Ajker Patrika

জুজুৎসুর সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে নারী খেলোয়াড়দের যতো অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৮ মে ২০২৪, ২১: ১৩
Thumbnail image

বিদেশে ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণের অভিযোগে বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১২। 

রফিকুল ইসলামকে রাজধানীর শাহ আলী এবং তাঁর এক নারী সহযোগীকে মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। 

জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের একজন নারী খেলোয়াড় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। এরপর র‍্যাব অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। 

গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলাম নিউটন একজন জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষক। পাশাপাশি তিনি রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। অ্যাসোসিয়েশনের অধিকাংশ প্রশিক্ষণার্থীই নারী। 

আজ শনিবার সন্ধ্যায় র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গ্রেপ্তার রফিকুল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকের মতো পদে থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া এবং বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের মতো অপকর্ম করতেন বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।

এ ছাড়া অ্যাসোসিয়েশনের অপ্রাপ্তবয়স্ক খেলোয়াড়রা গর্ভবতী হলে তাদের গর্ভপাত করানোর মতো ভয়ংকর কাজও করেছেন বলে জানা যায়। এমনকি তিনি অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে তাঁদের ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ ও নগ্ন ছবি তুলে রাখতেন। পরবর্তীতে ধারণকৃত নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করতেন। এ রকম একাধিক ঘটনা ঘটেছে। 

অ্যাসোসিয়েশনের গ্রেপ্তার অপর এক নারী খেলোয়াড়ের সহায়তায় যৌন হয়রানিসহ জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতেন তিনি। 

রফিকের বিরুদ্ধে মামলা করা ওই ভুক্তভোগী গত দুই বছর ধরে জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আসছিল। এ সময়ে রফিক বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করতেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী প্র্যাকটিস শেষে চেঞ্জিং রুমে পোশাক পরিবর্তন করার সময় রফিকের সহযোগী এক নারী খেলোয়াড় ভুক্তভোগীকে রুমের মধ্যে আটকে রাখেন। এরপর রফিকুল ইসলামকে ডেকে আনে। রফিক রুমে প্রবেশ করে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন বলে মামলায় ওই নারী অভিযোগ করেছেন। 

এমনকি ধর্ষণের সময় মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরও ব্ল্যাকমেল করে। পরে ওই নারীকে তার একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত