Ajker Patrika

রাজধানীর যানজট নিরসন: কাগজে আটকে আছে বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ

  • বুয়েটের সঙ্গে দুই সিটি করপোরেশনের ট্রাফিক সিগন্যাল তৈরির প্রকল্পে ধীরগতি।
  • অন্য সুপারিশগুলো এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও চার মাসেও হয়নি
  • হাতের ইশারায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের হিমশিম অবস্থা।
সাইফুল মাসুম, ঢাকা
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

হাতের ইশারায় এক পাশে গাড়ি থামাচ্ছেন তো অন্য পাশে হাতের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে গাড়ি। নির্দেশনা না মেনে শাঁই করে দ্রুতগতিতে মোড় পার হয়ে যাচ্ছে মোটরসাইকেল আরোহী। কোনো কোনো মোটরসাইকেল আরোহীর মাথায় হেলমেট পর্যন্ত নেই। দু-একটা রিকশা প্রধান সড়কে চলতে দেখা গেছে। মোড়েই যাত্রী ওঠা-নামা করাচ্ছে গণপরিবহনগুলো। রাজধানীর ব্যস্ততম কারওয়ান বাজার মোড় নিয়ন্ত্রণে এভাবে হিমশিম খাচ্ছিলেন কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশের সদস্য।

সেখানে কথা হয় দায়িত্বরত পুলিশ সার্জেন্ট মো. উজ্জ্বল হোসেনের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে। এখন বেয়াদবের সংখ্যা বেড়ে গেছে। কেউ কথা শুনতে চায় না।’

বাংলামোটর এলাকায় কথা হয় মোটরসাইকেলচালক শাহীন আলমের সঙ্গে। তিনি ২০১৭ সাল থেকে ঢাকায় রাইড শেয়ারের সঙ্গে যুক্ত। শাহীন বলেন, ‘এখনো ঢাকা সিটিতে ট্রাফিক কন্ট্রোলিং (নিয়ন্ত্রণ) ভালোভাবে আসেনি। লোকাল বাস বেপরোয়া গাড়ি চালায়। মেইন রোডে অটোরিকশা উঠে যায়।’

শুধু বাংলামোটর কিংবা কারওয়ান বাজার মোড় নয়, ঢাকার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সড়কেও একই অবস্থা। অথচ ঢাকার যানজট নিরসনে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার নিয়োজিত বুয়েটের দুই পরামর্শক অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন ও ড. হাদিউজ্জামান ছয়টি পরামর্শ দিয়েছিলেন সরকারকে। এই ছয় পরামর্শের একটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তৈরি আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল বসানো। এই সুপারিশ বাস্তবায়নে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কাজ করছে বুয়েট। তবে বাকি সুপারিশগুলো রয়ে গেছে কাগজে-কলমে।

বুয়েটের এই দুই বিশেষজ্ঞের দেওয়া ছয় সুপারিশের অন্যগুলো হচ্ছে, মূল সড়ক থেকে অবৈধ রিকশা (ব্যাটারি ও প্যাডেলচালিত) সরানো; ছোট যেসব মোড় আছে, সেখানে সিগন্যালের সময় সর্বোচ্চ দুই মিনিট আর বড় মোড়ে সিগন্যাল সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিটের বেশি স্থায়ী না করা; ছোট মোড়ে ৫০ মিটার ও বড় মোড়ে ১০০ মিটারের মধ্যে গাড়ি পার্কিং, যাত্রী ওঠানো-নামানো ও থামানো বন্ধ করা। এ ছাড়া ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এবং দুই সিটি করপোরেশন থেকে নির্ধারিত বাস স্টপেজ ছাড়া অন্য কোথাও যাত্রী ওঠানো-নামানো বন্ধ করা, এসব স্টপেজে একটার পাশে আরেকটা বাস দাঁড়াতে না দেওয়া এবং পুলিশের সাধারণ কার্যক্রম ৫ আগস্টের আগে যেমন ছিল, সেই অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কথা বলা হয় সুপারিশে। বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে আরও বলা হয়, ঢাকা শহরে ট্রাফিক পুলিশের যে আটটি বিভাগ রয়েছে, সেগুলোর প্রতিটিতে একটি মোবাইল টিম কাজ করবে। এই টিমে প্রশিক্ষিত একজন ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ার, একজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা, ডিটিসিএ ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা থাকবেন। তাঁদের কাজ হবে ঘুরে ঘুরে সমস্যা দেখা এবং সেগুলোর সমাধানে কাজ করা।

সুপারিশগুলো দেওয়ার সময় দুই মাসের মধ্যে পাইলট প্রকল্প চালু এবং এক মাসের মধ্যে ছয় সুপারিশ বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও গত চার মাসেও তা কার্যকর হয়নি। জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে ট্রাফিক পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। যাত্রীরা মোড় থেকে বাসে ওঠা-নামা করছে। পথচারীরা যানবাহন থামিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে।’

জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান বলেন, প্রধান সড়কে অবৈধ রিকশা সামান্য কমলেও অন্য সুপারিশগুলোর দৃশ্যমান অগ্রগতি তেমন নেই। সমস্যাগুলো জটিল পর্যায়ে চলে গেছে। চারা পর্যায়ে সমাধান না করায় সমস্যা এখন বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। সমস্যা নিরসনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অদৃশ্য শক্তি। দায়িত্বশীল সংস্থাগুলো চেষ্টা করছে, কিন্তু বলার মতো পরিবর্তন হয়নি।

আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল বসানোর প্রকল্পেও ধীরগতি

বুয়েটের দুই পরামর্শক কারওয়ান বাজার, বাংলামোটরসহ রাজধানীর চারটি মোড়ে পাইলট প্রকল্পের আওতায় বুয়েটের তৈরি আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল সচল করার কথা বলেছিলেন। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তখন জানিয়েছিলেন, প্রকল্পটি পরীক্ষামূলকভাবে হাইকোর্ট থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত ২২টি মোড়ে চালু হবে। প্রথম ধাপে চারটি মোড়ে কাজ শেষ হলে পরবর্তী তিন মাসে বাকি ১৮টি মোড়ে সিগন্যাল স্থাপন করা হবে। চারটি মোড় হচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অংশ ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনের মোড় ও বাংলামোটর মোড় এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অংশ কারওয়ান বাজার মোড় ও ফার্মগেট মোড়। প্রকল্পটি পরিচালনায় বুয়েট থেকে প্রশিক্ষিত একজন অপারেটর থাকবেন, যিনি স্থানীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন। প্রকল্প শেষে ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থাপনা ঢাকার‍ দুই সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। প্রকল্পে নিজ নিজ এলাকায় অর্থায়ন করবে দুই সিটি করপোরেশন।

আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যালের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এখনো তারা আমাদের টাকা দেয়নি। আমাদের কথা সিম্পল, যেদিন ফান্ডিং হবে, তার ছয় মাসের মধ্যে এটা শেষ দেখতে চাই। দুই মাসের মধ্যে চারটি মোড়। বাকি মোড়ের কাজ পরবর্তী চার মাসের মধ্যে শেষ হবে।’

তবে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুয়েট ও পুলিশ বিভাগের সহযোগিতায় ট্রাফিক সিগন্যাল আধুনিকায়নে কার্যক্রম শুরু করব। বুয়েটের সঙ্গে এরই মধ্যে চুক্তি হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি, তাদের নির্দেশনা চেয়েছি। তা ছাড়া আগামী করপোরেশন সভায় আমরা বাকি সিদ্ধান্ত নেব।’

অন্যদিকে ডিএসসিসির ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের প্রকৌশলী রাজীব খাদেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুয়েটের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। অফিশিয়াল কিছু প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। প্রক্রিয়া শেষে ধাপে ধাপে অর্থায়ন করা হবে।’

সার্বিক বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে নগর-পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ট্রাফিক সমস্যার সমাধান অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকারে নেই। ঢাকার ট্রাফিক সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক উদ্যোগ দরকার। তবে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। পাইলট প্রকল্প নিয়ে ঠিকমতো পরিকল্পনায়ই হয়নি বোঝা যাচ্ছে, বাস্তবায়িত হবে কীভাবে। এটাকে অগ্রাধিকার না দিলে এই গল্পগুলো আগের সরকারের মতোই হবে। কোনো পরিবর্তন হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা স্থগিত

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে নিরাপদ থাকবে যে দেশগুলো

ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করায় ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

পুলিশ কর্মকর্তা ৪ বার ধর্ষণ করেছে—মহারাষ্ট্রে নারী চিকিৎসকের হাতে লেখা সুইসাইড নোট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুলশানের বিলস বারে ৪৬৬ বোতল বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার ৯

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিবেদক
রাজধানীর গুলশানের বিলস বার থেকে জব্দ মদ ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর গুলশানের বিলস বার থেকে জব্দ মদ ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর গুলশানের বিলস আর্ট লাউঞ্জ লিমিটেড রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ডিএমপির গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ওসি মো. হাফিজুর জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশান-১-এর গুলশান দক্ষিণ অ্যাভিনিউর বিলস আর্ট লাউঞ্জ রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বারে অভিযান চালিয়ে ৪৬৬ বোতল বিভিন্ন ব্রান্ডের বিদেশি মদসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জব্দ এসব মদের মূল্য ৬৭ লাখ ৯১ হাজার টাকা।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সৈয়দ আসিফ (২৪), রাকিব খান (২০), তানভির আহমেদ (২৮), নয়ন চক্রবর্তী (২৮), বেল্লাল হাওলাদার (৪০), জহিরুল ইসলাম (৩৩), সাগর নকরেক (২৭), সাইফুল ইসলাম রকি (৩৪) ও মেহেদী হাসান শিকদার (৪০)।

রাজধানীর গুলশানের বিলস বার থেকে জব্দ মদ ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর গুলশানের বিলস বার থেকে জব্দ মদ ও গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, বিলস আর্ট বারটির দেশীয় কেরু অ্যান্ড কোং কোম্পানির অনুমোদিত পাঁচটি ব্রান্ডের মদ বিক্রির অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু তারা অবৈধভাবে বিদেশি মদ মজুত রেখে বিক্রি করে আসছিল; যার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে ভবনটির ষষ্ঠ তলার চিলেকোঠা থেকে এসব বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় আজ (শুক্রবার) গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি হাফিজ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা স্থগিত

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে নিরাপদ থাকবে যে দেশগুলো

ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করায় ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

পুলিশ কর্মকর্তা ৪ বার ধর্ষণ করেছে—মহারাষ্ট্রে নারী চিকিৎসকের হাতে লেখা সুইসাইড নোট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকার মেট্রোরেল মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবি

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্প সম্প্রসারণের দাবিতে মতবিনিময় সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্প সম্প্রসারণের দাবিতে মতবিনিময় সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্প সম্প্রসারণের দাবিতে মতবিনিময় সভা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সফিউদ্দিন আহমেদ মিলনায়তনে ‘ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ মেট্রোরেল দাবি পরিষদের উদ্যোগে এ সভা হয়।

সংগঠনের আহ্বায়ক মো. মঞ্জুর মোর্শেদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সদস্যসচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. মজিবুর রহমান, মুন্সিগঞ্জ শহর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাহবুব উল আলম স্বপন, মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি বাছির উদ্দিন জুয়েল, সহসভাপতি মো. গোলজার হোসেন, অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য সদস্য।

সভায় বক্তারা বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণ বাস্তবায়িত হলে জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের যাতায়াত সমস্যা দূর হবে। এতে ঢাকা ও মুন্সিগঞ্জের মধ্যে আধুনিক ও দ্রুত যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মুন্সিগঞ্জের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।

সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মেট্রোরেল সম্প্রসারণের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন আয়োজন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি।

আহ্বায়ক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের কাছে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানাব। মুন্সিগঞ্জবাসীর স্বচ্ছ ও দ্রুত যাতায়াতের অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিবাদী ও সক্রিয় থাকব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা স্থগিত

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে নিরাপদ থাকবে যে দেশগুলো

ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করায় ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

পুলিশ কর্মকর্তা ৪ বার ধর্ষণ করেছে—মহারাষ্ট্রে নারী চিকিৎসকের হাতে লেখা সুইসাইড নোট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে শাহ আরেফিন (র.) মাজার ধ্বংসের হোতা বশর আটক

সিলেট প্রতিনিধি
বশর মিয়া ওরফে বশর কোম্পানি। ছবি: সংগৃহীত
বশর মিয়া ওরফে বশর কোম্পানি। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন (র.)-এর মাজার খুঁড়ে পাথর তুলে ধ্বংসের হোতা বশর মিয়া ওরফে বশর কোম্পানিকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় নিজ ঘর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। তাঁকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আব্দুল মালেক নামের আরেকজনকে আটক করে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়।

বশর উপজেলার জালিয়ারপাড় গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে। আব্দুল মালেক উপজেলার বৈশাখান্দী বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শুরু হয় শাহ আরেফিন টিলা থেকে পাথর উত্তোলন। এ সময় প্রায় ৭’শ বছরের পুরোনো শাহ আরেফিন (র.)-এর মাজারে স্তূপ করে রাখা প্রায় ২ কোটি টাকার পাথর লুটপাট করা হয়। এরপর মাজারের শতবর্ষী গাছপালা কেটে নিয়ে সেখানে গর্ত করে পাথর উত্তোলন শুরু হয়। দীর্ঘ ১ বছর পাথর উত্তোলন করে বিলীন করা হয়েছে মাজারের কবরস্থান ও খেলার মাঠ। আর এ সবই হয়েছে বশর কোম্পানির নেতৃত্বে।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় পুলিশ ও বিজিবিকে সঙ্গে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাথর লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালান। অভিযানে শাহ আরেফিন ধ্বংসের হোতা বশর মিয়া এবং আব্দুল মালেক নামের আরও একজনকে আটক করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বশর কোম্পানি আগে থেকেই শাহ আরেফিন টিলা ধ্বংসের বেশ কয়েকটি মামলার আসামি। তা ছাড়া অস্ত্র এবং পুলিশের ওপর হামলার মামলাও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তিনি এলাকায় খুব প্রভাবশালী হওয়ায় সহজে কেউ কথা বলতে চায় না। ভাইদের দিয়ে তিনি শাহ আরেফিন টিলা ও মাজার ধ্বংস করে পাথর উত্তোলন করান। তবে এ নিয়ে বেশ কয়েকবার মাজার রক্ষাকারীদের সঙ্গে তাঁদের মারামারি হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ জানান, বশর মিয়ার বিরুদ্ধে ৪টি নিয়মিত মামলা রয়েছে। তা ছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাঁকে ১ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আব্দুল মালেককে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়। তাঁদেরকে আজ শুক্রবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা স্থগিত

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে নিরাপদ থাকবে যে দেশগুলো

ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করায় ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

পুলিশ কর্মকর্তা ৪ বার ধর্ষণ করেছে—মহারাষ্ট্রে নারী চিকিৎসকের হাতে লেখা সুইসাইড নোট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘দেশে শয়তানের প্রয়োজন নেই, জামায়াতই যথেষ্ট’

­যশোর প্রতিনিধি
বাঘারপাড়া চৌরাস্তা মোড়ে বিএনপির সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাঘারপাড়া চৌরাস্তা মোড়ে বিএনপির সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের লোকজন দাড়ি-টুপি পরে জামায়াত হয়েছে। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ দেশে আর শয়তানের প্রয়োজন নেই, জামায়াতই যথেষ্ট’—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সহসভাপতি মতিয়ার রহমান ফারাজী।

আজ শুক্রবার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে যশোর-৪ আসনে (অভয়নগর ও বাঘারপাড়া উপজেলা) শোডাউন করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পরে বাঘারপাড়া চৌরাস্তা মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে শ্রমিক দলনেতা মতিয়ার রহমান ফারাজী বলেন, ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগের দোসর জামায়াত এখন বিএনপির অন্যতম রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। ৫ আগস্ট পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগের লোকজন দাড়ি-টুপি পরে জামায়াত হয়েছে।

তারা এখন জান্নাত হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এ দেশে আর শয়তানের প্রয়োজন নেই, জামায়াতই যথেষ্ট। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে দেশকে রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপিকে বিজয়ী করতে হবে।

পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের সিদ্দিকী, মশিয়ার রহমান, অভয়নগর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মোল্লা, সাবেক পৌর মেয়র রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে ‘আন্তর্জাতিক’ ঘোষণা স্থগিত

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে নিরাপদ থাকবে যে দেশগুলো

ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করায় ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

প্রতিবেশীদের ছাড়াই পরাশক্তি হওয়ার উচ্চাভিলাষ ভারতের, পারবে কি

পুলিশ কর্মকর্তা ৪ বার ধর্ষণ করেছে—মহারাষ্ট্রে নারী চিকিৎসকের হাতে লেখা সুইসাইড নোট

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত