Ajker Patrika

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ২১৭ দোকান ক্ষতিগ্রস্ত: ডিএনসিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪: ০৯
Thumbnail image

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেছেন, ‘অবৈধ দোকানগুলো ছিল ফুটপাতে। আমাদের বরাদ্দ দেওয়া ৩১৭টি দোকান ছিল। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত আমরা যে তথ্য পেয়েছি, ২১৭টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ 

আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। 

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসও বলেছে ভেতরে পর্যাপ্ত অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। এ ব্যাপারে আমাদের সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। মার্কেটের ব্যবসায়ী যাঁরা আছেন, যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, আমরা তাঁদের তালিকা করছি। বিভিন্ন সংস্থা এগিয়ে আসবে। আমরা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তাঁদের পাশে দাঁড়াব। আমাদের কর্মীরা কাজ করছেন। যতটুকু সম্ভব ডিএনসিসির পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।’ 

ডিএনসিসির অধীনে থাকা মার্কেটটিতে আগুন নেভানোর কোনো যন্ত্র ছিল না। ডিএনসিসির ভূমিকা কী ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে বাজার সমিতি আছে, তাদের আমরা এই কাজগুলো করার জন্য বারবার নির্দেশনা দিয়েছি, অনুরোধ করেছি। এই কাজগুলো না করার কারণেই আমরা এখন এর ভয়াবহতা দেখতে পাচ্ছি।’ 

মালিক সমিতি ও ব্যবস্থাপনা কমিটি দায়ী কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা তদন্ত করে জানা যাবে কারা দায়ী ছিল। তদন্তেই বেরিয়ে আসবে।’ 

রাজধানীতে ৯টি ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটের মধ্যে মোহাম্মদপুরে দুটি মার্কেট রয়েছে, যেখানে অগ্নি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। এই মার্কেটেও অগ্নি নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। এই মার্কেট কেন তাহলে তালিকায় এল না জানতে চাইলে সেলিম রেজা বলেন, ‘যেই কমিটি তখন কাজ করেছে, সে সময় এই মার্কেট তালিকায় ঢোকেনি। উত্তর সিটি করপোরেশনের আটটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। ভবন ও যেই মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে, সেগুলো ম্যাজিস্ট্রেটকে আমরা বলে দিয়েছি ১৫ দিন বা এক মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে। কোনো বাধা, কোনো কিছুর মুখেই আমরা আর থামব না। এই ভবনগুলোতে ব্যবসায়ী এবং বসবাসকারী যাঁরাই থাকুন, তাঁদের সেখান থেকে বের করে দিয়ে ভবনগুলো সিলগালা করে দিতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ভবনগুলো ফাঁকা করতে হবে। এই লক্ষ্যে আমরা ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করে দিয়েছি। তাঁরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজগুলো সম্পন্ন করবেন।’ 

ঢাকা জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান বলেছেন, ‘জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের একটি তালিকা করব। তারপর আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের মানবিক সহায়তার চেষ্টা করব। আমরা এখনই মাঠে আছি। এটিই হলো আমাদের প্রথম উদ্যোগ।’

আরও পড়ুন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত