নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা পৃথক তিন মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ-৫ এ সাক্ষ্য দেন তিন মামলার এ তিন বাদী।
যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা হলেন— দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ও এস এম রাশেদুল হাসান। এ তিন মামলার আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
এক এক করে তিন বাদী তিন মামলায় জবানবন্দি দেওয়ার পর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন আগামী ২৬ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দুর্নীতি দমন কমিশনের দুদক বিশেষ পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম ও তরিকুল ইসলাম সাক্ষ্য গ্রহণ এবং নতুন তারিখের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তারা জানান, তিন মামলার মধ্যে এক মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামি ১২ জন, আরেক মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৭ এবং অন্য মামলায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জন আসামি রয়েছেন। তবে প্রত্যেক মামলায় শেখ হাসিনা ও রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তা আসামি। তারা পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।
এর আগে গত ৩১ জুলাই একই আদালত এ তিন মামলায় শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধানে দুদক জানতে পারে, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০৩ নম্বর সড়কের আশপাশের এলাকায় শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তাঁর ছেলে-মেয়ে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকের নামে প্লটগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে শেখ হাসিনা ১০ কাঠার প্লট (প্লট নম্বর ০০৯) বরাদ্দ পেয়েছেন। ২০২২ সালের ৩ আগস্ট তাঁর নামে রাজউক প্লটের বরাদ্দপত্র দেয়। সজীব ওয়াজেদ জয় (প্লট নম্বর ০১৫) এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও (প্লট নম্বর ০১৭) ১০ কাঠা করে প্লট পেয়েছেন। জয়ের বরাদ্দপত্র ২০২২ সালের ২৪ অক্টোবর দেওয়া হয় এবং ১০ নভেম্বর মালিকানা সংক্রান্ত রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়। পুতুলের বরাদ্দপত্র দেওয়া হয় ওই বছরের ২ নভেম্বর।
শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে বাকি তিনটি মামলা আগামী ১৩ আগস্ট ঢাকার বিশেষ গজ আদালত-৪ এ সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
গত ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি দুর্নীতির দমন কমিশন দুদক এই মামলাগুলো দায়ের করে। গত ২৫ মার্চ ছয় মামলায় আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে দুদক। অভিযোগ পত্রে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ ২৮ জন আসামি। ইতিমধ্যে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা পৃথক তিন মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ-৫ এ সাক্ষ্য দেন তিন মামলার এ তিন বাদী।
যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা হলেন— দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ও এস এম রাশেদুল হাসান। এ তিন মামলার আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
এক এক করে তিন বাদী তিন মামলায় জবানবন্দি দেওয়ার পর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন আগামী ২৬ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দুর্নীতি দমন কমিশনের দুদক বিশেষ পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম ও তরিকুল ইসলাম সাক্ষ্য গ্রহণ এবং নতুন তারিখের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তারা জানান, তিন মামলার মধ্যে এক মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামি ১২ জন, আরেক মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৭ এবং অন্য মামলায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জন আসামি রয়েছেন। তবে প্রত্যেক মামলায় শেখ হাসিনা ও রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তা আসামি। তারা পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।
এর আগে গত ৩১ জুলাই একই আদালত এ তিন মামলায় শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধানে দুদক জানতে পারে, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০৩ নম্বর সড়কের আশপাশের এলাকায় শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তাঁর ছেলে-মেয়ে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকের নামে প্লটগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে শেখ হাসিনা ১০ কাঠার প্লট (প্লট নম্বর ০০৯) বরাদ্দ পেয়েছেন। ২০২২ সালের ৩ আগস্ট তাঁর নামে রাজউক প্লটের বরাদ্দপত্র দেয়। সজীব ওয়াজেদ জয় (প্লট নম্বর ০১৫) এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও (প্লট নম্বর ০১৭) ১০ কাঠা করে প্লট পেয়েছেন। জয়ের বরাদ্দপত্র ২০২২ সালের ২৪ অক্টোবর দেওয়া হয় এবং ১০ নভেম্বর মালিকানা সংক্রান্ত রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়। পুতুলের বরাদ্দপত্র দেওয়া হয় ওই বছরের ২ নভেম্বর।
শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে বাকি তিনটি মামলা আগামী ১৩ আগস্ট ঢাকার বিশেষ গজ আদালত-৪ এ সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
গত ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি দুর্নীতির দমন কমিশন দুদক এই মামলাগুলো দায়ের করে। গত ২৫ মার্চ ছয় মামলায় আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে দুদক। অভিযোগ পত্রে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ ২৮ জন আসামি। ইতিমধ্যে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমদানি কার্গো ভিলেজ ঘিরে রেখেছেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। শুধু জরুরি সেবায় নিয়োজিত ছাড়া কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
১ ঘণ্টা আগেনৌপথে ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে মোরেলগঞ্জ পর্যন্ত যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল প্যাডেলচালিত স্টিমার। ঐতিহ্যবাহী এ জলযানের চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তিন বছর আগে। এবার সেই ঐতিহ্য ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
১ ঘণ্টা আগেহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বাতাস সবচেয়ে বড় বাধা ছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। একই সঙ্গে অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তের পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আট বাংলাদেশির মরদেহ চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। শনিবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট ওমানের মাস্কাট থেকে কফিনবন্দী মরদেহগুলো নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
২ ঘণ্টা আগে