Ajker Patrika

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ডিস ব্যবসায়ীকে খুন, আটক ২

উত্তরা (ঢাকা) প্রতিবেদক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর দক্ষিণখানে গতকাল রোববার ডিস ব্যবসায়ী সারফিন ইসলাম সোহেলকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড বলে জানিয়েছেন ডিএমপির দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাইফুর রহমান মির্জা।

আজ সোমবার আজকের পত্রিকাকে তিনি এ তথ্য জানান।

ডিএমপির দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাইফুর রহমান মির্জা আজ সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলাকার আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বের জের ধরে সোহেলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনরা থানায় মামলা করতে এসেছেন। তাঁরা এজাহার দিচ্ছেন। এজাহার দেওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।’

এদিকে এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা হলেন—মারুফুল ইসলাম সামীর (৩১) ও মো. আকাশ (৫১)।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ তাইফুর রহমান মির্জা বলেন, ‘মারুফুল ও আকাশ নামের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

নিহত ডিস ব্যবসায়ী সারফিন ইসলাম সোহেলের মা মোছা. হাফিজুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ছেলেকে আহম্মদ আলী ও তাঁর সঙ্গের লোকজন মেরে ফেলেছে। কী কারণে, কারা আমার ছেলেকে মারল, তা আপনারা তদন্ত করে দেখবেন।’ তিনি বলেন, ‘গাজীপুরের পুবাইলে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।’

এর আগে গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে ডিস ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত ওই ডিস ব্যবসায়ী গাজীপুরের পুবাইলের বিনদান এলাকার দুলাল ভূঁইয়ার ছেলে। বর্তমানে তিনি দক্ষিণখানের আর্মি সোসাইটির ১ নং রোড এলাকায় বসবাস করতেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মাল্টি গার্মেন্টসের সামনে রাত ৮টার দিকে মারুফ, আকাশসহ কয়েকজন এসে সোহেলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান। পরে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিকস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

থানা-পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, নিহত সোহেলের হাত, পা ও শরীরের একাধিক স্থানে গুরুতর জখমের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের পর তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

থানা-পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর পরই দক্ষিণখানের নিজ বাড়ি থেকে মারুফুল ইসলাম সামীর এবং উত্তরখান মাজার এলাকা থেকে মো. আকাশকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

হত্যাকাণ্ডের কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গোয়েন্দা সূত্রটি আজকের পত্রিকাকে জানায়, এলাকার ডিস ব্যবসা ও ময়লা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড। হত্যাকারীরা সোহেলের পারিবারিক লোকজনই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চিৎকার শুনে ছুটে আসা স্থানীয়রা ধর্ষণের শিকার নারীকেই মারধর করে

বিমানবন্দরের প্রকল্পে ‘অসম’ চুক্তি, স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়েছেন ঢাকায় ইউএই রাষ্ট্রদূত

মন্ত্রীর আত্মীয়তাই ‘যোগ্যতা’

আদানিকে আরও ৩৮৪ মিলিয়ন ডলার দিল বাংলাদেশ, মোট পরিশোধ ১.৫ বিলিয়ন

অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দুই বন্ধুর ধর্ষণ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত