Ajker Patrika

ধামরাইয়ে পুলিশ সদস্যের বাল্যবিবাহ, ঠেকাতে ব্যর্থ প্রশাসন

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
ধামরাইয়ে পুলিশ সদস্যের বাল্যবিবাহ, ঠেকাতে ব্যর্থ প্রশাসন

ঢাকার ধামরাইয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করলেন এক পুলিশ সদস্য। বিষয়টি জানার পর প্রশাসন থেকে নিষেধ করার পর বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। বর পক্ষের দাবি, দুজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে না করলে মেয়ে আত্মহত্যার করবে বলে হুমকি দিয়েছে। তাই দ্রুত এই বিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

গত শুক্রবার (৩ মার্চ) ধামরাই উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের গুরুগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বর একই উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের চন্ডিশ্বর গ্রামের মৃত আবদুল গফুরের ছেলে শরিফুল ইসলাম। তিনি একজন পুলিশ সদস্য। 

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, যাদবপুর ইউনিয়নের গুরুগ্রাম দক্ষিণপাড়ার নুরুল ইসলামের মেয়ের সঙ্গে শুক্রবার (৩ মার্চ) বিয়ে সম্পন্ন হয়। এরপর পরের দিন শনিবার ছেলের বাড়িতে বউভাতের আয়োজন করা হয়। 

অভিযোগ উঠেছে, ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবদুল মান্নানের উপস্থিতিতেই এই বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের খবর শুনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার লোক পাঠিয়ে দিয়ে ইউপি সদস্যকে বিয়ে বন্ধের জন্য বলেন। গত বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) গায়েহলুদের দিন যাদবপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম গিয়ে বিয়ে বন্ধের জন্য বলে আসেন। কিন্তু প্রশাসনের কথায় কর্ণপাত না করে গত শুক্রবার বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, ‘মেয়েটি নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। আর ছেলে-মেয়ে দুজনের সঙ্গেই কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। ওই ছেলের কাছে বিয়ে না দিলে মেয়ে আত্মহত্যা করার হুমকি দিয়েছে। আত্মহত্যার বিষয়টি আমি এসিল্যান্ড ম্যাডামকে বুঝিয়ে বলেছি। যাদবপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম এসেছিলেন। তাকেও বুঝিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়াতে কোর্ট ম্যারেজ করানো হয়েছে।’ 

কনের বাবা বলেন, ‘ভালো ছেলে পেয়েছি তাই বিয়ে দিয়েছি।’ তবে তিনিও কোর্ট ম্যারেজের কথা বলেন। 

বরের বড় ভাই শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি জানি এটা বাল্যবিবাহ। কিন্তু দুজনের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এখন কোনো অঘটন ঘটানোর আগেই বিয়ে দিয়ে দিলাম। আপনি এই কয় হাজার টাকা রাখেন, নিউজ করার দরকার নাই।’ 

পুলিশ সদস্য বর শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ওই মেয়ের সঙ্গে আমার তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। এখন বিয়ে না করলে মেয়ে আত্মহত্যা করবে বলে জানিয়েছে। তাই জেনেশুনেই কোর্ট ম্যারেজ করেছি। তবে কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়নি। স্থানীয় হুজুর দিয়ে বিয়ে পড়ানো হয়েছে।’ 

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খালেদা আক্তার বলেন, ‘এখানে আমার করার কিছু নেই। তবে বিয়ে বন্ধ করতে আমি আমার স্টাফকে পাঠিয়েছিলাম।’ 

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার বলেন, ‘আমি বাল্য বিয়ে দিতে নিষেধ করেছিলাম ইউপি সদস্য আবদুল মান্নানকে। কিন্তু বিয়ে হয়ে গেছে বিষয়টি আমি জানি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চকরিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

হোয়াইট হাউসে মধ্যাহ্নভোজের আগেই বের হয়ে যেতে বলা হয় জেলেনস্কিকে

‘আমাদের অনুমতি ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করলে থানা ঘেরাও করব’, সরকারি কর্মকর্তার বক্তব্য ভাইরাল

সৈয়দ জামিলের অভিযোগের জবাবে যা লিখলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা

এনসিপির কর্মীদের ঢাকায় আনতে সরকারের বাস রিকুইজিশন, সমালোচনার ঝড়

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত