নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা(ঢাকা)
রোল নম্বর ভুলের কারণে প্রবেশপত্র না পাওয়ায় এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারেনি ইয়াসির আরাফাত ও সাজ্জাদ হোসেন নামের উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই ছাত্র। এ ঘটনায় কলেজের শ্রেণিশিক্ষক আমিনুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
ভুক্তভোগী একজনের বাবা ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে। তাঁর অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ টাকা খেয়ে তাঁর ছেলের রোল নম্বর অন্য এক পরীক্ষার্থীকে দিয়েছে। ফলে পরীক্ষার আগের দিন রাতেও প্রবেশপত্র পায়নি তাঁর ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর দিন উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে পরীক্ষা চলছে আর কলেজের মূল ফটকের বাইরে বসে কান্না করছে মানবিক শাখার ইয়াসির ও সাজ্জাদ। তাদের অভিভাবকদেরও একই দশা।
পরীক্ষা দিতে না পারা ইয়াসিরের সঙ্গে কথা বলতে গেলে সে তার প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ইভানা তালুকদারের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে।
ইয়াসির আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘আমাদের পরীক্ষার প্রবেশপথ দেওয়ার কথা বলে গতকাল বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত বসিয়ে রাখেন প্রধান শিক্ষক ইভানা তালুকদার। পরে তিনি আজ সকালে প্রবেশপত্র দেওয়ার আশ্বাস দেন।’
সে বলে, ‘প্রধান শিক্ষক আমাদের হুমকি দিয়ে বলছেন—আমরা যে প্রবেশপত্র পাইনি, সে কথা যেন কাউকে না বলি। বললে আমাদের পরীক্ষা দিতে দিবেন না তিনি।’
এ বিষয়ে আরেক ভুক্তভোগী সাজ্জাদ বলে, ‘প্রতিষ্ঠানের ভুলের কারণে আজ আমরা পরীক্ষা দিতে পারিনি। আমাদের বন্ধুদের থেকে এক বছর পিছিয়ে পড়েছি আমরা। যাদের কারণে পিছিয়ে পড়েছি, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
সাজ্জাদ আক্ষেপ করে বলে, ‘দোষীদের যতই শাস্তি দেওয়া হোক না কেন, আমাদের এক বছর ফিরে আসবে না। আমি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর লেখাপড়া করতে চাই না। আর কোনো প্রতিষ্ঠান যেন এমন ভুল করে কোনো শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন নষ্ট না করে, সেই দাবি জানাই।’
পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সাজ্জাদের মা বিলকিস বেগম। ভারাক্রান্ত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘প্রবেশপত্রের জন্য সকাল থেকে স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে আছি। প্রতিষ্ঠানের কেউ যোগাযোগ করছে না, ফোনও ধরছে না। আমাদের ছেলের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে তারা।’
সাজ্জাদের বাবা আব্দুল গফুর অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলে এখানে দীর্ঘদিন লেখাপড়া করেছে। আমার ছেলের রোল ১০৯১। কিন্তু তারা আমার ছেলের রোল দিয়েছে ২০৯২। তারা টাকা খেয়ে আমার ছেলের রোলে অন্যজনকে ঢুকিয়ে দিয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ইভানা তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
তবে প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-১০-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলতে রাজি হন।
তিনি বলেন, ‘দুই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে না পারার ঘটনায় আমরা এরই মধ্যে যার দায়িত্ব ছিল, সেই শ্রেণিশিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। একই সঙ্গে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘এমন এক দুর্ঘটনায় আমরা খুবই মর্মাহত। রাতে জানার পরপরই শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, যেন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়।’
‘গত ১৭ বছর ধরে বিভিন্ন অনিয়মের মধ্যে চলছিল প্রতিষ্ঠানটি। অনিয়মগুলো বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করা হতো। সরকার তা বন্ধ করে দিয়েছে বলে এই ঘটনা প্রকাশ্য দিবালোকে এসেছে। আমরা এখন কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করব না,’ যোগ করেন তিনি।
রোল নম্বর ভুলের কারণে প্রবেশপত্র না পাওয়ায় এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারেনি ইয়াসির আরাফাত ও সাজ্জাদ হোসেন নামের উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই ছাত্র। এ ঘটনায় কলেজের শ্রেণিশিক্ষক আমিনুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
ভুক্তভোগী একজনের বাবা ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে। তাঁর অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ টাকা খেয়ে তাঁর ছেলের রোল নম্বর অন্য এক পরীক্ষার্থীকে দিয়েছে। ফলে পরীক্ষার আগের দিন রাতেও প্রবেশপত্র পায়নি তাঁর ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর দিন উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে পরীক্ষা চলছে আর কলেজের মূল ফটকের বাইরে বসে কান্না করছে মানবিক শাখার ইয়াসির ও সাজ্জাদ। তাদের অভিভাবকদেরও একই দশা।
পরীক্ষা দিতে না পারা ইয়াসিরের সঙ্গে কথা বলতে গেলে সে তার প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ইভানা তালুকদারের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে।
ইয়াসির আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘আমাদের পরীক্ষার প্রবেশপথ দেওয়ার কথা বলে গতকাল বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত বসিয়ে রাখেন প্রধান শিক্ষক ইভানা তালুকদার। পরে তিনি আজ সকালে প্রবেশপত্র দেওয়ার আশ্বাস দেন।’
সে বলে, ‘প্রধান শিক্ষক আমাদের হুমকি দিয়ে বলছেন—আমরা যে প্রবেশপত্র পাইনি, সে কথা যেন কাউকে না বলি। বললে আমাদের পরীক্ষা দিতে দিবেন না তিনি।’
এ বিষয়ে আরেক ভুক্তভোগী সাজ্জাদ বলে, ‘প্রতিষ্ঠানের ভুলের কারণে আজ আমরা পরীক্ষা দিতে পারিনি। আমাদের বন্ধুদের থেকে এক বছর পিছিয়ে পড়েছি আমরা। যাদের কারণে পিছিয়ে পড়েছি, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
সাজ্জাদ আক্ষেপ করে বলে, ‘দোষীদের যতই শাস্তি দেওয়া হোক না কেন, আমাদের এক বছর ফিরে আসবে না। আমি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর লেখাপড়া করতে চাই না। আর কোনো প্রতিষ্ঠান যেন এমন ভুল করে কোনো শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন নষ্ট না করে, সেই দাবি জানাই।’
পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সাজ্জাদের মা বিলকিস বেগম। ভারাক্রান্ত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘প্রবেশপত্রের জন্য সকাল থেকে স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে আছি। প্রতিষ্ঠানের কেউ যোগাযোগ করছে না, ফোনও ধরছে না। আমাদের ছেলের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে তারা।’
সাজ্জাদের বাবা আব্দুল গফুর অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলে এখানে দীর্ঘদিন লেখাপড়া করেছে। আমার ছেলের রোল ১০৯১। কিন্তু তারা আমার ছেলের রোল দিয়েছে ২০৯২। তারা টাকা খেয়ে আমার ছেলের রোলে অন্যজনকে ঢুকিয়ে দিয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ইভানা তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
তবে প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-১০-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলতে রাজি হন।
তিনি বলেন, ‘দুই শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে না পারার ঘটনায় আমরা এরই মধ্যে যার দায়িত্ব ছিল, সেই শ্রেণিশিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। একই সঙ্গে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘এমন এক দুর্ঘটনায় আমরা খুবই মর্মাহত। রাতে জানার পরপরই শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, যেন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়।’
‘গত ১৭ বছর ধরে বিভিন্ন অনিয়মের মধ্যে চলছিল প্রতিষ্ঠানটি। অনিয়মগুলো বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করা হতো। সরকার তা বন্ধ করে দিয়েছে বলে এই ঘটনা প্রকাশ্য দিবালোকে এসেছে। আমরা এখন কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করব না,’ যোগ করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ভাঙ্গা উপজেলার কৈডুবি সদরদি এলাকায় রেলপথের ৮১ নম্বর গেটে গাছের গুঁড়ি ফেলে রেখে আলগী ইউনিয়নবাসী বিক্ষোভ শুরু করেন। এই অবরোধের কারণে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেন আটকে পড়েছে।
৩৩ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন দিঘীরপাড় এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা এই অবরোধের ফলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়, যার কারণে অসংখ্য যাত্রী ও চালক চরম দুর্ভোগে পড়েন।
৪০ মিনিট আগেমেহেরপুরের গাংনীতে পরিত্যাক্ত অবস্থায় দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরী একটি অবৈধ সচল ওয়ান শুটার গান (আগ্নেয়াস্ত্র) উদ্ধার করেছে র্যাব-১২, সিপিসি-৩ মেহেরপুর। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার হিজলবাড়ী বটতলার মাঠ নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে ওয়ান শুটার গানটি উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে একটি মাদরাসায় গরু জবাই করে মাংস কাটার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে আসাদুজ্জামান ইশতিয়াক (১৫) নামের এক মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ইশতিয়াক মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।
১ ঘণ্টা আগে