Ajker Patrika

আদালতে মামলা করতে এসে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, ২ আসামি কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০: ০৩
Thumbnail image

ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত প্রাঙ্গণে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুই আসামি হলেন ফজলুল হক ও মো. রুবেল। 

ফজলুল হক সিজিএম আদালতের পানির পাম্পের দায়িত্বে আছেন। তিনি গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে খণ্ডকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত। আর রুবেল আদালত এলাকায় পানি সাপ্লাই দেন।

বিকেলে ঢাকার কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর দায়ের করা মামলায় দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসান মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। 

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
চিপ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোতোয়ালি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই আবুল কালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে স্বামীর সঙ্গে ওই গৃহবধূর যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। খবর নিয়ে জানতে পারেন, তাঁর অনুমতি ছাড়া ঢাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন স্বামী। বিস্তারিত জানার জন্য এক মাস ঢাকায় তাঁর স্বামীর ভাড়া বাসা মোহাম্মদপুর থানাধীন মন্দির গলির একটি বাড়ির পঞ্চম তলায় ওঠেন। স্বামীর সঙ্গে ২০-২৫ দিন থাকার পর তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করেন। পরে তিনি মোহাম্মদপুর থানায় জিডি করতে যান। জিডির খবর পেয়ে তাঁর স্বামী বাসা ছেড়ে দ্বিতীয় স্ত্রীসহ বগুড়ায় চলে যান। বাদী তখন তাঁর গ্রামের বাড়িতে চলে যান। গত ২১ জানুয়ারি তিনি আবার ঢাকায় আসেন। ২৮ জানুয়ারি দুপুর ২টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদাল চত্বরে যান। সেখানে গিয়ে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য একজন আইনজীবী খোঁজ করার সময় আসামি মো. ফজলুলের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাঁর পরিচিত একজন ভালো আইনজীবী আছে বলে ফজলু তাঁকে জানান এবং তাঁর সঙ্গে যাওয়ার জন্য বলেন। 

ফজলুল হকের কথায় বিশ্বাস করে গৃহবধূ একজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার জন্য ২৮ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মেইন গেট-সংলগ্ন পানির পাম্পে ফজলুর থাকার রুমে নিয়ে যান। তাকে রুমের ভেতরে বসিয়ে রেখে আইনজীবীকে ডেকে নিয়ে আসার জন্য বাইরে যান। কিছু সময় পর ফজলু তাঁর হাতে চারটি ওয়ানটাইম চায়ের কাপসহ আসামি রুবেল ও অজ্ঞাতনামা আরও এক আসামিসহ ওই রুমের ভেতরে আসেন। এরপর ফজলু একটি ওয়ানটাইম কাপে বাদীকে পান করার জন্য এক কাপ চা দেন। বাদী চা পান করার পর তাঁর তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব আসে। পরে আসামিরা তাঁকে ধর্ষণ করেন।

এ অভিযোগে ওই গৃহবধূ কোতোয়ালি থানায় ৩১ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন। আজ বৃহস্পতিবারে সকালে কোতোয়ালি থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত