অরূপ রায়, সাভার থেকে
সাভারের ভাগলপুরে বংশী নদী ও নদী তীরের ৩ দশমিক ৬ একর জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে মিনি স্টেডিয়াম। গত তিন বছরে এ জন্য মাটি ভরাট ছাড়া নির্মিত হয়েছে মাত্র কয়েক ফুট প্রতিরোধ দেয়াল। তবে এ কাজ করতেই ব্যয় হয়েছে সাড়ে ৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া এ প্রকল্প বাস্তবায়নে উঠেছে আরও নানা অভিযোগ। এ অভিযোগগুলো তদন্তে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের কমিটি।
ঢাকা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ভাগলপুরে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণে বরাদ্দ দিতে ঢাকা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাকে চিঠি দেয়। এরপর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাটি ভরাটের জন্য ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
ভরাট করা মাটি রক্ষার্থে একই অর্থবছরের ১৯ জুন প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণে ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকার আরেকটি আদেশ জরি করেন ঢাকা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা।
২০১৯-২০ অর্থবছরে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রকল্পের জন্য আরও ৩ কোটি ২১ লাখ ৪৫ হাজার ৮৭৩ টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু নানা অনিয়মের কারণে ঢাকা জেলা প্রশাসন থেকে তা ছাড় দেওয়া হয়নি। এ অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত পাঠানো হয়। সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে এ প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১৫ লাখ টাকা।
তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণের জন্য ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় ২০১৯ সালের ১৯ জুন। এতে শর্ত দেওয়া হয় ওই বছর ৩০ জুনের মধ্যে তা খরচ করতে হবে। সময়মতো খরচ করতে না পারলে এই প্রকল্প বাতিল করা হবে। বরাদ্দ করা অর্থ ফেরত নিয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১১ দিনের মধ্যে সোয়া তিন কোটি টাকা খরচ করার কথা থাকলেও গত তিন বছরে নির্মাণ করা হয়েছে মাত্র কয়েক ফুট দেয়াল। এরপরও শর্ত অনুসারে বরাদ্দ বাতিল করা হয়নি। এমনকি নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থাও।
সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রতিরোধ দেয়াল ও মাটি ভরাটের জন্য দেওয়া হয়নি কোনো ঠিকাদার নিয়োগ। প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নে একটি প্রকল্প কমিটি ও একটি তদারক কমিটি করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভাগলপুরে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণে মাটি ফেলা হয়েছে বংশী নদীর অনেকটা ভেতরে। তবে এখনো মাঠ হিসেবে ব্যবহারের মতো অবস্থায় পৌঁছায়নি তা। জায়গাটির কোথাও সমতল, কোথাও উঁচু ঢিবির মতো ফেলে রাখা হয়েছে।
জঙ্গলে ভরে গেছে পুরো প্রকল্প এলাকা। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ নিয়ে একটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে প্রকল্পের ভেতরে। ভবনটি অব্যবহৃত হয়ে পড়ে আছে।
মিনি স্টেডিয়ামের দেখভালের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় তরুণ আল-আমিন বলেন, নয় মাস ধরে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে তাঁকেসহ আরও দুই তরুণকে প্রকল্পের নিরাপত্তা ও দেখভালের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে তাঁদের বেতন বাবদ খরচ হচ্ছে ৪২ হাজার টাকা। টাকা দিচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি।
মিনি স্টেডিয়াম প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও সাভার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা খরচ হয়ে গেছে। নিয়ম অনুযায়ী সব টাকা খরচ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে টাকা বরাদ্দ না পাওয়ার কারণে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে।’
প্রকল্প এলাকা দেখভালের টাকার বিষয়ে আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘বরাদ্দ পাওয়া টাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ একরামুলের হকের হেফাজতে থাকে। তিনি নিজেই সব খরচ করেন। তবে কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেন। তাই তিন তরুণকে কোন তহবিল থেকে বেতন দেওয়া হয় তা তিনি (একরামুল হক) বলতে পারবেন।’
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ একরামুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রশ্নের জবাব দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি এ প্রতিবেদককে তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে আবেদন করার পরামর্শ দেন।
স্থানীয় সাংসদ এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, বরাদ্দের ব্যবহার যথাযথ হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে তাঁর মন্ত্রণালয় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্তের ফল এখনো পাওয়া যায়নি।
কাজের ধীরগতি সম্পর্কে এনামুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতি আর নদীতে পানি আসার কারণে বর্তমানে কাজ বন্ধ আছে।
সাভারের ভাগলপুরে বংশী নদী ও নদী তীরের ৩ দশমিক ৬ একর জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে মিনি স্টেডিয়াম। গত তিন বছরে এ জন্য মাটি ভরাট ছাড়া নির্মিত হয়েছে মাত্র কয়েক ফুট প্রতিরোধ দেয়াল। তবে এ কাজ করতেই ব্যয় হয়েছে সাড়ে ৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া এ প্রকল্প বাস্তবায়নে উঠেছে আরও নানা অভিযোগ। এ অভিযোগগুলো তদন্তে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের কমিটি।
ঢাকা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ভাগলপুরে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণে বরাদ্দ দিতে ঢাকা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তাকে চিঠি দেয়। এরপর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাটি ভরাটের জন্য ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
ভরাট করা মাটি রক্ষার্থে একই অর্থবছরের ১৯ জুন প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণে ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকার আরেকটি আদেশ জরি করেন ঢাকা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা।
২০১৯-২০ অর্থবছরে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রকল্পের জন্য আরও ৩ কোটি ২১ লাখ ৪৫ হাজার ৮৭৩ টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু নানা অনিয়মের কারণে ঢাকা জেলা প্রশাসন থেকে তা ছাড় দেওয়া হয়নি। এ অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত পাঠানো হয়। সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে এ প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১৫ লাখ টাকা।
তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণের জন্য ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় ২০১৯ সালের ১৯ জুন। এতে শর্ত দেওয়া হয় ওই বছর ৩০ জুনের মধ্যে তা খরচ করতে হবে। সময়মতো খরচ করতে না পারলে এই প্রকল্প বাতিল করা হবে। বরাদ্দ করা অর্থ ফেরত নিয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১১ দিনের মধ্যে সোয়া তিন কোটি টাকা খরচ করার কথা থাকলেও গত তিন বছরে নির্মাণ করা হয়েছে মাত্র কয়েক ফুট দেয়াল। এরপরও শর্ত অনুসারে বরাদ্দ বাতিল করা হয়নি। এমনকি নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থাও।
সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রতিরোধ দেয়াল ও মাটি ভরাটের জন্য দেওয়া হয়নি কোনো ঠিকাদার নিয়োগ। প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নে একটি প্রকল্প কমিটি ও একটি তদারক কমিটি করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভাগলপুরে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণে মাটি ফেলা হয়েছে বংশী নদীর অনেকটা ভেতরে। তবে এখনো মাঠ হিসেবে ব্যবহারের মতো অবস্থায় পৌঁছায়নি তা। জায়গাটির কোথাও সমতল, কোথাও উঁচু ঢিবির মতো ফেলে রাখা হয়েছে।
জঙ্গলে ভরে গেছে পুরো প্রকল্প এলাকা। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ নিয়ে একটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে প্রকল্পের ভেতরে। ভবনটি অব্যবহৃত হয়ে পড়ে আছে।
মিনি স্টেডিয়ামের দেখভালের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় তরুণ আল-আমিন বলেন, নয় মাস ধরে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে তাঁকেসহ আরও দুই তরুণকে প্রকল্পের নিরাপত্তা ও দেখভালের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে তাঁদের বেতন বাবদ খরচ হচ্ছে ৪২ হাজার টাকা। টাকা দিচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি।
মিনি স্টেডিয়াম প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও সাভার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা খরচ হয়ে গেছে। নিয়ম অনুযায়ী সব টাকা খরচ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে টাকা বরাদ্দ না পাওয়ার কারণে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে।’
প্রকল্প এলাকা দেখভালের টাকার বিষয়ে আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘বরাদ্দ পাওয়া টাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ একরামুলের হকের হেফাজতে থাকে। তিনি নিজেই সব খরচ করেন। তবে কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেন। তাই তিন তরুণকে কোন তহবিল থেকে বেতন দেওয়া হয় তা তিনি (একরামুল হক) বলতে পারবেন।’
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ একরামুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রশ্নের জবাব দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি এ প্রতিবেদককে তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে আবেদন করার পরামর্শ দেন।
স্থানীয় সাংসদ এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, বরাদ্দের ব্যবহার যথাযথ হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে তাঁর মন্ত্রণালয় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্তের ফল এখনো পাওয়া যায়নি।
কাজের ধীরগতি সম্পর্কে এনামুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতি আর নদীতে পানি আসার কারণে বর্তমানে কাজ বন্ধ আছে।
বরিশালের হিজলায় প্রায় দেড় কোটি টাকার হাট-বাজার ইজারা কার্যক্রম প্রস্তুত করতে গিয়ে শিডিউল জমাই দিতে পারেনি ঠিকাদারেরা। স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষ উপজেলার ২০টি হাট-বাজারের শিডিউল প্রস্তুত প্রক্রিয়ায় নামে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি তারা।
৫ ঘণ্টা আগেবিভাগীয় শহর রংপুরে গত দেড় দশকে মানুষের পাশাপাশি বেড়েছে যানবাহনের চাপ। কিন্তু ট্রাফিক ব্যবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। এতে তীব্র যানজটে দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে তিন বছর আগে ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীতে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা হলেও তা কাজে আসছে না।
৫ ঘণ্টা আগেএককালে ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি। বিএনপির সমর্থন নিয়ে হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানও। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ভিড়তে শুরু করেন শামীম ওসমানের সঙ্গে। ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
৫ ঘণ্টা আগেবিশাল সমুদ্রসৈকত। তারই এক পাশের মাটি কেটে বানানো হচ্ছে বাড়ি। কেউ আবার বাড়ির আদলে পুকুর কেটে রেখেছে। অনেকে মাটি কেটে নিজেদের সীমানা তৈরি করেছে। গত ৫ আগস্ট রাজনীতির পটপরিবর্তনের পর পর্যটন সম্ভাবনাময় এলাকা নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নিঝুম দ্বীপ সৈকতের চিত্র এটি। সেখানে চলছে সৈকতের জায়গা দখলের
৫ ঘণ্টা আগে