে।’
আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘ছাত্র গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব এবং অভ্যুত্থানের স্পিরিট রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব বলেন। সংলাপের আয়োজন করে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘অনেকে এখন মনে করে, শেখ হাসিনাকে আনতে পারলে তারা আওয়ামী লীগকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম কাজ হচ্ছে, প্রতিবিপ্লবকে প্রতিহত করা। শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ডিএনএ পরীক্ষা করে করে চাকরি দিয়েছে। ছাত্রলীগ করত কিনা, লিডার হিসেবে দেয়নি, তাদের কাছ থেকে অন্ধ আনুগত্য পাওয়ার জন্য দিয়েছিল। এদের ছাঁটাই করতে হবে। এটাই বিপ্লবের ধর্ম।’
গণমানুষের স্বপ্ন পূরণ না করতে পারলে রাষ্ট্র অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে জানিয়ে এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আরও বলেন, ‘সবাই জানেন আন্দোলন কীভাবে হয়েছে। কত রক্তপাত হয়েছে। কত মানুষ মারা গেছেন। জীবন দেওয়া নতুন নয়। ১৯৭১ সালে দিয়েছে, ১৯৯০ সালে দিয়েছে। তবু স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এবার তরুণেরা আমাদের দেখিয়েছে, স্বপ্ন যদি আমরা পূরণ করতে না পারি, তাহলে বাংলাদেশ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে।’
সংলাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘২০২৪–এ আমাদের যে অভ্যুত্থান হয়েছে তা ছাত্র, জনতা, রাজনীতিকদের সমন্বয়ে সর্বজনীন অভ্যুত্থান। এর মধ্য দিয়ে মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের কারণে প্রথম এ দেশের কোনো সরকারকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। তবে এখন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হয়েছে তাদের সমালোচনা করতে হবে, তাদের চোখে চোখে রাখতে হবে। যাতে করে কেউ এদেশে আর স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে না পারে।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটু বেশি তাত্ত্বিক হয়ে গেছে। তাদের প্রথম যে দায়িত্ব পালন করা দরকার তা হচ্ছে বাজারে সুফল দেওয়া। মানুষ যদি এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সুফল না পায় তাহলে জনগণই এই সরকারের পেছনে পড়বে। পাশাপাশি এই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের খুন করেছে যারা সেই দোষীদের সাজার আওতায় আনা ও দুর্নীতিবাজ এবং অর্থ পাচারকারীদের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। এই সরকার কোথায় ভুল করছে তা দেখার জন্য একটি ছায়া সরকার গঠন করতে হবে।’
প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ও কবি সোহরাব হাসান বলেন, ‘আমরা যখন রাষ্ট্র সংস্কার করতে চাচ্ছি সেখানে আমাদের কথারও সংস্কার করতে হবে। আমরা আসলে কী বলতে চাচ্ছি সে কথারও সংস্কার করতে হবে। আমরা যদি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারি এবং ন্যায়ের কথা বলতে পারি তাহলে সংস্কার সম্ভব হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিয়ে আমাদের যেমন আশা আছে, তেমন শঙ্কাও আছে। তারা যে সংস্কারের কথা বলছে তাতে রাষ্ট্র মেরামত হতে অনেক সময় লেগে যাবে।’
কবি সোহরাব হাসান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ৫ বছরের বেশি জনপ্রিয়তা ধরে রাখা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি সম্ভব না। শেখ হাসিনার সব থেকে বড় ভুল ছিল এ দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা। তিনি যদি ক্ষমতা ধরে না রেখে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতেন তাহলে হয়তো এমন অবস্থা আওয়ামী লীগের হতো না।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনটির রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক। সঞ্চালনা করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।
জনতা ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ১ হাজার ১৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতসহ ২৬ জনের নামে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১৯ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুরের কমলনগরে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক নারী সদস্য জাহানারা বেগমের বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী।
৩৬ মিনিট আগে১৯৬৯ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হওয়া অধ্যাপক শামসুজ্জোহার কবর জিয়ারত করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা। আজ সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থিত শহীদ
১ ঘণ্টা আগেমামলার সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনের সময় গত বছরের ২০ জুলাই দুর্জয় মধ্যবাড্ডার ইউলুপ এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন। এ সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, গুলিবর্ষণ করা হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে দুর্জয়ের দুই চোখ অন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পান।
১ ঘণ্টা আগে