ঢাবি প্রতিনিধি

রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষকদের কারণে শিক্ষকসমাজের মান নষ্ট হচ্ছে। আমরা যখন ছাত্র ছিলাম এবং এর অনেক পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ও শিক্ষকদের দেখলে বা তাঁদের কথা শুনলেই শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসত। কিন্তু ইদানীং কিছু কিছু উপাচার্য ও শিক্ষকদের কর্মকাণ্ডে সমাজে শিক্ষকদের সম্মানের জায়গাটা ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। আপনাদের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা ও শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, কিছুসংখ্যক অসাধু লোকের কর্মকাণ্ডের জন্য গোটা শিক্ষকসমাজের মর্যাদা যেন ক্ষুণ্ন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘একজন উপাচার্যের মূল দায়িত্ব হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান, পরিচালন, মূল্যায়ন ও উন্নয়নকে ঘিরে। কিন্তু ইদানীং পত্রিকা খুললেই মনে হয় পরিবার-পরিজন ও অনুগতদের চাকরি দেওয়া এবং বিভিন্ন উপায়ে প্রশাসনিক ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধা নেওয়াই যেন কিছু উপাচার্যের মূল দায়িত্ব। আবার অনেক শিক্ষকও বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিটাকে ঐচ্ছিক দায়িত্ব মনে করেন। বৈকালিক কোর্স বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়াকেই তাঁরা অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। ছাত্র-শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের সঙ্গে এটি খুবই বেমানান।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সবাই কৃতী ও সেরা ছাত্র ছিলেন। আমার বিশ্বাস, আপনারা যেকোনো ক্ষেত্রে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হতেন, কিন্তু জীবনের মহান ব্রত হিসেবে শিক্ষকতাকেই আপনারা পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তাই শিক্ষক হিসেবে নিজ পেশার প্রতি দায়িত্বশীল থাকবেন, এটাই সকলের প্রত্যাশা। আমরা চাই উপাচার্যের নেতৃত্বে ও ছাত্র-শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হোক। আপনারা (শিক্ষকগণ) হয়ে উঠুন সমাজে মর্যাদা ও সম্মানের প্রতীক।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে সার্টিফিকেট নেওয়া পর্যন্ত পদে পদে হয়রান হতে হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ান-স্টপ সার্ভিস সেন্টার, কাউন্সেলিং অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টার ও ক্যারিয়ার প্ল্যান ইউনিট চালু করার আহ্বানও জানান তিনি। একই সঙ্গে লস রিকভারি প্ল্যান, গবেষণা ও প্রকাশনা মেলা ও স্টুডেন্ট প্রমোশন অ্যান্ড সাপোর্ট ইউনিট গঠন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা করেন আচার্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, বরং এটি আমাদের পথপ্রদর্শক। এ দেশের প্রতিটি আন্দোলনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। প্রতিটি আন্দোলনের নিউক্লিয়াস ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনও ইতিহাসের অংশ।’
প্রগতি, আধুনিকতা ও সহনশীলতাকে ধারণ করে সকল প্রকার সংকীর্ণতা ও ধর্মান্ধতা থেকে নিজেকে এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের মুক্ত রেখে সত্য ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অধিকতর কার্যকর অবদান রাখার জন্য গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি প্রত্যাশা রাখেন রাষ্ট্রপতি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন নোবেল বিজয়ী ফরাসি অর্থনীতিবিদ জ্যঁ তিরোল। তাঁকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ (অনারিজ কজা) প্রদান করা হয়।
স্নাতকদের উদ্দেশে জ্যঁ তিরোল বলেন, ‘আপনারা ভাবতে পারেন, নোবেল বিজয়ীরা সুপারম্যানের মতো কোনো অসাধারণ মানুষ। নোবেল বিজয়ীসহ পেশাগতভাবে সফল যেকোনো মানুষের গল্পটা কঠোর নীতিনিষ্ঠতার। স্নাতকেরা, আপনাদের কঠোর পরিশ্রমী ও নিজের ক্ষেত্র নিয়ে প্রগাঢ় উৎসাহী হতে হবে এবং একই সঙ্গে তা সম্পর্কে সমালোচনাপ্রবণ (ক্রিটিক্যাল) হতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্র থেকে আপনাদের শিখতে হবে, সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় যাওয়ার স্পৃহা থাকতে হবে। সর্বোপরি আপনাদের হতে হবে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নিজেদের মেধার ওপর বিশ্বাস থাকতে হবে। থামবেন না, এগিয়ে চলবেন। আমার পরামর্শ থাকবে, স্নাতক হওয়ার এই যাত্রায় যাঁরা আপনাদের সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।’
জ্যঁ তিরোল আরও বলেন, ‘নতুন ডিগ্রি আপনাদের সামনে অনেক সুযোগের পাশাপাশি অনেক দায়িত্বও হাজির করবে ৷ ডিজিটাল বিপ্লবের মাধ্যমে কীভাবে সমাজকে উপকৃত করা যায়, পৃথিবী ও এর মানুষকে রক্ষায় কীভাবে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনকে মোকাবিলা করতে পারি, জনতোষণবাদ ও জাতীয়তাবাদের বিপরীতে কীভাবে আমরা যুক্তিকে দাঁড় করাব ইত্যাদি আপনাদের ভাবতে হবে। বাংলাদেশের গত ৫০ বছরের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন নিয়ে আপনাদের গর্বিত হওয়া উচিত। এর সঙ্গে শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা সম্প্রসারণে আরও কাজ করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ বিশ্ব মানচিত্রে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় গর্বিত প্রাক্তন শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রণীত রূপকল্প ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। তোমরা (গ্র্যাজুয়েটরা) সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার কারিগর।’
আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমান পৃথিবী তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর। তোমরা সর্বদা এর ইতিবাচক এবং নীতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকবে। মানবসভ্যতার উন্নয়নে যেই প্রযুক্তি তোমাদের ব্যবহার করার কথা সচেতন থেকো, সেই প্রযুক্তি যেন তোমাদের ব্যবহার করে না ফেলে। অর্জিত এই বিদ্যা, এই সনদ, এই প্রজ্ঞা সমাজে আলো ছড়ানোর আগে যেন তোমাদের অন্তরকে সম্পূর্ণরূপে আলোকিত করে, সেই চেষ্টা করবে। নিজ পরিবার ঘর হচ্ছে প্রশান্তির সর্বোচ্চ জায়গা। সুস্থ সুন্দর পারিবারিক জীবন একটি সুন্দর সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা তৈরিতে ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে।’
সমাবর্তন শুরু হওয়ার আগে থেকে ক্যাম্পাস এলাকায় যান চলাচল ও জনসাধারণের চলাফেরা বন্ধ ছিল। সমাবর্তনের আমেজে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন রূপ ধারণ করে। কোথাও গ্র্যাজুয়েটরা ছবি তুলছেন, কোথাও ভিডিও ধারণ চলছে কিংবা কোথাও চলছে আড্ডা। রাষ্ট্রপতির উদ্বোধন ঘোষণা করার পর কোরআন তিলাওয়াত, গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল পাঠ করা হয়। এরপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের দলীয় সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদক তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এবারের সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য ৩০ হাজার ৩৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট ও গবেষক রেজিস্ট্রেশন করেন। তাঁদের মধ্যে ২২ হাজার ২৮৭ জন ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন। অধিভুক্ত সাত কলেজের ৭ হাজার ৭৯৬ জন ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজ ভেন্যু থেকে সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করেন। সমাবর্তনে ১৩১ জন কৃতী শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীকে ১৫৩টি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়, যা ঢাবির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া, এবার ৯৭ জনকে পিএইচডি, ২ জনকে ডিবিএ এবং ৩৫ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদসহ সিনেট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইউজিসি সদস্যবৃন্দ এবং অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প কলেজের অধ্যক্ষ-ইনস্টিটিউটের পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষকদের কারণে শিক্ষকসমাজের মান নষ্ট হচ্ছে। আমরা যখন ছাত্র ছিলাম এবং এর অনেক পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ও শিক্ষকদের দেখলে বা তাঁদের কথা শুনলেই শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসত। কিন্তু ইদানীং কিছু কিছু উপাচার্য ও শিক্ষকদের কর্মকাণ্ডে সমাজে শিক্ষকদের সম্মানের জায়গাটা ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। আপনাদের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা ও শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, কিছুসংখ্যক অসাধু লোকের কর্মকাণ্ডের জন্য গোটা শিক্ষকসমাজের মর্যাদা যেন ক্ষুণ্ন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘একজন উপাচার্যের মূল দায়িত্ব হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান, পরিচালন, মূল্যায়ন ও উন্নয়নকে ঘিরে। কিন্তু ইদানীং পত্রিকা খুললেই মনে হয় পরিবার-পরিজন ও অনুগতদের চাকরি দেওয়া এবং বিভিন্ন উপায়ে প্রশাসনিক ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধা নেওয়াই যেন কিছু উপাচার্যের মূল দায়িত্ব। আবার অনেক শিক্ষকও বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিটাকে ঐচ্ছিক দায়িত্ব মনে করেন। বৈকালিক কোর্স বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়াকেই তাঁরা অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। ছাত্র-শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের সঙ্গে এটি খুবই বেমানান।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সবাই কৃতী ও সেরা ছাত্র ছিলেন। আমার বিশ্বাস, আপনারা যেকোনো ক্ষেত্রে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হতেন, কিন্তু জীবনের মহান ব্রত হিসেবে শিক্ষকতাকেই আপনারা পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তাই শিক্ষক হিসেবে নিজ পেশার প্রতি দায়িত্বশীল থাকবেন, এটাই সকলের প্রত্যাশা। আমরা চাই উপাচার্যের নেতৃত্বে ও ছাত্র-শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হোক। আপনারা (শিক্ষকগণ) হয়ে উঠুন সমাজে মর্যাদা ও সম্মানের প্রতীক।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে সার্টিফিকেট নেওয়া পর্যন্ত পদে পদে হয়রান হতে হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ান-স্টপ সার্ভিস সেন্টার, কাউন্সেলিং অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টার ও ক্যারিয়ার প্ল্যান ইউনিট চালু করার আহ্বানও জানান তিনি। একই সঙ্গে লস রিকভারি প্ল্যান, গবেষণা ও প্রকাশনা মেলা ও স্টুডেন্ট প্রমোশন অ্যান্ড সাপোর্ট ইউনিট গঠন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা করেন আচার্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, বরং এটি আমাদের পথপ্রদর্শক। এ দেশের প্রতিটি আন্দোলনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। প্রতিটি আন্দোলনের নিউক্লিয়াস ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনও ইতিহাসের অংশ।’
প্রগতি, আধুনিকতা ও সহনশীলতাকে ধারণ করে সকল প্রকার সংকীর্ণতা ও ধর্মান্ধতা থেকে নিজেকে এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের মুক্ত রেখে সত্য ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অধিকতর কার্যকর অবদান রাখার জন্য গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি প্রত্যাশা রাখেন রাষ্ট্রপতি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন নোবেল বিজয়ী ফরাসি অর্থনীতিবিদ জ্যঁ তিরোল। তাঁকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ (অনারিজ কজা) প্রদান করা হয়।
স্নাতকদের উদ্দেশে জ্যঁ তিরোল বলেন, ‘আপনারা ভাবতে পারেন, নোবেল বিজয়ীরা সুপারম্যানের মতো কোনো অসাধারণ মানুষ। নোবেল বিজয়ীসহ পেশাগতভাবে সফল যেকোনো মানুষের গল্পটা কঠোর নীতিনিষ্ঠতার। স্নাতকেরা, আপনাদের কঠোর পরিশ্রমী ও নিজের ক্ষেত্র নিয়ে প্রগাঢ় উৎসাহী হতে হবে এবং একই সঙ্গে তা সম্পর্কে সমালোচনাপ্রবণ (ক্রিটিক্যাল) হতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্র থেকে আপনাদের শিখতে হবে, সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় যাওয়ার স্পৃহা থাকতে হবে। সর্বোপরি আপনাদের হতে হবে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। নিজেদের মেধার ওপর বিশ্বাস থাকতে হবে। থামবেন না, এগিয়ে চলবেন। আমার পরামর্শ থাকবে, স্নাতক হওয়ার এই যাত্রায় যাঁরা আপনাদের সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।’
জ্যঁ তিরোল আরও বলেন, ‘নতুন ডিগ্রি আপনাদের সামনে অনেক সুযোগের পাশাপাশি অনেক দায়িত্বও হাজির করবে ৷ ডিজিটাল বিপ্লবের মাধ্যমে কীভাবে সমাজকে উপকৃত করা যায়, পৃথিবী ও এর মানুষকে রক্ষায় কীভাবে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনকে মোকাবিলা করতে পারি, জনতোষণবাদ ও জাতীয়তাবাদের বিপরীতে কীভাবে আমরা যুক্তিকে দাঁড় করাব ইত্যাদি আপনাদের ভাবতে হবে। বাংলাদেশের গত ৫০ বছরের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন নিয়ে আপনাদের গর্বিত হওয়া উচিত। এর সঙ্গে শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা সম্প্রসারণে আরও কাজ করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ বিশ্ব মানচিত্রে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয় গর্বিত প্রাক্তন শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রণীত রূপকল্প ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। তোমরা (গ্র্যাজুয়েটরা) সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার কারিগর।’
আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমান পৃথিবী তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর। তোমরা সর্বদা এর ইতিবাচক এবং নীতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকবে। মানবসভ্যতার উন্নয়নে যেই প্রযুক্তি তোমাদের ব্যবহার করার কথা সচেতন থেকো, সেই প্রযুক্তি যেন তোমাদের ব্যবহার করে না ফেলে। অর্জিত এই বিদ্যা, এই সনদ, এই প্রজ্ঞা সমাজে আলো ছড়ানোর আগে যেন তোমাদের অন্তরকে সম্পূর্ণরূপে আলোকিত করে, সেই চেষ্টা করবে। নিজ পরিবার ঘর হচ্ছে প্রশান্তির সর্বোচ্চ জায়গা। সুস্থ সুন্দর পারিবারিক জীবন একটি সুন্দর সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা তৈরিতে ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে।’
সমাবর্তন শুরু হওয়ার আগে থেকে ক্যাম্পাস এলাকায় যান চলাচল ও জনসাধারণের চলাফেরা বন্ধ ছিল। সমাবর্তনের আমেজে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন রূপ ধারণ করে। কোথাও গ্র্যাজুয়েটরা ছবি তুলছেন, কোথাও ভিডিও ধারণ চলছে কিংবা কোথাও চলছে আড্ডা। রাষ্ট্রপতির উদ্বোধন ঘোষণা করার পর কোরআন তিলাওয়াত, গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল পাঠ করা হয়। এরপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের দলীয় সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদক তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এবারের সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য ৩০ হাজার ৩৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট ও গবেষক রেজিস্ট্রেশন করেন। তাঁদের মধ্যে ২২ হাজার ২৮৭ জন ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন। অধিভুক্ত সাত কলেজের ৭ হাজার ৭৯৬ জন ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজ ভেন্যু থেকে সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করেন। সমাবর্তনে ১৩১ জন কৃতী শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীকে ১৫৩টি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়, যা ঢাবির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া, এবার ৯৭ জনকে পিএইচডি, ২ জনকে ডিবিএ এবং ৩৫ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদসহ সিনেট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইউজিসি সদস্যবৃন্দ এবং অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প কলেজের অধ্যক্ষ-ইনস্টিটিউটের পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।

এক্সকাভেটরের চাপায় ঘরের টিনগুলো চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। দুমড়েমুচড়ে গেছে ঘরের স্টিলের খাট, হাঁড়ি-পাতিলসহ অন্য জিনিসপত্র। বাড়ির মাটির দেয়ালগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবু ডাইংয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোল সম্প্রদায়ের পাঁচজনের বাড়ি এভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলেও তাঁরা ভিটা ছেড়ে যাননি।
৮ মিনিট আগে
বরিশাল সরকারি বিএম কলেজে এক যুগলের ওপর চড়াও হয়ে তাঁদের ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছে একদল তরুণ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসের পরীক্ষা ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগত শিক্ষার্থীদের মারামারি হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর ডাচ-বাংলা রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৃত
৩৪ মিনিট আগে
‘যদি ভোটে জিততে চান, আ.লীগ কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলুন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তোমরা নিরাপদে থাকবে’—এমন মন্তব্য করেছেন বাগেরহাট সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক।
৩৭ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

এক্সকাভেটরের চাপায় ঘরের টিনগুলো চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। দুমড়েমুচড়ে গেছে ঘরের স্টিলের খাট, হাঁড়ি-পাতিলসহ অন্য জিনিসপত্র। বাড়ির মাটির দেয়ালগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবু ডাইংয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোল সম্প্রদায়ের পাঁচজনের বাড়ি এভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলেও তাঁরা ভিটা ছেড়ে যাননি। পাশেই বাঁশঝাড়ে অল্প কিছু জিনিসপত্র নিয়ে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন। এখানেই থাকতে চান তাঁরা।
গত সোমবার দুপুরে সনাতন সরেন, সুজন সরেন, ভুটু কিসকু, ভারত টুডু ও শনিলাল টুডুর বাড়িতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। খাস জায়গা ভেবে এই পরিবারগুলো ১৯৯৮ সাল থেকে এখানে বাস করে আসছিলেন। পরে শোনেন যে, জমিটি তিলক মাঝি, দিনু মাঝি ও ভাদু মাঝি নামের কয়েকজনের নামে রেকর্ড আছে। তাঁরা তাঁদের জাত ভাই। এখন এখানে নেই। তাঁদের হিন্দু সাজিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে নেন মকবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি।
পরে মকবুলের ওয়ারিশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরের আলমগীর কবিরসহ কয়েকজন জমি পেতে আদালতে মামলা করেন। কোল সম্প্রদায়ের মানুষগুলো মামলা পরিচালনা করতে পারেননি। একতরফা রায়ে এই ৭৭ শতাংশ জায়গার রায় হয়েছে আলমগীরদের পক্ষে। গত সোমবার পুলিশ ও আদালতের প্রতিনিধি গিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।
গোদাগাড়ীর মোহনপুর ইউনিয়নে অবস্থিত বাবু ডাইং গ্রামটি রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, তিনটি বাড়ি একেবারেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আর দুটি বাড়ির আংশিক ভাঙা হয়েছে। শনিলাল টুডুর বাড়ির অর্ধেক ভেঙে আঙিনায় কয়েকটি সীমানা পিলার পুঁতে দেওয়া হয়েছে। শনিলালের স্ত্রী চম্পলি মুর্মু বলেন, ‘একদিক থেকে বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভাঙছিল, আরেক দিক দিয়ে নিজেরা নিজেরাই মাপামাপি করে বাড়ির আঙিনায় সীমানা পিলার পুঁতে দিয়েছে। আমাদের কোনো কথাই শোনেনি।’
সনাতন টুডু বলেন, ‘পুলিশসহ কোর্টের লোকজন এসে বাড়ি ভাঙতে চাইলে আমি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে যাই। তখন পুলিশ বলে যে, ‘‘আপনি আইনের কাজে বাধা দেবেন না’’। আমাকে সরিয়ে দিয়ে বুলডোজার চালিয়ে দেয়। জিনিসপত্র সরাতে আমরা ৩০ মিনিটও সময় পাইনি।’
ঘরহারা সুজন সরেন বলেন, ‘অল্প কিছু জিনিস বের করতে পেরেছি। সেগুলো এখানেই রেখেছি বাঁশতলায়। বাকিগুলো বুলডোজারের নিচে গেছে। গরু-ছাগলগুলো মানুষের বাড়িতে রেখেছি। দুই দিন আমরা বাঁশঝাড়ের মধ্যেই ছিলাম। গতকাল রাতে বৃষ্টি এলে পাশের বাড়ির বারান্দায় আশ্রয় নিই। আমরা এখানেই থাকতে চাই। আমাদের তো আর যাওয়ার কোনো জায়গা নাই।’

এ দিন পরিবারগুলোকে দেখতে যান বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) রাজশাহী ইউনিটের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট সামিনা বেগম, সেন্টার ফর ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব ভলান্টারি অর্গানাইজেশনের (সিসিবিভিও) সমন্বয়কারী আরিফ ইথার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম সারওয়ার, রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি সুধীর সরেন, বন্ধু আমরার সভাপতি মাহফুজুল ইসলাম লিটন, সিসিবিভিওর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার নিরাবুল ইসলাম ও ব্লাস্টের প্যারালিগ্যাল আবু তালেব।
সিসিবিভিওর সমন্বয়কারী আরিফ ইথার বলেন, ‘আগে এ জমি কোল সম্প্রদায়েরই ছিল। তাদের হিন্দু দেখিয়ে জমির রেকর্ড করে নেওয়া হয়েছে বাঙালিদের নামে। কারণ, আদিবাসীদের জমি নিতে হলে জেলা প্রশাসকের অনুমোদন লাগে। হিন্দু হলে অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। ভিন্নপথে জমির মালিকানা নিয়ে তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। এটা খুবই অমানবিক কাজ হয়েছে। আমরা অনুরোধ করব, যেন দ্রুতই তাদের পুনর্বাসন করা হয়।’
জানতে চাইলে কোল পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী আলমগীর কবির বলেন, ‘এই জমি কিনেছিলেন আমার দাদা মকবুল হোসেন। তিনি কীভাবে এটা কিনেছিলেন, তা তো আমরা বলতে পারব না। তবে এটা রেকর্ডীয় সম্পত্তি। তারপরও আদিবাসীরা জমি ছাড়েনি। বাধ্য হয়ে আমরা আইনের আশ্রয় নিয়ে তাদের উচ্ছেদ করেছি। জমি এখন আমাদের দখলে।’
ব্লাস্টের রাজশাহী ইউনিটের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট সামিনা বেগম জানান, এই জমির সমস্ত কাগজপত্র তাঁরা সংগ্রহ করবেন। তারপর ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে আইনি সহায়তা দেবেন। গতকাল গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহম্মেদ জানিয়েছিলেন, পরিবারগুলোর থাকার ব্যবস্থা করার জন্য তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে আজ পর্যন্ত তাঁদের কোনো গতি হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।

এক্সকাভেটরের চাপায় ঘরের টিনগুলো চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। দুমড়েমুচড়ে গেছে ঘরের স্টিলের খাট, হাঁড়ি-পাতিলসহ অন্য জিনিসপত্র। বাড়ির মাটির দেয়ালগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবু ডাইংয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোল সম্প্রদায়ের পাঁচজনের বাড়ি এভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলেও তাঁরা ভিটা ছেড়ে যাননি। পাশেই বাঁশঝাড়ে অল্প কিছু জিনিসপত্র নিয়ে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন। এখানেই থাকতে চান তাঁরা।
গত সোমবার দুপুরে সনাতন সরেন, সুজন সরেন, ভুটু কিসকু, ভারত টুডু ও শনিলাল টুডুর বাড়িতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। খাস জায়গা ভেবে এই পরিবারগুলো ১৯৯৮ সাল থেকে এখানে বাস করে আসছিলেন। পরে শোনেন যে, জমিটি তিলক মাঝি, দিনু মাঝি ও ভাদু মাঝি নামের কয়েকজনের নামে রেকর্ড আছে। তাঁরা তাঁদের জাত ভাই। এখন এখানে নেই। তাঁদের হিন্দু সাজিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে নেন মকবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি।
পরে মকবুলের ওয়ারিশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরের আলমগীর কবিরসহ কয়েকজন জমি পেতে আদালতে মামলা করেন। কোল সম্প্রদায়ের মানুষগুলো মামলা পরিচালনা করতে পারেননি। একতরফা রায়ে এই ৭৭ শতাংশ জায়গার রায় হয়েছে আলমগীরদের পক্ষে। গত সোমবার পুলিশ ও আদালতের প্রতিনিধি গিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।
গোদাগাড়ীর মোহনপুর ইউনিয়নে অবস্থিত বাবু ডাইং গ্রামটি রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর থেকে দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, তিনটি বাড়ি একেবারেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আর দুটি বাড়ির আংশিক ভাঙা হয়েছে। শনিলাল টুডুর বাড়ির অর্ধেক ভেঙে আঙিনায় কয়েকটি সীমানা পিলার পুঁতে দেওয়া হয়েছে। শনিলালের স্ত্রী চম্পলি মুর্মু বলেন, ‘একদিক থেকে বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভাঙছিল, আরেক দিক দিয়ে নিজেরা নিজেরাই মাপামাপি করে বাড়ির আঙিনায় সীমানা পিলার পুঁতে দিয়েছে। আমাদের কোনো কথাই শোনেনি।’
সনাতন টুডু বলেন, ‘পুলিশসহ কোর্টের লোকজন এসে বাড়ি ভাঙতে চাইলে আমি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে যাই। তখন পুলিশ বলে যে, ‘‘আপনি আইনের কাজে বাধা দেবেন না’’। আমাকে সরিয়ে দিয়ে বুলডোজার চালিয়ে দেয়। জিনিসপত্র সরাতে আমরা ৩০ মিনিটও সময় পাইনি।’
ঘরহারা সুজন সরেন বলেন, ‘অল্প কিছু জিনিস বের করতে পেরেছি। সেগুলো এখানেই রেখেছি বাঁশতলায়। বাকিগুলো বুলডোজারের নিচে গেছে। গরু-ছাগলগুলো মানুষের বাড়িতে রেখেছি। দুই দিন আমরা বাঁশঝাড়ের মধ্যেই ছিলাম। গতকাল রাতে বৃষ্টি এলে পাশের বাড়ির বারান্দায় আশ্রয় নিই। আমরা এখানেই থাকতে চাই। আমাদের তো আর যাওয়ার কোনো জায়গা নাই।’

এ দিন পরিবারগুলোকে দেখতে যান বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) রাজশাহী ইউনিটের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট সামিনা বেগম, সেন্টার ফর ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব ভলান্টারি অর্গানাইজেশনের (সিসিবিভিও) সমন্বয়কারী আরিফ ইথার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম সারওয়ার, রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি সুধীর সরেন, বন্ধু আমরার সভাপতি মাহফুজুল ইসলাম লিটন, সিসিবিভিওর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার নিরাবুল ইসলাম ও ব্লাস্টের প্যারালিগ্যাল আবু তালেব।
সিসিবিভিওর সমন্বয়কারী আরিফ ইথার বলেন, ‘আগে এ জমি কোল সম্প্রদায়েরই ছিল। তাদের হিন্দু দেখিয়ে জমির রেকর্ড করে নেওয়া হয়েছে বাঙালিদের নামে। কারণ, আদিবাসীদের জমি নিতে হলে জেলা প্রশাসকের অনুমোদন লাগে। হিন্দু হলে অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। ভিন্নপথে জমির মালিকানা নিয়ে তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। এটা খুবই অমানবিক কাজ হয়েছে। আমরা অনুরোধ করব, যেন দ্রুতই তাদের পুনর্বাসন করা হয়।’
জানতে চাইলে কোল পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী আলমগীর কবির বলেন, ‘এই জমি কিনেছিলেন আমার দাদা মকবুল হোসেন। তিনি কীভাবে এটা কিনেছিলেন, তা তো আমরা বলতে পারব না। তবে এটা রেকর্ডীয় সম্পত্তি। তারপরও আদিবাসীরা জমি ছাড়েনি। বাধ্য হয়ে আমরা আইনের আশ্রয় নিয়ে তাদের উচ্ছেদ করেছি। জমি এখন আমাদের দখলে।’
ব্লাস্টের রাজশাহী ইউনিটের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট সামিনা বেগম জানান, এই জমির সমস্ত কাগজপত্র তাঁরা সংগ্রহ করবেন। তারপর ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে আইনি সহায়তা দেবেন। গতকাল গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহম্মেদ জানিয়েছিলেন, পরিবারগুলোর থাকার ব্যবস্থা করার জন্য তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে আজ পর্যন্ত তাঁদের কোনো গতি হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।

রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষকদের কারণে শিক্ষকসমাজের মান নষ্ট হচ্ছে। আমরা যখন ছাত্র ছিলাম এবং এর অনেক পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ও শিক্ষকদের দেখলে বা তাঁদের কথা শুনলেই শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসত। কিন্তু ইদানীং কিছু কিছু উপাচার্য ও শি
১৯ নভেম্বর ২০২২
বরিশাল সরকারি বিএম কলেজে এক যুগলের ওপর চড়াও হয়ে তাঁদের ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছে একদল তরুণ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসের পরীক্ষা ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগত শিক্ষার্থীদের মারামারি হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর ডাচ-বাংলা রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৃত
৩৪ মিনিট আগে
‘যদি ভোটে জিততে চান, আ.লীগ কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলুন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তোমরা নিরাপদে থাকবে’—এমন মন্তব্য করেছেন বাগেরহাট সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক।
৩৭ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল সরকারি বিএম কলেজে এক যুগলের ওপর চড়াও হয়ে তাঁদের ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছে একদল তরুণ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসের পরীক্ষা ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগত শিক্ষার্থীদের মারামারি হয়েছে। পরে পুলিশের হাতে ১০ জনকে তুলে দেওয়া হয়।
যুগলের ওপর চড়াও হওয়া তরুণেরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ‘টিম প্রটেক্ট আওয়ার সিস্টার্স’ নাম একটি উগ্র অনলাইন গ্রুপের সদস্য বলে জানা গেছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন বিএম কলেজের মীর বাহার মিয়া ও তাকরিম হোসেন, ইনফ্রা পলিটেকনিকের মো. ফজলুল হক আকিব, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মো. রাব্বি, বেলতলা দারুল উলুম মাদ্রাসার ইনাম আহমেদ, নগরের কাশিপুরের মো. মাহমুদ মোস্তফা, রূপাতলী এলাকার মো. রাফি, মুসলিমপাড়ার নাসিম মাহমুদ এবং লুৎফুর রহমান সড়কের কাজী মিরাজ ও মো. তাওহিদ।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কোনো খারাপ উদ্দেশ্য আছে কি না তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ ও কলেজ প্রশাসনের তথ্যমতে, আটক ব্যক্তিরা একটি উগ্র অনলাইন গ্রুপের সদস্য। তাঁরা নারীদের রক্ষার নামে বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা করে আসছেন।
পুলিশ জানায়, আটক তরুণেরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন যে গ্রুপের প্রধান মালয়েশিয়াপ্রবাসী।
বিএম কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. আবু তাহের মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, ক্যাম্পাসের পরীক্ষা ভবনের কাছাকাছি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী দুটি ছেলে-মেয়ে গল্প করছিলেন। ছেলেটি হাতেম আলী কলেজের এবং মেয়েটি বিএম কলেজের। একপর্যায়ে কলেজেরই এক ছেলে ওদের দেখে তাঁর সহযোগী বহিরাগত কয়েকজনকে ডেকে আনেন। সেখানে ওই ছেলে-মেয়ের ভিডিও করে হাতেম আলী কলেজের ছেলেটিকে মারধর করা হয়। বিষয়টি টের পেয়ে বিএম কলেজছাত্ররা বহিরাগত কয়েকজনকে ধরে তাঁর কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।
উপাধ্যক্ষ জানান, এই ছেলেরা ‘টিম প্রটেক্ট আওয়ার সিস্টার্স’ নাম একটি উগ্র অনলাইন গ্রুপের সদস্য। তাঁরা কলেজে আটকা পড়েছেন এমন খবর ছড়িয়ে দিলে দলে দলে কলেজ গেটের সামনে হাজির হয়। একপর্যায়ে বিএম কলেজে ছাত্ররা তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে ধরে পুলিশে খবর দেন। এঁরা নগরের টেক্সটাইল কলেজ, পলিটেকনিক কলেজ, বিএম কলেজ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও মাহমুদিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। খবর পেয়ে পুলিশ ১০ জনকে ১১টি মোবাইলসহ আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন আইস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএম কলেজ থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০ জন ছাত্রকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিএম কলেজছাত্ররা তাদের ধরে দিয়েছে। তাদের নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শুনেছেন যে একটি অনলাইন গ্রুপের সদস্য তারা। তবে তদন্ত করে দেখা হবে আটককৃতদের কোনো খারাপ উদ্দেশ্য আছে কি না। এরপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বরিশাল সরকারি বিএম কলেজে এক যুগলের ওপর চড়াও হয়ে তাঁদের ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছে একদল তরুণ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসের পরীক্ষা ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগত শিক্ষার্থীদের মারামারি হয়েছে। পরে পুলিশের হাতে ১০ জনকে তুলে দেওয়া হয়।
যুগলের ওপর চড়াও হওয়া তরুণেরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ‘টিম প্রটেক্ট আওয়ার সিস্টার্স’ নাম একটি উগ্র অনলাইন গ্রুপের সদস্য বলে জানা গেছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন বিএম কলেজের মীর বাহার মিয়া ও তাকরিম হোসেন, ইনফ্রা পলিটেকনিকের মো. ফজলুল হক আকিব, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মো. রাব্বি, বেলতলা দারুল উলুম মাদ্রাসার ইনাম আহমেদ, নগরের কাশিপুরের মো. মাহমুদ মোস্তফা, রূপাতলী এলাকার মো. রাফি, মুসলিমপাড়ার নাসিম মাহমুদ এবং লুৎফুর রহমান সড়কের কাজী মিরাজ ও মো. তাওহিদ।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কোনো খারাপ উদ্দেশ্য আছে কি না তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ ও কলেজ প্রশাসনের তথ্যমতে, আটক ব্যক্তিরা একটি উগ্র অনলাইন গ্রুপের সদস্য। তাঁরা নারীদের রক্ষার নামে বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা করে আসছেন।
পুলিশ জানায়, আটক তরুণেরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন যে গ্রুপের প্রধান মালয়েশিয়াপ্রবাসী।
বিএম কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. আবু তাহের মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, ক্যাম্পাসের পরীক্ষা ভবনের কাছাকাছি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী দুটি ছেলে-মেয়ে গল্প করছিলেন। ছেলেটি হাতেম আলী কলেজের এবং মেয়েটি বিএম কলেজের। একপর্যায়ে কলেজেরই এক ছেলে ওদের দেখে তাঁর সহযোগী বহিরাগত কয়েকজনকে ডেকে আনেন। সেখানে ওই ছেলে-মেয়ের ভিডিও করে হাতেম আলী কলেজের ছেলেটিকে মারধর করা হয়। বিষয়টি টের পেয়ে বিএম কলেজছাত্ররা বহিরাগত কয়েকজনকে ধরে তাঁর কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।
উপাধ্যক্ষ জানান, এই ছেলেরা ‘টিম প্রটেক্ট আওয়ার সিস্টার্স’ নাম একটি উগ্র অনলাইন গ্রুপের সদস্য। তাঁরা কলেজে আটকা পড়েছেন এমন খবর ছড়িয়ে দিলে দলে দলে কলেজ গেটের সামনে হাজির হয়। একপর্যায়ে বিএম কলেজে ছাত্ররা তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে ধরে পুলিশে খবর দেন। এঁরা নগরের টেক্সটাইল কলেজ, পলিটেকনিক কলেজ, বিএম কলেজ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও মাহমুদিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। খবর পেয়ে পুলিশ ১০ জনকে ১১টি মোবাইলসহ আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন আইস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএম কলেজ থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০ জন ছাত্রকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিএম কলেজছাত্ররা তাদের ধরে দিয়েছে। তাদের নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শুনেছেন যে একটি অনলাইন গ্রুপের সদস্য তারা। তবে তদন্ত করে দেখা হবে আটককৃতদের কোনো খারাপ উদ্দেশ্য আছে কি না। এরপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষকদের কারণে শিক্ষকসমাজের মান নষ্ট হচ্ছে। আমরা যখন ছাত্র ছিলাম এবং এর অনেক পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ও শিক্ষকদের দেখলে বা তাঁদের কথা শুনলেই শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসত। কিন্তু ইদানীং কিছু কিছু উপাচার্য ও শি
১৯ নভেম্বর ২০২২
এক্সকাভেটরের চাপায় ঘরের টিনগুলো চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। দুমড়েমুচড়ে গেছে ঘরের স্টিলের খাট, হাঁড়ি-পাতিলসহ অন্য জিনিসপত্র। বাড়ির মাটির দেয়ালগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবু ডাইংয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোল সম্প্রদায়ের পাঁচজনের বাড়ি এভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলেও তাঁরা ভিটা ছেড়ে যাননি।
৮ মিনিট আগে
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর ডাচ-বাংলা রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৃত
৩৪ মিনিট আগে
‘যদি ভোটে জিততে চান, আ.লীগ কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলুন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তোমরা নিরাপদে থাকবে’—এমন মন্তব্য করেছেন বাগেরহাট সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক।
৩৭ মিনিট আগেঢামেক প্রতিবেদক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর ডাচ-বাংলা রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুল মজিদ (৬০)। তিনি যশোর জেলার চৌগাছা থানার সিংহঝুলি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালে মৃত আব্দুল মজিদের বন্ধু আলমগীর হোসেন জানান, তাঁদের বাড়ি যশোর জেলার চৌগাছা থানার জামালতা গ্রামে। এলাকায় কেবলের ব্যবসা করতেন মজিদ।
আলমগীর হোসেন আরও জানান, তাঁরা চারজন দুই মোটরসাইকেলে করে যশোর থেকে রাঙামাটি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে যশোর যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসছিলেন। মজিদ তাঁর সঙ্গে একই মোটরসাইকেলের পেছনে ছিলেন। যাত্রাবাড়ীর ডাচ-বাংলা রোডে এলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন মজিদ। পরে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি যাত্রাবাড়ী থানায় অবহিত করা হয়েছে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর ডাচ-বাংলা রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুল মজিদ (৬০)। তিনি যশোর জেলার চৌগাছা থানার সিংহঝুলি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালে মৃত আব্দুল মজিদের বন্ধু আলমগীর হোসেন জানান, তাঁদের বাড়ি যশোর জেলার চৌগাছা থানার জামালতা গ্রামে। এলাকায় কেবলের ব্যবসা করতেন মজিদ।
আলমগীর হোসেন আরও জানান, তাঁরা চারজন দুই মোটরসাইকেলে করে যশোর থেকে রাঙামাটি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে যশোর যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসছিলেন। মজিদ তাঁর সঙ্গে একই মোটরসাইকেলের পেছনে ছিলেন। যাত্রাবাড়ীর ডাচ-বাংলা রোডে এলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন মজিদ। পরে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি যাত্রাবাড়ী থানায় অবহিত করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষকদের কারণে শিক্ষকসমাজের মান নষ্ট হচ্ছে। আমরা যখন ছাত্র ছিলাম এবং এর অনেক পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ও শিক্ষকদের দেখলে বা তাঁদের কথা শুনলেই শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসত। কিন্তু ইদানীং কিছু কিছু উপাচার্য ও শি
১৯ নভেম্বর ২০২২
এক্সকাভেটরের চাপায় ঘরের টিনগুলো চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। দুমড়েমুচড়ে গেছে ঘরের স্টিলের খাট, হাঁড়ি-পাতিলসহ অন্য জিনিসপত্র। বাড়ির মাটির দেয়ালগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবু ডাইংয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোল সম্প্রদায়ের পাঁচজনের বাড়ি এভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলেও তাঁরা ভিটা ছেড়ে যাননি।
৮ মিনিট আগে
বরিশাল সরকারি বিএম কলেজে এক যুগলের ওপর চড়াও হয়ে তাঁদের ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছে একদল তরুণ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসের পরীক্ষা ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগত শিক্ষার্থীদের মারামারি হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
‘যদি ভোটে জিততে চান, আ.লীগ কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলুন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তোমরা নিরাপদে থাকবে’—এমন মন্তব্য করেছেন বাগেরহাট সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক।
৩৭ মিনিট আগেবাগেরহাট প্রতিনিধি

‘যদি ভোটে জিততে চান, আ.লীগ কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলুন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তোমরা নিরাপদে থাকবে’—এমন মন্তব্য করেছেন বাগেরহাট সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক। গতকাল বুধবার রাতে সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নে বিএনপির মতবিনিময় সভা, গণসংযোগ ও ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক বলেন, ‘যারা নিরীহ আওয়ামী লীগ, যারা বাধ্য হয়ে মিছিল-মিটিংয়ে গেছে, কিন্তু কারও নামে মিথ্যা মামলা দেয়নি, কারও ক্ষতি করেনি, তাদের দয়া করে কিছু বলবেন না, তাদের বুকে টেনে নিন।’
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে এ দেশের মুসলমানদের প্রিয় মানুষ আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকে পয়জন পুশ করে মেরে ফেলা হয়েছিল। সেই জামায়াত পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছে বিএনপি মারছে, আমরা ঠেকাচ্ছি।’
তারা নিজেরাই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে। তারা এখন ভোটের জন্য হিন্দু ভাইদের বাড়ি যাচ্ছে, পূজায় যাচ্ছে, গীতা পাঠ করছে, প্রসাদ খাচ্ছে—সবই একটি ভোটের আশায়।
সৈয়দ নাসির আহমেদ আরও বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগের নামে জুলুম-অত্যাচার, হামলা-মামলা, দখল-জবরদখল করেছে, তাদের সঙ্গে কোনো আপস নয়। তবে যারা নিরীহ, যারা শুধু নাম লেখিয়েছে তাদের প্রতি সহনশীল হোন। যদি ভোটে জিততে চান, তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলুন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তোমরা নিরাপদে থাকবে, শান্তিতে থাকবে—আমরা সে দায়িত্ব নিচ্ছি।’
এ সময় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বুলু, মহিলা দলনেত্রী ফরিদা বেগম, রোজিনা খাতুনসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

‘যদি ভোটে জিততে চান, আ.লীগ কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলুন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তোমরা নিরাপদে থাকবে’—এমন মন্তব্য করেছেন বাগেরহাট সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক। গতকাল বুধবার রাতে সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নে বিএনপির মতবিনিময় সভা, গণসংযোগ ও ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক বলেন, ‘যারা নিরীহ আওয়ামী লীগ, যারা বাধ্য হয়ে মিছিল-মিটিংয়ে গেছে, কিন্তু কারও নামে মিথ্যা মামলা দেয়নি, কারও ক্ষতি করেনি, তাদের দয়া করে কিছু বলবেন না, তাদের বুকে টেনে নিন।’
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে এ দেশের মুসলমানদের প্রিয় মানুষ আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকে পয়জন পুশ করে মেরে ফেলা হয়েছিল। সেই জামায়াত পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছে বিএনপি মারছে, আমরা ঠেকাচ্ছি।’
তারা নিজেরাই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে। তারা এখন ভোটের জন্য হিন্দু ভাইদের বাড়ি যাচ্ছে, পূজায় যাচ্ছে, গীতা পাঠ করছে, প্রসাদ খাচ্ছে—সবই একটি ভোটের আশায়।
সৈয়দ নাসির আহমেদ আরও বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগের নামে জুলুম-অত্যাচার, হামলা-মামলা, দখল-জবরদখল করেছে, তাদের সঙ্গে কোনো আপস নয়। তবে যারা নিরীহ, যারা শুধু নাম লেখিয়েছে তাদের প্রতি সহনশীল হোন। যদি ভোটে জিততে চান, তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলুন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তোমরা নিরাপদে থাকবে, শান্তিতে থাকবে—আমরা সে দায়িত্ব নিচ্ছি।’
এ সময় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বুলু, মহিলা দলনেত্রী ফরিদা বেগম, রোজিনা খাতুনসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষকদের কারণে শিক্ষকসমাজের মান নষ্ট হচ্ছে। আমরা যখন ছাত্র ছিলাম এবং এর অনেক পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ও শিক্ষকদের দেখলে বা তাঁদের কথা শুনলেই শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসত। কিন্তু ইদানীং কিছু কিছু উপাচার্য ও শি
১৯ নভেম্বর ২০২২
এক্সকাভেটরের চাপায় ঘরের টিনগুলো চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। দুমড়েমুচড়ে গেছে ঘরের স্টিলের খাট, হাঁড়ি-পাতিলসহ অন্য জিনিসপত্র। বাড়ির মাটির দেয়ালগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবু ডাইংয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোল সম্প্রদায়ের পাঁচজনের বাড়ি এভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলেও তাঁরা ভিটা ছেড়ে যাননি।
৮ মিনিট আগে
বরিশাল সরকারি বিএম কলেজে এক যুগলের ওপর চড়াও হয়ে তাঁদের ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছে একদল তরুণ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্যাম্পাসের পরীক্ষা ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগত শিক্ষার্থীদের মারামারি হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিএনপির এক নেতা নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর ডাচ-বাংলা রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৃত
৩৪ মিনিট আগে