নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে নবম দিনের মতো জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ বুধবারও অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন শিক্ষকেরা। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা মাঠ ছাড়বেন না। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) ডাকে গত ১১ জুলাই থেকে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন শিক্ষকেরা।
এদিকে এই আন্দোলন চলা অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার করোনার শিখনঘাটতি রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিতে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন শিক্ষকেরা। দাবি আদায়ের জন্য মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ইউনিটের শিক্ষকদের নেতা-কর্মীরা। শিক্ষকদের অবস্থান ধর্মঘটের কারণে বন্ধ রয়েছে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা দিয়ে যান চলাচল। এতে তীব্র দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
শিক্ষকদের এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত রবি ও সোমবার সারা দেশে ক্লাস বন্ধ রেখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। গত সোমবার লাগাতার অবস্থানের একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাউশির মাধ্যমিক ও কলেজ শাখা পরিচালক, একজন উপপরিচালক ও পুলিশের কয়েকজন সদস্য।
টানা আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে শিক্ষক প্রতিনিধিদের দাবির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা এবং আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দেন মাউশি মহাপরিচালক। এ সময় তিনি চলমান আন্দোলন স্থগিতের জন্য শিক্ষক নেতাদের অনুরোধ করেন। তবে বৈঠক থেকে বের হয়ে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতারা।
অন্যদিকে করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের শিখনঘাটতি রোধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ পাঁচ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা নেওয়ারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার মাউশি পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল কবির স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ বলা হয়, দৈনন্দিন শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে শিক্ষকদের ও তা পর্যবেক্ষণে প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিয়মিত উপস্থিতি অপরিহার্য। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও কোনো কোনো শিক্ষক নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করছেন। পাশাপাশি এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডিরও কোনোরূপ নজরদারি না থাকায় নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়নি। ফলে এখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ক্লাস নেওয়াসহ গভীর নজর দেওয়া হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষকদের অনিয়মিত উপস্থিতি এই কার্যক্রমসহ শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ ক্ষুণ্ন করছে।
অফিস আদেশে পাঁচ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। এগুলো হলো প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির সক্রিয় তদারকি, শিক্ষকদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানপ্রধানের কার্যকর ভূমিকা, কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে শিক্ষার্থীদের শিখনঘাটতি পূরণে গৃহীত বিশেষ ব্যবস্থা কার্যকর, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে কোনোরূপ মিথ্যা ও উসকানিমূলক প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করা, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।
জানতে চাইলে বিটিএর সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমদ বলেন, ‘দাবি আদায় না হলে মাঠ ছাড়ব না। দাবি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। আলোচনা চলমান অবস্থায় গতকাল মাউশি যে চিঠি দিয়েছে তা শিক্ষকদের কাঙ্ক্ষিত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দাবি নিয়ে আজ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বসার কথা রয়েছে। তবে কখন, কোথায় বসা হবে তা এখনো জানানো হয়নি।’
বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে নবম দিনের মতো জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ বুধবারও অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন শিক্ষকেরা। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা মাঠ ছাড়বেন না। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) ডাকে গত ১১ জুলাই থেকে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন শিক্ষকেরা।
এদিকে এই আন্দোলন চলা অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার করোনার শিখনঘাটতি রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিতে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন শিক্ষকেরা। দাবি আদায়ের জন্য মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ইউনিটের শিক্ষকদের নেতা-কর্মীরা। শিক্ষকদের অবস্থান ধর্মঘটের কারণে বন্ধ রয়েছে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা দিয়ে যান চলাচল। এতে তীব্র দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
শিক্ষকদের এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত রবি ও সোমবার সারা দেশে ক্লাস বন্ধ রেখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। গত সোমবার লাগাতার অবস্থানের একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মাউশির মাধ্যমিক ও কলেজ শাখা পরিচালক, একজন উপপরিচালক ও পুলিশের কয়েকজন সদস্য।
টানা আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে শিক্ষক প্রতিনিধিদের দাবির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা এবং আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দেন মাউশি মহাপরিচালক। এ সময় তিনি চলমান আন্দোলন স্থগিতের জন্য শিক্ষক নেতাদের অনুরোধ করেন। তবে বৈঠক থেকে বের হয়ে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতারা।
অন্যদিকে করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের শিখনঘাটতি রোধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ পাঁচ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা নেওয়ারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার মাউশি পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল কবির স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ বলা হয়, দৈনন্দিন শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে শিক্ষকদের ও তা পর্যবেক্ষণে প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিয়মিত উপস্থিতি অপরিহার্য। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও কোনো কোনো শিক্ষক নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করছেন। পাশাপাশি এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডিরও কোনোরূপ নজরদারি না থাকায় নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়নি। ফলে এখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ক্লাস নেওয়াসহ গভীর নজর দেওয়া হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষকদের অনিয়মিত উপস্থিতি এই কার্যক্রমসহ শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ ক্ষুণ্ন করছে।
অফিস আদেশে পাঁচ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। এগুলো হলো প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির সক্রিয় তদারকি, শিক্ষকদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানপ্রধানের কার্যকর ভূমিকা, কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে শিক্ষার্থীদের শিখনঘাটতি পূরণে গৃহীত বিশেষ ব্যবস্থা কার্যকর, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে কোনোরূপ মিথ্যা ও উসকানিমূলক প্রচারণায় অংশগ্রহণ না করা, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।
জানতে চাইলে বিটিএর সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমদ বলেন, ‘দাবি আদায় না হলে মাঠ ছাড়ব না। দাবি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। আলোচনা চলমান অবস্থায় গতকাল মাউশি যে চিঠি দিয়েছে তা শিক্ষকদের কাঙ্ক্ষিত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দাবি নিয়ে আজ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বসার কথা রয়েছে। তবে কখন, কোথায় বসা হবে তা এখনো জানানো হয়নি।’
চাকরি স্থায়ীকরণের এক দফার দাবিতে চার দিন ধরে দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির আউটসোর্সিং অস্থায়ী কর্মচারীরা আমরণ অনশন করছেন।
৩ মিনিট আগেসীতাকুণ্ডে পোষা কুকুর দিয়ে দলছুট হরিণ শিকার করার অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের অলিনগর বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপকূলীয় বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
১৫ মিনিট আগেসম্পদের হিসাব দাখিল না করার অভিযোগে দুদকের করা মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাঁর পক্ষে করা আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি সহিদুল করিমের একক বেঞ্চ আজ সোমবার এই রায় দেন
২৫ মিনিট আগেবগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের মাঝিড়া বাসস্ট্যান্ডে ট্রাক ও বাসচাপার আলাদা দুটি ঘটনায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকাল ১০টা ও বিকেল পৌনে ৪টার দিকে একজন রিকশাচালক ও অজ্ঞাতনামা এক কিশোর (১৫) নিহত হয়।
২৭ মিনিট আগে