Ajker Patrika

প্রতিবছর ৪ শতাংশ হারে বাড়ছে ভূমিধস: কর্মশালায় উদ্বেগ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮: ৪২
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে ‘চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলায় ভূমিধস মোকাবিলায় অগ্রবর্তী পদক্ষেপ’ শীর্ষক কর্মশালা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে ‘চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলায় ভূমিধস মোকাবিলায় অগ্রবর্তী পদক্ষেপ’ শীর্ষক কর্মশালা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশের অন্যান্য সব প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো ভূমিধসের পরিমাণ বাড়ছে এবং প্রতিবছর এটি চার শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত বৃষ্টির সঙ্গে পার্বত্য অঞ্চলে মানুষের অপরিকল্পিত বসবাসের কারণে মৃত্যুহারও বাড়ছে ভূমিধসে। ২০২৪ সালে সারা দেশে ভূমিধসে ৩০ জনের প্রাণহানি হয়েছে এর মধ্যে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম অঞ্চলেই মারা গেছেন ২০ জন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে সেভ দ্য চিলড্রেন-এর আয়োজনে ‘চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলায় ভূমিধস মোকাবিলায় অগ্রবর্তী পদক্ষেপ’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। এই কর্মশালায় এ সংক্রান্ত প্রটোকল তৈরি, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় উন্নত পূর্বাভাস ব্যবস্থা স্থাপন এবং কমিউনিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

কর্মশালায় ভূমিধস নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপনা করেন সেভ দ্য চিলড্রেন-এর প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ফাতিমা মেহেরুন্নেসা ও রাইমসের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আসিফ বিন আনোয়ার।

মেহেরুন্নেসা বলেন, এ প্রকল্পের লক্ষ্য চট্টগ্রাম ও বান্দরবানের পাহাড় এলাকায় ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার মতো বহুমুখী ঝুঁকির জন্য আগাম প্রস্তুতি নিশ্চিত করা। প্রকল্পের আওতায় লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান), চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং বাঁশখালীর ৪০ হাজার ৫৪০ জন উপকারভোগীর জীবনমান উন্নত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

উপস্থাপনায় বলা হয়—বাংলাদেশে ১৫টি বড় দুর্যোগে সারা বিশ্বে ৪ কোটি ২০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ৯৪ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়। এক হাজার ৫৩ জন মারা যান আর ক্ষতি হয় ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের।

বাংলাদেশে ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভূমিধসের ঘটনাগুলোর রেকর্ড অনুযায়ী, দেশে গড়ে প্রতি বছর ১৯টি উল্লেখযোগ্য ভূমিধসের দুর্যোগ ঘটে, যা প্রতিবছর গড়ে ৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০৭ সালের ১১ জুনের একক বৃষ্টিপাতের ঘটনায় ১০০টি ভূমিধস ঘটে, যার ফলে ১২৭ থেকে ১৩৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়।

২০২৪ সালের ১৮ ও ১৯ জুন ভারী মৌসুমি বৃষ্টিপাতে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলোতে ৭৭৩টি ভূমিধসের ঘটনা ঘটে, যার ফলে প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। গত বছর চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৭ সালে সারা দেশে ভূমিধসে ১৫৮ জন মানুষ মারা গিয়েছেন।

কর্মশালায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুর রহমান ভূমিধস ৪ শতাংশ বাড়ার কারণ জানতে চাইলে সেভ দ্য চিলড্রেন থেকে জানানো হয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও পাহাড়ে অপরিকল্পিত বসবাস ভূমিধস বাড়ার বড় কারণ। এ ছাড়া ২০০৭ ও ২০১৭ সালে ভূমি ধসে মৃত্যুর হার বেশি থাকার কারণ হিসেবে বলা হয়, এর আগে ওই অঞ্চলে উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে যাতে পাহাড় কাটা পড়েছে এ ছাড়া ওই সময় বৃষ্টিপাত বেশি হয়েছিল।

সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য এলাকা, বিশেষ করে চট্টগ্রাম, সিলটি ক্লে লোম মাটি (৬৭ শতাংশ) দ্বারা গঠিত, যা পানি ধারণক্ষমতায় দুর্বল। টানা তিন দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও জলবায়ু পরিবর্তন ভূমিধসের প্রধান কারণ। ঢালে বসবাসরত মানুষ ঘরবাড়ি ও জীবিকার ক্ষতির পাশাপাশি মৌলিক সেবার ব্যাঘাতে ভোগে। চট্টগ্রামে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত প্রায় ২৫০০ মিলিমিটার যা জুন-জুলাইয়ে তীব্র হয়। প্রতি ঘণ্টায় ৭০ মিলিমিটার এর বেশি বৃষ্টি ভূমিধস ঘটায়, যা বৃষ্টির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। পাহাড় কাটা ও বন উজাড় ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়ায়। এসব কার্যক্রম মাটি ক্ষয়, প্রাকৃতিক নিষ্কাশন ব্যবস্থার ব্যাঘাত এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি ঘটায়।

কর্মশালায় জানানো হয়, ৬৫ শতাংশ মানুষ পার্বত্য অঞ্চলে খাস জমিতে বসবাস করেন। ৩৩ শতাংশ মানুষ দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে একবার হলেও ভূমিধসের শিকার হয়েছেন। ২১ শতাংশ মানুষ ভূমিকম্প, ১৬ শতাংশ মানুষ ফ্ল্যাশ ফ্লাড ও ১৬ শতাংশ মানুষ ভূমিধস ও বন্যার একই সঙ্গে শিকার হয়েছেন।

সেভ দ্য চিলড্রেনের হিউম্যানিটারিয়েন ডিরেক্টর মো. মোশতাক হোসাইন বলেন, বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ। সাইক্লোন, খরা, বন্যা, বজ্রপাত, ভূমিধস হয় প্রতিবছর। তবে ভূমিধস ২০০৭ সালের আগে ওইভাবে লক্ষ্য করা যায়নি। ভূমিধস নিয়ে ওইভাবে কার্যক্রম কখনো নেওয়া হয়নি।

প্রধান অতিথি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আবদুল ওয়াদুদ বলেন, যেদিন আমরা প্রকৃতির মধ্যে অনুপ্রবেশ করেছেন সেদিন থেকেই সমস্যা শুরু হয়েছে। সরকার ভূমিধসে নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এই বিষয়ে যেন আগে থেকেই সতর্ক বার্তা জারি করা হয় সেই বিষয়ে কাজ চলছে ৷

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নিতাই চন্দ্র দে সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
নাইম হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
নাইম হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে মাদ্রাসাছাত্রীকে তুলে রেস্তোরাঁয় নিয়ে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি নাইম হোসেনকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-১২-এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. আহসান হাবিব।

র‍্যাব-১২ জানায়, গতকাল বুধবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাইম সিরাজগঞ্জের চর কামারখন্দ গ্রামের মো. রহমত আলীর ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার উপজেলার কর্ণসুতি গ্রামের এক মাদ্রাসাছাত্রী (১৪) মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ছয়জন যুবক তাকে জোরপূর্বক একটি অটোরিকশায় তুলে নেয়। পরে তাকে জামতৈল সেন্ট্রাল পার্কের পাশে ‘ডেরা ফাস্টফুড অ্যান্ড চায়নিজ রেস্টুরেন্টে’ নিয়ে যায়। সেখানে নাইম হোসেন তাকে ধর্ষণ করেন।

এ সময় কিশোরীর চিৎকার যাতে বাইরে না যায়, সে জন্য বাকি আসামিরা সাউন্ডবক্সে উচ্চ স্বরে গান বাজান। পাশবিক নির্যাতনে কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আসামিরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে রেখে পালিয়ে যান।

পরে বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানতে পেরে ওই দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ঘটনার পরদিন ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই পুলিশ মামলার তিন আসামি আকাশ (২১), আতিক (২৩) ও নাজমুল হক নয়নকে (২৩) গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৮৬ দিন পর ভেসে উঠল রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

রাঙামাটি, প্রতিনিধি
রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু। ছবি: আজকের পত্রিকা

দীর্ঘ ৮৬ দিন পানিতে ডুবে থাকার পর ভেসে উঠেছে রাঙামাটির পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ ঝুলন্ত সেতু। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সেতুর পাটাতন থেকে পানি নেমে যায়। সেতুটি আগামীকাল শুক্রবার থেকে পর্যটকদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারী বর্ষণে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে গত ২৯ জুলাই ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে যায়। অবশেষে হ্রদের পানির উচ্চতা কমে যাওয়ায় সেতুটি আজ সকাল ৯টার থেকে জেগে ওঠে। তবে দীর্ঘ দিন পানির নিচে ডুবে থাকায় সেতুর পাটাতনের সংস্কারের কাজ চলছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পর রং করা হবে সেতুর বিভিন্ন অংশে। আগামীকাল থেকে পর্যটকদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। তবে এবারে সেতুর প্রবেশের টিকিটের মূল্য বাড়ানোর চিন্তা করছে পর্যটন কর্তৃপক্ষ। ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকায় টিকিট বিক্রির পরিকল্পনা করছে পর্যটন কর্তৃপক্ষ।

রাঙামাটি সরকারি হলিডে পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা কমে যাওয়ায় আজ সকাল ৯টা থেকে সেতুটি জেগে উঠেছে। প্রায় তিন মাস ধরে ডুবে থাকায় ঝুলন্ত সেতুর অনেক পাটাতন নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সেতুর কোন অংশে ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে, সেগুলো সংস্কার শেষে শুক্রবার সকাল থেকে পর্যটকদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ১৯ দিনে ৮৭ জেলে গ্রেপ্তার

চাঁদপুর প্রতিনিধি
অভিযানে জব্দ জাল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত
অভিযানে জব্দ জাল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ১৯ দিনে ৮৭ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞার সময় ৫৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ৩৯৯টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ১৯ বার, মাছঘাট ২৯২ এবং আড়ত ১ হাজার ২০১ বার পরিদর্শন করা হয়। এসব অভিযানে জব্দ জালের পরিমাণ ৫ লাখ ৩ হাজার ৪২ মিটার। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এ সময় জব্দ করা হয় ১ দশমিক শূন্য ৫ টন ইলিশ। ভ্রাম্যমাণ আদালতে আটক জেলেদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয় ৪৫ হাজার টাকা। এসব অভিযানে ৬৩ মামলা করা হয়।

সাগর থেকে নদীর মিঠা পানিতে মা ইলিশ নিরাপদে ডিম ছাড়ার জন্য ৪ অক্টোবর অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। ২৫ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক বলেন, এ বছর অভিযানের শুরু থেকেই জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স কঠোর অবস্থান নিয়েছে যাতে করে জেলেরা নদীতে নামতে না পারে। এরপরও কিছু কিছু জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে নামায় তাঁদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অস্ত্রের মুখে বেঁধে রেখে হিমাগারে ডাকাতি

রংপুর প্রতিনিধি
অস্ত্রের মুখে বেঁধে রেখে হিমাগারে ডাকাতি
অস্ত্রের মুখে বেঁধে রেখে হিমাগারে ডাকাতি

রংপুরের তারাগঞ্জে একটি হিমাগারের নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টার উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের এন এন হিমাগারে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, ডাকাত দল রাত ২টার দিকে হিমাগারে প্রবেশ করে। এরপর হিমাগারের নৈশপ্রহরী সোহেল রানা, মেশিন অপারেটর মঞ্জুরুল ইসলাম ও সুজন বাবুকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলেন। ডাকাতেরা অফিস কক্ষে প্রবেশ করে সিন্দুক ভেঙে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৯২০ টাকা, ৪২ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশন এবং সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়।

সরেজমিন দেখা গেছে, পুরো অফিস কক্ষের ড্রয়ার ফাঁকা পড়ে আছে। মেঝেতে কাগজপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। ভাঙা সিন্দুকটি মেঝেতে পড়ে আছে। সেখানে বাঁশের লাঠি ও লোহার পাইপ দেখা যায়।

হিমাগারের মেশিন অপারেটর মঞ্জরুল ইসলাম বলেন, ‘ডাকাতেরা হিমাগারের পেছন দিয়ে প্রবেশ করে মেশিন রুমে এসে আমাদের দুজনকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলে। এরপর আমাকে নিয়ে অফিসের দিকে যায়। ডাকাতদের দিকে তাকানোয় আমাকে বেধড়ক মারধর করেন। এরপর প্রহরী সোহেল রানাকে বেঁধে ফেলে। তালা কেটে আমাদের দুজনকে অফিস কক্ষে নিয়ে আসেন। পরে মেশিন রুম থেকে সাবল আনতে গিয়ে সুজনকেও অফিস কক্ষ নিয়ে আসে ডাকাতেরা। সেখানে সিন্দুক ভেঙে টাকা, টিভি, সিসিটিভির মেশিন নিয়ে চলে যায়। তাদের মুখ মাংকি টুপি দিয়ে ঢাকা ছিল।’

এন এন হিমাগারের ব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে হিমাগার থেকে ফোন করে জানায় হিমাগারে ডাকাত পড়েছে। খবর পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাই এবং ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে ওসি সাহেবও ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করেন।’

তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, ‘খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার জব্দ ১৬২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ইউক্রেনের জন্য কোথা থেকে অস্ত্র কেনা হবে, তা নিয়ে বিভক্ত ইইউ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

‎টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পঞ্চগড়ে উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত