নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন, ফ্যাসিবাদী কাঠামো, সংস্কৃতি ও চর্চার পুনরুৎপাদন রোধ করাসহ ৩৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট।
আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে ডাকসু কার্যালয়ের সামনে ইশতেহার পাঠ করেন প্যানেলের সহসাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী (এজিএস) প্রার্থী মহিউদ্দিন খান।
ছয়টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে ইশতেহার বাস্তবায়ন করবে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। প্রথম যে ছয়টি বিষয় অগ্রাধিকার দেবে, তা হলো— নিরাপদ ক্যাম্পাস, আবাসন সংকট সমাধান, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, চিকিৎসা সুবিধা ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, উন্নত পরিবহন, ক্যারিয়ার গঠনে পর্যান্ত তথ্য ও সেবা। এ ছাড়া অন্য ছয়টি বিষয়ে তারা না-বোধক বিষয় উল্লেখ করে বলে, কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি, নির্যাতন ও সহিংসতা, গণরুম-গেস্টরুম কালচার, বৈষম্যমূলক নীতি ও আচরণ, মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, লাঞ্চের পরে আসেন কালচার, ইসলামোফোবিয়া ও সাইবার বুলিং বন্ধ করবে বলে ইশতেহারে ঘোষণা করে তারা।
এজিএস প্রার্থী মহিউদ্দিন মোট ৩৬টি ইশতেহার ঘোষণা করেন। এসবের মধ্যে রয়েছে ডাকসু নির্বাচনকে একাডেমিক ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবছর নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন বাস্তবায়ন করা। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্তৃক নৃশংস হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আইনি শাস্তি নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে সামা, মোফাজ্জল ও আবু বকর হত্যাসহ ফ্যাসিবাদী আমলে সংঘটিত সব নিপীড়নের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা।
প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা। আবাসন সংকটের অস্থায়ী সমাধান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে অস্থায়ী হোস্টেল বা মাসিক আবাসন ভাতার ব্যবস্থা করা এবং স্থায়ী সমাধান হিসেবে হল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া।
নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিতকরণে হল ও অন্যান্য ক্যানটিন-ক্যাফেটেরিয়াতে পুষ্টিবিদের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে পুষ্টিকর খাবারের মেনু প্রণয়ন এবং তিন মাস অন্তর খাবারের মান পরীক্ষা করা। প্রতি ফ্যাকাল্টিতে মানসম্মত ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যানটিনের ব্যবস্থা করা। আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ ‘মিল ভাউচার’ চালু করা।
নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিত করা। ছাত্রী হলে পুরুষ কর্মচারী যথাসম্ভব কমিয়ে আনা এবং প্রক্টরিয়াল টিমে প্রয়োজনীয়সংখ্যক নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়া। কমনরুমে নারী কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া। মা শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং রুম ও চাইল্ড কেয়ার কর্নার স্থাপন করা।
ছাত্রীদের জন্য ছাত্রী হলে প্রবেশের বিধিনিষেধ শিথিল করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া। ছাত্রী হলে অভিভাবকদের জন্য ‘গার্ডিয়ান লাউঞ্জ’ স্থাপন করা।
ছাত্রীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধান কার্যকর করা। মাতৃত্বকালীন সময় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ক্লাসে উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা শিথিল করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সেবাকেন্দ্রিক লাল ফিতার দৌরাত্ম্য নিরসন করে ‘পেপারলেস রেজিস্ট্রার বিল্ডিং’ গড়ে তোলা। উচ্চশিক্ষায় বিদেশে গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চালু করা।
ডাকসু ওয়েবসাইট উন্নতকরণ এবং অ্যাপের মাধ্যমে ‘অ্যাকসেস টু রিসোর্সেস’ নিশ্চিত করা ও স্বচ্ছতা বাড়ানো। শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতিকে আরও কার্যকর করা এবং প্রতিটি বিভাগে উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আদলে ‘মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম’ চালু করা। প্রতি ফ্যাকাল্টিতে ই-লাইব্রেরি ও কম্পিউটার সেন্টার স্থাপন করা। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সেলিং সেবার পরিসর বাড়ানো। বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার মেরামত ও আধুনিকীকরণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো এবং ডিইউএমসি চালুর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও বেশি সহজলভ্য করা। মেডিকেল সেন্টারে চুক্তিভিত্তিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়োগ দেওয়া। বিশেষ করে, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ নারী চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা। শিক্ষার্থীদের নিয়ে রিসার্চবিষয়ক কর্মশালা করা। আন্তবিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ফেস্ট আয়োজন করা। স্মল রিসার্চ গ্র্যান্ট ও রিসার্চ ট্রাডেল গ্র্যান্ট চালু করা। গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করা ও গবেষণা সহজলভ্য করা। নিয়মিত সেমিনার ও কনফারেন্স আয়োজন করা এবং উচ্চমানের প্রকাশনা নিশ্চিত করা।
মহিউদ্দিন খান আরও বলেন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, বিজ্ঞান লাইব্রেরি, হল লাইব্রেরি ও পাঠকক্ষে এবং ডিপার্টমেন্টের সেমিনার কক্ষ সম্প্রসারণ করা। এগুলোর আধুনিকায়ন নিশ্চিত করে রিসোর্সগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সহজলভ্য করা। লাইব্রেরিসমূহ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসা। সারা দেশে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে স্মারকচুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করা। স্বাস্থ্যবিমাকেন্দ্রিক ভোগান্তি নিরসনে প্রশাসনের বিমা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্মারকচুক্তি করা। হলভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করা। ক্যাম্পাসের বিপণীকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় ফার্মেসি স্থাপন করা। ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জেড শিক্ষার্থীদের জন্য ‘অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি’ চালু করা। আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটকে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করা। প্রতিটি বিভাগে অন্তত একজন বিদেশি শিক্ষক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া। ল্যাঙ্গুয়েজ রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা।
ইশতেহারে মহিউদ্দিন আরও উল্লেখ করে বলেন, সফট স্কিল ডেভেলপমেন্টের ওপর ওয়ার্কশপ আয়োজন করা। উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ারবিষয়ক সেমিনার, কর্মশালার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে জব ফেয়ার আয়োজন করা। তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে স্টার্টআপ সামিট আয়োজন করা। অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে লাইব্রেরিগুলোতে উন্নত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করা। সায়েনা ওয়ার্কশপ, CARS ও CARASS-এর আধুনিকায়ন নিশ্চিত করা। গবেষণা সহায়ক সফটওয়্যার ও টুলসমূহের সহজলভাতা নিশ্চিত করা। বিশেষত, ইনিস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনলোজির (আইএলইটি) ল্যাবে আধুনিক মেশিনারিজ ক্রয় করার মাধ্যমে ল্যাবের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সমন্বয় করার মাধ্যমে চামড়াশিল্পে অবদান রাখার সুযোগের ক্ষেত্র বাড়ানো।
কেন্দ্রীয় মসজিদ, হল মসজিদ, মন্দির ও অন্য উপাসনালয়সমূহের অবকাঠামোগত সংস্কার ও উন্নয়ন করা। ছাত্রীদের ইবাদতের জন্য একাডেমিক এরিয়া বিশেষ করে কার্জন হল এলাকায় উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ।
ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে বহিরাগত যান নিয়ন্ত্রণ, ভাসমান চক্র ও ভবঘুরেদের উচ্ছেদ করা। ক্যাম্পাস এরিয়ায় রেজিস্ট্রার্ড রিকশা প্রবর্তন ও ভাড়ার তালিকা প্রণয়ন করা।
ইশতেহার পাঠের শেষে সমাপনী বক্তব্য দেন ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, ‘আমাদের জোট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জোট। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা যেটিকে নো বলেছি, সেটি থেকে মুক্তি পেয়েছি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন, ফ্যাসিবাদী কাঠামো, সংস্কৃতি ও চর্চার পুনরুৎপাদন রোধ করাসহ ৩৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট।
আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে ডাকসু কার্যালয়ের সামনে ইশতেহার পাঠ করেন প্যানেলের সহসাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী (এজিএস) প্রার্থী মহিউদ্দিন খান।
ছয়টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে ইশতেহার বাস্তবায়ন করবে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। প্রথম যে ছয়টি বিষয় অগ্রাধিকার দেবে, তা হলো— নিরাপদ ক্যাম্পাস, আবাসন সংকট সমাধান, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, চিকিৎসা সুবিধা ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, উন্নত পরিবহন, ক্যারিয়ার গঠনে পর্যান্ত তথ্য ও সেবা। এ ছাড়া অন্য ছয়টি বিষয়ে তারা না-বোধক বিষয় উল্লেখ করে বলে, কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি, নির্যাতন ও সহিংসতা, গণরুম-গেস্টরুম কালচার, বৈষম্যমূলক নীতি ও আচরণ, মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, লাঞ্চের পরে আসেন কালচার, ইসলামোফোবিয়া ও সাইবার বুলিং বন্ধ করবে বলে ইশতেহারে ঘোষণা করে তারা।
এজিএস প্রার্থী মহিউদ্দিন মোট ৩৬টি ইশতেহার ঘোষণা করেন। এসবের মধ্যে রয়েছে ডাকসু নির্বাচনকে একাডেমিক ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবছর নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন বাস্তবায়ন করা। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্তৃক নৃশংস হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আইনি শাস্তি নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে সামা, মোফাজ্জল ও আবু বকর হত্যাসহ ফ্যাসিবাদী আমলে সংঘটিত সব নিপীড়নের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা।
প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা। আবাসন সংকটের অস্থায়ী সমাধান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে অস্থায়ী হোস্টেল বা মাসিক আবাসন ভাতার ব্যবস্থা করা এবং স্থায়ী সমাধান হিসেবে হল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া।
নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিতকরণে হল ও অন্যান্য ক্যানটিন-ক্যাফেটেরিয়াতে পুষ্টিবিদের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে পুষ্টিকর খাবারের মেনু প্রণয়ন এবং তিন মাস অন্তর খাবারের মান পরীক্ষা করা। প্রতি ফ্যাকাল্টিতে মানসম্মত ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যানটিনের ব্যবস্থা করা। আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ ‘মিল ভাউচার’ চালু করা।
নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিত করা। ছাত্রী হলে পুরুষ কর্মচারী যথাসম্ভব কমিয়ে আনা এবং প্রক্টরিয়াল টিমে প্রয়োজনীয়সংখ্যক নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়া। কমনরুমে নারী কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া। মা শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং রুম ও চাইল্ড কেয়ার কর্নার স্থাপন করা।
ছাত্রীদের জন্য ছাত্রী হলে প্রবেশের বিধিনিষেধ শিথিল করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া। ছাত্রী হলে অভিভাবকদের জন্য ‘গার্ডিয়ান লাউঞ্জ’ স্থাপন করা।
ছাত্রীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধান কার্যকর করা। মাতৃত্বকালীন সময় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ক্লাসে উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা শিথিল করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সেবাকেন্দ্রিক লাল ফিতার দৌরাত্ম্য নিরসন করে ‘পেপারলেস রেজিস্ট্রার বিল্ডিং’ গড়ে তোলা। উচ্চশিক্ষায় বিদেশে গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চালু করা।
ডাকসু ওয়েবসাইট উন্নতকরণ এবং অ্যাপের মাধ্যমে ‘অ্যাকসেস টু রিসোর্সেস’ নিশ্চিত করা ও স্বচ্ছতা বাড়ানো। শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতিকে আরও কার্যকর করা এবং প্রতিটি বিভাগে উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আদলে ‘মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম’ চালু করা। প্রতি ফ্যাকাল্টিতে ই-লাইব্রেরি ও কম্পিউটার সেন্টার স্থাপন করা। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সেলিং সেবার পরিসর বাড়ানো। বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার মেরামত ও আধুনিকীকরণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো এবং ডিইউএমসি চালুর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও বেশি সহজলভ্য করা। মেডিকেল সেন্টারে চুক্তিভিত্তিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়োগ দেওয়া। বিশেষ করে, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ নারী চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা। শিক্ষার্থীদের নিয়ে রিসার্চবিষয়ক কর্মশালা করা। আন্তবিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ফেস্ট আয়োজন করা। স্মল রিসার্চ গ্র্যান্ট ও রিসার্চ ট্রাডেল গ্র্যান্ট চালু করা। গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করা ও গবেষণা সহজলভ্য করা। নিয়মিত সেমিনার ও কনফারেন্স আয়োজন করা এবং উচ্চমানের প্রকাশনা নিশ্চিত করা।
মহিউদ্দিন খান আরও বলেন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, বিজ্ঞান লাইব্রেরি, হল লাইব্রেরি ও পাঠকক্ষে এবং ডিপার্টমেন্টের সেমিনার কক্ষ সম্প্রসারণ করা। এগুলোর আধুনিকায়ন নিশ্চিত করে রিসোর্সগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সহজলভ্য করা। লাইব্রেরিসমূহ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসা। সারা দেশে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে স্মারকচুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করা। স্বাস্থ্যবিমাকেন্দ্রিক ভোগান্তি নিরসনে প্রশাসনের বিমা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্মারকচুক্তি করা। হলভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করা। ক্যাম্পাসের বিপণীকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় ফার্মেসি স্থাপন করা। ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জেড শিক্ষার্থীদের জন্য ‘অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি’ চালু করা। আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটকে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করা। প্রতিটি বিভাগে অন্তত একজন বিদেশি শিক্ষক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া। ল্যাঙ্গুয়েজ রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা।
ইশতেহারে মহিউদ্দিন আরও উল্লেখ করে বলেন, সফট স্কিল ডেভেলপমেন্টের ওপর ওয়ার্কশপ আয়োজন করা। উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ারবিষয়ক সেমিনার, কর্মশালার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে জব ফেয়ার আয়োজন করা। তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে স্টার্টআপ সামিট আয়োজন করা। অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে লাইব্রেরিগুলোতে উন্নত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করা। সায়েনা ওয়ার্কশপ, CARS ও CARASS-এর আধুনিকায়ন নিশ্চিত করা। গবেষণা সহায়ক সফটওয়্যার ও টুলসমূহের সহজলভাতা নিশ্চিত করা। বিশেষত, ইনিস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনলোজির (আইএলইটি) ল্যাবে আধুনিক মেশিনারিজ ক্রয় করার মাধ্যমে ল্যাবের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সমন্বয় করার মাধ্যমে চামড়াশিল্পে অবদান রাখার সুযোগের ক্ষেত্র বাড়ানো।
কেন্দ্রীয় মসজিদ, হল মসজিদ, মন্দির ও অন্য উপাসনালয়সমূহের অবকাঠামোগত সংস্কার ও উন্নয়ন করা। ছাত্রীদের ইবাদতের জন্য একাডেমিক এরিয়া বিশেষ করে কার্জন হল এলাকায় উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ।
ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে বহিরাগত যান নিয়ন্ত্রণ, ভাসমান চক্র ও ভবঘুরেদের উচ্ছেদ করা। ক্যাম্পাস এরিয়ায় রেজিস্ট্রার্ড রিকশা প্রবর্তন ও ভাড়ার তালিকা প্রণয়ন করা।
ইশতেহার পাঠের শেষে সমাপনী বক্তব্য দেন ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, ‘আমাদের জোট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জোট। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা যেটিকে নো বলেছি, সেটি থেকে মুক্তি পেয়েছি।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন, ফ্যাসিবাদী কাঠামো, সংস্কৃতি ও চর্চার পুনরুৎপাদন রোধ করাসহ ৩৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট।
আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে ডাকসু কার্যালয়ের সামনে ইশতেহার পাঠ করেন প্যানেলের সহসাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী (এজিএস) প্রার্থী মহিউদ্দিন খান।
ছয়টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে ইশতেহার বাস্তবায়ন করবে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। প্রথম যে ছয়টি বিষয় অগ্রাধিকার দেবে, তা হলো— নিরাপদ ক্যাম্পাস, আবাসন সংকট সমাধান, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, চিকিৎসা সুবিধা ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, উন্নত পরিবহন, ক্যারিয়ার গঠনে পর্যান্ত তথ্য ও সেবা। এ ছাড়া অন্য ছয়টি বিষয়ে তারা না-বোধক বিষয় উল্লেখ করে বলে, কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি, নির্যাতন ও সহিংসতা, গণরুম-গেস্টরুম কালচার, বৈষম্যমূলক নীতি ও আচরণ, মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, লাঞ্চের পরে আসেন কালচার, ইসলামোফোবিয়া ও সাইবার বুলিং বন্ধ করবে বলে ইশতেহারে ঘোষণা করে তারা।
এজিএস প্রার্থী মহিউদ্দিন মোট ৩৬টি ইশতেহার ঘোষণা করেন। এসবের মধ্যে রয়েছে ডাকসু নির্বাচনকে একাডেমিক ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবছর নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন বাস্তবায়ন করা। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্তৃক নৃশংস হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আইনি শাস্তি নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে সামা, মোফাজ্জল ও আবু বকর হত্যাসহ ফ্যাসিবাদী আমলে সংঘটিত সব নিপীড়নের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা।
প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা। আবাসন সংকটের অস্থায়ী সমাধান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে অস্থায়ী হোস্টেল বা মাসিক আবাসন ভাতার ব্যবস্থা করা এবং স্থায়ী সমাধান হিসেবে হল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া।
নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিতকরণে হল ও অন্যান্য ক্যানটিন-ক্যাফেটেরিয়াতে পুষ্টিবিদের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে পুষ্টিকর খাবারের মেনু প্রণয়ন এবং তিন মাস অন্তর খাবারের মান পরীক্ষা করা। প্রতি ফ্যাকাল্টিতে মানসম্মত ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যানটিনের ব্যবস্থা করা। আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ ‘মিল ভাউচার’ চালু করা।
নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিত করা। ছাত্রী হলে পুরুষ কর্মচারী যথাসম্ভব কমিয়ে আনা এবং প্রক্টরিয়াল টিমে প্রয়োজনীয়সংখ্যক নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়া। কমনরুমে নারী কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া। মা শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং রুম ও চাইল্ড কেয়ার কর্নার স্থাপন করা।
ছাত্রীদের জন্য ছাত্রী হলে প্রবেশের বিধিনিষেধ শিথিল করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া। ছাত্রী হলে অভিভাবকদের জন্য ‘গার্ডিয়ান লাউঞ্জ’ স্থাপন করা।
ছাত্রীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধান কার্যকর করা। মাতৃত্বকালীন সময় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ক্লাসে উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা শিথিল করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সেবাকেন্দ্রিক লাল ফিতার দৌরাত্ম্য নিরসন করে ‘পেপারলেস রেজিস্ট্রার বিল্ডিং’ গড়ে তোলা। উচ্চশিক্ষায় বিদেশে গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চালু করা।
ডাকসু ওয়েবসাইট উন্নতকরণ এবং অ্যাপের মাধ্যমে ‘অ্যাকসেস টু রিসোর্সেস’ নিশ্চিত করা ও স্বচ্ছতা বাড়ানো। শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতিকে আরও কার্যকর করা এবং প্রতিটি বিভাগে উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আদলে ‘মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম’ চালু করা। প্রতি ফ্যাকাল্টিতে ই-লাইব্রেরি ও কম্পিউটার সেন্টার স্থাপন করা। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সেলিং সেবার পরিসর বাড়ানো। বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার মেরামত ও আধুনিকীকরণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো এবং ডিইউএমসি চালুর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও বেশি সহজলভ্য করা। মেডিকেল সেন্টারে চুক্তিভিত্তিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়োগ দেওয়া। বিশেষ করে, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ নারী চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা। শিক্ষার্থীদের নিয়ে রিসার্চবিষয়ক কর্মশালা করা। আন্তবিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ফেস্ট আয়োজন করা। স্মল রিসার্চ গ্র্যান্ট ও রিসার্চ ট্রাডেল গ্র্যান্ট চালু করা। গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করা ও গবেষণা সহজলভ্য করা। নিয়মিত সেমিনার ও কনফারেন্স আয়োজন করা এবং উচ্চমানের প্রকাশনা নিশ্চিত করা।
মহিউদ্দিন খান আরও বলেন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, বিজ্ঞান লাইব্রেরি, হল লাইব্রেরি ও পাঠকক্ষে এবং ডিপার্টমেন্টের সেমিনার কক্ষ সম্প্রসারণ করা। এগুলোর আধুনিকায়ন নিশ্চিত করে রিসোর্সগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সহজলভ্য করা। লাইব্রেরিসমূহ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসা। সারা দেশে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে স্মারকচুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করা। স্বাস্থ্যবিমাকেন্দ্রিক ভোগান্তি নিরসনে প্রশাসনের বিমা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্মারকচুক্তি করা। হলভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করা। ক্যাম্পাসের বিপণীকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় ফার্মেসি স্থাপন করা। ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জেড শিক্ষার্থীদের জন্য ‘অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি’ চালু করা। আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটকে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করা। প্রতিটি বিভাগে অন্তত একজন বিদেশি শিক্ষক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া। ল্যাঙ্গুয়েজ রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা।
ইশতেহারে মহিউদ্দিন আরও উল্লেখ করে বলেন, সফট স্কিল ডেভেলপমেন্টের ওপর ওয়ার্কশপ আয়োজন করা। উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ারবিষয়ক সেমিনার, কর্মশালার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে জব ফেয়ার আয়োজন করা। তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে স্টার্টআপ সামিট আয়োজন করা। অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে লাইব্রেরিগুলোতে উন্নত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করা। সায়েনা ওয়ার্কশপ, CARS ও CARASS-এর আধুনিকায়ন নিশ্চিত করা। গবেষণা সহায়ক সফটওয়্যার ও টুলসমূহের সহজলভাতা নিশ্চিত করা। বিশেষত, ইনিস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনলোজির (আইএলইটি) ল্যাবে আধুনিক মেশিনারিজ ক্রয় করার মাধ্যমে ল্যাবের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সমন্বয় করার মাধ্যমে চামড়াশিল্পে অবদান রাখার সুযোগের ক্ষেত্র বাড়ানো।
কেন্দ্রীয় মসজিদ, হল মসজিদ, মন্দির ও অন্য উপাসনালয়সমূহের অবকাঠামোগত সংস্কার ও উন্নয়ন করা। ছাত্রীদের ইবাদতের জন্য একাডেমিক এরিয়া বিশেষ করে কার্জন হল এলাকায় উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ।
ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে বহিরাগত যান নিয়ন্ত্রণ, ভাসমান চক্র ও ভবঘুরেদের উচ্ছেদ করা। ক্যাম্পাস এরিয়ায় রেজিস্ট্রার্ড রিকশা প্রবর্তন ও ভাড়ার তালিকা প্রণয়ন করা।
ইশতেহার পাঠের শেষে সমাপনী বক্তব্য দেন ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, ‘আমাদের জোট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জোট। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা যেটিকে নো বলেছি, সেটি থেকে মুক্তি পেয়েছি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন, ফ্যাসিবাদী কাঠামো, সংস্কৃতি ও চর্চার পুনরুৎপাদন রোধ করাসহ ৩৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট।
আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে ডাকসু কার্যালয়ের সামনে ইশতেহার পাঠ করেন প্যানেলের সহসাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী (এজিএস) প্রার্থী মহিউদ্দিন খান।
ছয়টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে ইশতেহার বাস্তবায়ন করবে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। প্রথম যে ছয়টি বিষয় অগ্রাধিকার দেবে, তা হলো— নিরাপদ ক্যাম্পাস, আবাসন সংকট সমাধান, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, চিকিৎসা সুবিধা ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, উন্নত পরিবহন, ক্যারিয়ার গঠনে পর্যান্ত তথ্য ও সেবা। এ ছাড়া অন্য ছয়টি বিষয়ে তারা না-বোধক বিষয় উল্লেখ করে বলে, কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি, নির্যাতন ও সহিংসতা, গণরুম-গেস্টরুম কালচার, বৈষম্যমূলক নীতি ও আচরণ, মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, লাঞ্চের পরে আসেন কালচার, ইসলামোফোবিয়া ও সাইবার বুলিং বন্ধ করবে বলে ইশতেহারে ঘোষণা করে তারা।
এজিএস প্রার্থী মহিউদ্দিন মোট ৩৬টি ইশতেহার ঘোষণা করেন। এসবের মধ্যে রয়েছে ডাকসু নির্বাচনকে একাডেমিক ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবছর নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন বাস্তবায়ন করা। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্তৃক নৃশংস হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আইনি শাস্তি নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে সামা, মোফাজ্জল ও আবু বকর হত্যাসহ ফ্যাসিবাদী আমলে সংঘটিত সব নিপীড়নের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা।
প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা। আবাসন সংকটের অস্থায়ী সমাধান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে অস্থায়ী হোস্টেল বা মাসিক আবাসন ভাতার ব্যবস্থা করা এবং স্থায়ী সমাধান হিসেবে হল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া।
নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিতকরণে হল ও অন্যান্য ক্যানটিন-ক্যাফেটেরিয়াতে পুষ্টিবিদের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে পুষ্টিকর খাবারের মেনু প্রণয়ন এবং তিন মাস অন্তর খাবারের মান পরীক্ষা করা। প্রতি ফ্যাকাল্টিতে মানসম্মত ক্যাফেটেরিয়া ও ক্যানটিনের ব্যবস্থা করা। আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ ‘মিল ভাউচার’ চালু করা।
নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিত করা। ছাত্রী হলে পুরুষ কর্মচারী যথাসম্ভব কমিয়ে আনা এবং প্রক্টরিয়াল টিমে প্রয়োজনীয়সংখ্যক নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়া। কমনরুমে নারী কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া। মা শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং রুম ও চাইল্ড কেয়ার কর্নার স্থাপন করা।
ছাত্রীদের জন্য ছাত্রী হলে প্রবেশের বিধিনিষেধ শিথিল করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া। ছাত্রী হলে অভিভাবকদের জন্য ‘গার্ডিয়ান লাউঞ্জ’ স্থাপন করা।
ছাত্রীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধান কার্যকর করা। মাতৃত্বকালীন সময় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ক্লাসে উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা শিথিল করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সেবাকেন্দ্রিক লাল ফিতার দৌরাত্ম্য নিরসন করে ‘পেপারলেস রেজিস্ট্রার বিল্ডিং’ গড়ে তোলা। উচ্চশিক্ষায় বিদেশে গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চালু করা।
ডাকসু ওয়েবসাইট উন্নতকরণ এবং অ্যাপের মাধ্যমে ‘অ্যাকসেস টু রিসোর্সেস’ নিশ্চিত করা ও স্বচ্ছতা বাড়ানো। শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতিকে আরও কার্যকর করা এবং প্রতিটি বিভাগে উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আদলে ‘মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম’ চালু করা। প্রতি ফ্যাকাল্টিতে ই-লাইব্রেরি ও কম্পিউটার সেন্টার স্থাপন করা। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সেলিং সেবার পরিসর বাড়ানো। বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার মেরামত ও আধুনিকীকরণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো এবং ডিইউএমসি চালুর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবাকে আরও বেশি সহজলভ্য করা। মেডিকেল সেন্টারে চুক্তিভিত্তিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়োগ দেওয়া। বিশেষ করে, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ নারী চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা। শিক্ষার্থীদের নিয়ে রিসার্চবিষয়ক কর্মশালা করা। আন্তবিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ফেস্ট আয়োজন করা। স্মল রিসার্চ গ্র্যান্ট ও রিসার্চ ট্রাডেল গ্র্যান্ট চালু করা। গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করা ও গবেষণা সহজলভ্য করা। নিয়মিত সেমিনার ও কনফারেন্স আয়োজন করা এবং উচ্চমানের প্রকাশনা নিশ্চিত করা।
মহিউদ্দিন খান আরও বলেন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, বিজ্ঞান লাইব্রেরি, হল লাইব্রেরি ও পাঠকক্ষে এবং ডিপার্টমেন্টের সেমিনার কক্ষ সম্প্রসারণ করা। এগুলোর আধুনিকায়ন নিশ্চিত করে রিসোর্সগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সহজলভ্য করা। লাইব্রেরিসমূহ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসা। সারা দেশে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে স্মারকচুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করা। স্বাস্থ্যবিমাকেন্দ্রিক ভোগান্তি নিরসনে প্রশাসনের বিমা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্মারকচুক্তি করা। হলভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করা। ক্যাম্পাসের বিপণীকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় ফার্মেসি স্থাপন করা। ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জেড শিক্ষার্থীদের জন্য ‘অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি’ চালু করা। আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটকে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করা। প্রতিটি বিভাগে অন্তত একজন বিদেশি শিক্ষক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া। ল্যাঙ্গুয়েজ রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা।
ইশতেহারে মহিউদ্দিন আরও উল্লেখ করে বলেন, সফট স্কিল ডেভেলপমেন্টের ওপর ওয়ার্কশপ আয়োজন করা। উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ারবিষয়ক সেমিনার, কর্মশালার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে জব ফেয়ার আয়োজন করা। তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে স্টার্টআপ সামিট আয়োজন করা। অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে লাইব্রেরিগুলোতে উন্নত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করা। সায়েনা ওয়ার্কশপ, CARS ও CARASS-এর আধুনিকায়ন নিশ্চিত করা। গবেষণা সহায়ক সফটওয়্যার ও টুলসমূহের সহজলভাতা নিশ্চিত করা। বিশেষত, ইনিস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনলোজির (আইএলইটি) ল্যাবে আধুনিক মেশিনারিজ ক্রয় করার মাধ্যমে ল্যাবের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সমন্বয় করার মাধ্যমে চামড়াশিল্পে অবদান রাখার সুযোগের ক্ষেত্র বাড়ানো।
কেন্দ্রীয় মসজিদ, হল মসজিদ, মন্দির ও অন্য উপাসনালয়সমূহের অবকাঠামোগত সংস্কার ও উন্নয়ন করা। ছাত্রীদের ইবাদতের জন্য একাডেমিক এরিয়া বিশেষ করে কার্জন হল এলাকায় উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ।
ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে বহিরাগত যান নিয়ন্ত্রণ, ভাসমান চক্র ও ভবঘুরেদের উচ্ছেদ করা। ক্যাম্পাস এরিয়ায় রেজিস্ট্রার্ড রিকশা প্রবর্তন ও ভাড়ার তালিকা প্রণয়ন করা।
ইশতেহার পাঠের শেষে সমাপনী বক্তব্য দেন ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, ‘আমাদের জোট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জোট। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা যেটিকে নো বলেছি, সেটি থেকে মুক্তি পেয়েছি।’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
১৭ মিনিট আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২৭ মিনিট আগে
বরিশালে অপসো স্যালাইন (ওএসএল) ফার্মা লিমিটেডের প্রায় ৫২০ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে একযোগে ছাঁটাই করা হয়েছে। আজ বুধবার ডাকযোগে শ্রমিকদের কাছে ছাঁটাইয়ের চিঠি পাঠানোর কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।
৩২ মিনিট আগে
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (কুকসু) গঠনতন্ত্রের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় সংসদে ১৯টি ও হল সংসদে ৯টি পদে নির্বাচন হবে। প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ বছর এবং ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেইবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। দুই ঘণ্টার বেশি কর্মসূচি পালনের পরে বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করার সময় তাঁকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, সাজিদ আবদুল্লাহ হত্যার পর ১০৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত হত্যার বিচার হয়নি, কোনো খুনিও গ্রেপ্তার হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়সারা মনোভাব ও বিচারপ্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে।
উপরন্তু, আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝি কর্তৃক সাজিদ আবদুল্লাহকে ‘কোথাকার কোনো মৃত পোলা, যা-ই হোক, সে তো চইলাই গেছে’ বলে হেয়প্রতিপন্ন করা এবং নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও কটূক্তির মতো লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে। তাঁর এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নৈতিক অধঃপতন ও বিচারবোধহীনতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
এ সময় উপাচার্যের কাছে পাঁচ দফা দাবি পেশ করেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—সাজিদ আবদুল্লাহ হত্যার পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করে খুনিদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। সাজিদকে হেয়প্রতিপন্ন করা ও নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে ন্যক্কারজনক ও যৌন হয়রানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অপরাধে বরখাস্ত করতে হবে। সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি হুমকি প্রদানকারীদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘কোনো শিক্ষক যদি এভাবে কাউকে অপমান করেন, তাহলে যেকোনো শিক্ষকের পক্ষ থেকেই আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমাদের কথা বলার অধিকার আছে, কিন্তু কাউকে গালি দেওয়ার অধিকার নেই। এ ধরনের বক্তব্য যেন কোনো শিক্ষক ভবিষ্যতে আর না দেন, সেই ব্যবস্থা করব। আমি যত দূর জানি, তিনি সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পেলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘আমি আল কোরআন বিভাগের সভাপতি হিসেবে শহীদ সাজিদ আব্দুল্লাহর জন্য বিভাগের ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে বিচার চেয়ে আন্দোলন করেছি। আমার অফিসে বসেই কেস এন্ট্রি করেছি। প্রশাসনিকভাবে বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে ভিসি, প্রো-ভিসি, ইবি থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু এতৎসত্ত্বেও, আমার এক ছাত্রের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমার অসাবধানতাবশত কিছু শব্দ চয়নে ভুল হয়েছে বলে আমি মনে করি। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
প্রসঙ্গত, আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি নাসিরউদ্দিন মিঝির একটি পুরোনো অডিও ভাইরাল হয়। এতে শোনা যায়, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে উলঙ্গ নারী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। অডিওটি ভাইরালের পরে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ড. মিঝি নিঃশর্ত ক্ষমা চান সবার কাছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। দুই ঘণ্টার বেশি কর্মসূচি পালনের পরে বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করার সময় তাঁকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, সাজিদ আবদুল্লাহ হত্যার পর ১০৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত হত্যার বিচার হয়নি, কোনো খুনিও গ্রেপ্তার হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়সারা মনোভাব ও বিচারপ্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে।
উপরন্তু, আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝি কর্তৃক সাজিদ আবদুল্লাহকে ‘কোথাকার কোনো মৃত পোলা, যা-ই হোক, সে তো চইলাই গেছে’ বলে হেয়প্রতিপন্ন করা এবং নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও কটূক্তির মতো লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে। তাঁর এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নৈতিক অধঃপতন ও বিচারবোধহীনতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
এ সময় উপাচার্যের কাছে পাঁচ দফা দাবি পেশ করেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—সাজিদ আবদুল্লাহ হত্যার পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করে খুনিদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। সাজিদকে হেয়প্রতিপন্ন করা ও নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে ন্যক্কারজনক ও যৌন হয়রানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অপরাধে বরখাস্ত করতে হবে। সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি হুমকি প্রদানকারীদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘কোনো শিক্ষক যদি এভাবে কাউকে অপমান করেন, তাহলে যেকোনো শিক্ষকের পক্ষ থেকেই আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমাদের কথা বলার অধিকার আছে, কিন্তু কাউকে গালি দেওয়ার অধিকার নেই। এ ধরনের বক্তব্য যেন কোনো শিক্ষক ভবিষ্যতে আর না দেন, সেই ব্যবস্থা করব। আমি যত দূর জানি, তিনি সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পেলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘আমি আল কোরআন বিভাগের সভাপতি হিসেবে শহীদ সাজিদ আব্দুল্লাহর জন্য বিভাগের ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে বিচার চেয়ে আন্দোলন করেছি। আমার অফিসে বসেই কেস এন্ট্রি করেছি। প্রশাসনিকভাবে বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে ভিসি, প্রো-ভিসি, ইবি থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু এতৎসত্ত্বেও, আমার এক ছাত্রের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমার অসাবধানতাবশত কিছু শব্দ চয়নে ভুল হয়েছে বলে আমি মনে করি। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
প্রসঙ্গত, আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি নাসিরউদ্দিন মিঝির একটি পুরোনো অডিও ভাইরাল হয়। এতে শোনা যায়, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে উলঙ্গ নারী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। অডিওটি ভাইরালের পরে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ড. মিঝি নিঃশর্ত ক্ষমা চান সবার কাছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন, ফ্যাসিবাদী কাঠামো, সংস্কৃতি ও চর্চার পুনরুৎপাদন রোধ করাসহ ৩৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে ডাকসু কার্যালয়ের সামনে ইশতেহার পাঠ করেন প্যানেলের সহসাধারণ সম্পাদক...
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২৭ মিনিট আগে
বরিশালে অপসো স্যালাইন (ওএসএল) ফার্মা লিমিটেডের প্রায় ৫২০ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে একযোগে ছাঁটাই করা হয়েছে। আজ বুধবার ডাকযোগে শ্রমিকদের কাছে ছাঁটাইয়ের চিঠি পাঠানোর কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।
৩২ মিনিট আগে
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (কুকসু) গঠনতন্ত্রের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় সংসদে ১৯টি ও হল সংসদে ৯টি পদে নির্বাচন হবে। প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ বছর এবং ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) মামলার পরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার রিংকু রংদী উপজেলার মাধুপাড়া গ্রামের সুপারসন চাম্বুগংয়ের ছেলে। তাঁরা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী।
আর ভুক্তভোগী কিশোরী (১৪) পূর্বধলা উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। সেখানকার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগীর পরিবার ইসলাম ধর্মাবলম্বী।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ-ছয় মাস আগে ফেসবুকে ইসলাম ধর্মাবলম্বী ওই ছাত্রীর পরিচয় হয় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী রিংকুর সঙ্গে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ২৭ অক্টোবর সকালে ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় যে, সে দুর্গাপুরে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে। পরে রিংকু তাকে নিয়ে দুর্গাপুরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়ান এবং সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে থাকার প্রস্তাব দেন। এতে ওই ছাত্রী রাজি হয়ে সেখানে থেকে যায়। রিংকু নিজের শয়নকক্ষে ওই ছাত্রীকে থাকতে দেন। আর তিনি অন্য কক্ষে ঘুমাতে যান। রাত ১১টার দিকে কৌশলে রিংকু কক্ষে প্রবেশ করে ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন এবং ফোনে পরিবারকে বিষয়টি জানান।
পরদিন সকালে ওই ছাত্রীর মা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রিংকুর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে বিকেলে রিংকুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযান চালিয়ে রিংকুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ভুক্তভোগী কিশোরীকেও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) মামলার পরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার রিংকু রংদী উপজেলার মাধুপাড়া গ্রামের সুপারসন চাম্বুগংয়ের ছেলে। তাঁরা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী।
আর ভুক্তভোগী কিশোরী (১৪) পূর্বধলা উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। সেখানকার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগীর পরিবার ইসলাম ধর্মাবলম্বী।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ-ছয় মাস আগে ফেসবুকে ইসলাম ধর্মাবলম্বী ওই ছাত্রীর পরিচয় হয় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী রিংকুর সঙ্গে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। ২৭ অক্টোবর সকালে ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় যে, সে দুর্গাপুরে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে। পরে রিংকু তাকে নিয়ে দুর্গাপুরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়ান এবং সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে থাকার প্রস্তাব দেন। এতে ওই ছাত্রী রাজি হয়ে সেখানে থেকে যায়। রিংকু নিজের শয়নকক্ষে ওই ছাত্রীকে থাকতে দেন। আর তিনি অন্য কক্ষে ঘুমাতে যান। রাত ১১টার দিকে কৌশলে রিংকু কক্ষে প্রবেশ করে ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন এবং ফোনে পরিবারকে বিষয়টি জানান।
পরদিন সকালে ওই ছাত্রীর মা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রিংকুর বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে বিকেলে রিংকুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযান চালিয়ে রিংকুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ভুক্তভোগী কিশোরীকেও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন, ফ্যাসিবাদী কাঠামো, সংস্কৃতি ও চর্চার পুনরুৎপাদন রোধ করাসহ ৩৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে ডাকসু কার্যালয়ের সামনে ইশতেহার পাঠ করেন প্যানেলের সহসাধারণ সম্পাদক...
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
১৭ মিনিট আগে
বরিশালে অপসো স্যালাইন (ওএসএল) ফার্মা লিমিটেডের প্রায় ৫২০ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে একযোগে ছাঁটাই করা হয়েছে। আজ বুধবার ডাকযোগে শ্রমিকদের কাছে ছাঁটাইয়ের চিঠি পাঠানোর কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।
৩২ মিনিট আগে
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (কুকসু) গঠনতন্ত্রের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় সংসদে ১৯টি ও হল সংসদে ৯টি পদে নির্বাচন হবে। প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ বছর এবং ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালে অপসো স্যালাইন (ওএসএল) ফার্মা লিমিটেডের প্রায় ৫২০ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে একযোগে ছাঁটাই করা হয়েছে। আজ বুধবার ডাকযোগে শ্রমিকদের কাছে ছাঁটাইয়ের চিঠি পাঠানোর কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।
ছাঁটাইয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এরপর নগরীর বগুড়া রোডের ওএসএল ফার্মার সামনে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা।
এ সময় শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। পরে কর্মকর্তারা এ বিষয়ে আগামী শনিবার সিদ্ধান্ত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে শান্ত হন শ্রমিকেরা। ছাঁটাই হওয়া সবাই কোম্পানির স্টেরিপ্যাক ডিপার্টমেন্টে কর্মরত ছিলেন।
শ্রমিকেরা জানান, কোনো কারণ ছাড়াই তাঁদের চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের নোটিশ ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নোটিশে স্বাক্ষর করেছেন কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগের উপব্যবস্থাপক ও এইচআর বিভাগের ইনচার্জ।
তাঁরা আরও বলেন, ‘আমাদের পরিবার আছে, সংসার আছে। এতগুলো পরিবারকে কোনো কারণ ছাড়া চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হলো। এখন এই পরিবারগুলো কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। সংসার কীভাবে চলবে।’ নোটিশ প্রত্যাহার করে শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজে যোগদানের সুযোগ না দিলে পুরো কোম্পানি অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিকেরা।
শ্রমিকদের পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, ওএসএল ফার্মা লিমিটেডের বগুড়া রোডে অবস্থিত ফ্যাক্টরিতে স্টেরিপ্যাক ডিপার্টমেন্টে কর্মরত সব শ্রমিক-কর্মচারীকে অবহিত করা যাচ্ছে যে, কোম্পানির নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে স্টেরিপ্যাক ডিপার্টমেন্টের উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
এই অবস্থায় বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ২৬(৩) ধারার বিধান অনুযায়ী আগামী ১ নভেম্বর হতে স্টেরিপ্যাক ডিপার্টমেন্টের সব শ্রমিক-কর্মচারীর চাকরি অবসান করা হলো। একই সঙ্গে বাংলাদেশ শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী অবসানকৃত শ্রমিক-কর্মচারীদের চূড়ান্ত পাওনা আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাড়া না পাওয়ায় কারও বক্তব্য জানা যায়নি। তবে বাসদের বরিশাল জেলা সদস্যসচিব মনীষা চক্রবর্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, অপসো স্যালাইন তাদের একটি সেকশন বন্ধ করে ৫২০ জনকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
মালিকপক্ষকে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের সঙ্গে বসে তাঁদের ন্যায্য অধিকার দিতে। কেননা, এভাবে হুট করে ৫২০ শ্রমিককে ছাঁটাই করা অমানবিক।

বরিশালে অপসো স্যালাইন (ওএসএল) ফার্মা লিমিটেডের প্রায় ৫২০ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে একযোগে ছাঁটাই করা হয়েছে। আজ বুধবার ডাকযোগে শ্রমিকদের কাছে ছাঁটাইয়ের চিঠি পাঠানোর কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।
ছাঁটাইয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এরপর নগরীর বগুড়া রোডের ওএসএল ফার্মার সামনে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা।
এ সময় শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। পরে কর্মকর্তারা এ বিষয়ে আগামী শনিবার সিদ্ধান্ত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে শান্ত হন শ্রমিকেরা। ছাঁটাই হওয়া সবাই কোম্পানির স্টেরিপ্যাক ডিপার্টমেন্টে কর্মরত ছিলেন।
শ্রমিকেরা জানান, কোনো কারণ ছাড়াই তাঁদের চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের নোটিশ ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নোটিশে স্বাক্ষর করেছেন কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগের উপব্যবস্থাপক ও এইচআর বিভাগের ইনচার্জ।
তাঁরা আরও বলেন, ‘আমাদের পরিবার আছে, সংসার আছে। এতগুলো পরিবারকে কোনো কারণ ছাড়া চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হলো। এখন এই পরিবারগুলো কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। সংসার কীভাবে চলবে।’ নোটিশ প্রত্যাহার করে শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজে যোগদানের সুযোগ না দিলে পুরো কোম্পানি অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিকেরা।
শ্রমিকদের পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, ওএসএল ফার্মা লিমিটেডের বগুড়া রোডে অবস্থিত ফ্যাক্টরিতে স্টেরিপ্যাক ডিপার্টমেন্টে কর্মরত সব শ্রমিক-কর্মচারীকে অবহিত করা যাচ্ছে যে, কোম্পানির নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে স্টেরিপ্যাক ডিপার্টমেন্টের উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
এই অবস্থায় বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ২৬(৩) ধারার বিধান অনুযায়ী আগামী ১ নভেম্বর হতে স্টেরিপ্যাক ডিপার্টমেন্টের সব শ্রমিক-কর্মচারীর চাকরি অবসান করা হলো। একই সঙ্গে বাংলাদেশ শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী অবসানকৃত শ্রমিক-কর্মচারীদের চূড়ান্ত পাওনা আগামী ২০ নভেম্বরের মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাড়া না পাওয়ায় কারও বক্তব্য জানা যায়নি। তবে বাসদের বরিশাল জেলা সদস্যসচিব মনীষা চক্রবর্তী আজকের পত্রিকাকে বলেন, অপসো স্যালাইন তাদের একটি সেকশন বন্ধ করে ৫২০ জনকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ নিয়ে কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
মালিকপক্ষকে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের সঙ্গে বসে তাঁদের ন্যায্য অধিকার দিতে। কেননা, এভাবে হুট করে ৫২০ শ্রমিককে ছাঁটাই করা অমানবিক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন, ফ্যাসিবাদী কাঠামো, সংস্কৃতি ও চর্চার পুনরুৎপাদন রোধ করাসহ ৩৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে ডাকসু কার্যালয়ের সামনে ইশতেহার পাঠ করেন প্যানেলের সহসাধারণ সম্পাদক...
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
১৭ মিনিট আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২৭ মিনিট আগে
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (কুকসু) গঠনতন্ত্রের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় সংসদে ১৯টি ও হল সংসদে ৯টি পদে নির্বাচন হবে। প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ বছর এবং ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেকুবি প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (কুকসু) গঠনতন্ত্রের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় সংসদে ১৯টি ও হল সংসদে ৯টি পদে নির্বাচন হবে। প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ বছর এবং ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ খসড়া গঠনতন্ত্র প্রকাশ করা হয়।
খসড়া অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সংসদে মোট পদ ২১টি। এর মধ্যে সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ পদ ছাড়া অন্য ১৯টি পদে সরাসরি নির্বাচন হবে। পদগুলো হলো সহসভাপতি; সাধারণ সম্পাদক; সহসাধারণ সম্পাদক; মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রবিষয়ক সম্পাদক; শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক; স্বাস্থ্য ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক; আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক; ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক; সাহিত্য-সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক; ক্রীড়া সম্পাদক; পরিবহন সম্পাদক; সমাজসেবা ও শিক্ষার্থীকল্যাণ সম্পাদক; ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক (ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত); পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক এবং চারজন নির্বাহী সদস্য।
সংরক্ষিত পদে পদাধিকারবলে সভাপতি হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ।
এ ছাড়া হল সংসদে মোট পদ রয়েছে ১১টি। সেগুলো হলো–সভাপতি; কোষাধ্যক্ষ; সহসভাপতি; সাধারণ সম্পাদক; সহসাধারণ সম্পাদক; সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক; পাঠাগার সম্পাদক; ক্রীড়া সম্পাদক; স্বাস্থ্য ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এবং দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য।
এর মধ্যে ৯টি পদে নির্বাচন হবে এবং অন্য দুটি পদের মধ্যে হলের প্রাধ্যক্ষ পদাধিকারবলে সভাপতি হবেন এবং আবাসিক শিক্ষক বা হাউস টিউটরদের থেকে একজন কোষাধ্যক্ষ হবেন।
কেন্দ্রীয় ও হল সংসদে প্রার্থিতার যোগ্যতা হিসেবে শিক্ষার্থীকে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত হতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বা ততধিক স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে গণ্য হবেন না। শিক্ষার্থীর বয়স সর্বোচ্চ ২৮ বছর রাখা হয়েছে। প্রার্থিতা নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট করা বাধ্যতামূলক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সান্ধ্যকালীন কোর্স যেমন, এমবিএ, ইএমবিএ, এমএড অথবা কোনো পেশাদার বা নির্বাহী বা বিশেষ মাস্টার্স কোর্স, অথবা এমফিল ও পিএইচডি বা সমমানের কোর্সসমূহ, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্সসমূহ, ভাষা কোর্সসহ এ ধরনের অন্যান্য কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের সদস্য হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশে বলবৎ কোনো আইন অনুসারে নিষিদ্ধঘোষিত কোনো সংগঠনের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত বা শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কোনো কলেজ বা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও সদস্য হওয়ার অযোগ্য হবেন।
এ বিষয়ে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে এই খসড়া প্রকাশ করেছি এবং আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এই গঠনতন্ত্র নিয়ে তাদের মতামত জানাতে পারবে।
‘পাঁচ দিন পরে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে কোনো সংযোজন-বিয়োজন করা লাগলে করা হবে। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করা হবে।’
উল্লেখ্য, আগামী পাঁচ কার্যদিবস পর্যন্ত নিম্নোক্ত এই ([email protected]) ই-মেইল ঠিকানায় গঠনতন্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা যেকোনো মতামত জানাতে পারবেন।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (কুকসু) গঠনতন্ত্রের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় সংসদে ১৯টি ও হল সংসদে ৯টি পদে নির্বাচন হবে। প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ বছর এবং ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ খসড়া গঠনতন্ত্র প্রকাশ করা হয়।
খসড়া অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সংসদে মোট পদ ২১টি। এর মধ্যে সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ পদ ছাড়া অন্য ১৯টি পদে সরাসরি নির্বাচন হবে। পদগুলো হলো সহসভাপতি; সাধারণ সম্পাদক; সহসাধারণ সম্পাদক; মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রবিষয়ক সম্পাদক; শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক; স্বাস্থ্য ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক; আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক; ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক; সাহিত্য-সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক; ক্রীড়া সম্পাদক; পরিবহন সম্পাদক; সমাজসেবা ও শিক্ষার্থীকল্যাণ সম্পাদক; ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক (ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত); পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক এবং চারজন নির্বাহী সদস্য।
সংরক্ষিত পদে পদাধিকারবলে সভাপতি হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ।
এ ছাড়া হল সংসদে মোট পদ রয়েছে ১১টি। সেগুলো হলো–সভাপতি; কোষাধ্যক্ষ; সহসভাপতি; সাধারণ সম্পাদক; সহসাধারণ সম্পাদক; সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক; পাঠাগার সম্পাদক; ক্রীড়া সম্পাদক; স্বাস্থ্য ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এবং দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য।
এর মধ্যে ৯টি পদে নির্বাচন হবে এবং অন্য দুটি পদের মধ্যে হলের প্রাধ্যক্ষ পদাধিকারবলে সভাপতি হবেন এবং আবাসিক শিক্ষক বা হাউস টিউটরদের থেকে একজন কোষাধ্যক্ষ হবেন।
কেন্দ্রীয় ও হল সংসদে প্রার্থিতার যোগ্যতা হিসেবে শিক্ষার্থীকে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত হতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বা ততধিক স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে গণ্য হবেন না। শিক্ষার্থীর বয়স সর্বোচ্চ ২৮ বছর রাখা হয়েছে। প্রার্থিতা নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট করা বাধ্যতামূলক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সান্ধ্যকালীন কোর্স যেমন, এমবিএ, ইএমবিএ, এমএড অথবা কোনো পেশাদার বা নির্বাহী বা বিশেষ মাস্টার্স কোর্স, অথবা এমফিল ও পিএইচডি বা সমমানের কোর্সসমূহ, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্সসমূহ, ভাষা কোর্সসহ এ ধরনের অন্যান্য কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের সদস্য হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশে বলবৎ কোনো আইন অনুসারে নিষিদ্ধঘোষিত কোনো সংগঠনের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত বা শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কোনো কলেজ বা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও সদস্য হওয়ার অযোগ্য হবেন।
এ বিষয়ে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে এই খসড়া প্রকাশ করেছি এবং আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এই গঠনতন্ত্র নিয়ে তাদের মতামত জানাতে পারবে।
‘পাঁচ দিন পরে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে কোনো সংযোজন-বিয়োজন করা লাগলে করা হবে। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করা হবে।’
উল্লেখ্য, আগামী পাঁচ কার্যদিবস পর্যন্ত নিম্নোক্ত এই ([email protected]) ই-মেইল ঠিকানায় গঠনতন্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা যেকোনো মতামত জানাতে পারবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন, ফ্যাসিবাদী কাঠামো, সংস্কৃতি ও চর্চার পুনরুৎপাদন রোধ করাসহ ৩৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে শিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে ডাকসু কার্যালয়ের সামনে ইশতেহার পাঠ করেন প্যানেলের সহসাধারণ সম্পাদক...
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাজিদ হত্যার বিচার ও নারী শিক্ষার্থীকে পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসিরউদ্দিন মিঝিকে বরখাস্তসহ পাঁচ দাবিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
১৭ মিনিট আগে
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রিংকু রংদীকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২৭ মিনিট আগে
বরিশালে অপসো স্যালাইন (ওএসএল) ফার্মা লিমিটেডের প্রায় ৫২০ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে একযোগে ছাঁটাই করা হয়েছে। আজ বুধবার ডাকযোগে শ্রমিকদের কাছে ছাঁটাইয়ের চিঠি পাঠানোর কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।
৩২ মিনিট আগে